
শুরুটা স্মৃতি রোমন্থন দিয়েই হোক। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাস। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। ওদিকে চার্লস-ক্যামিলার প্রেমের খবরও চাউর হয়ে গেছে সবখানে। সবটা জেনেও যেন কেউ জানে না– এমন একটা ব্যাপার। তখন ডায়নার মনের খবর জানতে যাঁরা উৎসুক ছিলেন বা যাঁরা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছিলেন ‘পিপলস প্রিন্সেসের’ ঘর ভাঙার এ ঘটনায়; তাঁদের প্রত্যেককে চমকে দিলেন একদিন ব্রিটিশ এ রাজবধূ।
লন্ডনের সার্পেন্টাইন গ্যালারির সামনে গাড়ি থেকে নামলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। পরনে কাঁধ খোলা ফিটিং সিল্কের ককটেল মিনি ড্রেস। গলায় চোকার। পায়ে হাইহিল। হাস্য়বদনে গাড়ি থেকে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন। রাজ পরিবারের বউয়ের হাঁটু বা কাঁধ উন্মুক্ত থাকবে, এ কথা তখন ভাবাই যেত না। তার ওপর ক্লিভেজ দেখানো পোশাক? মরি মরি! তা ছাড়া শোকের দিনগুলো ছাড়া রাজপরিবারের মেয়েদের কালো পরার নিয়ম নেই। অথচ তাঁর এই পোশাকটির রংও কালো। অগ্নিঝরা চোখ আর ঠোঁটে ঝলসে যাওয়া হাসি যেন পুড়িয়ে দিয়েছিল পুরো রাজপরিবারকে।
পাপারাজ্জিরাও থমকে গিয়েছিলেন ডায়নার সে রূপ দেখে। গ্রিক ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের নকশা করা এ পোশাক অনেক দিন আগে থেকে ডায়নার ড্রেসিংরুমে ছিল। কিন্তু পরা হয়নি কোনো কারণে। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ডরোবে পরে থাকা সেই পোশাকই তিনি বেছে নিলেন নিজের কথা বলার জন্য। ফ্যাশন বোদ্ধারা সে পোশাকের নাম দিয়েছিলেন ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। অর্থাৎ প্রতিশোধের পোশাক। যেখানে ঘর ভাঙার সুর বেজে ওঠার পর ডায়নার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে আনেন কালো রঙের আশ্চর্য সে পোশাকে।
প্রতিশোধের পোশাক তবে কী
বলিউড বা পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, নিপীড়িত নারীরা যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তখন পশ্চিমা ও খানিকটা খোলামেলা পোশাক পরেন। যাতে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং সমাজ খানিকটা ধাতস্থ হয়, তব্দাও খায়।
রিভেঞ্জ ড্রেস বা প্রতিশোধের পোশাক নিয়ে ভুল বোঝার অবকাশ নেই। সিনেমায় যেভাবেই দেখানো হোক না কেন, এ পোশাক টাইট ফিটিং ও আকারে ছোট হতে হবে, তেমন কোনো বিষয় নেই। এই পোশাকের ধারণা মূলত মনস্তাত্ত্বিক। অর্থাৎ যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাসই প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে। মুখ্য হয়ে ওঠে জীবনের বিশেষ মানুষটিকে ছাড়াই ভালো থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। নিজের জীবনকে আরও একবার উদ্যাপনে ভাসিয়ে দেওয়া। তাই এ ধরনের পোশাক প্রেম ও বিয়ে ভাঙনের আগে পরতে দেখা যায় না। মোদ্দা কথা, প্রাক্তনকে এই পোশাকে দেখে সাবেক প্রেমিক বা বর আরও একবার বুঝবেন, ‘কোন লাস্য়ময়ীকে হারালেন’। আর এ কারণেই এই পোশাকের নাম রিভেঞ্জ ড্রেস।
ডায়না ছাড়া আরও যাঁরা পরেছিলেন
প্রিন্সেস ডায়নার দেখানো পথে হেঁটেছেন অনেকেই। প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমার ‘দিল পে পাত্থার রাখ কে মুখ পে মেকআপ কার লিয়া’ গানটির কথা মতো অনেক তারকাই ঝকমকে পোশাক আর মেকআপ নিয়ে জনসম্মুখে হাস্য়বদনে হাজির হয়েছেন। তবে তাঁদের সেসব পোশাকের নকশা ও রং ছিল আলাদা আলাদা। প্রত্য়েকের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী পোশাকের কাটিং ও ধরনও ছিল ভিন্ন।
নিকোল কিডম্যান
২০০১ সাল। সেদিন ছিল নিকোল কিডম্যান অভিনীত ‘দ্য আদার্স’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কালো অফশোল্ডার পোশাকে হাজির হলেন বাদামি চুলের এই লাস্যময়ী। টাইট ফিটিং এই পোশাকের ওপরের অংশে ছিল রূপালিরঙা পাইপিং। হাইহিল আর মেসি বানে টিপটপ সেই লুক দেখে কেউ কি ভেবেছিল ঠিক পরদিন সকালেই টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে? তাঁর দ্যুতি ছড়ানো চোখ দেখে কেউ কি বিশ্বাস করতে পেরেছিল, সেদিন থেকে ঠিক ছয় মাস আগেই এই দম্পতি আলাদা বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন?
জেনিফার অ্যানিস্টোন
২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কে নিজের অভিনীত ‘ডিরেইলড’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে অ্যানিস্টোন হাজির হয়েছিলেন বেইজ ও সাদা রঙের পুঁতি বসানো শ্যানেলের পোশাকে। পায়ে গলিয়েছিলেন একই রঙের হাইহিল। স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রিমিয়ার শো। তাঁর চোখ থেকে টুপটাপ করে নোনা জল গড়িয়ে পড়া দেখার জন্য সবাই যখন অপেক্ষা করছিল, তখন তিনি উজ্জ্বল পোশাক আর টোনড শরীর নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
অ্যানি হাথাওয়ে
২০০৮ সালে ‘গেট স্মার্ট’ চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের দিন অ্যানি হাথাওয়ে সম্পর্কগত জটিলতায় ছিলেন টালমাটাল। কিছুদিন আগেই ইতালিয়ান ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু তাঁর গ্লিটারি ফেদারি কালো ও সোনালি রঙের পোশাক বলছিল তাঁর আত্মবিশ্বাসের কথাই।
জেনিফার লোপেজ
২০১১ সালে লাসভেগাসে ‘আইহার্টরেডিও মিউজিক ফেস্টিভ্যালে’ সংগীত তারকা জেনিফার লোপেজ হাজির হয়েছিলেন সাদা মিনি বডিকনে। মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে তখন। জেলোর সে পোশাকের নকশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন লেবেল ‘কেমিলা অ্যান্ড মার্ক’।
সেলেনা গোমেজ
তখন সেলেনা ও জাস্টিন বিবার প্রথমবারের মতো ব্রেকআপ করেছেন। ২০১২ সালে ‘গ্ল্যামার ওমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সেলেনা উপস্থিত হয়েছিলেন ইতালিয়ান ডিজাইনার গিয়ামবাতিস্তা ভাল্লির নকশা করা সাদা পোশাকে। চেহারায় কোনো ছাপই ছিল না যে ভেতরে-ভেতরে তিনি গুঁড়িয়ে গেছেন অনেকটাই!
টেইলর সুইফট
২০১৬ সাল সুইফটের জন্য খুব সহজ ছিল না। দুই দুইবার ব্রেকআপ তাঁকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তাতে কী! ঘুরে দাঁড়াতে মোটেও সময় নেননি তিনি। সেই দম তাঁর হাঁটুতে বরাবরই ছিল। ন্যাশভিলের ‘সিএমএ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, তাঁর জীবন ও তাঁর ঠোঁটের হাসি তাঁর নির্দেশনাতেই চলবে। লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড জুলিয়েন ম্যাকডোনাল্ডের গাউনে উপস্থিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই তারকা।
সূত্র ও ছবি: ইনস্টাইল

শুরুটা স্মৃতি রোমন্থন দিয়েই হোক। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাস। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। ওদিকে চার্লস-ক্যামিলার প্রেমের খবরও চাউর হয়ে গেছে সবখানে। সবটা জেনেও যেন কেউ জানে না– এমন একটা ব্যাপার। তখন ডায়নার মনের খবর জানতে যাঁরা উৎসুক ছিলেন বা যাঁরা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছিলেন ‘পিপলস প্রিন্সেসের’ ঘর ভাঙার এ ঘটনায়; তাঁদের প্রত্যেককে চমকে দিলেন একদিন ব্রিটিশ এ রাজবধূ।
লন্ডনের সার্পেন্টাইন গ্যালারির সামনে গাড়ি থেকে নামলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। পরনে কাঁধ খোলা ফিটিং সিল্কের ককটেল মিনি ড্রেস। গলায় চোকার। পায়ে হাইহিল। হাস্য়বদনে গাড়ি থেকে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন। রাজ পরিবারের বউয়ের হাঁটু বা কাঁধ উন্মুক্ত থাকবে, এ কথা তখন ভাবাই যেত না। তার ওপর ক্লিভেজ দেখানো পোশাক? মরি মরি! তা ছাড়া শোকের দিনগুলো ছাড়া রাজপরিবারের মেয়েদের কালো পরার নিয়ম নেই। অথচ তাঁর এই পোশাকটির রংও কালো। অগ্নিঝরা চোখ আর ঠোঁটে ঝলসে যাওয়া হাসি যেন পুড়িয়ে দিয়েছিল পুরো রাজপরিবারকে।
পাপারাজ্জিরাও থমকে গিয়েছিলেন ডায়নার সে রূপ দেখে। গ্রিক ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের নকশা করা এ পোশাক অনেক দিন আগে থেকে ডায়নার ড্রেসিংরুমে ছিল। কিন্তু পরা হয়নি কোনো কারণে। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ডরোবে পরে থাকা সেই পোশাকই তিনি বেছে নিলেন নিজের কথা বলার জন্য। ফ্যাশন বোদ্ধারা সে পোশাকের নাম দিয়েছিলেন ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। অর্থাৎ প্রতিশোধের পোশাক। যেখানে ঘর ভাঙার সুর বেজে ওঠার পর ডায়নার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে আনেন কালো রঙের আশ্চর্য সে পোশাকে।
প্রতিশোধের পোশাক তবে কী
বলিউড বা পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, নিপীড়িত নারীরা যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তখন পশ্চিমা ও খানিকটা খোলামেলা পোশাক পরেন। যাতে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং সমাজ খানিকটা ধাতস্থ হয়, তব্দাও খায়।
রিভেঞ্জ ড্রেস বা প্রতিশোধের পোশাক নিয়ে ভুল বোঝার অবকাশ নেই। সিনেমায় যেভাবেই দেখানো হোক না কেন, এ পোশাক টাইট ফিটিং ও আকারে ছোট হতে হবে, তেমন কোনো বিষয় নেই। এই পোশাকের ধারণা মূলত মনস্তাত্ত্বিক। অর্থাৎ যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাসই প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে। মুখ্য হয়ে ওঠে জীবনের বিশেষ মানুষটিকে ছাড়াই ভালো থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। নিজের জীবনকে আরও একবার উদ্যাপনে ভাসিয়ে দেওয়া। তাই এ ধরনের পোশাক প্রেম ও বিয়ে ভাঙনের আগে পরতে দেখা যায় না। মোদ্দা কথা, প্রাক্তনকে এই পোশাকে দেখে সাবেক প্রেমিক বা বর আরও একবার বুঝবেন, ‘কোন লাস্য়ময়ীকে হারালেন’। আর এ কারণেই এই পোশাকের নাম রিভেঞ্জ ড্রেস।
ডায়না ছাড়া আরও যাঁরা পরেছিলেন
প্রিন্সেস ডায়নার দেখানো পথে হেঁটেছেন অনেকেই। প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমার ‘দিল পে পাত্থার রাখ কে মুখ পে মেকআপ কার লিয়া’ গানটির কথা মতো অনেক তারকাই ঝকমকে পোশাক আর মেকআপ নিয়ে জনসম্মুখে হাস্য়বদনে হাজির হয়েছেন। তবে তাঁদের সেসব পোশাকের নকশা ও রং ছিল আলাদা আলাদা। প্রত্য়েকের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী পোশাকের কাটিং ও ধরনও ছিল ভিন্ন।
নিকোল কিডম্যান
২০০১ সাল। সেদিন ছিল নিকোল কিডম্যান অভিনীত ‘দ্য আদার্স’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কালো অফশোল্ডার পোশাকে হাজির হলেন বাদামি চুলের এই লাস্যময়ী। টাইট ফিটিং এই পোশাকের ওপরের অংশে ছিল রূপালিরঙা পাইপিং। হাইহিল আর মেসি বানে টিপটপ সেই লুক দেখে কেউ কি ভেবেছিল ঠিক পরদিন সকালেই টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে? তাঁর দ্যুতি ছড়ানো চোখ দেখে কেউ কি বিশ্বাস করতে পেরেছিল, সেদিন থেকে ঠিক ছয় মাস আগেই এই দম্পতি আলাদা বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন?
জেনিফার অ্যানিস্টোন
২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কে নিজের অভিনীত ‘ডিরেইলড’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে অ্যানিস্টোন হাজির হয়েছিলেন বেইজ ও সাদা রঙের পুঁতি বসানো শ্যানেলের পোশাকে। পায়ে গলিয়েছিলেন একই রঙের হাইহিল। স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রিমিয়ার শো। তাঁর চোখ থেকে টুপটাপ করে নোনা জল গড়িয়ে পড়া দেখার জন্য সবাই যখন অপেক্ষা করছিল, তখন তিনি উজ্জ্বল পোশাক আর টোনড শরীর নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
অ্যানি হাথাওয়ে
২০০৮ সালে ‘গেট স্মার্ট’ চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের দিন অ্যানি হাথাওয়ে সম্পর্কগত জটিলতায় ছিলেন টালমাটাল। কিছুদিন আগেই ইতালিয়ান ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু তাঁর গ্লিটারি ফেদারি কালো ও সোনালি রঙের পোশাক বলছিল তাঁর আত্মবিশ্বাসের কথাই।
জেনিফার লোপেজ
২০১১ সালে লাসভেগাসে ‘আইহার্টরেডিও মিউজিক ফেস্টিভ্যালে’ সংগীত তারকা জেনিফার লোপেজ হাজির হয়েছিলেন সাদা মিনি বডিকনে। মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে তখন। জেলোর সে পোশাকের নকশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন লেবেল ‘কেমিলা অ্যান্ড মার্ক’।
সেলেনা গোমেজ
তখন সেলেনা ও জাস্টিন বিবার প্রথমবারের মতো ব্রেকআপ করেছেন। ২০১২ সালে ‘গ্ল্যামার ওমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সেলেনা উপস্থিত হয়েছিলেন ইতালিয়ান ডিজাইনার গিয়ামবাতিস্তা ভাল্লির নকশা করা সাদা পোশাকে। চেহারায় কোনো ছাপই ছিল না যে ভেতরে-ভেতরে তিনি গুঁড়িয়ে গেছেন অনেকটাই!
টেইলর সুইফট
২০১৬ সাল সুইফটের জন্য খুব সহজ ছিল না। দুই দুইবার ব্রেকআপ তাঁকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তাতে কী! ঘুরে দাঁড়াতে মোটেও সময় নেননি তিনি। সেই দম তাঁর হাঁটুতে বরাবরই ছিল। ন্যাশভিলের ‘সিএমএ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, তাঁর জীবন ও তাঁর ঠোঁটের হাসি তাঁর নির্দেশনাতেই চলবে। লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড জুলিয়েন ম্যাকডোনাল্ডের গাউনে উপস্থিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই তারকা।
সূত্র ও ছবি: ইনস্টাইল

শুরুটা স্মৃতি রোমন্থন দিয়েই হোক। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাস। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। ওদিকে চার্লস-ক্যামিলার প্রেমের খবরও চাউর হয়ে গেছে সবখানে। সবটা জেনেও যেন কেউ জানে না– এমন একটা ব্যাপার। তখন ডায়নার মনের খবর জানতে যাঁরা উৎসুক ছিলেন বা যাঁরা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছিলেন ‘পিপলস প্রিন্সেসের’ ঘর ভাঙার এ ঘটনায়; তাঁদের প্রত্যেককে চমকে দিলেন একদিন ব্রিটিশ এ রাজবধূ।
লন্ডনের সার্পেন্টাইন গ্যালারির সামনে গাড়ি থেকে নামলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। পরনে কাঁধ খোলা ফিটিং সিল্কের ককটেল মিনি ড্রেস। গলায় চোকার। পায়ে হাইহিল। হাস্য়বদনে গাড়ি থেকে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন। রাজ পরিবারের বউয়ের হাঁটু বা কাঁধ উন্মুক্ত থাকবে, এ কথা তখন ভাবাই যেত না। তার ওপর ক্লিভেজ দেখানো পোশাক? মরি মরি! তা ছাড়া শোকের দিনগুলো ছাড়া রাজপরিবারের মেয়েদের কালো পরার নিয়ম নেই। অথচ তাঁর এই পোশাকটির রংও কালো। অগ্নিঝরা চোখ আর ঠোঁটে ঝলসে যাওয়া হাসি যেন পুড়িয়ে দিয়েছিল পুরো রাজপরিবারকে।
পাপারাজ্জিরাও থমকে গিয়েছিলেন ডায়নার সে রূপ দেখে। গ্রিক ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের নকশা করা এ পোশাক অনেক দিন আগে থেকে ডায়নার ড্রেসিংরুমে ছিল। কিন্তু পরা হয়নি কোনো কারণে। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ডরোবে পরে থাকা সেই পোশাকই তিনি বেছে নিলেন নিজের কথা বলার জন্য। ফ্যাশন বোদ্ধারা সে পোশাকের নাম দিয়েছিলেন ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। অর্থাৎ প্রতিশোধের পোশাক। যেখানে ঘর ভাঙার সুর বেজে ওঠার পর ডায়নার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে আনেন কালো রঙের আশ্চর্য সে পোশাকে।
প্রতিশোধের পোশাক তবে কী
বলিউড বা পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, নিপীড়িত নারীরা যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তখন পশ্চিমা ও খানিকটা খোলামেলা পোশাক পরেন। যাতে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং সমাজ খানিকটা ধাতস্থ হয়, তব্দাও খায়।
রিভেঞ্জ ড্রেস বা প্রতিশোধের পোশাক নিয়ে ভুল বোঝার অবকাশ নেই। সিনেমায় যেভাবেই দেখানো হোক না কেন, এ পোশাক টাইট ফিটিং ও আকারে ছোট হতে হবে, তেমন কোনো বিষয় নেই। এই পোশাকের ধারণা মূলত মনস্তাত্ত্বিক। অর্থাৎ যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাসই প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে। মুখ্য হয়ে ওঠে জীবনের বিশেষ মানুষটিকে ছাড়াই ভালো থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। নিজের জীবনকে আরও একবার উদ্যাপনে ভাসিয়ে দেওয়া। তাই এ ধরনের পোশাক প্রেম ও বিয়ে ভাঙনের আগে পরতে দেখা যায় না। মোদ্দা কথা, প্রাক্তনকে এই পোশাকে দেখে সাবেক প্রেমিক বা বর আরও একবার বুঝবেন, ‘কোন লাস্য়ময়ীকে হারালেন’। আর এ কারণেই এই পোশাকের নাম রিভেঞ্জ ড্রেস।
ডায়না ছাড়া আরও যাঁরা পরেছিলেন
প্রিন্সেস ডায়নার দেখানো পথে হেঁটেছেন অনেকেই। প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমার ‘দিল পে পাত্থার রাখ কে মুখ পে মেকআপ কার লিয়া’ গানটির কথা মতো অনেক তারকাই ঝকমকে পোশাক আর মেকআপ নিয়ে জনসম্মুখে হাস্য়বদনে হাজির হয়েছেন। তবে তাঁদের সেসব পোশাকের নকশা ও রং ছিল আলাদা আলাদা। প্রত্য়েকের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী পোশাকের কাটিং ও ধরনও ছিল ভিন্ন।
নিকোল কিডম্যান
২০০১ সাল। সেদিন ছিল নিকোল কিডম্যান অভিনীত ‘দ্য আদার্স’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কালো অফশোল্ডার পোশাকে হাজির হলেন বাদামি চুলের এই লাস্যময়ী। টাইট ফিটিং এই পোশাকের ওপরের অংশে ছিল রূপালিরঙা পাইপিং। হাইহিল আর মেসি বানে টিপটপ সেই লুক দেখে কেউ কি ভেবেছিল ঠিক পরদিন সকালেই টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে? তাঁর দ্যুতি ছড়ানো চোখ দেখে কেউ কি বিশ্বাস করতে পেরেছিল, সেদিন থেকে ঠিক ছয় মাস আগেই এই দম্পতি আলাদা বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন?
জেনিফার অ্যানিস্টোন
২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কে নিজের অভিনীত ‘ডিরেইলড’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে অ্যানিস্টোন হাজির হয়েছিলেন বেইজ ও সাদা রঙের পুঁতি বসানো শ্যানেলের পোশাকে। পায়ে গলিয়েছিলেন একই রঙের হাইহিল। স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রিমিয়ার শো। তাঁর চোখ থেকে টুপটাপ করে নোনা জল গড়িয়ে পড়া দেখার জন্য সবাই যখন অপেক্ষা করছিল, তখন তিনি উজ্জ্বল পোশাক আর টোনড শরীর নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
অ্যানি হাথাওয়ে
২০০৮ সালে ‘গেট স্মার্ট’ চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের দিন অ্যানি হাথাওয়ে সম্পর্কগত জটিলতায় ছিলেন টালমাটাল। কিছুদিন আগেই ইতালিয়ান ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু তাঁর গ্লিটারি ফেদারি কালো ও সোনালি রঙের পোশাক বলছিল তাঁর আত্মবিশ্বাসের কথাই।
জেনিফার লোপেজ
২০১১ সালে লাসভেগাসে ‘আইহার্টরেডিও মিউজিক ফেস্টিভ্যালে’ সংগীত তারকা জেনিফার লোপেজ হাজির হয়েছিলেন সাদা মিনি বডিকনে। মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে তখন। জেলোর সে পোশাকের নকশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন লেবেল ‘কেমিলা অ্যান্ড মার্ক’।
সেলেনা গোমেজ
তখন সেলেনা ও জাস্টিন বিবার প্রথমবারের মতো ব্রেকআপ করেছেন। ২০১২ সালে ‘গ্ল্যামার ওমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সেলেনা উপস্থিত হয়েছিলেন ইতালিয়ান ডিজাইনার গিয়ামবাতিস্তা ভাল্লির নকশা করা সাদা পোশাকে। চেহারায় কোনো ছাপই ছিল না যে ভেতরে-ভেতরে তিনি গুঁড়িয়ে গেছেন অনেকটাই!
টেইলর সুইফট
২০১৬ সাল সুইফটের জন্য খুব সহজ ছিল না। দুই দুইবার ব্রেকআপ তাঁকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তাতে কী! ঘুরে দাঁড়াতে মোটেও সময় নেননি তিনি। সেই দম তাঁর হাঁটুতে বরাবরই ছিল। ন্যাশভিলের ‘সিএমএ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, তাঁর জীবন ও তাঁর ঠোঁটের হাসি তাঁর নির্দেশনাতেই চলবে। লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড জুলিয়েন ম্যাকডোনাল্ডের গাউনে উপস্থিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই তারকা।
সূত্র ও ছবি: ইনস্টাইল

শুরুটা স্মৃতি রোমন্থন দিয়েই হোক। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাস। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। ওদিকে চার্লস-ক্যামিলার প্রেমের খবরও চাউর হয়ে গেছে সবখানে। সবটা জেনেও যেন কেউ জানে না– এমন একটা ব্যাপার। তখন ডায়নার মনের খবর জানতে যাঁরা উৎসুক ছিলেন বা যাঁরা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছিলেন ‘পিপলস প্রিন্সেসের’ ঘর ভাঙার এ ঘটনায়; তাঁদের প্রত্যেককে চমকে দিলেন একদিন ব্রিটিশ এ রাজবধূ।
লন্ডনের সার্পেন্টাইন গ্যালারির সামনে গাড়ি থেকে নামলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। পরনে কাঁধ খোলা ফিটিং সিল্কের ককটেল মিনি ড্রেস। গলায় চোকার। পায়ে হাইহিল। হাস্য়বদনে গাড়ি থেকে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন। রাজ পরিবারের বউয়ের হাঁটু বা কাঁধ উন্মুক্ত থাকবে, এ কথা তখন ভাবাই যেত না। তার ওপর ক্লিভেজ দেখানো পোশাক? মরি মরি! তা ছাড়া শোকের দিনগুলো ছাড়া রাজপরিবারের মেয়েদের কালো পরার নিয়ম নেই। অথচ তাঁর এই পোশাকটির রংও কালো। অগ্নিঝরা চোখ আর ঠোঁটে ঝলসে যাওয়া হাসি যেন পুড়িয়ে দিয়েছিল পুরো রাজপরিবারকে।
পাপারাজ্জিরাও থমকে গিয়েছিলেন ডায়নার সে রূপ দেখে। গ্রিক ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের নকশা করা এ পোশাক অনেক দিন আগে থেকে ডায়নার ড্রেসিংরুমে ছিল। কিন্তু পরা হয়নি কোনো কারণে। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ডরোবে পরে থাকা সেই পোশাকই তিনি বেছে নিলেন নিজের কথা বলার জন্য। ফ্যাশন বোদ্ধারা সে পোশাকের নাম দিয়েছিলেন ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। অর্থাৎ প্রতিশোধের পোশাক। যেখানে ঘর ভাঙার সুর বেজে ওঠার পর ডায়নার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে আনেন কালো রঙের আশ্চর্য সে পোশাকে।
প্রতিশোধের পোশাক তবে কী
বলিউড বা পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, নিপীড়িত নারীরা যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তখন পশ্চিমা ও খানিকটা খোলামেলা পোশাক পরেন। যাতে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং সমাজ খানিকটা ধাতস্থ হয়, তব্দাও খায়।
রিভেঞ্জ ড্রেস বা প্রতিশোধের পোশাক নিয়ে ভুল বোঝার অবকাশ নেই। সিনেমায় যেভাবেই দেখানো হোক না কেন, এ পোশাক টাইট ফিটিং ও আকারে ছোট হতে হবে, তেমন কোনো বিষয় নেই। এই পোশাকের ধারণা মূলত মনস্তাত্ত্বিক। অর্থাৎ যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাসই প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে। মুখ্য হয়ে ওঠে জীবনের বিশেষ মানুষটিকে ছাড়াই ভালো থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। নিজের জীবনকে আরও একবার উদ্যাপনে ভাসিয়ে দেওয়া। তাই এ ধরনের পোশাক প্রেম ও বিয়ে ভাঙনের আগে পরতে দেখা যায় না। মোদ্দা কথা, প্রাক্তনকে এই পোশাকে দেখে সাবেক প্রেমিক বা বর আরও একবার বুঝবেন, ‘কোন লাস্য়ময়ীকে হারালেন’। আর এ কারণেই এই পোশাকের নাম রিভেঞ্জ ড্রেস।
ডায়না ছাড়া আরও যাঁরা পরেছিলেন
প্রিন্সেস ডায়নার দেখানো পথে হেঁটেছেন অনেকেই। প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমার ‘দিল পে পাত্থার রাখ কে মুখ পে মেকআপ কার লিয়া’ গানটির কথা মতো অনেক তারকাই ঝকমকে পোশাক আর মেকআপ নিয়ে জনসম্মুখে হাস্য়বদনে হাজির হয়েছেন। তবে তাঁদের সেসব পোশাকের নকশা ও রং ছিল আলাদা আলাদা। প্রত্য়েকের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী পোশাকের কাটিং ও ধরনও ছিল ভিন্ন।
নিকোল কিডম্যান
২০০১ সাল। সেদিন ছিল নিকোল কিডম্যান অভিনীত ‘দ্য আদার্স’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কালো অফশোল্ডার পোশাকে হাজির হলেন বাদামি চুলের এই লাস্যময়ী। টাইট ফিটিং এই পোশাকের ওপরের অংশে ছিল রূপালিরঙা পাইপিং। হাইহিল আর মেসি বানে টিপটপ সেই লুক দেখে কেউ কি ভেবেছিল ঠিক পরদিন সকালেই টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে? তাঁর দ্যুতি ছড়ানো চোখ দেখে কেউ কি বিশ্বাস করতে পেরেছিল, সেদিন থেকে ঠিক ছয় মাস আগেই এই দম্পতি আলাদা বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন?
জেনিফার অ্যানিস্টোন
২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কে নিজের অভিনীত ‘ডিরেইলড’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে অ্যানিস্টোন হাজির হয়েছিলেন বেইজ ও সাদা রঙের পুঁতি বসানো শ্যানেলের পোশাকে। পায়ে গলিয়েছিলেন একই রঙের হাইহিল। স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সেটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রিমিয়ার শো। তাঁর চোখ থেকে টুপটাপ করে নোনা জল গড়িয়ে পড়া দেখার জন্য সবাই যখন অপেক্ষা করছিল, তখন তিনি উজ্জ্বল পোশাক আর টোনড শরীর নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
অ্যানি হাথাওয়ে
২০০৮ সালে ‘গেট স্মার্ট’ চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের দিন অ্যানি হাথাওয়ে সম্পর্কগত জটিলতায় ছিলেন টালমাটাল। কিছুদিন আগেই ইতালিয়ান ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু তাঁর গ্লিটারি ফেদারি কালো ও সোনালি রঙের পোশাক বলছিল তাঁর আত্মবিশ্বাসের কথাই।
জেনিফার লোপেজ
২০১১ সালে লাসভেগাসে ‘আইহার্টরেডিও মিউজিক ফেস্টিভ্যালে’ সংগীত তারকা জেনিফার লোপেজ হাজির হয়েছিলেন সাদা মিনি বডিকনে। মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে তখন। জেলোর সে পোশাকের নকশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন লেবেল ‘কেমিলা অ্যান্ড মার্ক’।
সেলেনা গোমেজ
তখন সেলেনা ও জাস্টিন বিবার প্রথমবারের মতো ব্রেকআপ করেছেন। ২০১২ সালে ‘গ্ল্যামার ওমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সেলেনা উপস্থিত হয়েছিলেন ইতালিয়ান ডিজাইনার গিয়ামবাতিস্তা ভাল্লির নকশা করা সাদা পোশাকে। চেহারায় কোনো ছাপই ছিল না যে ভেতরে-ভেতরে তিনি গুঁড়িয়ে গেছেন অনেকটাই!
টেইলর সুইফট
২০১৬ সাল সুইফটের জন্য খুব সহজ ছিল না। দুই দুইবার ব্রেকআপ তাঁকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তাতে কী! ঘুরে দাঁড়াতে মোটেও সময় নেননি তিনি। সেই দম তাঁর হাঁটুতে বরাবরই ছিল। ন্যাশভিলের ‘সিএমএ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, তাঁর জীবন ও তাঁর ঠোঁটের হাসি তাঁর নির্দেশনাতেই চলবে। লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড জুলিয়েন ম্যাকডোনাল্ডের গাউনে উপস্থিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই তারকা।
সূত্র ও ছবি: ইনস্টাইল

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

রিভেঞ্জ ড্রেস মূলত মনস্তাত্ত্বিক কনসেপ্ট। যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে।
০৭ মার্চ ২০২৪
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন, তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে—সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষা-সংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর রাশি
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন, মকর। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ করে একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন, তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে—সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষা-সংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর রাশি
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন, মকর। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ করে একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

রিভেঞ্জ ড্রেস মূলত মনস্তাত্ত্বিক কনসেপ্ট। যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে।
০৭ মার্চ ২০২৪
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

রিভেঞ্জ ড্রেস মূলত মনস্তাত্ত্বিক কনসেপ্ট। যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে।
০৭ মার্চ ২০২৪
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

রিভেঞ্জ ড্রেস মূলত মনস্তাত্ত্বিক কনসেপ্ট। যিনি পরছেন তাঁর মানসিক শক্তি, অতীত ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা, মনস্তত্ত্ব ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায় এ পোশাকের মাধ্যমে।
০৭ মার্চ ২০২৪
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
৫ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৬ ঘণ্টা আগে