Ajker Patrika

শহীদজায়া পান্না কায়সার আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ২৩
শহীদজায়া পান্না কায়সার আর নেই

শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার (৭৩) আর নেই। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পান্না কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারে স্ত্রী। তিনি অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা। এ ছাড়া পান্না কায়সার বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও জাতীয় সংসদের সাবেক সাংসদ।

খেলা ঘরের সদস্য ও পান্না কায়সারকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা আবুল ফারহা পলাশ আজকের পত্রিকাকে জানান, পান্না কায়সার রাতে গুলশানে মেয়ের বাসায় ছিলেন। সকালে শরীর খারাপ লাগলে তাঁকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সকাল ৮টার দিকে মারা যান পান্না কায়সার।

এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস‍্য হিসেবে পান্না কায়সারের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। 

রাষ্ট্রপতি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় পান্না কায়সারের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর করা এই শহীদজায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল সময়কালে শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তাঁর প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ কায়সারকে তাঁর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এরপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর থেকে পান্না কায়সার একাই মানুষ করেছেন তাঁর দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে।

১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

সংসার জীবনে আবদ্ধ না থেকে পান্না কায়সার দায়িত্ব নেন লাখো-কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’র সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতিও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত