কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদের দোষ দিলেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। যুক্তরাষ্ট্রে ২২ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাবলুইএফ) বার্ষিক বৈঠকের একটি সেশনে চলমান যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায় ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে ‘দ্য রিটার্ন অব দ্য ওয়েস্ট’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ডাবলুইএফ এর ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমসহ ইউক্রেনের সংসদ সদস্য ইউলিয়া ক্লাইমেনকো, মার্কিন রাজনীতিবিদ বিল কেটিং এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি পওলা জে ডোবরিয়ানস্কাই। সেশনটি সঞ্চালনা করেন মার্কিন ধনকুবের ব্যবসায়ী এবং ডুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান ডেভিড এম রুবেনস্টাইন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি চায় বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি পার করে আমরা আবারও নতুন ধরনের স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেছি। তবে এ যুদ্ধের কারণে আমরা কখনোই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে পারব না।’
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ থেকে ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে এবং ৩ লাখের মতো মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে বাংলাদেশ জানে যুদ্ধের মূল্য কী? বাংলাদেশ অবিলম্বে যুদ্ধের সমাপ্তি চায়।’
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি সরকারের অবস্থান নয়, এটি আমার ব্যক্তিগত মত। যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করছি না। পশ্চিমারা এ যুদ্ধ শুরুর আগে অনেক কিছু করতে পারত। কারণ, ইউরোপের প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশগুলো, যারা ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছে, তাদের ব্যবসায়িক ও জ্বালানির দিক থেকে একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় (পর্যায়ে) বেশি কিছু করা হয়নি। বহুপক্ষীয় দিক থেকে তেমন কিছুই করা হয়নি। যুদ্ধ রোধে জাতিসংঘ অনেক কিছু করতে পারত।’
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে একজন বাংলাদেশি নাবিকও মারা গিয়েছেন। তবে আমরা জানি না, কার আঘাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষের কর্তৃপক্ষের কাছেই এ বিষয়ে জবাব চেয়েছি।’
এ সময়ে ইউক্রেনের সংসদ সদস্য ইউলিয়া ক্লাইমেনকো বলেন, ‘জাহাজটি ধ্বংস হয়েছে মিসাইলের আঘাতে, মাইনের আঘাতে নয়। ইউক্রেনের কাছে মিসাইল নেই।’
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধের বিপক্ষে।’
যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্য ইউক্রেন থেকে রপ্তানি না হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি না হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ দুর্ভিক্ষে পরবে না। আমরা বেশি দামে খাদ্যশস্য কিনব।’
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদের দোষ দিলেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। যুক্তরাষ্ট্রে ২২ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাবলুইএফ) বার্ষিক বৈঠকের একটি সেশনে চলমান যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায় ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে ‘দ্য রিটার্ন অব দ্য ওয়েস্ট’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ডাবলুইএফ এর ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমসহ ইউক্রেনের সংসদ সদস্য ইউলিয়া ক্লাইমেনকো, মার্কিন রাজনীতিবিদ বিল কেটিং এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি পওলা জে ডোবরিয়ানস্কাই। সেশনটি সঞ্চালনা করেন মার্কিন ধনকুবের ব্যবসায়ী এবং ডুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান ডেভিড এম রুবেনস্টাইন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি চায় বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি পার করে আমরা আবারও নতুন ধরনের স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেছি। তবে এ যুদ্ধের কারণে আমরা কখনোই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে পারব না।’
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ থেকে ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে এবং ৩ লাখের মতো মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে বাংলাদেশ জানে যুদ্ধের মূল্য কী? বাংলাদেশ অবিলম্বে যুদ্ধের সমাপ্তি চায়।’
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি সরকারের অবস্থান নয়, এটি আমার ব্যক্তিগত মত। যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করছি না। পশ্চিমারা এ যুদ্ধ শুরুর আগে অনেক কিছু করতে পারত। কারণ, ইউরোপের প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশগুলো, যারা ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছে, তাদের ব্যবসায়িক ও জ্বালানির দিক থেকে একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় (পর্যায়ে) বেশি কিছু করা হয়নি। বহুপক্ষীয় দিক থেকে তেমন কিছুই করা হয়নি। যুদ্ধ রোধে জাতিসংঘ অনেক কিছু করতে পারত।’
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে একজন বাংলাদেশি নাবিকও মারা গিয়েছেন। তবে আমরা জানি না, কার আঘাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষের কর্তৃপক্ষের কাছেই এ বিষয়ে জবাব চেয়েছি।’
এ সময়ে ইউক্রেনের সংসদ সদস্য ইউলিয়া ক্লাইমেনকো বলেন, ‘জাহাজটি ধ্বংস হয়েছে মিসাইলের আঘাতে, মাইনের আঘাতে নয়। ইউক্রেনের কাছে মিসাইল নেই।’
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধের বিপক্ষে।’
যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্য ইউক্রেন থেকে রপ্তানি না হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি না হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ দুর্ভিক্ষে পরবে না। আমরা বেশি দামে খাদ্যশস্য কিনব।’
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়কে আরও সুরক্ষিত করতে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের যথেচ্ছ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা এর উদ্দেশ্য।
১০ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কম
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩৫৪ জন, যার সিংহভাগই শিশু ও কিশোরী। কেবল জুন মাসেই ধর্ষণের শিকার ৬৫ জন, যার মধ্যে ৪৩ জনই শিশু। এমনকি ধর্ষণের পর প্রাণ হারিয়েছে তিনজন, যাদের দুজনই শিশু।
১৩ ঘণ্টা আগে