সানজিদা সামরিন, ঢাকা
গরমের দিনে ভালো হাওয়া পেতে বারান্দার দরজাটা খোলা রাখতেই বেশি পছন্দ করেন বেশির ভাগ মানুষ। সন্ধ্যার পর বাতি নিভিয়ে খোলা বারান্দায় পাটি বিছিয়ে বা টুল নিয়ে বসতে খারাপ লাগে না। একটু বড় জায়গা থাকলে বারান্দা বাগান তো বটেই, স্থায়ী বসার জায়গাও তৈরি করেন নেন অনেকে। আবার বাড়িতে অতিথি এলে হয়তো বারান্দাতেই জমে ওঠে দীর্ঘ আড্ডা। বারান্দাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার মৌসুম কিন্তু চলে এসেছে। কীভাবে সাজিয়ে তুলবেন বর্গাকার বা আয়তাকার বারান্দা তা–ই দেখে নিন এক নজরে।
সহজে যত্ন নেওয়া যায় এমন গাছ লাগান
বারান্দায় যত দামি দামি জিনিসই এনে রাখুন না কেন, সবুজের ছোঁয়া না থাকলে সেখানে শান্তি খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ফুল গাছই রাখতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কম খরচে ছোটখাটো গাছপালা, কম যত্ন বেড়ে ওঠে এমন গাছ দিয়ে সাজালে সুন্দরের পাশাপাশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আপনার বারান্দা। স্নেকপ্ল্যান্ট, মানিপ্লান্ট, অ্যালকেশিয়া, স্পাইডার প্ল্যান্ট, বিশেষ বিশেষ সাকুলেন্ট, নয়নতারা, রঙ্গন, বাগানবিলাস ইত্যাদি গাছ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের মাটির পাত্র, মালসা, টব বা বোতল কেটে বানানো সৃজনশীল পাত্রেও গাছ রাখতে পারেন। এসব পাত্র বা টবে লাগানো গাছপালা মেঝেতে রাখতে পারেন। কিন্তু সরু বারান্দা বা বারান্দায় যদি একেবারেই জায়গার সংকট থাকে, তাহলে দেয়ালে ও বারান্দার গ্রিলে ঝুলন্ত প্ল্যান্টার ব্যবহার করলে বেশি ভালো দেখাবে।
বসার জায়গা রাখুন
বারান্দায় অবসর কাটাতে চাইলে স্থায়ী বসার জায়গা তৈরি করা দরকার। তবে খুব দামি আসবাবপত্র বসানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এমন চেয়ার–টেবিল বসাবার ব্যবস্থা রাখুন যা বৃষ্টির সময়েও নষ্ট হবে না। জায়গা বাঁচাতে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল এনে রাখতে পারেন। বৃষ্টির সময়ে প্রয়োজনে সেগুলি ঘরের ভেতরে নিয়ে যাওয়া যাবে। যদি বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য বারান্দায় কাচের জানালা থাকে, তা হলে নিচু ডিভান রাখতে পারেন। বাড়িতে শিশু থাকলে আর বারান্দায় যথেষ্ট জায়গা থাকলে ছোট গোলাকৃতির দোলনা টাঙিয়ে দিন এক পাশে। নিচে বিছিয়ে দিতে পারেন শতরঞ্জি। বৃষ্টির ছাঁট আসবে না, নিশ্চিত থাকলে বারান্দার ভেতর দিকের কোনো দেয়ালে ছোট বুকশেলফ সেঁটে দিতে পারেন, যাতে ডিভান, চেয়ার বা মেঝেতে বসে বই নিয়েই অনেকটা সময় কাটানো যায়।
পাখি আসুক নির্ভয়ে
বারান্দায় পাখিদের আনাগোনা দেখতে চাইলে তাদের জন্য খাবার ও পানি রাখতে হবে। প্রচণ্ড গরমে পিপাসার্ত পাখিরা যাতে গলা ভেজাতে পারে তাই বারান্দার দেয়ালে বা রেলিংয়ের পাশে উঁচু টুলের ওপর মাটির পাত্রে পরিষ্কার পানি রেখে দিন। পাশাপাশি পাখিদের চোখে পড়ে এমন কয়েক জায়গায় শুকনো খাবার রেখে দিতে হবে। ভুট্টা, গম, শুকনো ফল কিংবা চাল রেখে দিতে পারেন ছোট ছোট বাটিতে। খাবারের সন্ধানে হলেও রোজ পাখিরা এসে হাজির হবে আপনার বারান্দায়।
পাখিদের খাবার ও বিশ্রামের জন্য আরও একটি কাজ করতে পারেন। প্লাস্টিকের বোতলের পেটের অংশ গোল করে কেটে বা নারকেলের খোসা বাটির মতো করে কেটে বারান্দায় ঝুলিয়ে দিন। এগুলোর ভেতর শুকনো খাবার ভরে রেখ দিন। ক্ষুধার্ত পাখিরা এসে খাবার সংগ্রহ করতে পারবে, নিতে পারবে বিশ্রামও। চড়ুই পাখিদের দেখা যায় বাসাবাড়ির সিলিংয়ে ঘর বাঁধতে। পাখিদের জন্য বাঁশের ঝুড়ি বা কাঠের বাক্স দিয়ে আপনিও ঘর বানিয়ে দিতে পারেন। বারান্দার যেসব কোণে গরম কম এবং বৃষ্টির ছাঁট আসে না, সেখানে নারকেলের খোসার আঁশ, খড়কুটো অথবা কাঠের গুঁড়ো দিয়ে বাসা বানিয়ে দিতে পারেন। তবে পাখি যেন মুক্তভাবে নিজের মতো যাওয়া আসা করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা জরুরি।
নরম আলোর ব্যবস্থা করুন
মৃদু আলো মানসিক চাপ কমায়। সন্ধ্যার পর অফিস থেকে ফিরে এক কাপ চা বা কফি নিয়ে বারান্দায় মৃদু আলো জ্বেলে বসুন। বারান্দাকে আলোকোজ্জ্বল দেখাতে আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। ওয়ার্ম ফেইরি লাইট দেয়াল বা সিলিংয়ের নিচে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। তাতে জায়গা বাঁচবে, দেখতেও সুন্দর লাগবে।
শখের প্রদর্শনী তৈরি করুন
বারান্দা হয়ে উঠতে পারে নিজের শখের প্রদর্শনী। নিজের হাতে আঁকা ছবি, ওয়ালম্যাট, পটারি ইত্যাদি রাখতে পারেন বারান্দায়। এতে দিন শেষে আপনার বারান্দাই হয়ে উঠবে শক্তি আর আনন্দের উৎস।
সূত্র: ডিজাইন ক্যাফে
গরমের দিনে ভালো হাওয়া পেতে বারান্দার দরজাটা খোলা রাখতেই বেশি পছন্দ করেন বেশির ভাগ মানুষ। সন্ধ্যার পর বাতি নিভিয়ে খোলা বারান্দায় পাটি বিছিয়ে বা টুল নিয়ে বসতে খারাপ লাগে না। একটু বড় জায়গা থাকলে বারান্দা বাগান তো বটেই, স্থায়ী বসার জায়গাও তৈরি করেন নেন অনেকে। আবার বাড়িতে অতিথি এলে হয়তো বারান্দাতেই জমে ওঠে দীর্ঘ আড্ডা। বারান্দাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার মৌসুম কিন্তু চলে এসেছে। কীভাবে সাজিয়ে তুলবেন বর্গাকার বা আয়তাকার বারান্দা তা–ই দেখে নিন এক নজরে।
সহজে যত্ন নেওয়া যায় এমন গাছ লাগান
বারান্দায় যত দামি দামি জিনিসই এনে রাখুন না কেন, সবুজের ছোঁয়া না থাকলে সেখানে শান্তি খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ফুল গাছই রাখতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কম খরচে ছোটখাটো গাছপালা, কম যত্ন বেড়ে ওঠে এমন গাছ দিয়ে সাজালে সুন্দরের পাশাপাশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আপনার বারান্দা। স্নেকপ্ল্যান্ট, মানিপ্লান্ট, অ্যালকেশিয়া, স্পাইডার প্ল্যান্ট, বিশেষ বিশেষ সাকুলেন্ট, নয়নতারা, রঙ্গন, বাগানবিলাস ইত্যাদি গাছ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের মাটির পাত্র, মালসা, টব বা বোতল কেটে বানানো সৃজনশীল পাত্রেও গাছ রাখতে পারেন। এসব পাত্র বা টবে লাগানো গাছপালা মেঝেতে রাখতে পারেন। কিন্তু সরু বারান্দা বা বারান্দায় যদি একেবারেই জায়গার সংকট থাকে, তাহলে দেয়ালে ও বারান্দার গ্রিলে ঝুলন্ত প্ল্যান্টার ব্যবহার করলে বেশি ভালো দেখাবে।
বসার জায়গা রাখুন
বারান্দায় অবসর কাটাতে চাইলে স্থায়ী বসার জায়গা তৈরি করা দরকার। তবে খুব দামি আসবাবপত্র বসানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এমন চেয়ার–টেবিল বসাবার ব্যবস্থা রাখুন যা বৃষ্টির সময়েও নষ্ট হবে না। জায়গা বাঁচাতে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল এনে রাখতে পারেন। বৃষ্টির সময়ে প্রয়োজনে সেগুলি ঘরের ভেতরে নিয়ে যাওয়া যাবে। যদি বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য বারান্দায় কাচের জানালা থাকে, তা হলে নিচু ডিভান রাখতে পারেন। বাড়িতে শিশু থাকলে আর বারান্দায় যথেষ্ট জায়গা থাকলে ছোট গোলাকৃতির দোলনা টাঙিয়ে দিন এক পাশে। নিচে বিছিয়ে দিতে পারেন শতরঞ্জি। বৃষ্টির ছাঁট আসবে না, নিশ্চিত থাকলে বারান্দার ভেতর দিকের কোনো দেয়ালে ছোট বুকশেলফ সেঁটে দিতে পারেন, যাতে ডিভান, চেয়ার বা মেঝেতে বসে বই নিয়েই অনেকটা সময় কাটানো যায়।
পাখি আসুক নির্ভয়ে
বারান্দায় পাখিদের আনাগোনা দেখতে চাইলে তাদের জন্য খাবার ও পানি রাখতে হবে। প্রচণ্ড গরমে পিপাসার্ত পাখিরা যাতে গলা ভেজাতে পারে তাই বারান্দার দেয়ালে বা রেলিংয়ের পাশে উঁচু টুলের ওপর মাটির পাত্রে পরিষ্কার পানি রেখে দিন। পাশাপাশি পাখিদের চোখে পড়ে এমন কয়েক জায়গায় শুকনো খাবার রেখে দিতে হবে। ভুট্টা, গম, শুকনো ফল কিংবা চাল রেখে দিতে পারেন ছোট ছোট বাটিতে। খাবারের সন্ধানে হলেও রোজ পাখিরা এসে হাজির হবে আপনার বারান্দায়।
পাখিদের খাবার ও বিশ্রামের জন্য আরও একটি কাজ করতে পারেন। প্লাস্টিকের বোতলের পেটের অংশ গোল করে কেটে বা নারকেলের খোসা বাটির মতো করে কেটে বারান্দায় ঝুলিয়ে দিন। এগুলোর ভেতর শুকনো খাবার ভরে রেখ দিন। ক্ষুধার্ত পাখিরা এসে খাবার সংগ্রহ করতে পারবে, নিতে পারবে বিশ্রামও। চড়ুই পাখিদের দেখা যায় বাসাবাড়ির সিলিংয়ে ঘর বাঁধতে। পাখিদের জন্য বাঁশের ঝুড়ি বা কাঠের বাক্স দিয়ে আপনিও ঘর বানিয়ে দিতে পারেন। বারান্দার যেসব কোণে গরম কম এবং বৃষ্টির ছাঁট আসে না, সেখানে নারকেলের খোসার আঁশ, খড়কুটো অথবা কাঠের গুঁড়ো দিয়ে বাসা বানিয়ে দিতে পারেন। তবে পাখি যেন মুক্তভাবে নিজের মতো যাওয়া আসা করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা জরুরি।
নরম আলোর ব্যবস্থা করুন
মৃদু আলো মানসিক চাপ কমায়। সন্ধ্যার পর অফিস থেকে ফিরে এক কাপ চা বা কফি নিয়ে বারান্দায় মৃদু আলো জ্বেলে বসুন। বারান্দাকে আলোকোজ্জ্বল দেখাতে আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। ওয়ার্ম ফেইরি লাইট দেয়াল বা সিলিংয়ের নিচে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। তাতে জায়গা বাঁচবে, দেখতেও সুন্দর লাগবে।
শখের প্রদর্শনী তৈরি করুন
বারান্দা হয়ে উঠতে পারে নিজের শখের প্রদর্শনী। নিজের হাতে আঁকা ছবি, ওয়ালম্যাট, পটারি ইত্যাদি রাখতে পারেন বারান্দায়। এতে দিন শেষে আপনার বারান্দাই হয়ে উঠবে শক্তি আর আনন্দের উৎস।
সূত্র: ডিজাইন ক্যাফে
পিসির ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক স্টোরিতে দেখা গেছে, এলইডি লাইট থেরাপি মাস্ক পরে উড়োজাহাজে দিব্যি আরাম করছেন। যেন রূপচর্চা আর আরামের একেবারে আদর্শ যুগলবন্দী!
১ দিন আগেসময়ের সঙ্গে পরিবেশ বদলায়, আর পরিবেশের সঙ্গে বদলায় চুলের যত্নের ধরন। চুলে নিয়মিত তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার এবং মাসে দুদিন হেয়ারপ্যাক ব্যবহার এখন যথেষ্ট নয়। আগের তুলনায় গ্রীষ্মকালে গরম আরও বেড়েছে, বেড়েছে দূষণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে চুল আর মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও।
২ দিন আগেশিশুর বয়স ছয় মাস হওয়া পর্যন্ত তেমন ভাবনা নেই। নরম সুতির ফিতে দেওয়া নিমা পরেই দিন পার হয় ছেলে কিংবা মেয়েশিশুর। কিন্তু সে যখন বসে বসে খেলতে শেখে বা একটু হেঁটে বেড়ায়, যখন পুরো ঘরই তার জন্য এক বিস্ময়ের জগৎ। সারা বাড়ি ঘুরে দেখা, এটা-ওটা ধরে খেলা করতে গিয়ে ঘাম হয়...
২ দিন আগেবৈশাখের শুরুতে আবহাওয়ার যা মেজাজ দেখা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, গরমে নাভিশ্বাস উঠবে এবার। আবহাওয়া যা-ই হোক, বাইরে যাওয়া তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তাই চট করে তৈরি হয়ে বের হওয়ার জন্য এমন কিছু কাপড় ওয়ার্ডরোবে গুছিয়ে রাখুন, যাতে আরাম ও স্টাইল—দুটোই মেলে। আবার ভাঁজে ভাঁজে...
২ দিন আগে