অনলাইন ডেস্ক
ছয় মাসের ব্যবধানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের খরচ আবার বাড়তে যাচ্ছে। মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে বছরে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব সরকারি কোষাগারে যাবে বলে মনে করছে তারা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ সোমবার (৬ জানুয়ারি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার শুল্কসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আসতে পারে। তবে কত শতাংশ, তা বলতে পারছি না।’
গত জুনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এর সঙ্গে কার্যকরী ভ্যাট ১৮ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। এ ছাড়া সিম-কর, রাজস্ব ভাগাভাগিসহ অন্যান্য কর মিলিয়ে বর্তমানে গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সাড়ে ৫৪ টাকা নেয় সরকার। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ১০০ টাকা রিচার্জে ৫৬ টাকার বেশি যাবে সরকারি কোষাগারে।
মোবাইল পরিষেবায় শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ এমন সময় নেওয়া হচ্ছে, যখন দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমছে। এ সিদ্ধান্ত গ্রাহকের ওপর বাড়তি বোঝা চাপাবে এবং মোবাইল ফোন অপারেটর ও সরকারের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম বলেন, ‘সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে কর বাড়ায়, তা সফল হয় না। আমরা এর আগে দেখেছি, যখনই শুল্ক বাড়ানো হয়, তখন জনগণ তার খরচটা লিমিট (সীমিত) করে ফেলে। শুল্ক বাড়ানোর ফলে মানুষ মোবাইলে কথা বলা কমিয়ে দিতে পারে। এতে রাজস্ব আরও কমতে পারে।’
শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও ফ্যাসিবাদী আচরণ বলে মনে করছে বাংলাদেশ মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট সেবার বাইরে, সেখানে নতুন করে এই উচ্চ করহার নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে, নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এখনো ধকল কাটিয়ে উঠছে অর্থনীতি, জাতীয় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে। দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এই বাড়তি বোঝা গ্রাহকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। যদি সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়, তবে তা হবে গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার। ২০২৪ সালের জুনে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হচ্ছে, এটি আবারও ৩ শতাংশ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে মাত্র সাত মাসের মাথায় গ্রাহকদের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা বাড়বে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা প্রতি ১০০ টাকার সেবা গ্রহণ করলে এখন প্রদান করতে হবে ১৪২ দশমিক ৪৫ টাকা (ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জসহ)। গত বাজেটের আগে যা ছিল ১৩৩ দশমিক ২৫ টাকা। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সংকল্পবদ্ধ টেলিযোগাযোগ শিল্প। কিন্তু এমন পদক্ষেপ এ অগ্রগতি ব্যাহত করবে এবং ডিজিটাল বৈষম্য বাড়াবে। গ্রাহকদের স্বার্থে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গঠনের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সরকারের কাছে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ছয় মাসের ব্যবধানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের খরচ আবার বাড়তে যাচ্ছে। মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে বছরে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব সরকারি কোষাগারে যাবে বলে মনে করছে তারা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ সোমবার (৬ জানুয়ারি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার শুল্কসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আসতে পারে। তবে কত শতাংশ, তা বলতে পারছি না।’
গত জুনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এর সঙ্গে কার্যকরী ভ্যাট ১৮ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। এ ছাড়া সিম-কর, রাজস্ব ভাগাভাগিসহ অন্যান্য কর মিলিয়ে বর্তমানে গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সাড়ে ৫৪ টাকা নেয় সরকার। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ১০০ টাকা রিচার্জে ৫৬ টাকার বেশি যাবে সরকারি কোষাগারে।
মোবাইল পরিষেবায় শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ এমন সময় নেওয়া হচ্ছে, যখন দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমছে। এ সিদ্ধান্ত গ্রাহকের ওপর বাড়তি বোঝা চাপাবে এবং মোবাইল ফোন অপারেটর ও সরকারের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম বলেন, ‘সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে কর বাড়ায়, তা সফল হয় না। আমরা এর আগে দেখেছি, যখনই শুল্ক বাড়ানো হয়, তখন জনগণ তার খরচটা লিমিট (সীমিত) করে ফেলে। শুল্ক বাড়ানোর ফলে মানুষ মোবাইলে কথা বলা কমিয়ে দিতে পারে। এতে রাজস্ব আরও কমতে পারে।’
শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও ফ্যাসিবাদী আচরণ বলে মনে করছে বাংলাদেশ মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট সেবার বাইরে, সেখানে নতুন করে এই উচ্চ করহার নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে, নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এখনো ধকল কাটিয়ে উঠছে অর্থনীতি, জাতীয় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে। দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এই বাড়তি বোঝা গ্রাহকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। যদি সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়, তবে তা হবে গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার। ২০২৪ সালের জুনে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হচ্ছে, এটি আবারও ৩ শতাংশ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে মাত্র সাত মাসের মাথায় গ্রাহকদের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা বাড়বে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা প্রতি ১০০ টাকার সেবা গ্রহণ করলে এখন প্রদান করতে হবে ১৪২ দশমিক ৪৫ টাকা (ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জসহ)। গত বাজেটের আগে যা ছিল ১৩৩ দশমিক ২৫ টাকা। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সংকল্পবদ্ধ টেলিযোগাযোগ শিল্প। কিন্তু এমন পদক্ষেপ এ অগ্রগতি ব্যাহত করবে এবং ডিজিটাল বৈষম্য বাড়াবে। গ্রাহকদের স্বার্থে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গঠনের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সরকারের কাছে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেপরপর দুটি দুর্ঘটনায় উড়ে যায় বাসের ছাদ। বাসে যাত্রী ছিলেন ৬০ জন। আহতও হন বেশ কয়েকজন। তবে এরপরও বাস থামাননি চালক। ছাদবিহীন বাস বেপরোয়া গতিতে চালিয়েছেন প্রায় ৫ কিলোমিটার। এরপর যাত্রী ও ওই পথে চলা অন্যদের রোষের মুখ বাস থামিয়ে পালিয়ে যান চালক।
১০ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার দায় স্বীকার করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা ও স্বাধীনতা-পূর্ব অভিন্ন সম্পদের বকেয়া অর্থ দাবি’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। কিন্তু পাকিস্তানের দিক থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, তাতে এই অমীমাংসিত
১২ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে থাকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ‘দ্বিধাগ্রস্ত’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, আরাকান আর্মি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত নয়, তাই আনুষ্ঠানিক আলোচ
১৩ ঘণ্টা আগে