জাহীদ রেজা নূর
রুশ দেশে যখন গেলাম, তখন বেশ কিছু খাবারে স্বাদবদল হয়েছিল। রুশরা বলত, ‘শোনো ছোকরা! খাবে যখন, তখন এমন কিছু খেয়ো, যা খেলে শক্তি আসে শরীরে।’
রুশীরা যেকোনো খাবারের সঙ্গেই অবধারিতভাবে রুটি নেয় হাতে। সুপ খাবে তো অন্য হাতে থাকবে রুটি। মাংসের কাটলেট কিংবা অন্য কোনো মুখরোচক খাবারের সময়ও রুটিটা হয় প্রিয় সঙ্গী।
রুশ এই খাবারগুলো আমাদের দেশে প্রায় অপরিচিত। রোজা রাখলে ইফতারের সময় এই খাবারগুলোর যেকোনো একটি পরিমাণমতো খেলে সাহরি পর্যন্ত আর কিছু না খেলেও চলে।
বোর্শ
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ১ কেজি, ১টা গাজর, ১টা বিট, বাঁধা কপি চার ভাগের একভাগ, ২টা আলু, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কাটা, ক্যাপসিকাম, টমেটো, টমেটো সস, তেল পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালি
দেড় লিটার পানিতে হাড়সহ আস্ত মাংসের টুকরো ছেড়ে দিন। দেড় ঘণ্টা অল্প আঁচে জ্বাল দিন। মাংস হাঁড়ি থেকে তুলে নিন। হাঁড়িতে ছোট করে কাটা আলু দিন। মাংস একটু ঠান্ডা হলে হাড় থেকে ছাড়িয়ে নিন। এবার সেই মাংসগুলো আবার ছেড়ে দিন হাঁড়িতে।
একটা ফ্রাইংপ্যানে তেল নিয়ে তাতে রসুন ভেজে তার ওপরেই ঢেলে দিন কাটা পেঁয়াজ। কিছুক্ষণ পর দিন টমেটো। সেগুলো গলে গেলে সেখানেই কেটে রাখা গাজর, বিট, ক্যাপসিকাম দিয়ে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পর তিন টেবিল চামচ টমেটো সস ফ্রাই প্যানে দিয়ে নেড়েচেড়ে সব উপকরণ ঢেলে দিন মাংসের হাঁড়িতে। সেখানকার সব উপকরণ কিছুক্ষণ নেড়ে এবার কুচি করা বাঁধা কপি দিয়ে দিন হাঁড়িতে। সেদ্ধ হলে নামিয়ে ফেলুন।
বিফ স্ত্রোগানোভ
উপকরণ
মাংস ১ কেজি খুব চিকন করে কাটা, ময়দা, পেঁয়াজ, ক্রিম, মাখন, গোলমরিচ, তেল।
প্রণালি
মাংস কেটে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ময়দা দিয়ে মাংসগুলো ঢেকে দিন যেন ভাজার সময় মাংস থেকে পানি না বের হয়। ফ্রাই প্যানে অল্প তেল দিয়ে ময়দা মাখানো মাংসগুলো কিছুক্ষণ ভাজুন। তবে লাল হওয়ার আগেই ফ্রাই প্যান থেকে নামিয়ে ফেলুন। সব মাংস ভাজা হলে সেই ফ্রাই প্যানেই আরেকটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এবার ভেজে রাখা মাংস তাতে ঢেলে দিন।
কিছুক্ষণ পর ফ্রাই প্যানের চারদিকে মাংস ছড়িয়ে দিয়ে মাঝখানে গোল একটা জায়গা বের করুন। সেখানে ১২০ গ্রাম মাখন দিন। একটা ডানো ক্রিম দিন এবং তিন টেবিল চামচ টমেটো সস দিন। তিন উপকরণ এক সঙ্গে মিশিয়ে এবার মাংসগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর গোলমরিচ দিন। কিছুক্ষণ পর গরম পানি দিন। মিশ্রণটি একটু ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
চিকেন উইথ গার্লিক অ্যান্ড মাশরুম
উপকরণ
চিকন করে কাটা মুরগির বুকের মাংস ২০০ গ্রাম, অর্ধেক ক্যাপসিকাম, ২ টেবিল চামচ আদা ও ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি, পেঁয়াজ ২টা, কাচা মরিচ ৩টা, তাজা অথবা টিনজাত মাশরুম পরিমাণমতো, লবণ, সয়াসস, উস্টার সস, গোলমরিচ, টমেটো, পরিমাণমতো তেল।
প্রণালি
মুরগির মাংস সয়া সসে ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ফ্রাই প্যানে তেল গরম হলে আদা ও রসুন কুচি দিয়ে দিন। একটু পর সেখানে ঢেলে দিন মুরগির টুকরোগুলো। খানিকটা হয়ে এলে মাশরুম দিন। মাশরুম থেকে পানি বের হলে তাতে পেঁয়াজ আর টমেটো দিয়ে দিন। ক্যাপসিকাম দিন এবার। খানিক অপেক্ষা করে গোলমরিচ দিন। প্রায় হয়ে এলে উস্টার সস দিয়ে নাড়ুন। সসে লবণ দেওয়া থাকে বলে পরিমাণমতো লবণ দিতে হবে। একটু বিরতি নিয়ে চুলো বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।
রুশ দেশে যখন গেলাম, তখন বেশ কিছু খাবারে স্বাদবদল হয়েছিল। রুশরা বলত, ‘শোনো ছোকরা! খাবে যখন, তখন এমন কিছু খেয়ো, যা খেলে শক্তি আসে শরীরে।’
রুশীরা যেকোনো খাবারের সঙ্গেই অবধারিতভাবে রুটি নেয় হাতে। সুপ খাবে তো অন্য হাতে থাকবে রুটি। মাংসের কাটলেট কিংবা অন্য কোনো মুখরোচক খাবারের সময়ও রুটিটা হয় প্রিয় সঙ্গী।
রুশ এই খাবারগুলো আমাদের দেশে প্রায় অপরিচিত। রোজা রাখলে ইফতারের সময় এই খাবারগুলোর যেকোনো একটি পরিমাণমতো খেলে সাহরি পর্যন্ত আর কিছু না খেলেও চলে।
বোর্শ
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ১ কেজি, ১টা গাজর, ১টা বিট, বাঁধা কপি চার ভাগের একভাগ, ২টা আলু, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কাটা, ক্যাপসিকাম, টমেটো, টমেটো সস, তেল পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালি
দেড় লিটার পানিতে হাড়সহ আস্ত মাংসের টুকরো ছেড়ে দিন। দেড় ঘণ্টা অল্প আঁচে জ্বাল দিন। মাংস হাঁড়ি থেকে তুলে নিন। হাঁড়িতে ছোট করে কাটা আলু দিন। মাংস একটু ঠান্ডা হলে হাড় থেকে ছাড়িয়ে নিন। এবার সেই মাংসগুলো আবার ছেড়ে দিন হাঁড়িতে।
একটা ফ্রাইংপ্যানে তেল নিয়ে তাতে রসুন ভেজে তার ওপরেই ঢেলে দিন কাটা পেঁয়াজ। কিছুক্ষণ পর দিন টমেটো। সেগুলো গলে গেলে সেখানেই কেটে রাখা গাজর, বিট, ক্যাপসিকাম দিয়ে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পর তিন টেবিল চামচ টমেটো সস ফ্রাই প্যানে দিয়ে নেড়েচেড়ে সব উপকরণ ঢেলে দিন মাংসের হাঁড়িতে। সেখানকার সব উপকরণ কিছুক্ষণ নেড়ে এবার কুচি করা বাঁধা কপি দিয়ে দিন হাঁড়িতে। সেদ্ধ হলে নামিয়ে ফেলুন।
বিফ স্ত্রোগানোভ
উপকরণ
মাংস ১ কেজি খুব চিকন করে কাটা, ময়দা, পেঁয়াজ, ক্রিম, মাখন, গোলমরিচ, তেল।
প্রণালি
মাংস কেটে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ময়দা দিয়ে মাংসগুলো ঢেকে দিন যেন ভাজার সময় মাংস থেকে পানি না বের হয়। ফ্রাই প্যানে অল্প তেল দিয়ে ময়দা মাখানো মাংসগুলো কিছুক্ষণ ভাজুন। তবে লাল হওয়ার আগেই ফ্রাই প্যান থেকে নামিয়ে ফেলুন। সব মাংস ভাজা হলে সেই ফ্রাই প্যানেই আরেকটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এবার ভেজে রাখা মাংস তাতে ঢেলে দিন।
কিছুক্ষণ পর ফ্রাই প্যানের চারদিকে মাংস ছড়িয়ে দিয়ে মাঝখানে গোল একটা জায়গা বের করুন। সেখানে ১২০ গ্রাম মাখন দিন। একটা ডানো ক্রিম দিন এবং তিন টেবিল চামচ টমেটো সস দিন। তিন উপকরণ এক সঙ্গে মিশিয়ে এবার মাংসগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর গোলমরিচ দিন। কিছুক্ষণ পর গরম পানি দিন। মিশ্রণটি একটু ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
চিকেন উইথ গার্লিক অ্যান্ড মাশরুম
উপকরণ
চিকন করে কাটা মুরগির বুকের মাংস ২০০ গ্রাম, অর্ধেক ক্যাপসিকাম, ২ টেবিল চামচ আদা ও ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি, পেঁয়াজ ২টা, কাচা মরিচ ৩টা, তাজা অথবা টিনজাত মাশরুম পরিমাণমতো, লবণ, সয়াসস, উস্টার সস, গোলমরিচ, টমেটো, পরিমাণমতো তেল।
প্রণালি
মুরগির মাংস সয়া সসে ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ফ্রাই প্যানে তেল গরম হলে আদা ও রসুন কুচি দিয়ে দিন। একটু পর সেখানে ঢেলে দিন মুরগির টুকরোগুলো। খানিকটা হয়ে এলে মাশরুম দিন। মাশরুম থেকে পানি বের হলে তাতে পেঁয়াজ আর টমেটো দিয়ে দিন। ক্যাপসিকাম দিন এবার। খানিক অপেক্ষা করে গোলমরিচ দিন। প্রায় হয়ে এলে উস্টার সস দিয়ে নাড়ুন। সসে লবণ দেওয়া থাকে বলে পরিমাণমতো লবণ দিতে হবে। একটু বিরতি নিয়ে চুলো বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।
বিমানে ভ্রমণ সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কয়েকটি বিমানবন্দর আছে, যেগুলোতে অবতরণ বা উড্ডয়ন যে কাউকে দমবন্ধ করা অভিজ্ঞতা দিতে পারে। স্বল্প দৈর্ঘ্যের রানওয়ে, পাহাড় ইত্যাদি কারণে সেই বিমানবন্দরগুলো বিপজ্জনক; বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ পাওয়া বৈমানিকেরাই সেসব বিমানবন্দরে বিমান উড্ডয়ন বা অবতরণ করাতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিকাব, বোরকা ইত্যাদি পোশাক জনপরিসরে নিষিদ্ধ করার প্রবণতা দেখা গেছে। এই পদক্ষেপগুলো ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয় পরিচয় জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও এ বিষয়ে সমালোচনা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর হালকা নাশতা তৈরি করে নিন। আপনাদের জন্য রঙিন ফ্রুট চাট ও মসলাদার কাবলি সালাদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের ট্রেইনার অ্যান্ড অ্যাসেসর (কুকিং) ও সেরা রাঁধুনির ১৪২৯ এর ৫ম স্থান জয়ী আলভী রহমান শোভন।
৭ ঘণ্টা আগেআপনি যতই ট্রেন্ড অনুসরণ করুন না কেন, জন্মসূত্রে বাঙালি মানে শাড়ি আপনার আত্মার আত্মা। কিশোরী থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ—শাড়ি পরার ব্যাপারটা যেন উৎসবতুল্য। আসলে শাড়ি নামের এ পোশাকই তো বৈচিত্র্যময়। শাড়ির রয়েছে রকমফের। আবার কত কায়দায়ই না পরা যায় এটি। তবে আরামের বেলায় হাফ সিল্ক শাড়ির কদরই আলাদা।
৭ ঘণ্টা আগে