Ajker Patrika

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অধীনস্থ করার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ২২: ১২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত সংশোধনীসহ ধারণাপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অধীনস্থ করতে প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ সোমবার সংশোধনীসহ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জানানো হয়।

খসড়ায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং ইকুইপমেন্ট নির্ধারণ, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদ সৃষ্টি, বিলোপ, বিন্যাস, নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, ছুটি, চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ, অধস্তন আদালত, তৎসংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা-প্রতিষ্ঠান, কমিশন, ইনস্টিটিউট, একাডেমি প্রভৃতির কাঠামো এবং ইকুইপমেন্ট নির্ধারণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনাকে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খসড়ায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলি বন, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতিকে প্রয়োজনীয় বিধি, প্রবিধি, নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের বাজেটে বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত সকলের বেতন-ভাতাদির পাশাপাশি দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনার প্রশাসনিক ব্যয়, অধস্তন আদালত, তৎসংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, কমিশন, ইনস্টিটিউট, একাডেমি প্রভৃতির উন্নয়ন ব্যয়, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করার বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।

খসড়া অধ্যাদেশে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়কে অধস্তন আদালত, তৎসংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, কমিশন, ইনস্টিটিউট, একাডেমি প্রভৃতির উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন

প্রধান বিচারপতির ঘোষিত রোডম্যাপে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টি করতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন। ফলে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারকের গভীর মনোনিবেশ প্রয়োজন হয়। বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপিল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারি আপিল, ফৌজদারি রিভিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।

বিচারকের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মামলা জট ও দীর্ঘসূত্রতা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলাজট নিরসনের জন্য বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত