এই যে কোঁকড়া চুলের মেয়ে, আপনাকেই বলছি। ঢেউখেলানো এই চুলের জন্য সব সময় কি আপনি স্পটলাইটে থাকেন? সবার চোখই যেন এসে প্রশ্নবিদ্ধ হয় ওই কৃষ্ণকালো ঢেউয়ের বাঁকে, ‘এত শুষ্ক কেন? কোনোভাবেই কি বশ মানে না এরা?’ নিয়মিত যত্ন নিয়েও যদি এতগুলো প্রশ্ন চলে দিনমান, তবে কেমন লাগে বলুন তো!
তবে এ কথায় দ্বিমত নেই, রেশমি চুলের তুলনায় কোঁকড়া চুল যত্নে রাখা একটু নয়, অনেকটাই কষ্টসাধ্য। ওই আঁকাবাঁকা ঢেউয়ের কারণে চুলের গোড়া থেকে আগা অবধি পুষ্টি পৌঁছাতে বেশ সময় লাগে। আর তাই এ ধরনের চুল একটু রুক্ষ ও শুষ্ক হয়। স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চললে এমন চুল নিয়েও বড়াই করার অন্ত থাকবে না।
শ্যাম্পু বাছাইয়ে ভুল নয়
চুলের মসৃণতা অনেকটাই নির্ভর করে কেমন শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তার ওপর। আপনার ব্যবহৃত শ্যাম্পু মাথার ত্বকের ময়লা, খুশকি, অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে পারছে কি না, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জানা প্রয়োজন তা আদৌ আপনার চুলের জন্য উপযোগী কি না। কোঁকড়া চুলের জন্য সালফেট, সিলিকন, অ্যালকোহল ও প্যারাবেনমুক্ত কোমল শ্যাম্পু ভালো বলে মনে করেন রূপ বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু নয়
কোঁকড়া চুল সহজে শুষ্ক হয়ে ওঠে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা হারায়। আর্দ্রতা ঠিক রাখতে ময়শ্চারাইজারসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কন্ডিশনার চুলের বাইরের আবরণকে সুরক্ষিত রাখে। ফলে চুল কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রাক্-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট
সরাসরি শ্যাম্পু না করে আগে যদি নারকেল তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রাখা যায়, তাহলে চুলের নমনীয়তা বজায় থাকে। চাইলে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে তেমন কোনো প্যাকও ব্যবহার করা যায়।
কম তাপে স্টাইলিং করুন
স্টাইলিং টুল ব্যবহারের ফলে চুল এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। স্টাইলিং টুল ব্যবহার না করাই ভালো। যদি ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কম তাপে চুল স্টাইলিং করুন।
মোটা দাঁতের চিরুনি বাছাই করুন
কোঁকড়া চুলে জট লাগে বেশি। চিকন দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মোটা দাঁতের চিরুনি বেছে নিতে হবে। এতে করে চুলের জট ছাড়ানো সহজ হবে, পাশাপাশি চুলও ঝরবে না।
চুল ধোয়ায় ঠান্ডা পানি ব্যবহার
অনেকে মনে করেন, কুসুম গরম পানি ডিপ ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। কিন্তু আদতে এই পানি মাথার তালুতে উৎপন্ন প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে দেয়, যা চুলের শুষ্কতার কারণ। এতে চুল ফ্রিজি ও ভঙ্গুরপ্রবণ হয়ে ওঠে। তাই চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা নিরাপদ।
নিয়ম করে ট্রিম করুন
ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর চুলের আগা ট্রিম করুন। এতে চুল স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল থাকবে।
ঘুমেরও নিয়ম আছে
চুল বিশেষজ্ঞদের মতে, কোঁকড়া চুলের অধিকারীদের পাইন অ্যাপল ট্রিকস মেনে চলা উচিত; মানে সব চুল মাথার ওপরে তুলে হালকা করে খোঁপা বা পনিটেইল করে তারপর ঘুমাতে যাওয়া উচিত। এতে বালিশের ঘষায় চুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
বালিশের কভার কেমন হবে
চুল ভালো রাখতে বালিশের কভার হওয়া চাই চুলবান্ধব। সুতির নয়, চুলের জন্য বালিশের কভার হওয়া উচিত সিল্কের। নিয়মিত বিরতিতে সে কভার বদলানো চাই।
চুলের সুস্থতায় প্রকৃতিতে ভরসা রাখুন
সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে হেয়ার প্যাক লাগানো দরকার। চুলের মসৃণতার জন্য অলিভ অয়েল, ডিম, ভিনেগার ও মেয়নেজের মিশ্রণ লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখুন। এরপর কোমল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া আপেল সিডার ভিনেগার, দুধ, মেথিবাটা ও জবা ফুল একসঙ্গে মিশিয়ে কোঁকড়া চুলে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
যা করা যাবে না
এই যে কোঁকড়া চুলের মেয়ে, আপনাকেই বলছি। ঢেউখেলানো এই চুলের জন্য সব সময় কি আপনি স্পটলাইটে থাকেন? সবার চোখই যেন এসে প্রশ্নবিদ্ধ হয় ওই কৃষ্ণকালো ঢেউয়ের বাঁকে, ‘এত শুষ্ক কেন? কোনোভাবেই কি বশ মানে না এরা?’ নিয়মিত যত্ন নিয়েও যদি এতগুলো প্রশ্ন চলে দিনমান, তবে কেমন লাগে বলুন তো!
তবে এ কথায় দ্বিমত নেই, রেশমি চুলের তুলনায় কোঁকড়া চুল যত্নে রাখা একটু নয়, অনেকটাই কষ্টসাধ্য। ওই আঁকাবাঁকা ঢেউয়ের কারণে চুলের গোড়া থেকে আগা অবধি পুষ্টি পৌঁছাতে বেশ সময় লাগে। আর তাই এ ধরনের চুল একটু রুক্ষ ও শুষ্ক হয়। স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চললে এমন চুল নিয়েও বড়াই করার অন্ত থাকবে না।
শ্যাম্পু বাছাইয়ে ভুল নয়
চুলের মসৃণতা অনেকটাই নির্ভর করে কেমন শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তার ওপর। আপনার ব্যবহৃত শ্যাম্পু মাথার ত্বকের ময়লা, খুশকি, অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে পারছে কি না, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জানা প্রয়োজন তা আদৌ আপনার চুলের জন্য উপযোগী কি না। কোঁকড়া চুলের জন্য সালফেট, সিলিকন, অ্যালকোহল ও প্যারাবেনমুক্ত কোমল শ্যাম্পু ভালো বলে মনে করেন রূপ বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু নয়
কোঁকড়া চুল সহজে শুষ্ক হয়ে ওঠে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা হারায়। আর্দ্রতা ঠিক রাখতে ময়শ্চারাইজারসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কন্ডিশনার চুলের বাইরের আবরণকে সুরক্ষিত রাখে। ফলে চুল কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রাক্-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট
সরাসরি শ্যাম্পু না করে আগে যদি নারকেল তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রাখা যায়, তাহলে চুলের নমনীয়তা বজায় থাকে। চাইলে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে তেমন কোনো প্যাকও ব্যবহার করা যায়।
কম তাপে স্টাইলিং করুন
স্টাইলিং টুল ব্যবহারের ফলে চুল এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। স্টাইলিং টুল ব্যবহার না করাই ভালো। যদি ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কম তাপে চুল স্টাইলিং করুন।
মোটা দাঁতের চিরুনি বাছাই করুন
কোঁকড়া চুলে জট লাগে বেশি। চিকন দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মোটা দাঁতের চিরুনি বেছে নিতে হবে। এতে করে চুলের জট ছাড়ানো সহজ হবে, পাশাপাশি চুলও ঝরবে না।
চুল ধোয়ায় ঠান্ডা পানি ব্যবহার
অনেকে মনে করেন, কুসুম গরম পানি ডিপ ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। কিন্তু আদতে এই পানি মাথার তালুতে উৎপন্ন প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে দেয়, যা চুলের শুষ্কতার কারণ। এতে চুল ফ্রিজি ও ভঙ্গুরপ্রবণ হয়ে ওঠে। তাই চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা নিরাপদ।
নিয়ম করে ট্রিম করুন
ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর চুলের আগা ট্রিম করুন। এতে চুল স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল থাকবে।
ঘুমেরও নিয়ম আছে
চুল বিশেষজ্ঞদের মতে, কোঁকড়া চুলের অধিকারীদের পাইন অ্যাপল ট্রিকস মেনে চলা উচিত; মানে সব চুল মাথার ওপরে তুলে হালকা করে খোঁপা বা পনিটেইল করে তারপর ঘুমাতে যাওয়া উচিত। এতে বালিশের ঘষায় চুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
বালিশের কভার কেমন হবে
চুল ভালো রাখতে বালিশের কভার হওয়া চাই চুলবান্ধব। সুতির নয়, চুলের জন্য বালিশের কভার হওয়া উচিত সিল্কের। নিয়মিত বিরতিতে সে কভার বদলানো চাই।
চুলের সুস্থতায় প্রকৃতিতে ভরসা রাখুন
সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে হেয়ার প্যাক লাগানো দরকার। চুলের মসৃণতার জন্য অলিভ অয়েল, ডিম, ভিনেগার ও মেয়নেজের মিশ্রণ লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখুন। এরপর কোমল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া আপেল সিডার ভিনেগার, দুধ, মেথিবাটা ও জবা ফুল একসঙ্গে মিশিয়ে কোঁকড়া চুলে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
যা করা যাবে না
সকাল সকাল স্মার্টফোনে অ্যালার্ম বাজতেই তড়িঘড়ি করে গোসল করতে দৌড়। এরপর আলমারি খুলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই পরে ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই চম্পট। পাঁচ মিনিট দেরি হলেই বাস পাওয়া যাবে না। মেট্রো তো না-ই। যে মেয়েটার রোজ ক্লাস বা অফিস ধরতে এমনভাবে সকালটা যায়, বিশেষ দিনগুলোয় তার হালটা বোঝেন...
১ দিন আগেগরম মানেই প্রচণ্ড তাপ আর ঘাম। কিন্তু রোদে বের হলে ত্বক কেমন যেন শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। আঙুলের ডগা, গোড়ালি এমনকি ঠোঁটও ফাটে এখনকার গ্রীষ্মকালে। ভাবা যায়? এর কারণ হলো, গরম পড়লেও বাতাসে আর্দ্রতা কম, ফলে ত্বকে টান টান অনুভব হয়, অতিরিক্ত শুষ্কতাও দেখা দেয়। গরমে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বাড়তি যত্ন নেওয়া চাই।
১ দিন আগেএখন কাঁচা আমের সময়। নববর্ষের প্রথম দিন বানাতে পারেন কাঁচা আমের কয়েক রকমের পদ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেআমার গলা, ঘাড়ে ও পিঠে কিছু কালো ছোপ রয়েছে। দাগমুক্ত ত্বকের জন্য কী করতে পারি? নুসরাত জাহান, জয়পুরহাট
১ দিন আগে