তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির ষষ্ঠ সভায় সময়মতো কোচগুলো না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৭ সালে ডিজেলচালিত ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এবং ১৫০টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ কোচ কেনার একটি প্রকল্প নেয়। এর মধ্যে তিনটি ছিল বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ। ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের চুক্তি হয় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোচ ডেলিভারির সময় নির্ধারণ করা ছিল। ২০টি লোকোমোটিভ দেশে এসেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশে এসেছে ১৪৭টি কোচ। বাকি তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচের মূল্য অনেক বেশি ও অপ্রয়োজনীয় হওয়ায় বাংলাদেশ সেগুলো নেয়নি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ না নেওয়ায় প্রকল্পের প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের ঋণচুক্তিতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেঁচে যায়। এতে প্রকল্পে সাশ্রয় হয় প্রায় ২১৮ কোটি টাকা। কোচের সংকট থাকায় রেলওয়ে সাশ্রয় হওয়া টাকা থেকে আরও ৩৫টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫টি কোচ কিনতে ২০২৪ সালের জুনে চুক্তি করে রেলওয়ে। এসব কোচ সরবরাহের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। সব মিলিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই মেয়াদ শেষ হতে আড়াই মাসের কম সময় থাকলেও ৩৫টি কোচ আসেনি।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সর্বশেষ ও ষষ্ঠ সভা হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাওয়ার কথা ছিল। কোচগুলোর ম্যানুফ্যাকচারিং হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই কোচের যন্ত্রাংশ জার্মানি থেকে একটি কোম্পানি সরবরাহ করবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই কোম্পানির যন্ত্রাংশের প্রথম শিপমেন্টের জন্য জার্মানির কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পেতে বিলম্ব হচ্ছে। প্রথম চালানের বিলম্বের কারণে দ্বিতীয় শিপমেন্ট চলতি বছরের জুনের আগে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে, অর্থাৎ জুনের মধ্যে ৩৫টি কোচ পাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি না করে শুধু মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা প্রয়োজন।
প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজনে এক্সিম ব্যাংক, কোরিয়ার সম্মতি নিতে একটি প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। ৩৫টি কোচের মধ্যে ১৫টি মে মাস নাগাদ এবং ১৫টি জুলাই-আগস্টে দেশে আসতে পারে। কিন্তু সামনে বাজেট, তাই এই অর্থবছরে আর টাকা পাওয়া যাবে না। টাকা পাওয়া যাবে আগামী অর্থবছরে। ফলে কোচ কেনার টাকা পরিশোধ করতে সময় লাগবে। এ জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোচ কেনার পর কিছু টাকা সাশ্রয় হওয়ায় অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ কেনা হচ্ছে। কোচগুলো এখন তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। জার্মান কোম্পানি জানিয়েছে, কোচগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ব্যবহার হবে কি না, এর ক্লিয়ারেন্স লাগবে এবং ভ্যাট-ট্যাক্সের বিষয় রয়েছে। এ দুই কারণে কোচগুলো আসতে দেরি হচ্ছে। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে না। তাঁরা আশা করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কোচগুলো চলে আসবে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়বে।
এই প্রকল্পের অর্থায়ন করছে কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পে মোট খরচ হচ্ছে ৬৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইডিসিএফের আছে ৭৮.৬৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের ২১.৩৭ শতাংশ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে কোচ কেনার সিদ্ধান্ত ভালো উদ্যোগ। কিন্তু প্রকল্পের শুরুতে পরিকল্পনাটা আরও ভালোভাবে করলে টাকা সাশ্রয় করে একবারেই প্রয়োজনীয় কোচ কেনা যেত। তাহলে বারবার প্রকল্পের মেয়াদও বাড়াতে হতো না। এসব কারণে প্রকল্পের উপযোগিতা নষ্ট হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির ষষ্ঠ সভায় সময়মতো কোচগুলো না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৭ সালে ডিজেলচালিত ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এবং ১৫০টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ কোচ কেনার একটি প্রকল্প নেয়। এর মধ্যে তিনটি ছিল বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ। ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের চুক্তি হয় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোচ ডেলিভারির সময় নির্ধারণ করা ছিল। ২০টি লোকোমোটিভ দেশে এসেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশে এসেছে ১৪৭টি কোচ। বাকি তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচের মূল্য অনেক বেশি ও অপ্রয়োজনীয় হওয়ায় বাংলাদেশ সেগুলো নেয়নি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ না নেওয়ায় প্রকল্পের প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের ঋণচুক্তিতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেঁচে যায়। এতে প্রকল্পে সাশ্রয় হয় প্রায় ২১৮ কোটি টাকা। কোচের সংকট থাকায় রেলওয়ে সাশ্রয় হওয়া টাকা থেকে আরও ৩৫টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫টি কোচ কিনতে ২০২৪ সালের জুনে চুক্তি করে রেলওয়ে। এসব কোচ সরবরাহের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। সব মিলিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই মেয়াদ শেষ হতে আড়াই মাসের কম সময় থাকলেও ৩৫টি কোচ আসেনি।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সর্বশেষ ও ষষ্ঠ সভা হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাওয়ার কথা ছিল। কোচগুলোর ম্যানুফ্যাকচারিং হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই কোচের যন্ত্রাংশ জার্মানি থেকে একটি কোম্পানি সরবরাহ করবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই কোম্পানির যন্ত্রাংশের প্রথম শিপমেন্টের জন্য জার্মানির কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পেতে বিলম্ব হচ্ছে। প্রথম চালানের বিলম্বের কারণে দ্বিতীয় শিপমেন্ট চলতি বছরের জুনের আগে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে, অর্থাৎ জুনের মধ্যে ৩৫টি কোচ পাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি না করে শুধু মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা প্রয়োজন।
প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজনে এক্সিম ব্যাংক, কোরিয়ার সম্মতি নিতে একটি প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। ৩৫টি কোচের মধ্যে ১৫টি মে মাস নাগাদ এবং ১৫টি জুলাই-আগস্টে দেশে আসতে পারে। কিন্তু সামনে বাজেট, তাই এই অর্থবছরে আর টাকা পাওয়া যাবে না। টাকা পাওয়া যাবে আগামী অর্থবছরে। ফলে কোচ কেনার টাকা পরিশোধ করতে সময় লাগবে। এ জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোচ কেনার পর কিছু টাকা সাশ্রয় হওয়ায় অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ কেনা হচ্ছে। কোচগুলো এখন তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। জার্মান কোম্পানি জানিয়েছে, কোচগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ব্যবহার হবে কি না, এর ক্লিয়ারেন্স লাগবে এবং ভ্যাট-ট্যাক্সের বিষয় রয়েছে। এ দুই কারণে কোচগুলো আসতে দেরি হচ্ছে। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে না। তাঁরা আশা করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কোচগুলো চলে আসবে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়বে।
এই প্রকল্পের অর্থায়ন করছে কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পে মোট খরচ হচ্ছে ৬৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইডিসিএফের আছে ৭৮.৬৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের ২১.৩৭ শতাংশ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে কোচ কেনার সিদ্ধান্ত ভালো উদ্যোগ। কিন্তু প্রকল্পের শুরুতে পরিকল্পনাটা আরও ভালোভাবে করলে টাকা সাশ্রয় করে একবারেই প্রয়োজনীয় কোচ কেনা যেত। তাহলে বারবার প্রকল্পের মেয়াদও বাড়াতে হতো না। এসব কারণে প্রকল্পের উপযোগিতা নষ্ট হচ্ছে।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির ষষ্ঠ সভায় সময়মতো কোচগুলো না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৭ সালে ডিজেলচালিত ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এবং ১৫০টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ কোচ কেনার একটি প্রকল্প নেয়। এর মধ্যে তিনটি ছিল বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ। ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের চুক্তি হয় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোচ ডেলিভারির সময় নির্ধারণ করা ছিল। ২০টি লোকোমোটিভ দেশে এসেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশে এসেছে ১৪৭টি কোচ। বাকি তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচের মূল্য অনেক বেশি ও অপ্রয়োজনীয় হওয়ায় বাংলাদেশ সেগুলো নেয়নি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ না নেওয়ায় প্রকল্পের প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের ঋণচুক্তিতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেঁচে যায়। এতে প্রকল্পে সাশ্রয় হয় প্রায় ২১৮ কোটি টাকা। কোচের সংকট থাকায় রেলওয়ে সাশ্রয় হওয়া টাকা থেকে আরও ৩৫টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫টি কোচ কিনতে ২০২৪ সালের জুনে চুক্তি করে রেলওয়ে। এসব কোচ সরবরাহের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। সব মিলিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই মেয়াদ শেষ হতে আড়াই মাসের কম সময় থাকলেও ৩৫টি কোচ আসেনি।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সর্বশেষ ও ষষ্ঠ সভা হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাওয়ার কথা ছিল। কোচগুলোর ম্যানুফ্যাকচারিং হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই কোচের যন্ত্রাংশ জার্মানি থেকে একটি কোম্পানি সরবরাহ করবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই কোম্পানির যন্ত্রাংশের প্রথম শিপমেন্টের জন্য জার্মানির কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পেতে বিলম্ব হচ্ছে। প্রথম চালানের বিলম্বের কারণে দ্বিতীয় শিপমেন্ট চলতি বছরের জুনের আগে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে, অর্থাৎ জুনের মধ্যে ৩৫টি কোচ পাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি না করে শুধু মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা প্রয়োজন।
প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজনে এক্সিম ব্যাংক, কোরিয়ার সম্মতি নিতে একটি প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। ৩৫টি কোচের মধ্যে ১৫টি মে মাস নাগাদ এবং ১৫টি জুলাই-আগস্টে দেশে আসতে পারে। কিন্তু সামনে বাজেট, তাই এই অর্থবছরে আর টাকা পাওয়া যাবে না। টাকা পাওয়া যাবে আগামী অর্থবছরে। ফলে কোচ কেনার টাকা পরিশোধ করতে সময় লাগবে। এ জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোচ কেনার পর কিছু টাকা সাশ্রয় হওয়ায় অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ কেনা হচ্ছে। কোচগুলো এখন তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। জার্মান কোম্পানি জানিয়েছে, কোচগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ব্যবহার হবে কি না, এর ক্লিয়ারেন্স লাগবে এবং ভ্যাট-ট্যাক্সের বিষয় রয়েছে। এ দুই কারণে কোচগুলো আসতে দেরি হচ্ছে। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে না। তাঁরা আশা করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কোচগুলো চলে আসবে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়বে।
এই প্রকল্পের অর্থায়ন করছে কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পে মোট খরচ হচ্ছে ৬৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইডিসিএফের আছে ৭৮.৬৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের ২১.৩৭ শতাংশ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে কোচ কেনার সিদ্ধান্ত ভালো উদ্যোগ। কিন্তু প্রকল্পের শুরুতে পরিকল্পনাটা আরও ভালোভাবে করলে টাকা সাশ্রয় করে একবারেই প্রয়োজনীয় কোচ কেনা যেত। তাহলে বারবার প্রকল্পের মেয়াদও বাড়াতে হতো না। এসব কারণে প্রকল্পের উপযোগিতা নষ্ট হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির ষষ্ঠ সভায় সময়মতো কোচগুলো না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৭ সালে ডিজেলচালিত ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এবং ১৫০টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ কোচ কেনার একটি প্রকল্প নেয়। এর মধ্যে তিনটি ছিল বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ। ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের চুক্তি হয় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোচ ডেলিভারির সময় নির্ধারণ করা ছিল। ২০টি লোকোমোটিভ দেশে এসেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশে এসেছে ১৪৭টি কোচ। বাকি তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচের মূল্য অনেক বেশি ও অপ্রয়োজনীয় হওয়ায় বাংলাদেশ সেগুলো নেয়নি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, তিনটি প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচ না নেওয়ায় প্রকল্পের প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের ঋণচুক্তিতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেঁচে যায়। এতে প্রকল্পে সাশ্রয় হয় প্রায় ২১৮ কোটি টাকা। কোচের সংকট থাকায় রেলওয়ে সাশ্রয় হওয়া টাকা থেকে আরও ৩৫টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫টি কোচ কিনতে ২০২৪ সালের জুনে চুক্তি করে রেলওয়ে। এসব কোচ সরবরাহের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। সব মিলিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই মেয়াদ শেষ হতে আড়াই মাসের কম সময় থাকলেও ৩৫টি কোচ আসেনি।
প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সর্বশেষ ও ষষ্ঠ সভা হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাওয়ার কথা ছিল। কোচগুলোর ম্যানুফ্যাকচারিং হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই কোচের যন্ত্রাংশ জার্মানি থেকে একটি কোম্পানি সরবরাহ করবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই কোম্পানির যন্ত্রাংশের প্রথম শিপমেন্টের জন্য জার্মানির কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পেতে বিলম্ব হচ্ছে। প্রথম চালানের বিলম্বের কারণে দ্বিতীয় শিপমেন্ট চলতি বছরের জুনের আগে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে, অর্থাৎ জুনের মধ্যে ৩৫টি কোচ পাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি না করে শুধু মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা প্রয়োজন।
প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজনে এক্সিম ব্যাংক, কোরিয়ার সম্মতি নিতে একটি প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। ৩৫টি কোচের মধ্যে ১৫টি মে মাস নাগাদ এবং ১৫টি জুলাই-আগস্টে দেশে আসতে পারে। কিন্তু সামনে বাজেট, তাই এই অর্থবছরে আর টাকা পাওয়া যাবে না। টাকা পাওয়া যাবে আগামী অর্থবছরে। ফলে কোচ কেনার টাকা পরিশোধ করতে সময় লাগবে। এ জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোচ কেনার পর কিছু টাকা সাশ্রয় হওয়ায় অতিরিক্ত ৩৫টি কোচ কেনা হচ্ছে। কোচগুলো এখন তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। জার্মান কোম্পানি জানিয়েছে, কোচগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ব্যবহার হবে কি না, এর ক্লিয়ারেন্স লাগবে এবং ভ্যাট-ট্যাক্সের বিষয় রয়েছে। এ দুই কারণে কোচগুলো আসতে দেরি হচ্ছে। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে না। তাঁরা আশা করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কোচগুলো চলে আসবে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়বে।
এই প্রকল্পের অর্থায়ন করছে কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পে মোট খরচ হচ্ছে ৬৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইডিসিএফের আছে ৭৮.৬৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের ২১.৩৭ শতাংশ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে কোচ কেনার সিদ্ধান্ত ভালো উদ্যোগ। কিন্তু প্রকল্পের শুরুতে পরিকল্পনাটা আরও ভালোভাবে করলে টাকা সাশ্রয় করে একবারেই প্রয়োজনীয় কোচ কেনা যেত। তাহলে বারবার প্রকল্পের মেয়াদও বাড়াতে হতো না। এসব কারণে প্রকল্পের উপযোগিতা নষ্ট হচ্ছে।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৪২ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের এই কাঠামোটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা ও কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, যার ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজর্ভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসাল্ট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ণ-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা কেবল একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা–আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪–এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান–থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল–থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে তত দিনে পিয়ার–ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ ও কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের এই কাঠামোটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা ও কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, যার ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজর্ভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসাল্ট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ণ-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা কেবল একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা–আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪–এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান–থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল–থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে তত দিনে পিয়ার–ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ ও কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৫
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৪২ মিনিট আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৫
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৪২ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক না কেন, যেকোনো ভিন্নমতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে, উনি ওই বইটা কিনবেন।’
প্রেস সচিব যোগ করেন, ‘আমরা চাই, এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী, কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে, না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না, যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিলেন ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে মোহন রায়হান আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটার জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন, বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কবি গাজীউল হাসান খান ও ফয়েজ আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক না কেন, যেকোনো ভিন্নমতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে, উনি ওই বইটা কিনবেন।’
প্রেস সচিব যোগ করেন, ‘আমরা চাই, এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী, কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে, না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না, যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিলেন ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে মোহন রায়হান আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটার জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন, বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কবি গাজীউল হাসান খান ও ফয়েজ আলম।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৫
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৪২ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে