জীবনধারা ডেস্ক
ঢাকা: রবীন্দ্রনাথের সৃজনশীলতার নানা রূপ আমরা দেখেছি। গল্প, কবিতা, গান, নাটক কোথাও তিনি তাঁর অনুপস্থিতি রাখেননি। তবে এত কিছু করেও মন ভরেনি। ১৯২৮ সালে যখন তাঁর বয়স ৬৩ বছর, তখন ছবি আঁকতে শুরু করেন কবি। ঠিক এ সময়টায় তিনি নতুন করে খুঁজতে শুরু করেন শিল্পের কোন মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশও করা যায়, আবার সিন্দুকের মতো জমিয়েও রাখা যায়।
অবশ্য ছবি আঁকার ব্যাপারটা তাঁকে ছেলেবেলা থেকেই আকৃষ্ট করত। বড়ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে ছবি আঁকতে দেখতেন যখন, তখন থেকেই ছবি আঁকার প্রতি তাঁর ভালোবাসা জন্মাতে থাকে। পরে তাঁর ভাতিজা অবনীন্দ্রনাথ এবং গগনেন্দ্রনাথ যখন চিত্রকলায় তাঁদের প্রতিভা আবিষ্কার করেছিলেন, তখন কবিই তাঁদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। ভারতীয় শিল্পে যে বঙ্গ আন্দোলনের কথা আমরা শুনে থাকি, তার পেছনেও ছিল রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ প্ররোচনা! তবে এ সময়টায় তিনি নিজে রং-তুলি হাতে না নিলেও তাঁর লেখার চারধার ঘেঁষে আঁকিবুকি করে যেতেন। তাঁর পাণ্ডুলিপিগুলোতে পাওয়া যায় লেখার মাঝখান ফুঁড়ে বেড়ে ওঠা লতানো গাছের ছবি।
ধীরে ধীরে তাঁর আঁকা ছবিগুলো পাণ্ডুলিপি থেকে স্বাধীনতা পেত শুরু করে। ছবি আঁকার জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হতো না তাঁর। যখনই মস্তিস্কে খেলে যেত কোনো দৃশ্য, বসে পড়তেন কাগজ আর রং-তুলি নিয়ে। যখন আঁকতেন, প্রতিটি ছবিই এক শেষ করতেন। জীবনের শেষ ১৭ বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০০ চিত্রকর্ম করেছেন তিনি। এসব চিত্রকর্মের বেশির ভাগই রয়েছে ভারতে। দিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্ট, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ছবির মালিকানা বিদেশি বেসরকারি সংরক্ষণকারী ও জাদুঘরগুলোর।
রবীন্দ্রনাথ—নয়জন সেরা ভারতীয় শিল্পী, যাঁদের নবরত্ন বলা হয়—তাঁদের মধ্যে অন্যতম। পাণ্ডলিপির ফাঁকে ফাঁকে তার আঁকিবুকিগুলো স্বাধীন পেইন্টিং ও স্কেচে রূপান্তরিত হয়ে চারটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রাণী (কল্পনা ও বাস্তব), ল্যান্ডস্কেপ, নাটকীয় দৃশ্য ও মুখশ্রী। ছবি আঁকার পথে যখন তিনি হাঁটতে শুরু করেন, তখন যেসব ছবি এঁকেছিলেন সেখানে তাঁর কল্পনাপ্রসূত প্রাণীগুলোকে খুঁজে পাওয়া যায়। এমন একটি পাখি যার অস্তিত্ব আছে কেবল কবির কল্পনাতেই।
রবীন্দ্রনাথ যে প্রকৃতি ভালোবাসতেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ল্যান্ডস্কেপের ছবিগুলোয় খুঁজে পাওয়া যায় তার প্রকৃতির প্রতি গভীর দর্শন। খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর ছেলেবেলা ও পারিবারিক খেতখামারে কাটানো সময়কে। আরও পাওয়া যায়, শেষ বিকেলের আলোয় মাখা বিস্তৃত আকাশের ছবি।
রবীন্দ্রনাথের আঁকা ড্রামাটিক কিছু ছবি রয়েছে যেগুলোর অনুপ্রেরণা তিনি নিয়েছিলেন নাটকের মঞ্চ খেকে। আশ্চর্যজনকভাবে, শিল্পের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রেমের সম্পর্ক রংতুলিতে গিয়েই থামেনি। তিনি ভারতীয় শিল্পকে পরিবর্তিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। পাশ্চাত্য প্রশিক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় নান্দনিকতা এবং সংবেদনশীলতাকে শক্ত করে তুলতে তিনি পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করেন।
সূত্র: বিশ্বভারতী ও লাইভ হিস্টোরি ইন্ডিয়া
ঢাকা: রবীন্দ্রনাথের সৃজনশীলতার নানা রূপ আমরা দেখেছি। গল্প, কবিতা, গান, নাটক কোথাও তিনি তাঁর অনুপস্থিতি রাখেননি। তবে এত কিছু করেও মন ভরেনি। ১৯২৮ সালে যখন তাঁর বয়স ৬৩ বছর, তখন ছবি আঁকতে শুরু করেন কবি। ঠিক এ সময়টায় তিনি নতুন করে খুঁজতে শুরু করেন শিল্পের কোন মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশও করা যায়, আবার সিন্দুকের মতো জমিয়েও রাখা যায়।
অবশ্য ছবি আঁকার ব্যাপারটা তাঁকে ছেলেবেলা থেকেই আকৃষ্ট করত। বড়ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে ছবি আঁকতে দেখতেন যখন, তখন থেকেই ছবি আঁকার প্রতি তাঁর ভালোবাসা জন্মাতে থাকে। পরে তাঁর ভাতিজা অবনীন্দ্রনাথ এবং গগনেন্দ্রনাথ যখন চিত্রকলায় তাঁদের প্রতিভা আবিষ্কার করেছিলেন, তখন কবিই তাঁদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। ভারতীয় শিল্পে যে বঙ্গ আন্দোলনের কথা আমরা শুনে থাকি, তার পেছনেও ছিল রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ প্ররোচনা! তবে এ সময়টায় তিনি নিজে রং-তুলি হাতে না নিলেও তাঁর লেখার চারধার ঘেঁষে আঁকিবুকি করে যেতেন। তাঁর পাণ্ডুলিপিগুলোতে পাওয়া যায় লেখার মাঝখান ফুঁড়ে বেড়ে ওঠা লতানো গাছের ছবি।
ধীরে ধীরে তাঁর আঁকা ছবিগুলো পাণ্ডুলিপি থেকে স্বাধীনতা পেত শুরু করে। ছবি আঁকার জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হতো না তাঁর। যখনই মস্তিস্কে খেলে যেত কোনো দৃশ্য, বসে পড়তেন কাগজ আর রং-তুলি নিয়ে। যখন আঁকতেন, প্রতিটি ছবিই এক শেষ করতেন। জীবনের শেষ ১৭ বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০০ চিত্রকর্ম করেছেন তিনি। এসব চিত্রকর্মের বেশির ভাগই রয়েছে ভারতে। দিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্ট, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ছবির মালিকানা বিদেশি বেসরকারি সংরক্ষণকারী ও জাদুঘরগুলোর।
রবীন্দ্রনাথ—নয়জন সেরা ভারতীয় শিল্পী, যাঁদের নবরত্ন বলা হয়—তাঁদের মধ্যে অন্যতম। পাণ্ডলিপির ফাঁকে ফাঁকে তার আঁকিবুকিগুলো স্বাধীন পেইন্টিং ও স্কেচে রূপান্তরিত হয়ে চারটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রাণী (কল্পনা ও বাস্তব), ল্যান্ডস্কেপ, নাটকীয় দৃশ্য ও মুখশ্রী। ছবি আঁকার পথে যখন তিনি হাঁটতে শুরু করেন, তখন যেসব ছবি এঁকেছিলেন সেখানে তাঁর কল্পনাপ্রসূত প্রাণীগুলোকে খুঁজে পাওয়া যায়। এমন একটি পাখি যার অস্তিত্ব আছে কেবল কবির কল্পনাতেই।
রবীন্দ্রনাথ যে প্রকৃতি ভালোবাসতেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ল্যান্ডস্কেপের ছবিগুলোয় খুঁজে পাওয়া যায় তার প্রকৃতির প্রতি গভীর দর্শন। খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর ছেলেবেলা ও পারিবারিক খেতখামারে কাটানো সময়কে। আরও পাওয়া যায়, শেষ বিকেলের আলোয় মাখা বিস্তৃত আকাশের ছবি।
রবীন্দ্রনাথের আঁকা ড্রামাটিক কিছু ছবি রয়েছে যেগুলোর অনুপ্রেরণা তিনি নিয়েছিলেন নাটকের মঞ্চ খেকে। আশ্চর্যজনকভাবে, শিল্পের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রেমের সম্পর্ক রংতুলিতে গিয়েই থামেনি। তিনি ভারতীয় শিল্পকে পরিবর্তিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। পাশ্চাত্য প্রশিক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় নান্দনিকতা এবং সংবেদনশীলতাকে শক্ত করে তুলতে তিনি পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করেন।
সূত্র: বিশ্বভারতী ও লাইভ হিস্টোরি ইন্ডিয়া
সময়ের সঙ্গে পরিবেশ বদলায়, আর পরিবেশের সঙ্গে বদলায় চুলের যত্নের ধরন। চুলে নিয়মিত তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার এবং মাসে দুদিন হেয়ারপ্যাক ব্যবহার এখন যথেষ্ট নয়। আগের তুলনায় গ্রীষ্মকালে গরম আরও বেড়েছে, বেড়েছে দূষণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে চুল আর মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেশিশুর বয়স ছয় মাস হওয়া পর্যন্ত তেমন ভাবনা নেই। নরম সুতির ফিতে দেওয়া নিমা পরেই দিন পার হয় ছেলে কিংবা মেয়েশিশুর। কিন্তু সে যখন বসে বসে খেলতে শেখে বা একটু হেঁটে বেড়ায়, যখন পুরো ঘরই তার জন্য এক বিস্ময়ের জগৎ। সারা বাড়ি ঘুরে দেখা, এটা-ওটা ধরে খেলা করতে গিয়ে ঘাম হয়...
১১ ঘণ্টা আগেবৈশাখের শুরুতে আবহাওয়ার যা মেজাজ দেখা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, গরমে নাভিশ্বাস উঠবে এবার। আবহাওয়া যা-ই হোক, বাইরে যাওয়া তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তাই চট করে তৈরি হয়ে বের হওয়ার জন্য এমন কিছু কাপড় ওয়ার্ডরোবে গুছিয়ে রাখুন, যাতে আরাম ও স্টাইল—দুটোই মেলে। আবার ভাঁজে ভাঁজে...
১১ ঘণ্টা আগেবৈশাখের গরমে জীবন ওষ্ঠাগত। তার ওপর প্রতিদিন যাঁদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়, তাঁদের নাজেহাল অবস্থা। গরম তো আর কমানো সম্ভব নয়, তবে এ সময়ে আরাম পেতে কিছু বিষয় মেনে চলা যেতেই পারে।
১১ ঘণ্টা আগে