নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ অনুযায়ী আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবের ওপর প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সময় সংসদ সদস্যরা অধিবেশন কক্ষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। প্রস্তাবের ওপর আলোচনার অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই বছর আগে হাই কোর্টের এক রায়ে জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চারণের ওপর জোর দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২ মার্চ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
শাজাহান খানের প্রস্তাবে বলা হয়, সংসদের অভিমত এই যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোষণার মধ্য দিয়ে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার যে প্রত্যাশা দীর্ঘদিন এ জাতির ছিল তা পূরণ হওয়ায় বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদকে এই বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হোক।
প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা বলেন, জয় বাংলা দলীয় স্লোগান ছিল না, এটা শুধু যুদ্ধের স্লোগান নয়, এটা ছিল আমাদের জাতীয় স্লোগান। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তীতে আমাদের জাতীয় জীবনে এই অর্জন ধরে রাখতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই স্লোগানের চেতনাকে ধরে রাখার আহ্বান জানান তারা।
প্রস্তাব উত্থাপনকালে শাজাহান খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে বাঙালি জাতির অপরিহার্য স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা স্লোগানকে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাদের রণ ধ্বনি ছিল ‘জয়বাংলা’।
শাজাহান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান হিসেবে জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। স্বাধীনতার পর জয়বাংলা স্লোগানকে বাঙালি জাতি মনে প্রাণে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর অবৈধ ক্ষমতা দখলদার মোস্তাক-জিয়া গং জয়বাংলার পরিবর্তে পাকিস্তানি ভাবধারায় পাকিস্তান জিন্দাবাদকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে।
পরে এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কাজী ফিরোজ রশীদ, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিএনপির হারুনুর রশীদ, সংরক্ষিত আসনের সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, ও ফরিদা খানম।
জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ অনুযায়ী আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবের ওপর প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সময় সংসদ সদস্যরা অধিবেশন কক্ষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। প্রস্তাবের ওপর আলোচনার অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই বছর আগে হাই কোর্টের এক রায়ে জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চারণের ওপর জোর দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২ মার্চ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
শাজাহান খানের প্রস্তাবে বলা হয়, সংসদের অভিমত এই যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোষণার মধ্য দিয়ে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার যে প্রত্যাশা দীর্ঘদিন এ জাতির ছিল তা পূরণ হওয়ায় বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদকে এই বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হোক।
প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা বলেন, জয় বাংলা দলীয় স্লোগান ছিল না, এটা শুধু যুদ্ধের স্লোগান নয়, এটা ছিল আমাদের জাতীয় স্লোগান। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তীতে আমাদের জাতীয় জীবনে এই অর্জন ধরে রাখতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই স্লোগানের চেতনাকে ধরে রাখার আহ্বান জানান তারা।
প্রস্তাব উত্থাপনকালে শাজাহান খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে বাঙালি জাতির অপরিহার্য স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা স্লোগানকে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাদের রণ ধ্বনি ছিল ‘জয়বাংলা’।
শাজাহান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান হিসেবে জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। স্বাধীনতার পর জয়বাংলা স্লোগানকে বাঙালি জাতি মনে প্রাণে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর অবৈধ ক্ষমতা দখলদার মোস্তাক-জিয়া গং জয়বাংলার পরিবর্তে পাকিস্তানি ভাবধারায় পাকিস্তান জিন্দাবাদকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে।
পরে এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কাজী ফিরোজ রশীদ, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিএনপির হারুনুর রশীদ, সংরক্ষিত আসনের সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, ও ফরিদা খানম।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের একান্ত সচিব (পিএস) মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৬ এপ্রিল তাঁকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩৯ মিনিট আগেজুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে সরাসরি জড়িত অনেক পুলিশ সদস্য বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছেন। দেশে থাকা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং বিদেশে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. বাহারুল আলম।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। আজ সোমবার এই অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেসিলেট বিভাগের পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলায় আদালতের চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ ধারার উপবিধি ২-এর বিধান অনুযায়ী তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে