নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিকসহ ডেটাবেইস রয়েছে ইউনাইটেড ন্যাশনস হাইকমিশনার ফর রিফিউজিসের (ইউএনএইচসিআর) কাছে। সেই ডেটাবেইস নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করতে দিতে সম্মত হয়েছে ইউএনএইচসিআর।
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ইউএনএইচসিআরের কাছে যে তথ্য আছে, সেটা আমরা এবং সরকারও চাচ্ছে। সরকারের সঙ্গে তাদের একটা সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা রোহিঙ্গাদের তথ্য শেয়ার করতে সম্মত হয়েছে। এই ডেটা আমরা কীভাবে পেতে পারি তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই তথ্য আমাদের কাছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, না অন্য কোথাও থাকবে, এটা নিয়ে সরকারের একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল। এটা চূড়ান্ত হয়েছে যে-এটা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) থাকবে। কীভাবে, কোথায়, কখন ব্যবহার করতে হবে, এটা নিয়ে আরও বসতে হবে। তাঁদের (ইউএনএইচসিআর) পরামর্শ অনুযায়ী একটা টেকনিক্যাল টিম আজকে করা হয়েছে।’
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। রোহিঙ্গারা আমাদের সিস্টেমে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। যত দ্রুত এই ডেটা পাব, তত সুবিধা হবে। আমাদের সুবিধা বহুমাত্রিক। রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে আর এত কষ্ট করতে হবে না। কেন না, ওই ডেটার সঙ্গে মিলে গেলেই তো আমরা বুঝব যে রোহিঙ্গা। সুতরাং এটা আমাদের প্রথমেই কাজে লাগবে। তাদের সঙ্গে বৈঠকে পাসপোর্টের বিষয়টাও আলোচনা এসেছে। পাসপোর্ট আমাদের এনআইডি ব্যবহার করে। যদি এনআইডিকে আমরা ক্লিন করতে পারি, রোহিঙ্গা নেই-এটা যদি নিশ্চিত করতে পারি, এটা তাঁদের জন্য (পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ) কমফোরটেবল হবে।’
এই ডেটাবেইস পেলে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গারা সার্ভারে ঢুকেছে কি না, তা কি শনাক্ত করার উদ্যোগ নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডেফিনেটলি। প্রথম হচ্ছে শনাক্ত করা, শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই তো আমরা এগুলো (এনআইডি) লক করে দেব। আমরা জানার বা বোঝার পরপরই লক হয়ে যাবে। তারা তো আমাদের নাগরিক নয়। সুতরাং জানবার সঙ্গে সঙ্গে লক হয়ে যাবে। একজন থাকলেও তো বাদ দিতে হবে।’
ডেটাবেইসে কতজন রোহিঙ্গা রয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আছে বলে তাঁরা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছেন।’
কত দিনের মধ্যে ডেটাবেইস পাওয়া যাবে, এ প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছি ইমিডিয়েটলি দরকার। তাঁরা সম্মত হয়েছেন, তবে অনেকগুলো বৈঠক করা লাগবে। পরস্পরকে বুঝতে একটু সময় লাগবে। ডেটাটা এমনভাবে দেবে যেন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে পারি। কাজেই পুরো ডেটা যদি না পাই, সেটা তো পারব না।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় এরা (রোহিঙ্গা) ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কাজেই এটা আর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নেই।’
তাহলে নতুন ভোটার হতে গেলে সব ভোটারের তথ্য রোহিঙ্গাদের ডেটাবেইসে মেলানো হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির মহাপরিচালক বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের তথ্য তো সার্ভারে আছে। কাজেই আমি ভোটার হতে এলে আর চেক করার দরকার নেই। আমার মনে হয় এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে আরও সময় লাগবে।’
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিকসহ ডেটাবেইস রয়েছে ইউনাইটেড ন্যাশনস হাইকমিশনার ফর রিফিউজিসের (ইউএনএইচসিআর) কাছে। সেই ডেটাবেইস নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করতে দিতে সম্মত হয়েছে ইউএনএইচসিআর।
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ইউএনএইচসিআরের কাছে যে তথ্য আছে, সেটা আমরা এবং সরকারও চাচ্ছে। সরকারের সঙ্গে তাদের একটা সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা রোহিঙ্গাদের তথ্য শেয়ার করতে সম্মত হয়েছে। এই ডেটা আমরা কীভাবে পেতে পারি তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই তথ্য আমাদের কাছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, না অন্য কোথাও থাকবে, এটা নিয়ে সরকারের একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল। এটা চূড়ান্ত হয়েছে যে-এটা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) থাকবে। কীভাবে, কোথায়, কখন ব্যবহার করতে হবে, এটা নিয়ে আরও বসতে হবে। তাঁদের (ইউএনএইচসিআর) পরামর্শ অনুযায়ী একটা টেকনিক্যাল টিম আজকে করা হয়েছে।’
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। রোহিঙ্গারা আমাদের সিস্টেমে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। যত দ্রুত এই ডেটা পাব, তত সুবিধা হবে। আমাদের সুবিধা বহুমাত্রিক। রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে আর এত কষ্ট করতে হবে না। কেন না, ওই ডেটার সঙ্গে মিলে গেলেই তো আমরা বুঝব যে রোহিঙ্গা। সুতরাং এটা আমাদের প্রথমেই কাজে লাগবে। তাদের সঙ্গে বৈঠকে পাসপোর্টের বিষয়টাও আলোচনা এসেছে। পাসপোর্ট আমাদের এনআইডি ব্যবহার করে। যদি এনআইডিকে আমরা ক্লিন করতে পারি, রোহিঙ্গা নেই-এটা যদি নিশ্চিত করতে পারি, এটা তাঁদের জন্য (পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ) কমফোরটেবল হবে।’
এই ডেটাবেইস পেলে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গারা সার্ভারে ঢুকেছে কি না, তা কি শনাক্ত করার উদ্যোগ নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডেফিনেটলি। প্রথম হচ্ছে শনাক্ত করা, শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই তো আমরা এগুলো (এনআইডি) লক করে দেব। আমরা জানার বা বোঝার পরপরই লক হয়ে যাবে। তারা তো আমাদের নাগরিক নয়। সুতরাং জানবার সঙ্গে সঙ্গে লক হয়ে যাবে। একজন থাকলেও তো বাদ দিতে হবে।’
ডেটাবেইসে কতজন রোহিঙ্গা রয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আছে বলে তাঁরা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছেন।’
কত দিনের মধ্যে ডেটাবেইস পাওয়া যাবে, এ প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছি ইমিডিয়েটলি দরকার। তাঁরা সম্মত হয়েছেন, তবে অনেকগুলো বৈঠক করা লাগবে। পরস্পরকে বুঝতে একটু সময় লাগবে। ডেটাটা এমনভাবে দেবে যেন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে পারি। কাজেই পুরো ডেটা যদি না পাই, সেটা তো পারব না।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় এরা (রোহিঙ্গা) ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কাজেই এটা আর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নেই।’
তাহলে নতুন ভোটার হতে গেলে সব ভোটারের তথ্য রোহিঙ্গাদের ডেটাবেইসে মেলানো হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির মহাপরিচালক বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের তথ্য তো সার্ভারে আছে। কাজেই আমি ভোটার হতে এলে আর চেক করার দরকার নেই। আমার মনে হয় এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে আরও সময় লাগবে।’
রাষ্ট্র সংস্কারে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রথম ধাপে প্রায় দুই মাস ধরে ৩৩ দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। এতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য হলেও কমিশনের মৌলিক কিছু প্রস্তাব এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতে একমত
৯ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হতে পারে বলে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আভাস দিয়েছেন সরকারের দুজন উপদেষ্টা। চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগেশিল্প ও রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সচিবালয়ের ভেতরে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সচিবালয়ের একটি ভবনের দুটি তলা এ দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো মন্ত্রণালয় এক স্থানে থাকলে কাজের গতি থাকবে। আংশিক গেলে কাজে বিঘ্ন ঘটবে।
৯ ঘণ্টা আগেকয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে পানি বাড়ছে।
১১ ঘণ্টা আগে