Ajker Patrika

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকা বাঞ্ছনীয়: হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ৪৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কোরআন এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে লক্ষ্য করে অপ্রয়োজনীয়, বিবেক বর্জিত, ধৃষ্টতামূলক ও উসকানিমূলক আশালীন বক্তব্য ও আচরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তির বিধান থাকা বাঞ্ছনীয়, যা সংসদ বিবেচনা করে দেখতে পারে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এক মামলার রায়ে এমন অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের ১২ মার্চ দেওয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ ওই রায় দেন।

রায়ে কোরআনের বেশ কিছু আয়াতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃত আয়াতসমূহে পড়ে এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর জীবনী বিবেচনায় নিয়ে নাতিদীর্ঘ বিচার বিশ্লেষণের পর, আমাদের সুচিন্তিত মতামত এই যে কোরআন সম্পর্কে এবং মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিষোদ্‌গার করার বা কটূক্তি করার বা কোনোভাবে অবমাননা করার কোনো প্রকার যৌক্তিক বা বুদ্ধিজাত কারণ নেই।’

আইনের বিষয়ে আদালত বলেন, পূর্ববর্তী আইনের একই ধারায় এই অপরাধটি ছিল অজামিন যোগ্য। পরবর্তীকালে নতুন আইনে এটাকে জামিন যোগ্য করা হয়। ফলে এসব অপরাধ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শত বছর ধরে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ইসলাম ধর্মের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে আসছে এবং ইসলাম ধর্মের অনুসরণ করে আসছে। এ ক্ষেত্রে রয়েছে ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন। এমনকি বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বা নিউটনের মতো মহাজ্ঞানী ব্যক্তিরাও ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করে কোনো বক্তব্য রাখেননি।

রায়ে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সব ধর্ম মতের মানুষের দেশ। একই সঙ্গে সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা, স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস, সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা এবং সমাজে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। যেকোনো ধর্মের মানুষের মনে আঘাত দিতে পারে বা তাদের কারও মনে ভয়-ভীতি, আতঙ্ক, অস্বস্তি বা আশঙ্কার সৃষ্টি করতে পারে—ধর্মকে কেন্দ্র করে এরূপ যেকোনো উসকানিমূলক বক্তব্য বা কাজ নিরুৎসাহিত করার জন্য এরূপ অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এগুলোকে অজামিনযোগ্য গণ্য করা আবশ্যক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত