ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ঘরের আকৃতি কেমন হবে, কোন উপকরণে ঘর নির্মিত হবে—এসব বিষয়ে প্রাচীন মানুষেরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে চলত। প্রকৃতির চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য বুঝে তৈরি করা হতো মানুষের বাসস্থান। ফলে পৃথিবীজুড়ে বাড়িঘর তৈরির বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। তেমনই একটি পদ্ধতি বাস্তু।
বাস্তুশাস্ত্রে বিশ্বাসীরা মনে করেন, এটি বাড়ি ও ঘরের জন্য উপকারী। কারণ, এটি ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে।
বাস্তুশাস্ত্র কী
প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যবিজ্ঞানই মূলত বাস্তুশাস্ত্র। এটি বাড়িকে এমনভাবে সাজানোর একটি নির্দেশিকা, যা প্রকৃতির উপাদান ও দিকনির্দেশনার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
বাস্তু এমন একটি সেটআপ তৈরি করে, যেখানে থাকার জায়গা নির্দিষ্ট উপাদান এবং দিকনির্দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্তি ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে ধারণা করা হয়। বাস্তুবান্ধব কিছু গৃহসজ্জার সামগ্রী রয়েছে, যা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
একনজরে দেখে নিন—
ঘোড়ার ছবি বা ওয়ালম্যাট
বাস্তুতে ঘোড়াকে শুভ বলে মনে করা হয়। এই প্রাণীকে শক্তি ও সাফল্যের দূত বলে ভাবা হয়। বাস্তুতে বাড়িতে একাধিক চলমান ঘোড়ার ছবি বা ওয়ালম্যাট দেয়ালে টাঙালে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।
কাচের কচ্ছপের শোপিস
কচ্ছপকে স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষার প্রতীক ভাবা হয়। ঘরের উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকগুলো প্রায়শই সাজসজ্জার জিনিসপত্র স্থাপনের জন্য শুভ বলে বিবেচিত হয়।
রঙিন মান্ডালা ডিজাইনের রাগ
মান্ডালা হলো আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ জ্যামিতিক নকশা। এগুলো প্রায়শই মহাবিশ্ব বা জীবনের আন্তসংযোগের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যবহৃত হয়। মান্ডালা ডিজাইনের রাগ আপনার বাড়িতে একটি আনন্দদায়ক সংযোজন হতে পারে, যা শৈল্পিকতা ও ইতিবাচক শক্তির অনুভূতি জাগায়।
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি আসবাব
কাঠ, বাঁশ বা বেতের আসবাবকে বাস্তু বরাবরই স্বাগত জানায়। এগুলো বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে বলে বাস্তুবান্ধব হিসেবে বিবেচিত হয়।
অন্দরসজ্জায় প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি কাপড়ের ব্যবহার
হালকা রঙের তুলা বা সিল্কের মতো প্রাকৃতিক কাপড় দিয়ে তৈরি পর্দা, বিছানার চাদর ও কুশন কভার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় বাস্তুশাস্ত্রে। এই কাপড়গুলো ব্যবহারে আরামদায়ক, টেকসই ও চোখের জন্য স্বস্তিকর। ফলে এগুলো ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটায় বলে মনে করা হয়।
শক্তি, প্রজ্ঞা ও সৌভাগ্যের প্রতীক হাতির শোপিস
অনেক সংস্কৃতিতে হাতি সাধারণত শক্তি, প্রজ্ঞা ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বাস্তুমতে, বাড়ি বা অফিসের নির্দিষ্ট জায়গায় হাতির শোপিস স্থাপন করলে তা ইতিবাচক শক্তি ও সৌভাগ্য আকর্ষণ করে বলে মনে করা হয়। ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে ধাতু দিয়ে তৈরি হাতির শোপিস পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম কোণে এবং কাঠের তৈরি হাতির শোপিস দক্ষিণ-পূর্ব বা পূর্ব কোণে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
পিতলের বাটি বা ফুলদানি
বসার ঘরে পিতলের বাটি বা ফুলদানিতে ফুল ভিজিয়ে রাখলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বিরাজ করে বলে ধারণা করা হয়। নান্দনিক ছোঁয়ার বাইরেও পিতল শুভশক্তিকে আকর্ষণ করে বলে বাস্তুর ধারণা। ঘরের উত্তর-পূর্ব বা কেন্দ্রীয় অংশে একটি পিতলের বাটি বা ফুলদানি রাখুন। সকাল বা সাঁজে ফুলভর্তি পিতলের বাটি বা ফুলদানি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে।
সমৃদ্ধি আনে বুদ্ধমূর্তি
বিভিন্ন রকম বুদ্ধমূর্তি বাস্তুবান্ধব গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয়, এই মূর্তিগুলো প্রশান্তি, জ্ঞান ও ইতিবাচক শক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বাস্তুমতে, বাড়িতে বা অফিসে বুদ্ধমূর্তি রাখলে তা উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব কোণে রাখাই ভালো। কারণ, এই দিকগুলো আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ও জ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত।
ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করতে যে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন—
সূত্র: ম্যাজিক ব্রিকস ও অন্যান্য
ঘরের আকৃতি কেমন হবে, কোন উপকরণে ঘর নির্মিত হবে—এসব বিষয়ে প্রাচীন মানুষেরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে চলত। প্রকৃতির চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য বুঝে তৈরি করা হতো মানুষের বাসস্থান। ফলে পৃথিবীজুড়ে বাড়িঘর তৈরির বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। তেমনই একটি পদ্ধতি বাস্তু।
বাস্তুশাস্ত্রে বিশ্বাসীরা মনে করেন, এটি বাড়ি ও ঘরের জন্য উপকারী। কারণ, এটি ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে।
বাস্তুশাস্ত্র কী
প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যবিজ্ঞানই মূলত বাস্তুশাস্ত্র। এটি বাড়িকে এমনভাবে সাজানোর একটি নির্দেশিকা, যা প্রকৃতির উপাদান ও দিকনির্দেশনার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
বাস্তু এমন একটি সেটআপ তৈরি করে, যেখানে থাকার জায়গা নির্দিষ্ট উপাদান এবং দিকনির্দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্তি ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে ধারণা করা হয়। বাস্তুবান্ধব কিছু গৃহসজ্জার সামগ্রী রয়েছে, যা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
একনজরে দেখে নিন—
ঘোড়ার ছবি বা ওয়ালম্যাট
বাস্তুতে ঘোড়াকে শুভ বলে মনে করা হয়। এই প্রাণীকে শক্তি ও সাফল্যের দূত বলে ভাবা হয়। বাস্তুতে বাড়িতে একাধিক চলমান ঘোড়ার ছবি বা ওয়ালম্যাট দেয়ালে টাঙালে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।
কাচের কচ্ছপের শোপিস
কচ্ছপকে স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষার প্রতীক ভাবা হয়। ঘরের উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকগুলো প্রায়শই সাজসজ্জার জিনিসপত্র স্থাপনের জন্য শুভ বলে বিবেচিত হয়।
রঙিন মান্ডালা ডিজাইনের রাগ
মান্ডালা হলো আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ জ্যামিতিক নকশা। এগুলো প্রায়শই মহাবিশ্ব বা জীবনের আন্তসংযোগের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যবহৃত হয়। মান্ডালা ডিজাইনের রাগ আপনার বাড়িতে একটি আনন্দদায়ক সংযোজন হতে পারে, যা শৈল্পিকতা ও ইতিবাচক শক্তির অনুভূতি জাগায়।
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি আসবাব
কাঠ, বাঁশ বা বেতের আসবাবকে বাস্তু বরাবরই স্বাগত জানায়। এগুলো বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে বলে বাস্তুবান্ধব হিসেবে বিবেচিত হয়।
অন্দরসজ্জায় প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি কাপড়ের ব্যবহার
হালকা রঙের তুলা বা সিল্কের মতো প্রাকৃতিক কাপড় দিয়ে তৈরি পর্দা, বিছানার চাদর ও কুশন কভার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় বাস্তুশাস্ত্রে। এই কাপড়গুলো ব্যবহারে আরামদায়ক, টেকসই ও চোখের জন্য স্বস্তিকর। ফলে এগুলো ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটায় বলে মনে করা হয়।
শক্তি, প্রজ্ঞা ও সৌভাগ্যের প্রতীক হাতির শোপিস
অনেক সংস্কৃতিতে হাতি সাধারণত শক্তি, প্রজ্ঞা ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বাস্তুমতে, বাড়ি বা অফিসের নির্দিষ্ট জায়গায় হাতির শোপিস স্থাপন করলে তা ইতিবাচক শক্তি ও সৌভাগ্য আকর্ষণ করে বলে মনে করা হয়। ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে ধাতু দিয়ে তৈরি হাতির শোপিস পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম কোণে এবং কাঠের তৈরি হাতির শোপিস দক্ষিণ-পূর্ব বা পূর্ব কোণে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
পিতলের বাটি বা ফুলদানি
বসার ঘরে পিতলের বাটি বা ফুলদানিতে ফুল ভিজিয়ে রাখলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বিরাজ করে বলে ধারণা করা হয়। নান্দনিক ছোঁয়ার বাইরেও পিতল শুভশক্তিকে আকর্ষণ করে বলে বাস্তুর ধারণা। ঘরের উত্তর-পূর্ব বা কেন্দ্রীয় অংশে একটি পিতলের বাটি বা ফুলদানি রাখুন। সকাল বা সাঁজে ফুলভর্তি পিতলের বাটি বা ফুলদানি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে।
সমৃদ্ধি আনে বুদ্ধমূর্তি
বিভিন্ন রকম বুদ্ধমূর্তি বাস্তুবান্ধব গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয়, এই মূর্তিগুলো প্রশান্তি, জ্ঞান ও ইতিবাচক শক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বাস্তুমতে, বাড়িতে বা অফিসে বুদ্ধমূর্তি রাখলে তা উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব কোণে রাখাই ভালো। কারণ, এই দিকগুলো আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ও জ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত।
ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করতে যে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন—
সূত্র: ম্যাজিক ব্রিকস ও অন্যান্য
কোথাও বেড়াতে গেলে কী পরলে ভালো হয়—বেশির ভাগ সময় এটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। শাড়িপ্রেমী নারীদের বড় প্রশ্ন, শাড়ি পরে কি ঘোরা যায় না? উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই যায়, যদি আপনি বেছে নেন হালকা ও নরম ধাঁচের শাড়ি।
২৬ মিনিট আগেসমস্যার মূল হলো, আমরা ভাবি যে সুখ আসে আমাদের পরিবেশ পরিবর্তনের মাধ্যমে। সুখের এক বড় সমস্যা হলো, আমরা ভালো জিনিসে অভ্যস্ত হয়ে যাই। যেমন বেতন বাড়লে প্রথমে ভালো লাগে, কিন্তু কিছুদিন পর সেটি আর আনন্দ দেয় না। এটাকে বলে হেডোনিক অ্যাডাপটেশন। সত্যিকারের সুখ অনুভবের জন্য এর সঙ্গে লড়াই করতে হয়।
১৯ ঘণ্টা আগেপ্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে বলে এই শরতের আবহাওয়া কখনো গরম, কখনো ভ্যাপসা আবার কখনো হয়তো খানিকটা আরাম-আরাম। আবহাওয়ার এই বিচিত্র আচরণের কারণে অনেকের এখন জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে শরীর ব্যথা। সিজনাল অ্যাটাক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং এই আবহাওয়ায় শরীরের যত্ন নিতে...
১ দিন আগেএখনকার অনুষ্ঠানগুলো কেবল মিলনমেলা নয়; বরং ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং, সংস্কৃতি বিনিময় এবং কমিউনিটি গঠনের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। তাই কোনো অনুষ্ঠান সফল হবে কি না, তা অনেকাংশে ভেন্যু নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। বিয়ে, করপোরেট সেমিনার কিংবা সামাজিক সমাবেশ—যেকোনো আয়োজনেই ভেন্যুকে শুধু চারদেয়ালের...
১ দিন আগে