সানজিদা সামরিন, ঢাকা
নারীর ‘কুড়িতে বুড়ি’ হওয়ার যুগ এখন আর নেই। ফলে তার জীবনের অর্থই গেছে বদলে। এই বদলে যাওয়া জীবনে পরিবর্তন এসেছে যাপনের প্রক্রিয়ায়; সেই সঙ্গে সৌন্দর্যের সংজ্ঞায়ও। ফরসা পেলব ত্বক, টিকোলো নাক, পটোলচেরা চোখ আর দীঘল কালো চুলের পুরুষতান্ত্রিক সৌন্দর্যবোধেও এসেছে বদল। পোশাক কেমন হবে, রং কী ইত্যাদিতে নারীদের কথাই এখন শেষ কথা। তাই বলা যায়, তথাকথিত ‘লক্ষ্মী’ মেয়েরা এখন নিজের মতো করে পছন্দ সাজিয়ে নিচ্ছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নারীর কর্মময় জীবন। জীবিকার দুনিয়ায় পুরুষ এখন আর একা হাঁটছে না, নারীও আছে সঙ্গে। এসব বিভিন্ন বাস্তবসম্মত কারণে নারীকে এখন আর আঠারো-উনিশ বা বিশ শতকের চশমায় দেখলে চলে না। দেখতে হয় নতুনভাবে, নতুন ছন্দে। ‘ছন্দ’ মানে চলনে, বলনে, পোশাকে, ভূষণে নারীর নিজের ‘আমি’কে খুঁজে পাওয়া। বাকিগুলোর কথা এখানে না-ই বলি। নারীর একান্ত প্রিয় শাড়ির কথা বলি।
শাড়ি পরার ধরন এবং কে কেমন শাড়ি পরবে, তা এখন আর কোনো একটি বিষয়ের ওপর শুধু নির্ভর করে না। তাতে থাকে পেশা, ইচ্ছা ও ব্যক্তিত্বের সমন্বয়। ছকভাঙা নারীরা যেখানে বিয়ে থেকে বেনারসি হটিয়ে জামদানি এমনকি সুতি শাড়িতেও আভিজাত্য় খুঁজে নিচ্ছে, ব্লাউজের পরিবর্তে পরছে ক্রপ টপ বা শার্ট; সেখানে পূজার সাজে আধুনিক নারীরা শাড়িতে অনবদ্য় কিছু করবে না, তা কি হয় নাকি?
১.
বলছিলাম নারীর বদলের কথা। ‘শ্যামবর্ণ মেয়েদের হালকা রঙের শাড়িতেই মানায়’—এসব কথার দিনও ফুরিয়েছে। উবে গেছে এমন শ্যামল মেয়েদের হীনম্মন্যতা। যে রং ভালো লাগে, তাই তো পরব, নাকি! শ্যামলা মেয়ের পরনে উজ্জ্বল লাল-কমলা গ্রেডিয়েন্ট শাড়ি যেন সন্ধ্যার ধুনুচি নাচ, আলোছায়ার খেলায় মাতিয়ে তোলে পুরো মণ্ডপ। আর তখন তার আত্মবিশ্বাসের কাছে বাকি সবকিছুই একদম ফিকে।
২.
এবার আসা যাক দুধে-আলতা গায়ের বরন নারীর কথায়। গায়ের ফরসা রং নিয়ে এখন আর তারা দম্ভ করে না। বুদ্ধিমত্তার এ পৃথিবীতে ব্যক্তিত্বই যে আসল সৌন্দর্য, সেটা তাঁরা ভালোই বোঝেন। গায়ের রং ফরসা হলে সব রঙের শাড়িতেই মানায়—এ ধারণায়ও নারীরা আর বিশ্বাস করে না। নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে শাড়ি পরতেই বেশি ভালোবাসে তারা। আর সেই নারী যদি হয় মিনিমালিস্ট ঘরানার; তাহলে কলমকারি প্যাটার্নের কালো ও সোনালি পাড়ের সাদা আর্টসিল্ক শাড়ি, হালকা গয়না আর খোলা চুলেই সেই ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
৩.
জিরো ফিগারের হাইপ যে একেবারেই নেই, তা কিন্তু নয়। তবে মানুষ এখন নিজের গায়ের রঙের মতোই নিজের কোমরের মাপকেও গ্রহণ করতে শিখেছে। এককথায় যেমন আছি, সেভাবেই সুন্দর থাকা চাই। আর প্লাস সাইজ নারীরা যেমন যা ভালো লাগে, তা-ই খায়; তেমনি যা ভালোবাসে, তা-ই পরে। তাতে লোকে কী বলছে, তাতে কিছুই যায় আসে না! বুদ্ধিমত্তায়, স্মার্টনেসে মেদহীন নারী যদি ফিটিং ম্যাচিং ব্লাউজ খুঁজে না পেয়ে লাল ক্রপটপের সঙ্গে সবুজের ওপর সোনালি স্ক্রিনপ্রিন্টের সুতি শাড়ি গায়ে জড়িয়ে নেয় আর খোঁপায় গুঁজে নেয় সাদা ফুল; তাহলে প্রচলিত বিউটি স্ট্যান্ডার্ডকে ‘ধুর ছাই’ আপনিও বলবেন। কী, বলবেন না?
৪.
বাড়ির বউ হয়ে যাওয়ার পর আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরা হয়নি? অথচ বয়স ঠেকেছে ত্রিশের কোঠায়। এখন শখ পূরণ শুরু না করলে আর কবে করবেন? এবার পূজাতেই আলমারি থেকে শখ করে বানানো স্লিভলেস ব্লাউজ বের করে নিন। বয়স তো কেবল সংখ্যামাত্র। প্রতিষ্ঠিত, স্বাধীনচেতা, মননে প্রগতিশীল নারীর কাছে বয়স কোনো বাধা নাকি? সপ্তমীতে গোলাপি, ম্যাজেন্টা বা বেগুনি রঙের মিলমিশ আর্টিফিশিয়াল মসলিন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং স্লিভলেস ব্লাউজ আর জুয়েলারির মেলবন্ধনে আপনিই হয়ে উঠতে পারেন মণ্ডপের অন্যতম আকর্ষণ।
৫.
পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে আড্ডাটা আপনিই জমান! ঘরের কাজকর্ম মোটেও পারেন না। আবার গার্লস ট্রাভেল গ্রুপের সঙ্গে সারা বছর দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতেও ভয় নেই আপনার। লোকের মন জুগিয়ে চলা ধাতে নেই একেবারে। টপস আর জিনসেই সারা বছর কাটিয়ে দেন। তাতে কি! তথাকথিত নিয়মে নিজেকে গড়তে হবেই বা কেন? তাই বলে শাড়ি পরতে ভালোবাসেন না, তা তো নয়। সামলানোর সুবিধার জন্য হ্যান্ডলুম শাড়িই আপনার প্রিয়। তবে এই পূজায় কমলারঙা রঙা শাড়ি পরেই নৌকায় ঘুরে আসুন না! ব্লাউজ ঘরে যা আছে তাই। মেরুনরঙা স্লিভলেস ব্লাউজও বেশ মানিয়ে যাবে এমন শাড়ির সঙ্গে।
নারীর ‘কুড়িতে বুড়ি’ হওয়ার যুগ এখন আর নেই। ফলে তার জীবনের অর্থই গেছে বদলে। এই বদলে যাওয়া জীবনে পরিবর্তন এসেছে যাপনের প্রক্রিয়ায়; সেই সঙ্গে সৌন্দর্যের সংজ্ঞায়ও। ফরসা পেলব ত্বক, টিকোলো নাক, পটোলচেরা চোখ আর দীঘল কালো চুলের পুরুষতান্ত্রিক সৌন্দর্যবোধেও এসেছে বদল। পোশাক কেমন হবে, রং কী ইত্যাদিতে নারীদের কথাই এখন শেষ কথা। তাই বলা যায়, তথাকথিত ‘লক্ষ্মী’ মেয়েরা এখন নিজের মতো করে পছন্দ সাজিয়ে নিচ্ছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নারীর কর্মময় জীবন। জীবিকার দুনিয়ায় পুরুষ এখন আর একা হাঁটছে না, নারীও আছে সঙ্গে। এসব বিভিন্ন বাস্তবসম্মত কারণে নারীকে এখন আর আঠারো-উনিশ বা বিশ শতকের চশমায় দেখলে চলে না। দেখতে হয় নতুনভাবে, নতুন ছন্দে। ‘ছন্দ’ মানে চলনে, বলনে, পোশাকে, ভূষণে নারীর নিজের ‘আমি’কে খুঁজে পাওয়া। বাকিগুলোর কথা এখানে না-ই বলি। নারীর একান্ত প্রিয় শাড়ির কথা বলি।
শাড়ি পরার ধরন এবং কে কেমন শাড়ি পরবে, তা এখন আর কোনো একটি বিষয়ের ওপর শুধু নির্ভর করে না। তাতে থাকে পেশা, ইচ্ছা ও ব্যক্তিত্বের সমন্বয়। ছকভাঙা নারীরা যেখানে বিয়ে থেকে বেনারসি হটিয়ে জামদানি এমনকি সুতি শাড়িতেও আভিজাত্য় খুঁজে নিচ্ছে, ব্লাউজের পরিবর্তে পরছে ক্রপ টপ বা শার্ট; সেখানে পূজার সাজে আধুনিক নারীরা শাড়িতে অনবদ্য় কিছু করবে না, তা কি হয় নাকি?
১.
বলছিলাম নারীর বদলের কথা। ‘শ্যামবর্ণ মেয়েদের হালকা রঙের শাড়িতেই মানায়’—এসব কথার দিনও ফুরিয়েছে। উবে গেছে এমন শ্যামল মেয়েদের হীনম্মন্যতা। যে রং ভালো লাগে, তাই তো পরব, নাকি! শ্যামলা মেয়ের পরনে উজ্জ্বল লাল-কমলা গ্রেডিয়েন্ট শাড়ি যেন সন্ধ্যার ধুনুচি নাচ, আলোছায়ার খেলায় মাতিয়ে তোলে পুরো মণ্ডপ। আর তখন তার আত্মবিশ্বাসের কাছে বাকি সবকিছুই একদম ফিকে।
২.
এবার আসা যাক দুধে-আলতা গায়ের বরন নারীর কথায়। গায়ের ফরসা রং নিয়ে এখন আর তারা দম্ভ করে না। বুদ্ধিমত্তার এ পৃথিবীতে ব্যক্তিত্বই যে আসল সৌন্দর্য, সেটা তাঁরা ভালোই বোঝেন। গায়ের রং ফরসা হলে সব রঙের শাড়িতেই মানায়—এ ধারণায়ও নারীরা আর বিশ্বাস করে না। নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে শাড়ি পরতেই বেশি ভালোবাসে তারা। আর সেই নারী যদি হয় মিনিমালিস্ট ঘরানার; তাহলে কলমকারি প্যাটার্নের কালো ও সোনালি পাড়ের সাদা আর্টসিল্ক শাড়ি, হালকা গয়না আর খোলা চুলেই সেই ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
৩.
জিরো ফিগারের হাইপ যে একেবারেই নেই, তা কিন্তু নয়। তবে মানুষ এখন নিজের গায়ের রঙের মতোই নিজের কোমরের মাপকেও গ্রহণ করতে শিখেছে। এককথায় যেমন আছি, সেভাবেই সুন্দর থাকা চাই। আর প্লাস সাইজ নারীরা যেমন যা ভালো লাগে, তা-ই খায়; তেমনি যা ভালোবাসে, তা-ই পরে। তাতে লোকে কী বলছে, তাতে কিছুই যায় আসে না! বুদ্ধিমত্তায়, স্মার্টনেসে মেদহীন নারী যদি ফিটিং ম্যাচিং ব্লাউজ খুঁজে না পেয়ে লাল ক্রপটপের সঙ্গে সবুজের ওপর সোনালি স্ক্রিনপ্রিন্টের সুতি শাড়ি গায়ে জড়িয়ে নেয় আর খোঁপায় গুঁজে নেয় সাদা ফুল; তাহলে প্রচলিত বিউটি স্ট্যান্ডার্ডকে ‘ধুর ছাই’ আপনিও বলবেন। কী, বলবেন না?
৪.
বাড়ির বউ হয়ে যাওয়ার পর আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরা হয়নি? অথচ বয়স ঠেকেছে ত্রিশের কোঠায়। এখন শখ পূরণ শুরু না করলে আর কবে করবেন? এবার পূজাতেই আলমারি থেকে শখ করে বানানো স্লিভলেস ব্লাউজ বের করে নিন। বয়স তো কেবল সংখ্যামাত্র। প্রতিষ্ঠিত, স্বাধীনচেতা, মননে প্রগতিশীল নারীর কাছে বয়স কোনো বাধা নাকি? সপ্তমীতে গোলাপি, ম্যাজেন্টা বা বেগুনি রঙের মিলমিশ আর্টিফিশিয়াল মসলিন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং স্লিভলেস ব্লাউজ আর জুয়েলারির মেলবন্ধনে আপনিই হয়ে উঠতে পারেন মণ্ডপের অন্যতম আকর্ষণ।
৫.
পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে আড্ডাটা আপনিই জমান! ঘরের কাজকর্ম মোটেও পারেন না। আবার গার্লস ট্রাভেল গ্রুপের সঙ্গে সারা বছর দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতেও ভয় নেই আপনার। লোকের মন জুগিয়ে চলা ধাতে নেই একেবারে। টপস আর জিনসেই সারা বছর কাটিয়ে দেন। তাতে কি! তথাকথিত নিয়মে নিজেকে গড়তে হবেই বা কেন? তাই বলে শাড়ি পরতে ভালোবাসেন না, তা তো নয়। সামলানোর সুবিধার জন্য হ্যান্ডলুম শাড়িই আপনার প্রিয়। তবে এই পূজায় কমলারঙা রঙা শাড়ি পরেই নৌকায় ঘুরে আসুন না! ব্লাউজ ঘরে যা আছে তাই। মেরুনরঙা স্লিভলেস ব্লাউজও বেশ মানিয়ে যাবে এমন শাড়ির সঙ্গে।
বিকেল বেলা ছাদে ফুরফুরে হাওয়া খেতে যাচ্ছেন? খালি হাতে যাবেন নাকি? সঙ্গে জিবে জল আনা টক-ঝাল-মিষ্টি কিছু নেবেন না? এখন পেয়ারার মৌসুম। এক বাটি মসলামাখা পেয়ারা সঙ্গে নিয়ে ছাদে বসে খান। গল্পও জমবে, সময়টাও ভালো কাটবে। আপনাদের জন্য টক-ঝাল-মিষ্টি পেয়ারা মাখার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক
৬ ঘণ্টা আগেজিমে গিয়ে নতুন ওয়ার্কআউট সেশন নিচ্ছেন, কিন্তু দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। এমন হলে হতাশ তো হতেই হয়। বাড়তি ওজন ঝরানো ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিত ওয়ার্কআউট পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফিটনেসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যায়ামই একমাত্র উপায় নয়; ব্যায়ামের সঙ্গে জীবনযাপনের আরও
৮ ঘণ্টা আগেতারকাদের এয়ারপোর্ট স্টাইল যতই প্রশংসা করি না কেন, যখন বিমান ভ্রমণের জন্য পোশাক বাছতে হয়, তখন কী পরা উচিত, তা ঠিক করা সব সময় সহজ নয়। যেমন ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল যেকোনো সৈকত ছুটির জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কিন্তু বিমান ভ্রমণের জন্য ফ্লিপ ফ্লপ ধরণেনের জুতা বা স্যান্ডেল পরা উচিত নয়।
৯ ঘণ্টা আগেকি প্রেমে, কি আন্দোলনে, জেন-জি প্রজন্মের উপস্থিতি সবখানে। ফলে ‘জেন-জি’ শব্দটি শুনলেই এখন এক দ্রোহী প্রজন্মের তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি চোখে ভাসে। কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রজন্মের তরুণদের কর্মকাণ্ড এমন ছবিই তৈরি করেছে আমাদের মনে।
১০ ঘণ্টা আগে