সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্টি করা মানুষটি আপনার শুধুই বন্ধু না আরও কিছু, তা জানার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
ক্রাশ জিনিসটা কী?
আগে জানুন ক্রাশ বিষয়টা আসলে কী। ক্রাশের সংজ্ঞায় আরবান ডিকশনারি বলছে, আকর্ষণীয় ও অনেক বিশেষ মনে হয় এমন কারো সঙ্গ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হলো ক্রাশ। এর কারণে অদ্ভুত সব আবেগ অনুভূত হয়। যেমন: একই সঙ্গে লজ্জা আর মন অসম্ভব চঞ্চল হয়ে ওঠে।
ক্রাশকে অবশ্য শুধু একটি ধরনে সীমাবদ্ধ করা যায় না। কাউকে সুন্দর মনে হলেই আমরা বলে ফেলি ক্রাশ। এটি অনেক ধরনেরই হতে পারে। এটি হতে পারে কারো প্রতি ক্ষণস্থায়ী মোহ বা হতে পারে আপনি সত্যি সত্যি তাকে পছন্দ করেন।
প্লেটোনিক ক্রাশ
এটা মনে রাখা জরুরি যে, সব তীব্র অনুভূতিই রোমান্টিক হয় না। কিছু অনুভূতি প্লেটোনিক বা নিষ্কামও হয়। কোনো ধরনের রোমান্টিক অনুভূতি ছাড়াই কারো ওপর ভরসা করা এবং খুব কাছাকাছি থাকার অত্যন্ত বিশেষ এক অনুভূতি। সার্বক্ষণিক সঙ্গ লাভের ইচ্ছা জাগলে বুঝতে হবে আপনাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রাশ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আপনার এমন কোনো বন্ধু থাকতেই পারে যার সঙ্গে আপনার সব সময় থাকতে মন চায়, এমনকি তাঁর সঙ্গে আপনার নিষ্কাম সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে।
মুগ্ধতা ক্রাশ
আপনি যখন কোনো ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা তার কোনো দক্ষতার ওপর বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়ে পড়েন— তিনি হতে পারেন কোনো সেলিব্রেটি, শিক্ষক, সহপাঠী— তাঁর প্রতি আপনার তীব্র অনুভূতি জাগতে পারে। এ ধরনের অনুভূতিকে তীব্রতার জন্য অনেকে রোমান্টিক ভেবে ভুল করতে পারেন। চমৎকার কিছু করেছে বা আপনাকে ভালো কোনো কিছু শিখিয়েছে এমন কারো উপস্থিতিতে অভিভূত হয়ে পড়া স্বাভাবিক।
এ ধরনের অনুভূতি জাগলে এ বিষয়ে বেশি চিন্তা করার আগে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। সাধারণত, কারো সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটানোর পর আপনি তাদের কাছ থেকে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারেন এবং এর কারণে নিজেকে তাঁর সমমনোভাবাপন্ন বলেও মনে হতে পারে। প্রাথমিক মুগ্ধতা কেটে যাওয়ার পরই তাঁর উপস্থিতিতে আর ক্রাশের মতো অনুভূতি কাজ করে না।
ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ
মানুষের প্রবৃত্তিই হলো অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা। একটি সুখী সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও আপনি সঙ্গী ছাড়াও অন্য কারো প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে পারেন। এ ধরনের আকর্ষণকে ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ বলা হয়। এমন ক্রাশে নতুন মানুষটির নতুনত্ব উত্তেজনার সঞ্চার করে। তবে এর মানে এ নয় যে, নতুন মানুষটির জন্য আপনি পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে দোটানায় পড়ে যাবেন বা সবকিছু ছেড়ে নতুন মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবেন। কারো প্রতি শারীরিক আকর্ষণ থেকেই ক্ষণস্থায়ী মোহের সৃষ্টি হয়।
রোমান্টিক ক্রাশ
কখনো কখনো কারো প্রতি ক্রাশ মানে হতে পারে আপনি ওই ব্যক্তিকে বাস্তবিক অর্থেই ভীষণ পছন্দ করেন আর বেশ রোমান্টিকভাবেই পছন্দ করেন। কারোও প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ থাকা মানে হলো, আপনি তাঁর সঙ্গে কেবল বন্ধু হয়েই থাকতে চান না, আপনি বরং তাঁর রোমান্টিক সঙ্গী হয়ে থাকতে চান। আপনি যদি তাঁর চুমু খাওয়া, তাঁর হাত ধরা বা জড়িয়ে ধরার কথা কল্পনা করে থাকেন তবে সম্ভবত আপনার তাঁর প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ আছে।
আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ক্রাশ কতটা গুরুতর। এর গুরুত্বের ভিত্তিতেই আপনি বুঝবেন কীভাবে এ বিষয়ে এগোতে হবে— আপনার আবেগ অনুভূতিকে নিজের পর্যন্তই চেপে রাখবেন নাকি ক্রাশের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করবেন।
বিশেষ ওই ব্যক্তির প্রতি আপনার অনুভূতি কতটা তীব্র তা বোঝার কয়েকটি উপায় আছে—
ক্রাশের কাছাকাছি থাকা
যে ব্যক্তির ওপর আপনার ক্রাশ আছে তাঁর আশপাশে থাকার সময় নিজের আচার ব্যবহার লক্ষ্য করুন। নিজের শারীরিক আচরণের দিকে খেয়াল করুন। আপনার ক্রাশ যখন আশেপাশে থাকে তখন আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া কেমন তা লক্ষ্য করুন। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন হয়ে থাকে, আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা অবচেতনভাবেই হয়ে থাকে। সাধারণত ক্রাশের কাছাকাছি থাকলে আপনার মধ্যে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে: হয় আপনি অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়বেন আর ভাষা হারিয়ে ফেলবেন; না হয় আপনি হয়ে উঠবেন অনেক বেশি মুখর।
লাজুক প্রতিক্রিয়া
ক্রাশ আশেপাশে থাকলে কী আপনার কুঁকড়ে যেতে ইচ্ছে হয়? আপনার কি হঠাৎই লজ্জায় গাল লাল লাগে, আর অতি তুচ্ছ জিনিসও হঠাৎ আকর্ষণীয় লাগে, আর তা থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না? আপনার কি হঠাৎই মনে হয় যে, আপনার কাছে বলার মতো মজার বা আকর্ষণীয় কিছু নেই? এসব প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, আপনি ব্যক্তিটিকে পছন্দ করেন।
মুখর প্রতিক্রিয়া
আপনার কি ক্রাশকে জ্বালাতন করতে ইচ্ছে করে? সে আশপাশে থাকলে কি আপনার অনেক বেশি কথা বলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইচ্ছে করে? এগুলো সবই ক্রাশের লক্ষণ। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, আর বিশেষ মানুষকে অপ্রস্তুত বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না! খুব বেশি জ্বালাতন করলে সে আর আপনার সঙ্গে ঘুরতে চাইবে না।
ফ্লার্ট করা
আপনি কি চান আপনার ক্রাশ লক্ষ্য করুক আপনি কী পরেছেন বা কীভাবে চুল আঁচড়েছেন? আপনার কি তার আশেপাশে হাসিঠাট্টা করতে ভালো লাগে? হতে পারে আপনার ইচ্ছে করবে ক্রাশের পাশে যতটা সম্ভব পরিপাটি হয়ে থাকতে যেন সে আপনাকে লক্ষ্য করে। তার উপস্থিতিতে চোখ পিটপিট করা, কাঁধের ওপর থেকে চুল সরানো বা চুল নিয়ে খেলা করা— এসবই ক্রাশের লক্ষণ।
ক্রাশের আশপাশে আপনার কেমন অনুভূতি হয় তা ভেবে দেখুন। কারো প্রতি ক্রাশ থাকার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো— বিশেষ মানুষটি আশপাশে থাকলে মনে হবে আপনার চারপাশে হাজারো প্রজাপতি উড়ছে! ক্রাশকে দেখলেই আপনার বুক ধক করে উঠতে পারে। আর তাকে দেখলেই আপনার উষ্ণ ও চঞ্চল অনুভূতি হতে পারে।
আপনার কি একই সময় নার্ভাস আর উত্তেজিত মনে হয়? আপনার সে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে বা সব সময় তার আশেপাশেই থাকতে ইচ্ছে হতে পারে। কারো প্রতি ক্রাশ থাকলে এগুলো অত্যন্ত সাধারণ প্রতিক্রিয়া।
আপনার কি সবকিছু ছেড়ে তার আশেপাশে থাকতে ইচ্ছে হয়?
আপনার বন্ধু ও আপনার ক্রাশের আশপাশে থাকলে আপনি কেমন আচরণ করেন তা খেয়াল করুন। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে হয় আপনার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চাইবে, না হয় একেবারেই কথা বলতে মন চাইবে না। আপনার যদি কারো ওপর ক্রাশ থাকে আর বন্ধুদের সঙ্গে থাকার সময় যদি ওই মানুষটা এসে পড়ে, তখন আপনি কী করেন?
আপনার যদি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চায় তবে আপনি আলোচনা সেদিকেই ঘোরাতে চাইবেন, যাতে আপনি নিজেকে জাহির করে ক্রাশকে পটাতে পারেন। আপনি তখন ক্রাশের মনযোগ আকর্ষণের জন্য তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন।
যদি আপনি মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেন তবে আপনার মনে হতে পারে আপনার কথা বলার মতো কিছুই নেই। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে অনেকে অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়েন। যদি আপনি সাধারণত কথা বলতে পছন্দ করে থাকেন, কিন্তু বিশেষ মানুষটা আশপাশে থাকলেই আপনি চুপ হয়ে যান, তবে সম্ভবত তাঁর ওপর আপনার ক্রাশ আছে।
ক্রাশ কাছে এলেই কি আপনার মনে হয় যেন আশপাশের বন্ধুরা সব অদৃশ্য হয়ে গেছে? হয়তো আপনার চারপাশ ঘিরে অনেক মানুষই আছে। তাও আপনি শুধু আপনার বিশেষ মানুষকেই দেখবেন। বন্ধুরা মজার কিছু না বললেও আপনি অনেক হাসবেন। বন্ধুরা কিছু জিজ্ঞেস করলেও আপনি তাদের প্রশ্ন সহজে বুঝবেন না, কারণ আপনার মনযোগ ওই একজনের ওপরই থাকবে।
আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে, এ বিষয়ে আপনি অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছেন কি না খেয়াল করুন। কারও ওপর ক্রাশ থাকার প্রধান একটি লক্ষণ হলো সে আশপাশে থাকলে আপনি সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে থাকতে চাইবেন। আপনি কি সকালে তৈরি হতে আগের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছেন? আপনি কি ক্রাশ পছন্দ করতে পারে অনুমান করে তেমন পোশাক কিনেছেন? ক্রাশের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে তা ভেবে কি আপনি চুল বাঁধতে বা সাজগোজ করতে বাড়তি সময় নিচ্ছেন? এমন যদি হয় তবে অবশ্যই আপনার তার ওপর ক্রাশ আছে।
বিশেষ ওই মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকলেও আপনি তাঁর কথাই ভাবতে থাকেন। অন্য যে কারো চেয়ে আপনি তার কথা ভাববেন। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হলেও আপনি কোনো আলোচনায় মনযোগ দিতে পারবেন না। আপনি ভবতে থাকবেন সে কি করছে।
হয়তো আপনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছেন কিন্তু আপনার মনে হতে থাকবে সে বিশেষ মানুষটার সঙ্গে সময় কাটালেই বুঝি বেশি ভালো লাগতো!
আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যান তখন কি ক্রাশকে চুমু খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার কথা ভাবেন?
আপনি বিশেষ ওই মানুষ নিয়েই বেশি কথা বলছেন কি না লক্ষ্য করুন। বন্ধুদের সঙ্গে সব আলোচনাতেই কি আপনি তার বিষয়ে আলাপ তোলেন? আপনার বন্ধুরা যদি বলে আপনি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির কথা অনেক বেশি বলেন, তবে এটি কারো প্রতি ক্রাশ থাকার বড় একটা লক্ষণ।
আপনি যদি এমনটা করে থাকেন তবে আপনি বন্ধুদের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে দেখতে পারেন। তাঁরা আপনাকে আপনার অনুভূতি বুঝে উঠতে এবং ক্রাশের সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করতে পারে।
তবে ক্রাশ নিয়ে কার কাছে কথা বলছেন সে বিষয়ে বেশ সতর্ক হতে হবে। এমন কোনো বন্ধুকে যদি বলে থাকেন যে আবার বিশেষ ওই মানুষটিকে আপনার অনুভূতির কথা জানিয়ে দেবে, তাহলে আপনাকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তাই নিজের অনুভূতির কথা কেবল বিশ্বস্ত বন্ধুদের সঙ্গেই শেয়ার করুন।

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্টি করা মানুষটি আপনার শুধুই বন্ধু না আরও কিছু, তা জানার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
ক্রাশ জিনিসটা কী?
আগে জানুন ক্রাশ বিষয়টা আসলে কী। ক্রাশের সংজ্ঞায় আরবান ডিকশনারি বলছে, আকর্ষণীয় ও অনেক বিশেষ মনে হয় এমন কারো সঙ্গ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হলো ক্রাশ। এর কারণে অদ্ভুত সব আবেগ অনুভূত হয়। যেমন: একই সঙ্গে লজ্জা আর মন অসম্ভব চঞ্চল হয়ে ওঠে।
ক্রাশকে অবশ্য শুধু একটি ধরনে সীমাবদ্ধ করা যায় না। কাউকে সুন্দর মনে হলেই আমরা বলে ফেলি ক্রাশ। এটি অনেক ধরনেরই হতে পারে। এটি হতে পারে কারো প্রতি ক্ষণস্থায়ী মোহ বা হতে পারে আপনি সত্যি সত্যি তাকে পছন্দ করেন।
প্লেটোনিক ক্রাশ
এটা মনে রাখা জরুরি যে, সব তীব্র অনুভূতিই রোমান্টিক হয় না। কিছু অনুভূতি প্লেটোনিক বা নিষ্কামও হয়। কোনো ধরনের রোমান্টিক অনুভূতি ছাড়াই কারো ওপর ভরসা করা এবং খুব কাছাকাছি থাকার অত্যন্ত বিশেষ এক অনুভূতি। সার্বক্ষণিক সঙ্গ লাভের ইচ্ছা জাগলে বুঝতে হবে আপনাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রাশ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আপনার এমন কোনো বন্ধু থাকতেই পারে যার সঙ্গে আপনার সব সময় থাকতে মন চায়, এমনকি তাঁর সঙ্গে আপনার নিষ্কাম সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে।
মুগ্ধতা ক্রাশ
আপনি যখন কোনো ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা তার কোনো দক্ষতার ওপর বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়ে পড়েন— তিনি হতে পারেন কোনো সেলিব্রেটি, শিক্ষক, সহপাঠী— তাঁর প্রতি আপনার তীব্র অনুভূতি জাগতে পারে। এ ধরনের অনুভূতিকে তীব্রতার জন্য অনেকে রোমান্টিক ভেবে ভুল করতে পারেন। চমৎকার কিছু করেছে বা আপনাকে ভালো কোনো কিছু শিখিয়েছে এমন কারো উপস্থিতিতে অভিভূত হয়ে পড়া স্বাভাবিক।
এ ধরনের অনুভূতি জাগলে এ বিষয়ে বেশি চিন্তা করার আগে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। সাধারণত, কারো সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটানোর পর আপনি তাদের কাছ থেকে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারেন এবং এর কারণে নিজেকে তাঁর সমমনোভাবাপন্ন বলেও মনে হতে পারে। প্রাথমিক মুগ্ধতা কেটে যাওয়ার পরই তাঁর উপস্থিতিতে আর ক্রাশের মতো অনুভূতি কাজ করে না।
ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ
মানুষের প্রবৃত্তিই হলো অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা। একটি সুখী সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও আপনি সঙ্গী ছাড়াও অন্য কারো প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে পারেন। এ ধরনের আকর্ষণকে ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ বলা হয়। এমন ক্রাশে নতুন মানুষটির নতুনত্ব উত্তেজনার সঞ্চার করে। তবে এর মানে এ নয় যে, নতুন মানুষটির জন্য আপনি পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে দোটানায় পড়ে যাবেন বা সবকিছু ছেড়ে নতুন মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবেন। কারো প্রতি শারীরিক আকর্ষণ থেকেই ক্ষণস্থায়ী মোহের সৃষ্টি হয়।
রোমান্টিক ক্রাশ
কখনো কখনো কারো প্রতি ক্রাশ মানে হতে পারে আপনি ওই ব্যক্তিকে বাস্তবিক অর্থেই ভীষণ পছন্দ করেন আর বেশ রোমান্টিকভাবেই পছন্দ করেন। কারোও প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ থাকা মানে হলো, আপনি তাঁর সঙ্গে কেবল বন্ধু হয়েই থাকতে চান না, আপনি বরং তাঁর রোমান্টিক সঙ্গী হয়ে থাকতে চান। আপনি যদি তাঁর চুমু খাওয়া, তাঁর হাত ধরা বা জড়িয়ে ধরার কথা কল্পনা করে থাকেন তবে সম্ভবত আপনার তাঁর প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ আছে।
আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ক্রাশ কতটা গুরুতর। এর গুরুত্বের ভিত্তিতেই আপনি বুঝবেন কীভাবে এ বিষয়ে এগোতে হবে— আপনার আবেগ অনুভূতিকে নিজের পর্যন্তই চেপে রাখবেন নাকি ক্রাশের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করবেন।
বিশেষ ওই ব্যক্তির প্রতি আপনার অনুভূতি কতটা তীব্র তা বোঝার কয়েকটি উপায় আছে—
ক্রাশের কাছাকাছি থাকা
যে ব্যক্তির ওপর আপনার ক্রাশ আছে তাঁর আশপাশে থাকার সময় নিজের আচার ব্যবহার লক্ষ্য করুন। নিজের শারীরিক আচরণের দিকে খেয়াল করুন। আপনার ক্রাশ যখন আশেপাশে থাকে তখন আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া কেমন তা লক্ষ্য করুন। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন হয়ে থাকে, আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা অবচেতনভাবেই হয়ে থাকে। সাধারণত ক্রাশের কাছাকাছি থাকলে আপনার মধ্যে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে: হয় আপনি অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়বেন আর ভাষা হারিয়ে ফেলবেন; না হয় আপনি হয়ে উঠবেন অনেক বেশি মুখর।
লাজুক প্রতিক্রিয়া
ক্রাশ আশেপাশে থাকলে কী আপনার কুঁকড়ে যেতে ইচ্ছে হয়? আপনার কি হঠাৎই লজ্জায় গাল লাল লাগে, আর অতি তুচ্ছ জিনিসও হঠাৎ আকর্ষণীয় লাগে, আর তা থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না? আপনার কি হঠাৎই মনে হয় যে, আপনার কাছে বলার মতো মজার বা আকর্ষণীয় কিছু নেই? এসব প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, আপনি ব্যক্তিটিকে পছন্দ করেন।
মুখর প্রতিক্রিয়া
আপনার কি ক্রাশকে জ্বালাতন করতে ইচ্ছে করে? সে আশপাশে থাকলে কি আপনার অনেক বেশি কথা বলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইচ্ছে করে? এগুলো সবই ক্রাশের লক্ষণ। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, আর বিশেষ মানুষকে অপ্রস্তুত বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না! খুব বেশি জ্বালাতন করলে সে আর আপনার সঙ্গে ঘুরতে চাইবে না।
ফ্লার্ট করা
আপনি কি চান আপনার ক্রাশ লক্ষ্য করুক আপনি কী পরেছেন বা কীভাবে চুল আঁচড়েছেন? আপনার কি তার আশেপাশে হাসিঠাট্টা করতে ভালো লাগে? হতে পারে আপনার ইচ্ছে করবে ক্রাশের পাশে যতটা সম্ভব পরিপাটি হয়ে থাকতে যেন সে আপনাকে লক্ষ্য করে। তার উপস্থিতিতে চোখ পিটপিট করা, কাঁধের ওপর থেকে চুল সরানো বা চুল নিয়ে খেলা করা— এসবই ক্রাশের লক্ষণ।
ক্রাশের আশপাশে আপনার কেমন অনুভূতি হয় তা ভেবে দেখুন। কারো প্রতি ক্রাশ থাকার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো— বিশেষ মানুষটি আশপাশে থাকলে মনে হবে আপনার চারপাশে হাজারো প্রজাপতি উড়ছে! ক্রাশকে দেখলেই আপনার বুক ধক করে উঠতে পারে। আর তাকে দেখলেই আপনার উষ্ণ ও চঞ্চল অনুভূতি হতে পারে।
আপনার কি একই সময় নার্ভাস আর উত্তেজিত মনে হয়? আপনার সে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে বা সব সময় তার আশেপাশেই থাকতে ইচ্ছে হতে পারে। কারো প্রতি ক্রাশ থাকলে এগুলো অত্যন্ত সাধারণ প্রতিক্রিয়া।
আপনার কি সবকিছু ছেড়ে তার আশেপাশে থাকতে ইচ্ছে হয়?
আপনার বন্ধু ও আপনার ক্রাশের আশপাশে থাকলে আপনি কেমন আচরণ করেন তা খেয়াল করুন। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে হয় আপনার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চাইবে, না হয় একেবারেই কথা বলতে মন চাইবে না। আপনার যদি কারো ওপর ক্রাশ থাকে আর বন্ধুদের সঙ্গে থাকার সময় যদি ওই মানুষটা এসে পড়ে, তখন আপনি কী করেন?
আপনার যদি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চায় তবে আপনি আলোচনা সেদিকেই ঘোরাতে চাইবেন, যাতে আপনি নিজেকে জাহির করে ক্রাশকে পটাতে পারেন। আপনি তখন ক্রাশের মনযোগ আকর্ষণের জন্য তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন।
যদি আপনি মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেন তবে আপনার মনে হতে পারে আপনার কথা বলার মতো কিছুই নেই। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে অনেকে অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়েন। যদি আপনি সাধারণত কথা বলতে পছন্দ করে থাকেন, কিন্তু বিশেষ মানুষটা আশপাশে থাকলেই আপনি চুপ হয়ে যান, তবে সম্ভবত তাঁর ওপর আপনার ক্রাশ আছে।
ক্রাশ কাছে এলেই কি আপনার মনে হয় যেন আশপাশের বন্ধুরা সব অদৃশ্য হয়ে গেছে? হয়তো আপনার চারপাশ ঘিরে অনেক মানুষই আছে। তাও আপনি শুধু আপনার বিশেষ মানুষকেই দেখবেন। বন্ধুরা মজার কিছু না বললেও আপনি অনেক হাসবেন। বন্ধুরা কিছু জিজ্ঞেস করলেও আপনি তাদের প্রশ্ন সহজে বুঝবেন না, কারণ আপনার মনযোগ ওই একজনের ওপরই থাকবে।
আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে, এ বিষয়ে আপনি অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছেন কি না খেয়াল করুন। কারও ওপর ক্রাশ থাকার প্রধান একটি লক্ষণ হলো সে আশপাশে থাকলে আপনি সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে থাকতে চাইবেন। আপনি কি সকালে তৈরি হতে আগের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছেন? আপনি কি ক্রাশ পছন্দ করতে পারে অনুমান করে তেমন পোশাক কিনেছেন? ক্রাশের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে তা ভেবে কি আপনি চুল বাঁধতে বা সাজগোজ করতে বাড়তি সময় নিচ্ছেন? এমন যদি হয় তবে অবশ্যই আপনার তার ওপর ক্রাশ আছে।
বিশেষ ওই মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকলেও আপনি তাঁর কথাই ভাবতে থাকেন। অন্য যে কারো চেয়ে আপনি তার কথা ভাববেন। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হলেও আপনি কোনো আলোচনায় মনযোগ দিতে পারবেন না। আপনি ভবতে থাকবেন সে কি করছে।
হয়তো আপনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছেন কিন্তু আপনার মনে হতে থাকবে সে বিশেষ মানুষটার সঙ্গে সময় কাটালেই বুঝি বেশি ভালো লাগতো!
আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যান তখন কি ক্রাশকে চুমু খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার কথা ভাবেন?
আপনি বিশেষ ওই মানুষ নিয়েই বেশি কথা বলছেন কি না লক্ষ্য করুন। বন্ধুদের সঙ্গে সব আলোচনাতেই কি আপনি তার বিষয়ে আলাপ তোলেন? আপনার বন্ধুরা যদি বলে আপনি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির কথা অনেক বেশি বলেন, তবে এটি কারো প্রতি ক্রাশ থাকার বড় একটা লক্ষণ।
আপনি যদি এমনটা করে থাকেন তবে আপনি বন্ধুদের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে দেখতে পারেন। তাঁরা আপনাকে আপনার অনুভূতি বুঝে উঠতে এবং ক্রাশের সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করতে পারে।
তবে ক্রাশ নিয়ে কার কাছে কথা বলছেন সে বিষয়ে বেশ সতর্ক হতে হবে। এমন কোনো বন্ধুকে যদি বলে থাকেন যে আবার বিশেষ ওই মানুষটিকে আপনার অনুভূতির কথা জানিয়ে দেবে, তাহলে আপনাকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তাই নিজের অনুভূতির কথা কেবল বিশ্বস্ত বন্ধুদের সঙ্গেই শেয়ার করুন।
সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্টি করা মানুষটি আপনার শুধুই বন্ধু না আরও কিছু, তা জানার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
ক্রাশ জিনিসটা কী?
আগে জানুন ক্রাশ বিষয়টা আসলে কী। ক্রাশের সংজ্ঞায় আরবান ডিকশনারি বলছে, আকর্ষণীয় ও অনেক বিশেষ মনে হয় এমন কারো সঙ্গ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হলো ক্রাশ। এর কারণে অদ্ভুত সব আবেগ অনুভূত হয়। যেমন: একই সঙ্গে লজ্জা আর মন অসম্ভব চঞ্চল হয়ে ওঠে।
ক্রাশকে অবশ্য শুধু একটি ধরনে সীমাবদ্ধ করা যায় না। কাউকে সুন্দর মনে হলেই আমরা বলে ফেলি ক্রাশ। এটি অনেক ধরনেরই হতে পারে। এটি হতে পারে কারো প্রতি ক্ষণস্থায়ী মোহ বা হতে পারে আপনি সত্যি সত্যি তাকে পছন্দ করেন।
প্লেটোনিক ক্রাশ
এটা মনে রাখা জরুরি যে, সব তীব্র অনুভূতিই রোমান্টিক হয় না। কিছু অনুভূতি প্লেটোনিক বা নিষ্কামও হয়। কোনো ধরনের রোমান্টিক অনুভূতি ছাড়াই কারো ওপর ভরসা করা এবং খুব কাছাকাছি থাকার অত্যন্ত বিশেষ এক অনুভূতি। সার্বক্ষণিক সঙ্গ লাভের ইচ্ছা জাগলে বুঝতে হবে আপনাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রাশ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আপনার এমন কোনো বন্ধু থাকতেই পারে যার সঙ্গে আপনার সব সময় থাকতে মন চায়, এমনকি তাঁর সঙ্গে আপনার নিষ্কাম সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে।
মুগ্ধতা ক্রাশ
আপনি যখন কোনো ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা তার কোনো দক্ষতার ওপর বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়ে পড়েন— তিনি হতে পারেন কোনো সেলিব্রেটি, শিক্ষক, সহপাঠী— তাঁর প্রতি আপনার তীব্র অনুভূতি জাগতে পারে। এ ধরনের অনুভূতিকে তীব্রতার জন্য অনেকে রোমান্টিক ভেবে ভুল করতে পারেন। চমৎকার কিছু করেছে বা আপনাকে ভালো কোনো কিছু শিখিয়েছে এমন কারো উপস্থিতিতে অভিভূত হয়ে পড়া স্বাভাবিক।
এ ধরনের অনুভূতি জাগলে এ বিষয়ে বেশি চিন্তা করার আগে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। সাধারণত, কারো সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটানোর পর আপনি তাদের কাছ থেকে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারেন এবং এর কারণে নিজেকে তাঁর সমমনোভাবাপন্ন বলেও মনে হতে পারে। প্রাথমিক মুগ্ধতা কেটে যাওয়ার পরই তাঁর উপস্থিতিতে আর ক্রাশের মতো অনুভূতি কাজ করে না।
ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ
মানুষের প্রবৃত্তিই হলো অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা। একটি সুখী সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও আপনি সঙ্গী ছাড়াও অন্য কারো প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে পারেন। এ ধরনের আকর্ষণকে ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ বলা হয়। এমন ক্রাশে নতুন মানুষটির নতুনত্ব উত্তেজনার সঞ্চার করে। তবে এর মানে এ নয় যে, নতুন মানুষটির জন্য আপনি পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে দোটানায় পড়ে যাবেন বা সবকিছু ছেড়ে নতুন মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবেন। কারো প্রতি শারীরিক আকর্ষণ থেকেই ক্ষণস্থায়ী মোহের সৃষ্টি হয়।
রোমান্টিক ক্রাশ
কখনো কখনো কারো প্রতি ক্রাশ মানে হতে পারে আপনি ওই ব্যক্তিকে বাস্তবিক অর্থেই ভীষণ পছন্দ করেন আর বেশ রোমান্টিকভাবেই পছন্দ করেন। কারোও প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ থাকা মানে হলো, আপনি তাঁর সঙ্গে কেবল বন্ধু হয়েই থাকতে চান না, আপনি বরং তাঁর রোমান্টিক সঙ্গী হয়ে থাকতে চান। আপনি যদি তাঁর চুমু খাওয়া, তাঁর হাত ধরা বা জড়িয়ে ধরার কথা কল্পনা করে থাকেন তবে সম্ভবত আপনার তাঁর প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ আছে।
আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ক্রাশ কতটা গুরুতর। এর গুরুত্বের ভিত্তিতেই আপনি বুঝবেন কীভাবে এ বিষয়ে এগোতে হবে— আপনার আবেগ অনুভূতিকে নিজের পর্যন্তই চেপে রাখবেন নাকি ক্রাশের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করবেন।
বিশেষ ওই ব্যক্তির প্রতি আপনার অনুভূতি কতটা তীব্র তা বোঝার কয়েকটি উপায় আছে—
ক্রাশের কাছাকাছি থাকা
যে ব্যক্তির ওপর আপনার ক্রাশ আছে তাঁর আশপাশে থাকার সময় নিজের আচার ব্যবহার লক্ষ্য করুন। নিজের শারীরিক আচরণের দিকে খেয়াল করুন। আপনার ক্রাশ যখন আশেপাশে থাকে তখন আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া কেমন তা লক্ষ্য করুন। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন হয়ে থাকে, আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা অবচেতনভাবেই হয়ে থাকে। সাধারণত ক্রাশের কাছাকাছি থাকলে আপনার মধ্যে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে: হয় আপনি অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়বেন আর ভাষা হারিয়ে ফেলবেন; না হয় আপনি হয়ে উঠবেন অনেক বেশি মুখর।
লাজুক প্রতিক্রিয়া
ক্রাশ আশেপাশে থাকলে কী আপনার কুঁকড়ে যেতে ইচ্ছে হয়? আপনার কি হঠাৎই লজ্জায় গাল লাল লাগে, আর অতি তুচ্ছ জিনিসও হঠাৎ আকর্ষণীয় লাগে, আর তা থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না? আপনার কি হঠাৎই মনে হয় যে, আপনার কাছে বলার মতো মজার বা আকর্ষণীয় কিছু নেই? এসব প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, আপনি ব্যক্তিটিকে পছন্দ করেন।
মুখর প্রতিক্রিয়া
আপনার কি ক্রাশকে জ্বালাতন করতে ইচ্ছে করে? সে আশপাশে থাকলে কি আপনার অনেক বেশি কথা বলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইচ্ছে করে? এগুলো সবই ক্রাশের লক্ষণ। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, আর বিশেষ মানুষকে অপ্রস্তুত বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না! খুব বেশি জ্বালাতন করলে সে আর আপনার সঙ্গে ঘুরতে চাইবে না।
ফ্লার্ট করা
আপনি কি চান আপনার ক্রাশ লক্ষ্য করুক আপনি কী পরেছেন বা কীভাবে চুল আঁচড়েছেন? আপনার কি তার আশেপাশে হাসিঠাট্টা করতে ভালো লাগে? হতে পারে আপনার ইচ্ছে করবে ক্রাশের পাশে যতটা সম্ভব পরিপাটি হয়ে থাকতে যেন সে আপনাকে লক্ষ্য করে। তার উপস্থিতিতে চোখ পিটপিট করা, কাঁধের ওপর থেকে চুল সরানো বা চুল নিয়ে খেলা করা— এসবই ক্রাশের লক্ষণ।
ক্রাশের আশপাশে আপনার কেমন অনুভূতি হয় তা ভেবে দেখুন। কারো প্রতি ক্রাশ থাকার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো— বিশেষ মানুষটি আশপাশে থাকলে মনে হবে আপনার চারপাশে হাজারো প্রজাপতি উড়ছে! ক্রাশকে দেখলেই আপনার বুক ধক করে উঠতে পারে। আর তাকে দেখলেই আপনার উষ্ণ ও চঞ্চল অনুভূতি হতে পারে।
আপনার কি একই সময় নার্ভাস আর উত্তেজিত মনে হয়? আপনার সে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে বা সব সময় তার আশেপাশেই থাকতে ইচ্ছে হতে পারে। কারো প্রতি ক্রাশ থাকলে এগুলো অত্যন্ত সাধারণ প্রতিক্রিয়া।
আপনার কি সবকিছু ছেড়ে তার আশেপাশে থাকতে ইচ্ছে হয়?
আপনার বন্ধু ও আপনার ক্রাশের আশপাশে থাকলে আপনি কেমন আচরণ করেন তা খেয়াল করুন। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে হয় আপনার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চাইবে, না হয় একেবারেই কথা বলতে মন চাইবে না। আপনার যদি কারো ওপর ক্রাশ থাকে আর বন্ধুদের সঙ্গে থাকার সময় যদি ওই মানুষটা এসে পড়ে, তখন আপনি কী করেন?
আপনার যদি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চায় তবে আপনি আলোচনা সেদিকেই ঘোরাতে চাইবেন, যাতে আপনি নিজেকে জাহির করে ক্রাশকে পটাতে পারেন। আপনি তখন ক্রাশের মনযোগ আকর্ষণের জন্য তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন।
যদি আপনি মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেন তবে আপনার মনে হতে পারে আপনার কথা বলার মতো কিছুই নেই। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে অনেকে অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়েন। যদি আপনি সাধারণত কথা বলতে পছন্দ করে থাকেন, কিন্তু বিশেষ মানুষটা আশপাশে থাকলেই আপনি চুপ হয়ে যান, তবে সম্ভবত তাঁর ওপর আপনার ক্রাশ আছে।
ক্রাশ কাছে এলেই কি আপনার মনে হয় যেন আশপাশের বন্ধুরা সব অদৃশ্য হয়ে গেছে? হয়তো আপনার চারপাশ ঘিরে অনেক মানুষই আছে। তাও আপনি শুধু আপনার বিশেষ মানুষকেই দেখবেন। বন্ধুরা মজার কিছু না বললেও আপনি অনেক হাসবেন। বন্ধুরা কিছু জিজ্ঞেস করলেও আপনি তাদের প্রশ্ন সহজে বুঝবেন না, কারণ আপনার মনযোগ ওই একজনের ওপরই থাকবে।
আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে, এ বিষয়ে আপনি অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছেন কি না খেয়াল করুন। কারও ওপর ক্রাশ থাকার প্রধান একটি লক্ষণ হলো সে আশপাশে থাকলে আপনি সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে থাকতে চাইবেন। আপনি কি সকালে তৈরি হতে আগের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছেন? আপনি কি ক্রাশ পছন্দ করতে পারে অনুমান করে তেমন পোশাক কিনেছেন? ক্রাশের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে তা ভেবে কি আপনি চুল বাঁধতে বা সাজগোজ করতে বাড়তি সময় নিচ্ছেন? এমন যদি হয় তবে অবশ্যই আপনার তার ওপর ক্রাশ আছে।
বিশেষ ওই মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকলেও আপনি তাঁর কথাই ভাবতে থাকেন। অন্য যে কারো চেয়ে আপনি তার কথা ভাববেন। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হলেও আপনি কোনো আলোচনায় মনযোগ দিতে পারবেন না। আপনি ভবতে থাকবেন সে কি করছে।
হয়তো আপনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছেন কিন্তু আপনার মনে হতে থাকবে সে বিশেষ মানুষটার সঙ্গে সময় কাটালেই বুঝি বেশি ভালো লাগতো!
আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যান তখন কি ক্রাশকে চুমু খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার কথা ভাবেন?
আপনি বিশেষ ওই মানুষ নিয়েই বেশি কথা বলছেন কি না লক্ষ্য করুন। বন্ধুদের সঙ্গে সব আলোচনাতেই কি আপনি তার বিষয়ে আলাপ তোলেন? আপনার বন্ধুরা যদি বলে আপনি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির কথা অনেক বেশি বলেন, তবে এটি কারো প্রতি ক্রাশ থাকার বড় একটা লক্ষণ।
আপনি যদি এমনটা করে থাকেন তবে আপনি বন্ধুদের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে দেখতে পারেন। তাঁরা আপনাকে আপনার অনুভূতি বুঝে উঠতে এবং ক্রাশের সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করতে পারে।
তবে ক্রাশ নিয়ে কার কাছে কথা বলছেন সে বিষয়ে বেশ সতর্ক হতে হবে। এমন কোনো বন্ধুকে যদি বলে থাকেন যে আবার বিশেষ ওই মানুষটিকে আপনার অনুভূতির কথা জানিয়ে দেবে, তাহলে আপনাকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তাই নিজের অনুভূতির কথা কেবল বিশ্বস্ত বন্ধুদের সঙ্গেই শেয়ার করুন।

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্টি করা মানুষটি আপনার শুধুই বন্ধু না আরও কিছু, তা জানার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
ক্রাশ জিনিসটা কী?
আগে জানুন ক্রাশ বিষয়টা আসলে কী। ক্রাশের সংজ্ঞায় আরবান ডিকশনারি বলছে, আকর্ষণীয় ও অনেক বিশেষ মনে হয় এমন কারো সঙ্গ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হলো ক্রাশ। এর কারণে অদ্ভুত সব আবেগ অনুভূত হয়। যেমন: একই সঙ্গে লজ্জা আর মন অসম্ভব চঞ্চল হয়ে ওঠে।
ক্রাশকে অবশ্য শুধু একটি ধরনে সীমাবদ্ধ করা যায় না। কাউকে সুন্দর মনে হলেই আমরা বলে ফেলি ক্রাশ। এটি অনেক ধরনেরই হতে পারে। এটি হতে পারে কারো প্রতি ক্ষণস্থায়ী মোহ বা হতে পারে আপনি সত্যি সত্যি তাকে পছন্দ করেন।
প্লেটোনিক ক্রাশ
এটা মনে রাখা জরুরি যে, সব তীব্র অনুভূতিই রোমান্টিক হয় না। কিছু অনুভূতি প্লেটোনিক বা নিষ্কামও হয়। কোনো ধরনের রোমান্টিক অনুভূতি ছাড়াই কারো ওপর ভরসা করা এবং খুব কাছাকাছি থাকার অত্যন্ত বিশেষ এক অনুভূতি। সার্বক্ষণিক সঙ্গ লাভের ইচ্ছা জাগলে বুঝতে হবে আপনাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রাশ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আপনার এমন কোনো বন্ধু থাকতেই পারে যার সঙ্গে আপনার সব সময় থাকতে মন চায়, এমনকি তাঁর সঙ্গে আপনার নিষ্কাম সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে।
মুগ্ধতা ক্রাশ
আপনি যখন কোনো ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা তার কোনো দক্ষতার ওপর বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়ে পড়েন— তিনি হতে পারেন কোনো সেলিব্রেটি, শিক্ষক, সহপাঠী— তাঁর প্রতি আপনার তীব্র অনুভূতি জাগতে পারে। এ ধরনের অনুভূতিকে তীব্রতার জন্য অনেকে রোমান্টিক ভেবে ভুল করতে পারেন। চমৎকার কিছু করেছে বা আপনাকে ভালো কোনো কিছু শিখিয়েছে এমন কারো উপস্থিতিতে অভিভূত হয়ে পড়া স্বাভাবিক।
এ ধরনের অনুভূতি জাগলে এ বিষয়ে বেশি চিন্তা করার আগে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। সাধারণত, কারো সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটানোর পর আপনি তাদের কাছ থেকে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারেন এবং এর কারণে নিজেকে তাঁর সমমনোভাবাপন্ন বলেও মনে হতে পারে। প্রাথমিক মুগ্ধতা কেটে যাওয়ার পরই তাঁর উপস্থিতিতে আর ক্রাশের মতো অনুভূতি কাজ করে না।
ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ
মানুষের প্রবৃত্তিই হলো অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা। একটি সুখী সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও আপনি সঙ্গী ছাড়াও অন্য কারো প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে পারেন। এ ধরনের আকর্ষণকে ক্ষণস্থায়ী ক্রাশ বলা হয়। এমন ক্রাশে নতুন মানুষটির নতুনত্ব উত্তেজনার সঞ্চার করে। তবে এর মানে এ নয় যে, নতুন মানুষটির জন্য আপনি পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে দোটানায় পড়ে যাবেন বা সবকিছু ছেড়ে নতুন মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবেন। কারো প্রতি শারীরিক আকর্ষণ থেকেই ক্ষণস্থায়ী মোহের সৃষ্টি হয়।
রোমান্টিক ক্রাশ
কখনো কখনো কারো প্রতি ক্রাশ মানে হতে পারে আপনি ওই ব্যক্তিকে বাস্তবিক অর্থেই ভীষণ পছন্দ করেন আর বেশ রোমান্টিকভাবেই পছন্দ করেন। কারোও প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ থাকা মানে হলো, আপনি তাঁর সঙ্গে কেবল বন্ধু হয়েই থাকতে চান না, আপনি বরং তাঁর রোমান্টিক সঙ্গী হয়ে থাকতে চান। আপনি যদি তাঁর চুমু খাওয়া, তাঁর হাত ধরা বা জড়িয়ে ধরার কথা কল্পনা করে থাকেন তবে সম্ভবত আপনার তাঁর প্রতি রোমান্টিক ক্রাশ আছে।
আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ক্রাশ কতটা গুরুতর। এর গুরুত্বের ভিত্তিতেই আপনি বুঝবেন কীভাবে এ বিষয়ে এগোতে হবে— আপনার আবেগ অনুভূতিকে নিজের পর্যন্তই চেপে রাখবেন নাকি ক্রাশের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করবেন।
বিশেষ ওই ব্যক্তির প্রতি আপনার অনুভূতি কতটা তীব্র তা বোঝার কয়েকটি উপায় আছে—
ক্রাশের কাছাকাছি থাকা
যে ব্যক্তির ওপর আপনার ক্রাশ আছে তাঁর আশপাশে থাকার সময় নিজের আচার ব্যবহার লক্ষ্য করুন। নিজের শারীরিক আচরণের দিকে খেয়াল করুন। আপনার ক্রাশ যখন আশেপাশে থাকে তখন আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া কেমন তা লক্ষ্য করুন। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন হয়ে থাকে, আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা অবচেতনভাবেই হয়ে থাকে। সাধারণত ক্রাশের কাছাকাছি থাকলে আপনার মধ্যে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে: হয় আপনি অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়বেন আর ভাষা হারিয়ে ফেলবেন; না হয় আপনি হয়ে উঠবেন অনেক বেশি মুখর।
লাজুক প্রতিক্রিয়া
ক্রাশ আশেপাশে থাকলে কী আপনার কুঁকড়ে যেতে ইচ্ছে হয়? আপনার কি হঠাৎই লজ্জায় গাল লাল লাগে, আর অতি তুচ্ছ জিনিসও হঠাৎ আকর্ষণীয় লাগে, আর তা থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না? আপনার কি হঠাৎই মনে হয় যে, আপনার কাছে বলার মতো মজার বা আকর্ষণীয় কিছু নেই? এসব প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, আপনি ব্যক্তিটিকে পছন্দ করেন।
মুখর প্রতিক্রিয়া
আপনার কি ক্রাশকে জ্বালাতন করতে ইচ্ছে করে? সে আশপাশে থাকলে কি আপনার অনেক বেশি কথা বলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইচ্ছে করে? এগুলো সবই ক্রাশের লক্ষণ। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, আর বিশেষ মানুষকে অপ্রস্তুত বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না! খুব বেশি জ্বালাতন করলে সে আর আপনার সঙ্গে ঘুরতে চাইবে না।
ফ্লার্ট করা
আপনি কি চান আপনার ক্রাশ লক্ষ্য করুক আপনি কী পরেছেন বা কীভাবে চুল আঁচড়েছেন? আপনার কি তার আশেপাশে হাসিঠাট্টা করতে ভালো লাগে? হতে পারে আপনার ইচ্ছে করবে ক্রাশের পাশে যতটা সম্ভব পরিপাটি হয়ে থাকতে যেন সে আপনাকে লক্ষ্য করে। তার উপস্থিতিতে চোখ পিটপিট করা, কাঁধের ওপর থেকে চুল সরানো বা চুল নিয়ে খেলা করা— এসবই ক্রাশের লক্ষণ।
ক্রাশের আশপাশে আপনার কেমন অনুভূতি হয় তা ভেবে দেখুন। কারো প্রতি ক্রাশ থাকার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো— বিশেষ মানুষটি আশপাশে থাকলে মনে হবে আপনার চারপাশে হাজারো প্রজাপতি উড়ছে! ক্রাশকে দেখলেই আপনার বুক ধক করে উঠতে পারে। আর তাকে দেখলেই আপনার উষ্ণ ও চঞ্চল অনুভূতি হতে পারে।
আপনার কি একই সময় নার্ভাস আর উত্তেজিত মনে হয়? আপনার সে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে বা সব সময় তার আশেপাশেই থাকতে ইচ্ছে হতে পারে। কারো প্রতি ক্রাশ থাকলে এগুলো অত্যন্ত সাধারণ প্রতিক্রিয়া।
আপনার কি সবকিছু ছেড়ে তার আশেপাশে থাকতে ইচ্ছে হয়?
আপনার বন্ধু ও আপনার ক্রাশের আশপাশে থাকলে আপনি কেমন আচরণ করেন তা খেয়াল করুন। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে হয় আপনার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চাইবে, না হয় একেবারেই কথা বলতে মন চাইবে না। আপনার যদি কারো ওপর ক্রাশ থাকে আর বন্ধুদের সঙ্গে থাকার সময় যদি ওই মানুষটা এসে পড়ে, তখন আপনি কী করেন?
আপনার যদি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে মন চায় তবে আপনি আলোচনা সেদিকেই ঘোরাতে চাইবেন, যাতে আপনি নিজেকে জাহির করে ক্রাশকে পটাতে পারেন। আপনি তখন ক্রাশের মনযোগ আকর্ষণের জন্য তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন।
যদি আপনি মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেন তবে আপনার মনে হতে পারে আপনার কথা বলার মতো কিছুই নেই। কারো ওপর ক্রাশ থাকলে অনেকে অত্যন্ত লাজুক হয়ে পড়েন। যদি আপনি সাধারণত কথা বলতে পছন্দ করে থাকেন, কিন্তু বিশেষ মানুষটা আশপাশে থাকলেই আপনি চুপ হয়ে যান, তবে সম্ভবত তাঁর ওপর আপনার ক্রাশ আছে।
ক্রাশ কাছে এলেই কি আপনার মনে হয় যেন আশপাশের বন্ধুরা সব অদৃশ্য হয়ে গেছে? হয়তো আপনার চারপাশ ঘিরে অনেক মানুষই আছে। তাও আপনি শুধু আপনার বিশেষ মানুষকেই দেখবেন। বন্ধুরা মজার কিছু না বললেও আপনি অনেক হাসবেন। বন্ধুরা কিছু জিজ্ঞেস করলেও আপনি তাদের প্রশ্ন সহজে বুঝবেন না, কারণ আপনার মনযোগ ওই একজনের ওপরই থাকবে।
আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে, এ বিষয়ে আপনি অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছেন কি না খেয়াল করুন। কারও ওপর ক্রাশ থাকার প্রধান একটি লক্ষণ হলো সে আশপাশে থাকলে আপনি সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে থাকতে চাইবেন। আপনি কি সকালে তৈরি হতে আগের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছেন? আপনি কি ক্রাশ পছন্দ করতে পারে অনুমান করে তেমন পোশাক কিনেছেন? ক্রাশের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে তা ভেবে কি আপনি চুল বাঁধতে বা সাজগোজ করতে বাড়তি সময় নিচ্ছেন? এমন যদি হয় তবে অবশ্যই আপনার তার ওপর ক্রাশ আছে।
বিশেষ ওই মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকলেও আপনি তাঁর কথাই ভাবতে থাকেন। অন্য যে কারো চেয়ে আপনি তার কথা ভাববেন। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হলেও আপনি কোনো আলোচনায় মনযোগ দিতে পারবেন না। আপনি ভবতে থাকবেন সে কি করছে।
হয়তো আপনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছেন কিন্তু আপনার মনে হতে থাকবে সে বিশেষ মানুষটার সঙ্গে সময় কাটালেই বুঝি বেশি ভালো লাগতো!
আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যান তখন কি ক্রাশকে চুমু খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার কথা ভাবেন?
আপনি বিশেষ ওই মানুষ নিয়েই বেশি কথা বলছেন কি না লক্ষ্য করুন। বন্ধুদের সঙ্গে সব আলোচনাতেই কি আপনি তার বিষয়ে আলাপ তোলেন? আপনার বন্ধুরা যদি বলে আপনি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির কথা অনেক বেশি বলেন, তবে এটি কারো প্রতি ক্রাশ থাকার বড় একটা লক্ষণ।
আপনি যদি এমনটা করে থাকেন তবে আপনি বন্ধুদের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে দেখতে পারেন। তাঁরা আপনাকে আপনার অনুভূতি বুঝে উঠতে এবং ক্রাশের সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করতে পারে।
তবে ক্রাশ নিয়ে কার কাছে কথা বলছেন সে বিষয়ে বেশ সতর্ক হতে হবে। এমন কোনো বন্ধুকে যদি বলে থাকেন যে আবার বিশেষ ওই মানুষটিকে আপনার অনুভূতির কথা জানিয়ে দেবে, তাহলে আপনাকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তাই নিজের অনুভূতির কথা কেবল বিশ্বস্ত বন্ধুদের সঙ্গেই শেয়ার করুন।

খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
৬ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১৬ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।
ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

সকালের স্থানীয় খাবার
ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।
ঠান্ডা পানীয়
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

হক্কিয়েন নুডলস
ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।
মিষ্টি ও ডেজার্ট
ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ
ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান
খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।
থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।
ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

সকালের স্থানীয় খাবার
ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।
ঠান্ডা পানীয়
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

হক্কিয়েন নুডলস
ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।
মিষ্টি ও ডেজার্ট
ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ
ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান
খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।
থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১৬ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
৬ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১৬ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন। তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে, আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার শঙ্কা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে, সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ, পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন। তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে, আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার শঙ্কা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে, সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ, পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
৬ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

দেখলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হেসে গলিয়ে পড়া, সারা শরীরে বিদ্যুতের ঝলকানি—এর মানে কি আপনি তার ওপর ক্রাশ খেয়েছেন নাকি তাকে শুধুই বন্ধু হিসেবে দেখছেন? নিজের অনুভূতি নিয়ে যদি এমন দ্বিধায় থাকেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে উইকিহাউ। আপনার মনে আলোড়ন সৃষ্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
৬ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১৬ ঘণ্টা আগে