Ajker Patrika

গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে ঢুকেছে ১.৫ লাখ রোহিঙ্গা: জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ১০: ৪৯
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের একাংশ। ছবি: জাতিসংঘ
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের একাংশ। ছবি: জাতিসংঘ

রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং লক্ষ্যবস্তুভিত্তিক সহিংসতার কারণে গত ১৮ মাসে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিবেশী দেশে সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র সংঘর্ষ তীব্রতর হওয়ায় এবং পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় এখনো হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারের জনাকীর্ণ শিবিরগুলোতে আশ্রয়ের জন্য প্রবেশ করছে। অথচ, এই আশ্রয়শিবিরগুলোতে আগে থেকেই প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী বসবাস করছে।

জাতিসংঘের আশ্রয়প্রার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বাবর বালুচ গতকাল শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘২০১৭ সালের পর এটি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় আগমন (অনুপ্রবেশ)।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ২০১৭ সালে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্যে মারাত্মক সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসার ব্যাপক অনুপ্রবেশের বিপরীতে, এই আশ্রয়প্রার্থীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে ধীরে, অল্প অল্প করে।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে সংঘাত অব্যাহত থাকায়, আমরা সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা বেসামরিক লোকদের নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের জন্য সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রবেশের সুযোগ দিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।’

বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরে মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের আশ্রয়প্রার্থীদের জায়গা দিয়ে আসছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, চলতি বছরের জুন মাসের শেষ নাগাদ প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার নতুন আসা আশ্রয়প্রার্থীকে বায়োমেট্রিকভাবে নিবন্ধিত করা হয়েছে, যদিও ধারণা করা হয় আরও অনেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে শিবিরগুলোতে বসবাস করছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়ের অভাব একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়, কারণ সুযোগ-সুবিধাগুলো নতুন জনসংখ্যাকে ধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছে।

বাবর বালুচ বলেন, ‘এই নতুন আগতরা আরও প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তারা মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটারর এলাকায় গাদাগাদি করে বসবাস করছে। আরও বেশি মানবিক সহায়তা জরুরিভাবে প্রয়োজন।’

সহায়তাকারী সংস্থাগুলো খাদ্য, চিকিৎসসেবা, শিক্ষা এবং জরুরি ত্রাণসামগ্রীসহ মৌলিক পরিষেবা প্রদানে সক্ষম হয়েছে। তবে, তহবিলের অভাবে এই প্রতিক্রিয়া এখন গুরুতর হুমকির মুখে। ইউএনএইচসিআর সতর্ক করে বলেছে যে, ২০২৪ সালের জন্য ২৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক আবেদনের মাত্র ৩৫ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে। অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা ছাড়া পুরো কার্যক্রমটি পদ্ধতিগতভাবে ভেঙে পড়তে পারে।

বাংলাদেশ সরকার কঠোরভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করলেও নতুন আগতদের শিবিরগুলোতে জরুরি পরিষেবায় প্রবেশাধিকার দিয়েছে। জাতিসংঘ সংস্থা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে এই মানবিক উদ্যোগের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনাকে হটানো র‍্যাপ-মিম বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি

বিদেশ ভ্রমণে ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে

সিরিয়াস ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন

বিমানের কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক: ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন মা, জানাল র‍্যাব

দিনাজপুর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২৫

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত