সানজিদা সামরিন, ঢাকা
বাংলার বেহুলা আর ট্রয়ের হেলেনের গল্প আমাদের কাছে এসেছে কেন? গুণের জন্য তো বটেই। বড় কারণ রূপ। দুজনই ছিলেন রূপবতী। তাঁদের চুল, ত্বক, দাঁত, চোখের বর্ণনা যা দেওয়া হয়েছে, তা অসাধারণ। তাঁদের এই রূপ কিন্তু রূপচর্চার রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে নয়, প্রাকৃতিক দ্রব্যের কারণেই। এখন দিন বদলেছে। চারদিকে রাসায়নিক পণ্যের ছড়াছড়ি।
আর সেসব পণ্যে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড, ফরমালডিহাইড, অ্যালকোহল, অ্যামোনিয়ামসহ আরও অনেক রাসায়নিক উপাদান চুল ও ত্বকের ময়লা ও বাড়তি তেল অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও মাথার ত্বকে যে প্রাকৃতিক তেল আপনা-আপনিই তৈরি হয়, তা-ও তুলে নেয়। তবে স্বীকার করতে হয় যে এ সময়ে এসে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি সব সৌন্দর্যপণ্যকে একবারেই না বলা সম্ভব নয়। তবে ত্বক ও চুলের যত্নে আমরা প্রকৃতি প্রদত্ত উপকরণকেও রাখতে পারি একটু গুরুত্ব দিয়ে।
চুলের যত্নে
চুলের যত্নে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মসুর ডালবাটা
মাথার ত্বকসহ পুরো চুল পরিষ্কার করতে মসুর ডাল খুব ভালো কাজ করে। মসুর ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে বেটে নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ডাল ভেজানো পানি দিয়েও চুল পরিষ্কার করা যায়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক। চুল নরম ও আর্দ্র রাখতেও এর জুড়ি নেই। ভেজা চুলে ও মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন ঠিক যে নিয়মে শ্যাম্পু করেন আপনি। এটি চুল মজবুত করে।
নারকেল তেল
নারকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন ই ও কে। ডিপ কন্ডিশনিংয়ের জন্য নারকেল তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। সহনীয় মাত্রার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পুরো চুল পেঁচিয়ে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশির ভাগ জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নারকেল তেলে রাসায়নিক উপাদান থাকে। সে ক্ষেত্রে নারকেল তেল বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কিংবা বাড়িতে বানানো নারকেল তেল কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিম
ডিমের কুসুম ফেটে মাথার ভেজা ত্বকে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঝরঝরে ভাব আসতে তার সঙ্গে সাদা ভিনেগার মেশানো যেতে পারে। প্রোটিন ট্রিটমেন্টের জন্য ডিম বেশ ভালো কাজ করে।
ত্বকের যত্নে
সাবানের ক্ষার ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। তাই ত্বক পরিষ্কারের জন্য পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহার করা নিরাপদ।
মুলতানি মাটি
ত্বকের লোমকূপ থেকে ধুলো-ময়লা দূর করে মুলতানি মাটি। এটি ত্বক ঠান্ডা রাখে। ফলে ব্রণ হয় না ও ত্বকের লালচে ভাব দূর হয়। মুলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল, টকদই, আপেল সিডার ভিনেগার ও পরিমিত পরিমাণে পানি মিশিয়ে লাগালে ত্বক পরিষ্কার থাকে।
টকদই
টকদই ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে ও ত্বকের মরা কোষ ঝরাতে সহায়তা করে। সাবানের বিকল্প হিসেবে এটি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। চালের গুঁড়োর সঙ্গে টকদই ও হলুদবাটা মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ত্বক পরিষ্কার, কোমল ও উজ্জ্বল হয়।
বিভিন্ন রকম ফল ও সবজি
শসা, টমেটো, পেঁপে, লেবু ইত্যাদি ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। এগুলো ত্বকের মরা কোষ ঝরিয়ে দেয়। ফলে লোমকূপ পরিচ্ছন্ন থাকে। এতে ত্বকে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে।
মধু
কাঁচা মধু সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বক ভালো থাকে। এ ক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে স্নান করলে আরাম পাওয়া যায়।
কাঁচা দুধ
ত্বক যদি খুব বেশি শুষ্ক হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে পুরো মুখে বুলিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। কাঁচা দুধ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এটি ত্বক নরম, কোমল ও উজ্জ্বল করে তোলে। জেনে রাখা ভালো, প্রতিদিন ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাবও কমে আসে।
সূত্র: প্ল্যানেট এসেনশিয়াল
বাংলার বেহুলা আর ট্রয়ের হেলেনের গল্প আমাদের কাছে এসেছে কেন? গুণের জন্য তো বটেই। বড় কারণ রূপ। দুজনই ছিলেন রূপবতী। তাঁদের চুল, ত্বক, দাঁত, চোখের বর্ণনা যা দেওয়া হয়েছে, তা অসাধারণ। তাঁদের এই রূপ কিন্তু রূপচর্চার রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে নয়, প্রাকৃতিক দ্রব্যের কারণেই। এখন দিন বদলেছে। চারদিকে রাসায়নিক পণ্যের ছড়াছড়ি।
আর সেসব পণ্যে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড, ফরমালডিহাইড, অ্যালকোহল, অ্যামোনিয়ামসহ আরও অনেক রাসায়নিক উপাদান চুল ও ত্বকের ময়লা ও বাড়তি তেল অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও মাথার ত্বকে যে প্রাকৃতিক তেল আপনা-আপনিই তৈরি হয়, তা-ও তুলে নেয়। তবে স্বীকার করতে হয় যে এ সময়ে এসে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি সব সৌন্দর্যপণ্যকে একবারেই না বলা সম্ভব নয়। তবে ত্বক ও চুলের যত্নে আমরা প্রকৃতি প্রদত্ত উপকরণকেও রাখতে পারি একটু গুরুত্ব দিয়ে।
চুলের যত্নে
চুলের যত্নে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মসুর ডালবাটা
মাথার ত্বকসহ পুরো চুল পরিষ্কার করতে মসুর ডাল খুব ভালো কাজ করে। মসুর ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে বেটে নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ডাল ভেজানো পানি দিয়েও চুল পরিষ্কার করা যায়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক। চুল নরম ও আর্দ্র রাখতেও এর জুড়ি নেই। ভেজা চুলে ও মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন ঠিক যে নিয়মে শ্যাম্পু করেন আপনি। এটি চুল মজবুত করে।
নারকেল তেল
নারকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন ই ও কে। ডিপ কন্ডিশনিংয়ের জন্য নারকেল তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। সহনীয় মাত্রার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পুরো চুল পেঁচিয়ে রেখে দিন ২০ মিনিট। এরপর কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশির ভাগ জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নারকেল তেলে রাসায়নিক উপাদান থাকে। সে ক্ষেত্রে নারকেল তেল বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কিংবা বাড়িতে বানানো নারকেল তেল কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিম
ডিমের কুসুম ফেটে মাথার ভেজা ত্বকে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঝরঝরে ভাব আসতে তার সঙ্গে সাদা ভিনেগার মেশানো যেতে পারে। প্রোটিন ট্রিটমেন্টের জন্য ডিম বেশ ভালো কাজ করে।
ত্বকের যত্নে
সাবানের ক্ষার ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। তাই ত্বক পরিষ্কারের জন্য পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহার করা নিরাপদ।
মুলতানি মাটি
ত্বকের লোমকূপ থেকে ধুলো-ময়লা দূর করে মুলতানি মাটি। এটি ত্বক ঠান্ডা রাখে। ফলে ব্রণ হয় না ও ত্বকের লালচে ভাব দূর হয়। মুলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল, টকদই, আপেল সিডার ভিনেগার ও পরিমিত পরিমাণে পানি মিশিয়ে লাগালে ত্বক পরিষ্কার থাকে।
টকদই
টকদই ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে ও ত্বকের মরা কোষ ঝরাতে সহায়তা করে। সাবানের বিকল্প হিসেবে এটি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। চালের গুঁড়োর সঙ্গে টকদই ও হলুদবাটা মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ত্বক পরিষ্কার, কোমল ও উজ্জ্বল হয়।
বিভিন্ন রকম ফল ও সবজি
শসা, টমেটো, পেঁপে, লেবু ইত্যাদি ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। এগুলো ত্বকের মরা কোষ ঝরিয়ে দেয়। ফলে লোমকূপ পরিচ্ছন্ন থাকে। এতে ত্বকে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে।
মধু
কাঁচা মধু সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বক ভালো থাকে। এ ক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে স্নান করলে আরাম পাওয়া যায়।
কাঁচা দুধ
ত্বক যদি খুব বেশি শুষ্ক হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে পুরো মুখে বুলিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। কাঁচা দুধ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এটি ত্বক নরম, কোমল ও উজ্জ্বল করে তোলে। জেনে রাখা ভালো, প্রতিদিন ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাবও কমে আসে।
সূত্র: প্ল্যানেট এসেনশিয়াল
বাংলার রান্নাঘর শুধু খাবারের জায়গা নয়, এখানে ঘটে স্বাদ ও আবেগের মেলবন্ধন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়। বাংলার রান্নায় এই তিনটি স্বাদের মিশেল এক অনন্য মুখরোচক অভিজ্ঞতা দেয়, যা বিশ্বের অন্য কোনো রান্নায় খুব কমই দেখা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেখেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
১ দিন আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
২ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
৩ দিন আগে