নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি
সেখানে সূর্যোদয়ের পর সাদা মেঘে ঢেকে থাকে প্রকৃতি। আছে পাহাড়, ঝরনা আর বন। এই অপার্থিব সৌন্দর্য দেখতেই সেখানে ভিড় করে মানুষ। এর নাম সাজেক ভ্যালি। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে উপস্থিত হয়। কিন্তু ইদানীং কথা উঠছে সাজেকের পরিবহন ব্যয় নিয়ে।
সাজেকে যেতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে গিয়ে নামতে হয় খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে। সেখান থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৬৮ কিলোমিটার। শাপলা চত্বর থেকে পিকআপ, জিপ বা চাঁদের গাড়ি, সাফারি, সিএনজি ও মাহিন্দ্রে সাজেকে যাওয়া-আসা করা যায়। এসব পরিবহনের ভাড়ার তালিকা দেখে অনেকের সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আর থাকে না। অনেকে ‘এসেছি যখন ঘুরে আসি’ মনোভাব নিয়ে সাজেকে যান। অনেকে যান দরদাম করে নিরুপায় হয়ে।
ভাড়ার তালিকা
সাজেক কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পিকআপে সকালে গিয়ে বিকেলে ফেরার ভাড়া ৭,৫০০ টাকা। আর এক রাত থাকলে দিতে হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। জিপ বা চাঁদের গাড়িতে সকালে গিয়ে বিকেলে ফেরার জন্য ভাড়া মেটাতে হয় ৭ হাজার টাকা। আর এক রাত থাকলে দিতে হয় বাড়তি প্রায় দেড় হাজার টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তিনজন সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরলে ভাড়া প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আর রাতে থাকলে দিতে হবে ৫,২০০ টাকা। মাহিন্দ্র চার থেকে পাঁচজন সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরলে ভাড়া ৪,৭০০ টাকা আর রাত্রিযাপন করলে ৫,৭০০ টাকা ভাড়া গুনতে হয় পর্যটকদের।
পর্যটকদের অভিযোগ
ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে সাজেকে বেড়াতে এসেছিলেন মো. আবির, পারভীন আক্তার ও মহুয়া। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। সাজেক ও খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র ও রিসাং ঝরনায় যাতায়াত বাবদ তাঁরা ব্যয় করেছেন ৯ হাজার টাকা!একই ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জের মো. মিলন, মো. মোবারক, মো. ইমন ও তাঁর আট বন্ধুর বেলাতেও। সাজেকে ঘুরতে গিয়ে মাত্র ৬৮ কিলোমিটারের জন্য যাতায়াত বাবদ যে অর্থ ব্যয় করতে হয়, তা অবিশ্বাস্য বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা জানান, এই ৬৮ কিলোমিটারের মধ্যে সাজেক সড়কের মাচালং এলাকার পর ১২ কিলোমিটার পথ উঁচু পাহাড়ে উঠতে হয় বলে ভাড়া বেশি রাখছেন ড্রাইভাররা। সাজেকে এক রাত থাকলে আরও বেশি টাকা দিতে হয়।
সাজেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা জানান, পরিবহন ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার মানসিকতার কারণে অল্প রাস্তায় যাতায়াতের জন্য বেশি ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে তাঁদের। ১০০ কিলোমিটারের কম রাস্তার জন্য এত ভাড়া বিস্ময়কর বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
অভিযোগের উত্তর
এসব অভিযোগ নিয়ে কথা হয় খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন জিপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিরু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ি সড়কে গাড়ি চালাতে প্রচুর তেল খরচ হয়। সাজেকে যাওয়া-আসায় ৯ হাজার টাকা খরচ হয় একটি গাড়িতে। বিগত সরকার ১৭ বছরে শুধু ভাড়া বাড়িয়েছে, কমায়নি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছরে ১ হাজার টাকা কমিয়েছি। সামনে মাসিক সভা আছে। সেখানে ভাড়া কমানোর বিষয়ে প্রস্তাব রাখব।’
পার্বত্য যানবাহন সমিতির সভাপতি আয়ুস শান্তি চাকমা বলেন, পর্যটকেরা সব সময় বলেন ভাড়া কমানোর জন্য। বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে ভাড়া কমানো হয়েছে। এ ছাড়া সাজেক পরিবহনের সব সংগঠন বসে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত দেওয়া যেতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কথা বলেছিলাম জেলা প্রশাসক এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নিয়মের বাইরে পর্যটকদের গাড়ি ভাড়া আদায় করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভাড়া কমানোর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না। দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’
সাজেকের প্রকৃতি যেমন রোমাঞ্চকর, এখানকার পরিবহন ব্যয়ও তেমনি শ্বাসরুদ্ধকর!
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে শুধু আশ্বাসই মেলে। সমাধান আর মেলে না। এটি যেন সমাধানহীন এক অঙ্ক।
সেখানে সূর্যোদয়ের পর সাদা মেঘে ঢেকে থাকে প্রকৃতি। আছে পাহাড়, ঝরনা আর বন। এই অপার্থিব সৌন্দর্য দেখতেই সেখানে ভিড় করে মানুষ। এর নাম সাজেক ভ্যালি। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে উপস্থিত হয়। কিন্তু ইদানীং কথা উঠছে সাজেকের পরিবহন ব্যয় নিয়ে।
সাজেকে যেতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে গিয়ে নামতে হয় খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে। সেখান থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৬৮ কিলোমিটার। শাপলা চত্বর থেকে পিকআপ, জিপ বা চাঁদের গাড়ি, সাফারি, সিএনজি ও মাহিন্দ্রে সাজেকে যাওয়া-আসা করা যায়। এসব পরিবহনের ভাড়ার তালিকা দেখে অনেকের সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আর থাকে না। অনেকে ‘এসেছি যখন ঘুরে আসি’ মনোভাব নিয়ে সাজেকে যান। অনেকে যান দরদাম করে নিরুপায় হয়ে।
ভাড়ার তালিকা
সাজেক কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পিকআপে সকালে গিয়ে বিকেলে ফেরার ভাড়া ৭,৫০০ টাকা। আর এক রাত থাকলে দিতে হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। জিপ বা চাঁদের গাড়িতে সকালে গিয়ে বিকেলে ফেরার জন্য ভাড়া মেটাতে হয় ৭ হাজার টাকা। আর এক রাত থাকলে দিতে হয় বাড়তি প্রায় দেড় হাজার টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তিনজন সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরলে ভাড়া প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আর রাতে থাকলে দিতে হবে ৫,২০০ টাকা। মাহিন্দ্র চার থেকে পাঁচজন সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরলে ভাড়া ৪,৭০০ টাকা আর রাত্রিযাপন করলে ৫,৭০০ টাকা ভাড়া গুনতে হয় পর্যটকদের।
পর্যটকদের অভিযোগ
ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে সাজেকে বেড়াতে এসেছিলেন মো. আবির, পারভীন আক্তার ও মহুয়া। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। সাজেক ও খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র ও রিসাং ঝরনায় যাতায়াত বাবদ তাঁরা ব্যয় করেছেন ৯ হাজার টাকা!একই ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জের মো. মিলন, মো. মোবারক, মো. ইমন ও তাঁর আট বন্ধুর বেলাতেও। সাজেকে ঘুরতে গিয়ে মাত্র ৬৮ কিলোমিটারের জন্য যাতায়াত বাবদ যে অর্থ ব্যয় করতে হয়, তা অবিশ্বাস্য বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা জানান, এই ৬৮ কিলোমিটারের মধ্যে সাজেক সড়কের মাচালং এলাকার পর ১২ কিলোমিটার পথ উঁচু পাহাড়ে উঠতে হয় বলে ভাড়া বেশি রাখছেন ড্রাইভাররা। সাজেকে এক রাত থাকলে আরও বেশি টাকা দিতে হয়।
সাজেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা জানান, পরিবহন ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার মানসিকতার কারণে অল্প রাস্তায় যাতায়াতের জন্য বেশি ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে তাঁদের। ১০০ কিলোমিটারের কম রাস্তার জন্য এত ভাড়া বিস্ময়কর বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
অভিযোগের উত্তর
এসব অভিযোগ নিয়ে কথা হয় খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন জিপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিরু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ি সড়কে গাড়ি চালাতে প্রচুর তেল খরচ হয়। সাজেকে যাওয়া-আসায় ৯ হাজার টাকা খরচ হয় একটি গাড়িতে। বিগত সরকার ১৭ বছরে শুধু ভাড়া বাড়িয়েছে, কমায়নি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছরে ১ হাজার টাকা কমিয়েছি। সামনে মাসিক সভা আছে। সেখানে ভাড়া কমানোর বিষয়ে প্রস্তাব রাখব।’
পার্বত্য যানবাহন সমিতির সভাপতি আয়ুস শান্তি চাকমা বলেন, পর্যটকেরা সব সময় বলেন ভাড়া কমানোর জন্য। বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে ভাড়া কমানো হয়েছে। এ ছাড়া সাজেক পরিবহনের সব সংগঠন বসে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত দেওয়া যেতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কথা বলেছিলাম জেলা প্রশাসক এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নিয়মের বাইরে পর্যটকদের গাড়ি ভাড়া আদায় করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভাড়া কমানোর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না। দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’
সাজেকের প্রকৃতি যেমন রোমাঞ্চকর, এখানকার পরিবহন ব্যয়ও তেমনি শ্বাসরুদ্ধকর!
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে শুধু আশ্বাসই মেলে। সমাধান আর মেলে না। এটি যেন সমাধানহীন এক অঙ্ক।
একেকটা মৌসুমে একেক ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়। আর এসব রোগবালাই থেকে বাঁচতে সে মৌসুমে যেসব ফলমূল ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়, সেসব খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কার্তিক মাসে চৌদ্দ শাক খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসাইকেল শুধু পরিবহন নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে প্রায় ১ বিলিয়ন সাইকেল রয়েছে—এ সংখ্যা গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। করোনা মহামারির পর সাইকেল ব্যবহার আরও বেড়েছে। মানুষ এখন ব্যায়াম, অবসর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও অসংখ্য সাইকেল চলাচল করে বটে...
৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন।
৪ ঘণ্টা আগেচলছে অক্টোবর মাস। এটি স্তন ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী এ মাসে স্তন ক্যানসারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রতিটি গল্প অনন্য, প্রতিটি যাত্রা মূল্যবান’।
৫ ঘণ্টা আগে