আনিকা জীনাত, ঢাকা

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার। জীবন সহজ করতে এগুলো কাজে লাগাতে পারেন। গাড়িতে থাকা অবস্থায়, পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গিয়ে বা অনলাইনে ক্লাস করার সময় ফোনের চার্জ শেষ হলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজন বুঝে চার্জার কিনলেই সমস্যা মিটে যাবে।
পাওয়ার ব্যাংক
দূরে কোথাও বেড়াতে গেছেন। চারপাশের সুন্দর দৃশ্যের ছবি তুলতে তুলতে ফোনের চার্জই শেষ। এ যুগে এ রকম পরিস্থিতি অসহায় বোধ করায়। কম শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে ফোনের চার্জ দ্রুত ফুরায়। ফলে শিগগিরই ফোন কেনার পরিকল্পনা না থাকলে পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। চার্জ নিয়ে আর দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না।
পাওয়ার ব্যাংক কিনলে তাতে নিয়মিত চার্জ দিতে হবে। ভুলে গেলে কিন্তু কোনো লাভ নেই। যেই লাউ সেই কদু। পাওয়ার ব্যাংকে ফুল চার্জ দিয়ে তারপর ভ্রমণে বের হওয়া উচিত। কোনো কারণে পথে ফোনের চার্জ শেষ হলে কাজে লাগবে। এটি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে ব্যবহার করা যায়। পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গেছেন কিংবা এমন কোনো জায়গায় গেছেন, যেখানে কাছাকাছি কোথাও বিদ্যুৎ নেই। সেখানেও ত্রাতার ভূমিকায় কাজে লাগবে পাওয়ার ব্যাংক। তারের ঝামেলা এড়াতে চাইলে ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। এই চার্জারের ওপর ফোন রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চার্জ হবে। ১০ থেকে ২০ হাজার এমএএইচ শক্তির পাওয়ার ব্যাংক চার্জার মিলবে দেড় হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।
কার চার্জার
জ্যামে বসে প্রেজেন্টেশনের কাজ করছেন। এমন সময় চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়তে হবে। তবে যদি আপনার সঙ্গে কার চার্জার থাকে, তবে চিন্তা নেই। ফোন, ল্যাপটপ- সবই এতে চার্জ করা যাবে। চারটি পোর্টের কার চার্জার পাওয়া যাবে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়ারেন্টি মিলবে ১ বছরের। দেড় হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে কার চার্জার।
ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড
ফোনে অনলাইন ক্লাস বা জুম ভিডিও কলে মিটিং সারতে এই চার্জার কাজে লাগতে পারে। স্ট্যান্ডের ওপরে কয়েলযুক্ত গোল একটি চার্জিং প্যাড আছে এতে। এর ওপর লম্বালম্বি বা সোজাসুজিভাবে ফোন রেখে চার্জ করা যায়। ফোনের সঙ্গে কোনো তার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। চার্জিং স্ট্যান্ডের সঙ্গে একটি তার থাকে। এটি চার্জে দিয়ে ক্লাস করার জন্য বেশ উপযোগী। কোনো কোনো স্ট্যান্ডের পেছন দিকে স্পিকারও আছে। স্পিকারসহ ১০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। তবে সব ফোন এই স্ট্যান্ডের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে না। তাই কেনার আগে জেনে নিতে হবে ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট ফিচারটি আছে কি না।
চার্জিং অ্যাডাপ্টর
এই অ্যাকসেসরিজটিও চার্জিং স্ট্যান্ডের মতো। পার্থক্য হলো এটি আকারে বেশ ছোট। গোলাকার এই ডিভাইস ফোনের সঙ্গে চুম্বকের মতো আটকে থাকে। ফলে ফোন চার্জিংয়ের সময়ও গেম খেলা যায়। আইফোন ৮ থেকে আইফোন ১২ প্রো পর্যন্ত প্রতিটি মডেল অ্যাপলের ম্যাগসেফ চার্জার সাপোর্ট করবে। এতে এয়ারপডসও চার্জ করা যায়। অ্যাপল ম্যাগসেফ চার্জার কিনতে আইফোন ব্যবহারকারীদের খরচ হবে ৫ হাজার টাকা।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যও চার্জিং অ্যাডাপ্টর পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ২ হাজার টাকার আশপাশে।
ওয়্যারলেস চার্জিং কেস
এয়ারপডস চার্জ করতে চাইলে ওয়্যারলেস চার্জিং কেস ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। চার্জিং ম্যাটের ওপর এয়ারপডসসহ কেস রাখলেই তা চার্জ হতে শুরু করবে। কেসের বাইরে আছে এলইডি ইন্ডিকেটর। এর সবুজ আলো দেখে বোঝা যাবে এয়ারপডস চার্জ হচ্ছে কি না। লাইটেনিং কানেক্টরের সাহায্যেও চার্জিং কেসে চার্জ দেওয়া যাবে।
ওয়্যারলেস চার্জিং-সুবিধার এয়ারপডস কিনতে খরচ পড়বে ২২ হাজার টাকা।
সতর্কতা

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার। জীবন সহজ করতে এগুলো কাজে লাগাতে পারেন। গাড়িতে থাকা অবস্থায়, পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গিয়ে বা অনলাইনে ক্লাস করার সময় ফোনের চার্জ শেষ হলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজন বুঝে চার্জার কিনলেই সমস্যা মিটে যাবে।
পাওয়ার ব্যাংক
দূরে কোথাও বেড়াতে গেছেন। চারপাশের সুন্দর দৃশ্যের ছবি তুলতে তুলতে ফোনের চার্জই শেষ। এ যুগে এ রকম পরিস্থিতি অসহায় বোধ করায়। কম শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে ফোনের চার্জ দ্রুত ফুরায়। ফলে শিগগিরই ফোন কেনার পরিকল্পনা না থাকলে পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। চার্জ নিয়ে আর দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না।
পাওয়ার ব্যাংক কিনলে তাতে নিয়মিত চার্জ দিতে হবে। ভুলে গেলে কিন্তু কোনো লাভ নেই। যেই লাউ সেই কদু। পাওয়ার ব্যাংকে ফুল চার্জ দিয়ে তারপর ভ্রমণে বের হওয়া উচিত। কোনো কারণে পথে ফোনের চার্জ শেষ হলে কাজে লাগবে। এটি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে ব্যবহার করা যায়। পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গেছেন কিংবা এমন কোনো জায়গায় গেছেন, যেখানে কাছাকাছি কোথাও বিদ্যুৎ নেই। সেখানেও ত্রাতার ভূমিকায় কাজে লাগবে পাওয়ার ব্যাংক। তারের ঝামেলা এড়াতে চাইলে ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। এই চার্জারের ওপর ফোন রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চার্জ হবে। ১০ থেকে ২০ হাজার এমএএইচ শক্তির পাওয়ার ব্যাংক চার্জার মিলবে দেড় হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।
কার চার্জার
জ্যামে বসে প্রেজেন্টেশনের কাজ করছেন। এমন সময় চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়তে হবে। তবে যদি আপনার সঙ্গে কার চার্জার থাকে, তবে চিন্তা নেই। ফোন, ল্যাপটপ- সবই এতে চার্জ করা যাবে। চারটি পোর্টের কার চার্জার পাওয়া যাবে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়ারেন্টি মিলবে ১ বছরের। দেড় হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে কার চার্জার।
ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড
ফোনে অনলাইন ক্লাস বা জুম ভিডিও কলে মিটিং সারতে এই চার্জার কাজে লাগতে পারে। স্ট্যান্ডের ওপরে কয়েলযুক্ত গোল একটি চার্জিং প্যাড আছে এতে। এর ওপর লম্বালম্বি বা সোজাসুজিভাবে ফোন রেখে চার্জ করা যায়। ফোনের সঙ্গে কোনো তার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। চার্জিং স্ট্যান্ডের সঙ্গে একটি তার থাকে। এটি চার্জে দিয়ে ক্লাস করার জন্য বেশ উপযোগী। কোনো কোনো স্ট্যান্ডের পেছন দিকে স্পিকারও আছে। স্পিকারসহ ১০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। তবে সব ফোন এই স্ট্যান্ডের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে না। তাই কেনার আগে জেনে নিতে হবে ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট ফিচারটি আছে কি না।
চার্জিং অ্যাডাপ্টর
এই অ্যাকসেসরিজটিও চার্জিং স্ট্যান্ডের মতো। পার্থক্য হলো এটি আকারে বেশ ছোট। গোলাকার এই ডিভাইস ফোনের সঙ্গে চুম্বকের মতো আটকে থাকে। ফলে ফোন চার্জিংয়ের সময়ও গেম খেলা যায়। আইফোন ৮ থেকে আইফোন ১২ প্রো পর্যন্ত প্রতিটি মডেল অ্যাপলের ম্যাগসেফ চার্জার সাপোর্ট করবে। এতে এয়ারপডসও চার্জ করা যায়। অ্যাপল ম্যাগসেফ চার্জার কিনতে আইফোন ব্যবহারকারীদের খরচ হবে ৫ হাজার টাকা।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যও চার্জিং অ্যাডাপ্টর পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ২ হাজার টাকার আশপাশে।
ওয়্যারলেস চার্জিং কেস
এয়ারপডস চার্জ করতে চাইলে ওয়্যারলেস চার্জিং কেস ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। চার্জিং ম্যাটের ওপর এয়ারপডসসহ কেস রাখলেই তা চার্জ হতে শুরু করবে। কেসের বাইরে আছে এলইডি ইন্ডিকেটর। এর সবুজ আলো দেখে বোঝা যাবে এয়ারপডস চার্জ হচ্ছে কি না। লাইটেনিং কানেক্টরের সাহায্যেও চার্জিং কেসে চার্জ দেওয়া যাবে।
ওয়্যারলেস চার্জিং-সুবিধার এয়ারপডস কিনতে খরচ পড়বে ২২ হাজার টাকা।
সতর্কতা
আনিকা জীনাত, ঢাকা

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার। জীবন সহজ করতে এগুলো কাজে লাগাতে পারেন। গাড়িতে থাকা অবস্থায়, পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গিয়ে বা অনলাইনে ক্লাস করার সময় ফোনের চার্জ শেষ হলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজন বুঝে চার্জার কিনলেই সমস্যা মিটে যাবে।
পাওয়ার ব্যাংক
দূরে কোথাও বেড়াতে গেছেন। চারপাশের সুন্দর দৃশ্যের ছবি তুলতে তুলতে ফোনের চার্জই শেষ। এ যুগে এ রকম পরিস্থিতি অসহায় বোধ করায়। কম শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে ফোনের চার্জ দ্রুত ফুরায়। ফলে শিগগিরই ফোন কেনার পরিকল্পনা না থাকলে পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। চার্জ নিয়ে আর দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না।
পাওয়ার ব্যাংক কিনলে তাতে নিয়মিত চার্জ দিতে হবে। ভুলে গেলে কিন্তু কোনো লাভ নেই। যেই লাউ সেই কদু। পাওয়ার ব্যাংকে ফুল চার্জ দিয়ে তারপর ভ্রমণে বের হওয়া উচিত। কোনো কারণে পথে ফোনের চার্জ শেষ হলে কাজে লাগবে। এটি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে ব্যবহার করা যায়। পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গেছেন কিংবা এমন কোনো জায়গায় গেছেন, যেখানে কাছাকাছি কোথাও বিদ্যুৎ নেই। সেখানেও ত্রাতার ভূমিকায় কাজে লাগবে পাওয়ার ব্যাংক। তারের ঝামেলা এড়াতে চাইলে ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। এই চার্জারের ওপর ফোন রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চার্জ হবে। ১০ থেকে ২০ হাজার এমএএইচ শক্তির পাওয়ার ব্যাংক চার্জার মিলবে দেড় হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।
কার চার্জার
জ্যামে বসে প্রেজেন্টেশনের কাজ করছেন। এমন সময় চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়তে হবে। তবে যদি আপনার সঙ্গে কার চার্জার থাকে, তবে চিন্তা নেই। ফোন, ল্যাপটপ- সবই এতে চার্জ করা যাবে। চারটি পোর্টের কার চার্জার পাওয়া যাবে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়ারেন্টি মিলবে ১ বছরের। দেড় হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে কার চার্জার।
ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড
ফোনে অনলাইন ক্লাস বা জুম ভিডিও কলে মিটিং সারতে এই চার্জার কাজে লাগতে পারে। স্ট্যান্ডের ওপরে কয়েলযুক্ত গোল একটি চার্জিং প্যাড আছে এতে। এর ওপর লম্বালম্বি বা সোজাসুজিভাবে ফোন রেখে চার্জ করা যায়। ফোনের সঙ্গে কোনো তার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। চার্জিং স্ট্যান্ডের সঙ্গে একটি তার থাকে। এটি চার্জে দিয়ে ক্লাস করার জন্য বেশ উপযোগী। কোনো কোনো স্ট্যান্ডের পেছন দিকে স্পিকারও আছে। স্পিকারসহ ১০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। তবে সব ফোন এই স্ট্যান্ডের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে না। তাই কেনার আগে জেনে নিতে হবে ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট ফিচারটি আছে কি না।
চার্জিং অ্যাডাপ্টর
এই অ্যাকসেসরিজটিও চার্জিং স্ট্যান্ডের মতো। পার্থক্য হলো এটি আকারে বেশ ছোট। গোলাকার এই ডিভাইস ফোনের সঙ্গে চুম্বকের মতো আটকে থাকে। ফলে ফোন চার্জিংয়ের সময়ও গেম খেলা যায়। আইফোন ৮ থেকে আইফোন ১২ প্রো পর্যন্ত প্রতিটি মডেল অ্যাপলের ম্যাগসেফ চার্জার সাপোর্ট করবে। এতে এয়ারপডসও চার্জ করা যায়। অ্যাপল ম্যাগসেফ চার্জার কিনতে আইফোন ব্যবহারকারীদের খরচ হবে ৫ হাজার টাকা।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যও চার্জিং অ্যাডাপ্টর পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ২ হাজার টাকার আশপাশে।
ওয়্যারলেস চার্জিং কেস
এয়ারপডস চার্জ করতে চাইলে ওয়্যারলেস চার্জিং কেস ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। চার্জিং ম্যাটের ওপর এয়ারপডসসহ কেস রাখলেই তা চার্জ হতে শুরু করবে। কেসের বাইরে আছে এলইডি ইন্ডিকেটর। এর সবুজ আলো দেখে বোঝা যাবে এয়ারপডস চার্জ হচ্ছে কি না। লাইটেনিং কানেক্টরের সাহায্যেও চার্জিং কেসে চার্জ দেওয়া যাবে।
ওয়্যারলেস চার্জিং-সুবিধার এয়ারপডস কিনতে খরচ পড়বে ২২ হাজার টাকা।
সতর্কতা

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার। জীবন সহজ করতে এগুলো কাজে লাগাতে পারেন। গাড়িতে থাকা অবস্থায়, পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গিয়ে বা অনলাইনে ক্লাস করার সময় ফোনের চার্জ শেষ হলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজন বুঝে চার্জার কিনলেই সমস্যা মিটে যাবে।
পাওয়ার ব্যাংক
দূরে কোথাও বেড়াতে গেছেন। চারপাশের সুন্দর দৃশ্যের ছবি তুলতে তুলতে ফোনের চার্জই শেষ। এ যুগে এ রকম পরিস্থিতি অসহায় বোধ করায়। কম শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে ফোনের চার্জ দ্রুত ফুরায়। ফলে শিগগিরই ফোন কেনার পরিকল্পনা না থাকলে পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। চার্জ নিয়ে আর দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না।
পাওয়ার ব্যাংক কিনলে তাতে নিয়মিত চার্জ দিতে হবে। ভুলে গেলে কিন্তু কোনো লাভ নেই। যেই লাউ সেই কদু। পাওয়ার ব্যাংকে ফুল চার্জ দিয়ে তারপর ভ্রমণে বের হওয়া উচিত। কোনো কারণে পথে ফোনের চার্জ শেষ হলে কাজে লাগবে। এটি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে ব্যবহার করা যায়। পাহাড়ে ট্র্যাকিং করতে গেছেন কিংবা এমন কোনো জায়গায় গেছেন, যেখানে কাছাকাছি কোথাও বিদ্যুৎ নেই। সেখানেও ত্রাতার ভূমিকায় কাজে লাগবে পাওয়ার ব্যাংক। তারের ঝামেলা এড়াতে চাইলে ওয়্যারলেস পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন। এই চার্জারের ওপর ফোন রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চার্জ হবে। ১০ থেকে ২০ হাজার এমএএইচ শক্তির পাওয়ার ব্যাংক চার্জার মিলবে দেড় হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।
কার চার্জার
জ্যামে বসে প্রেজেন্টেশনের কাজ করছেন। এমন সময় চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়তে হবে। তবে যদি আপনার সঙ্গে কার চার্জার থাকে, তবে চিন্তা নেই। ফোন, ল্যাপটপ- সবই এতে চার্জ করা যাবে। চারটি পোর্টের কার চার্জার পাওয়া যাবে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়ারেন্টি মিলবে ১ বছরের। দেড় হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে কার চার্জার।
ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড
ফোনে অনলাইন ক্লাস বা জুম ভিডিও কলে মিটিং সারতে এই চার্জার কাজে লাগতে পারে। স্ট্যান্ডের ওপরে কয়েলযুক্ত গোল একটি চার্জিং প্যাড আছে এতে। এর ওপর লম্বালম্বি বা সোজাসুজিভাবে ফোন রেখে চার্জ করা যায়। ফোনের সঙ্গে কোনো তার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। চার্জিং স্ট্যান্ডের সঙ্গে একটি তার থাকে। এটি চার্জে দিয়ে ক্লাস করার জন্য বেশ উপযোগী। কোনো কোনো স্ট্যান্ডের পেছন দিকে স্পিকারও আছে। স্পিকারসহ ১০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং স্ট্যান্ড পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। তবে সব ফোন এই স্ট্যান্ডের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে না। তাই কেনার আগে জেনে নিতে হবে ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট ফিচারটি আছে কি না।
চার্জিং অ্যাডাপ্টর
এই অ্যাকসেসরিজটিও চার্জিং স্ট্যান্ডের মতো। পার্থক্য হলো এটি আকারে বেশ ছোট। গোলাকার এই ডিভাইস ফোনের সঙ্গে চুম্বকের মতো আটকে থাকে। ফলে ফোন চার্জিংয়ের সময়ও গেম খেলা যায়। আইফোন ৮ থেকে আইফোন ১২ প্রো পর্যন্ত প্রতিটি মডেল অ্যাপলের ম্যাগসেফ চার্জার সাপোর্ট করবে। এতে এয়ারপডসও চার্জ করা যায়। অ্যাপল ম্যাগসেফ চার্জার কিনতে আইফোন ব্যবহারকারীদের খরচ হবে ৫ হাজার টাকা।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যও চার্জিং অ্যাডাপ্টর পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ২ হাজার টাকার আশপাশে।
ওয়্যারলেস চার্জিং কেস
এয়ারপডস চার্জ করতে চাইলে ওয়্যারলেস চার্জিং কেস ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। চার্জিং ম্যাটের ওপর এয়ারপডসসহ কেস রাখলেই তা চার্জ হতে শুরু করবে। কেসের বাইরে আছে এলইডি ইন্ডিকেটর। এর সবুজ আলো দেখে বোঝা যাবে এয়ারপডস চার্জ হচ্ছে কি না। লাইটেনিং কানেক্টরের সাহায্যেও চার্জিং কেসে চার্জ দেওয়া যাবে।
ওয়্যারলেস চার্জিং-সুবিধার এয়ারপডস কিনতে খরচ পড়বে ২২ হাজার টাকা।
সতর্কতা

প্রকৃতিতে এমন কিছু পাতা আছে যা অনেক গুণে গুণান্বিত। তেমনই একটি পাতা হলো তুলসী। এই পাতার গুণ ও উপকারিতা অনেক। মূলত ভারত, এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের স্থানীয় এই বেসিল বা তুলসীকে একটি পবিত্র এবং মহৎ ভেষজ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকেই তাদের রান্নাঘর বা বাগানে এটি চাষ করেন। ৬০ টিরও বেশি ধরনের তুলসী রয়েছে,
৩ ঘণ্টা আগে
অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হলে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে ব্রণ হয়। বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি মানসিক চাপও সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ যত সহজে হয়, তত সহজে সারে না। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব এবং ব্রণ দূর করা সম্ভব।...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থ প্রাপ্তি আর খরচ দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রকৃতিতে এমন কিছু পাতা আছে যা অনেক গুণে গুণান্বিত। তেমনই একটি পাতা হলো তুলসী। এই পাতার গুণ ও উপকারিতা অনেক। মূলত ভারত, এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের স্থানীয় এই বেসিল বা তুলসীকে একটি পবিত্র এবং মহৎ ভেষজ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকেই তাদের রান্নাঘর বা বাগানে এটি চাষ করেন। ৬০ টির বেশি ধরনের তুলসী রয়েছে, যার মধ্যে অপেক্ষাকৃত মিষ্টি স্বাদের তুলসী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
বিশেষ স্বাস্থ্য উপকারিতা
টাইপ ২ ডায়াবেটিস:
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৬০ জন ব্যক্তি তিন মাস ধরে প্রতিদিন প্রাতরাশ এবং রাতের খাবারের আগে একটি ডায়াবেটিস ওষুধের সঙ্গে ২৫০ মিলিগ্রাম তুলসীর নির্যাস গ্রহণ করেছিলেন। যারা শুধুমাত্র ওষুধ গ্রহণ করেছিলেন তাদের তুলনায় তাদের গড় রক্তে শর্করা ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। তুলসী শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত তুলসীপাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। ফলে শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আয়ুর্বেদের একটি ঐতিহ্যগত বিশ্বাস হলো খালি পেটে তুলসী খেলে সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। এ ছাড়া জ্বরের সময়ও তুলসী পাতা খুব উপকারী। বিভিন্ন সার্জারির পর বা কোনো ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে তা বেশ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ওঠে। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী। তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান, যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। পুষ্টিগুণে ভরপুর তুলসী পাতা, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লুকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। তুলসির অনেক নিরাময় বৈশিষ্ট্য কিডনিতে পাথর রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে। রেনাল স্টোনে আক্রান্ত মধুর সঙ্গে এই পাতার রস খেলে উপকার পাবেন।

মানসিক চাপ হ্রাস
মানসিক চাপের কমপক্ষে তিনটি লক্ষণ রয়েছে এমন ১৫৮ জন ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করা হয়েছে। তাদের ছয় সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ১,২০০ মিলিগ্রাম পবিত্র তুলসীর নির্যাস গ্রহণ করা প্লাসিবোর তুলনায় সাধারণ চাপের লক্ষণগুলো ভালো করতে ৩৯ শতাংশ বেশি কার্যকর ছিল। তুলসীর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি ও অন্যান্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এ উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তুলসী শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত উত্তেজনা ও চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
হাঁপানির লক্ষণ ভালো করে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যদি হাঁপানি থাকে তবে আপনার শ্বাসনালির ফোলা কমাতে পারে তুলসী। তবে, এই গবেষণাগুলোর মধ্যে একটি প্রাণীর ওপর নির্ভর করে করা হয়েছিল।
ত্বক ভালো রাখে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, কিংবা ব্রণের সমস্যা দূর করতে তুলসীপাতা ব্যবহার করতে পারেন। তুলসীপাতার রসের সঙ্গে নারকেলের তেল মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগালে জ্বালাপোড়া কমবে এবং দাগ দূর হবে। এই পাতায় আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে। ধুলো এবং দূষণের কারণে ত্বকে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। এই পাতায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রদাহ বা জ্বালা ভাব কমাতে তুলসীপাতা কাজ করে থাকে।
ঘরে তৈরি তুলসীর চা তৈরির সহজ পদ্ধতি
প্রথমে পাত্রে পানি নিয়ে হালকা ফোটাতে শুরু করুন। যদি তাজা তুলসীপাতা ব্যবহার করেন, তবে পাতাগুলো সরাসরি ফুটন্ত পানিতে যোগ করুন। তারপর তাপ বন্ধ করে দিন এবং ৫ থেকে ৭ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। শুকনো তুলসীপাতা ব্যবহার করলে, শুকনো ভেষজটি যোগ করুন এবং ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পাতাগুলো ছেঁকে চা পরিবেশন করুন। স্বাদে নতুনত্ব যোগ করতে চাইলে এতে আদা এবং লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন। মিষ্টি যোগ করতে চাইলে পান করার ঠিক আগে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
সূত্র: ওয়েব মেদ, হেলথ লাইন, কাল্টিভেটেড আর্থ

প্রকৃতিতে এমন কিছু পাতা আছে যা অনেক গুণে গুণান্বিত। তেমনই একটি পাতা হলো তুলসী। এই পাতার গুণ ও উপকারিতা অনেক। মূলত ভারত, এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের স্থানীয় এই বেসিল বা তুলসীকে একটি পবিত্র এবং মহৎ ভেষজ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকেই তাদের রান্নাঘর বা বাগানে এটি চাষ করেন। ৬০ টির বেশি ধরনের তুলসী রয়েছে, যার মধ্যে অপেক্ষাকৃত মিষ্টি স্বাদের তুলসী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
বিশেষ স্বাস্থ্য উপকারিতা
টাইপ ২ ডায়াবেটিস:
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৬০ জন ব্যক্তি তিন মাস ধরে প্রতিদিন প্রাতরাশ এবং রাতের খাবারের আগে একটি ডায়াবেটিস ওষুধের সঙ্গে ২৫০ মিলিগ্রাম তুলসীর নির্যাস গ্রহণ করেছিলেন। যারা শুধুমাত্র ওষুধ গ্রহণ করেছিলেন তাদের তুলনায় তাদের গড় রক্তে শর্করা ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। তুলসী শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত তুলসীপাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। ফলে শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আয়ুর্বেদের একটি ঐতিহ্যগত বিশ্বাস হলো খালি পেটে তুলসী খেলে সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। এ ছাড়া জ্বরের সময়ও তুলসী পাতা খুব উপকারী। বিভিন্ন সার্জারির পর বা কোনো ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে তা বেশ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ওঠে। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী। তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান, যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। পুষ্টিগুণে ভরপুর তুলসী পাতা, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লুকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। তুলসির অনেক নিরাময় বৈশিষ্ট্য কিডনিতে পাথর রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে। রেনাল স্টোনে আক্রান্ত মধুর সঙ্গে এই পাতার রস খেলে উপকার পাবেন।

মানসিক চাপ হ্রাস
মানসিক চাপের কমপক্ষে তিনটি লক্ষণ রয়েছে এমন ১৫৮ জন ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করা হয়েছে। তাদের ছয় সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ১,২০০ মিলিগ্রাম পবিত্র তুলসীর নির্যাস গ্রহণ করা প্লাসিবোর তুলনায় সাধারণ চাপের লক্ষণগুলো ভালো করতে ৩৯ শতাংশ বেশি কার্যকর ছিল। তুলসীর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি ও অন্যান্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এ উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তুলসী শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত উত্তেজনা ও চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
হাঁপানির লক্ষণ ভালো করে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যদি হাঁপানি থাকে তবে আপনার শ্বাসনালির ফোলা কমাতে পারে তুলসী। তবে, এই গবেষণাগুলোর মধ্যে একটি প্রাণীর ওপর নির্ভর করে করা হয়েছিল।
ত্বক ভালো রাখে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, কিংবা ব্রণের সমস্যা দূর করতে তুলসীপাতা ব্যবহার করতে পারেন। তুলসীপাতার রসের সঙ্গে নারকেলের তেল মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগালে জ্বালাপোড়া কমবে এবং দাগ দূর হবে। এই পাতায় আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে। ধুলো এবং দূষণের কারণে ত্বকে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। এই পাতায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রদাহ বা জ্বালা ভাব কমাতে তুলসীপাতা কাজ করে থাকে।
ঘরে তৈরি তুলসীর চা তৈরির সহজ পদ্ধতি
প্রথমে পাত্রে পানি নিয়ে হালকা ফোটাতে শুরু করুন। যদি তাজা তুলসীপাতা ব্যবহার করেন, তবে পাতাগুলো সরাসরি ফুটন্ত পানিতে যোগ করুন। তারপর তাপ বন্ধ করে দিন এবং ৫ থেকে ৭ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। শুকনো তুলসীপাতা ব্যবহার করলে, শুকনো ভেষজটি যোগ করুন এবং ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পাতাগুলো ছেঁকে চা পরিবেশন করুন। স্বাদে নতুনত্ব যোগ করতে চাইলে এতে আদা এবং লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন। মিষ্টি যোগ করতে চাইলে পান করার ঠিক আগে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
সূত্র: ওয়েব মেদ, হেলথ লাইন, কাল্টিভেটেড আর্থ

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হলে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে ব্রণ হয়। বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি মানসিক চাপও সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ যত সহজে হয়, তত সহজে সারে না। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব এবং ব্রণ দূর করা সম্ভব।...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থ প্রাপ্তি আর খরচ দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

তৈলাক্ত ত্বকে সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদিত হয়। সিবাম মূলত চর্বি দিয়ে তৈরি তৈলাক্ত পদার্থ। তবে এটি খারাপ জিনিস নয়। এটি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজ রাখতে সহায়তা করে, ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বক সুস্থ রাখে। তবে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হলে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে ব্রণ হয়। বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি মানসিক চাপও সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ যত সহজে হয়, তত সহজে সারে না। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব এবং ব্রণ দূর করা সম্ভব।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের ইনফেকশন হয়ে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। এর বাইরে সুষম খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। টাটকা ফল, শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে। অতিরিক্ত তেল ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে বরফ থেরাপি নিতে হবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ ও স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। যা করবেন,
প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ ধুতে হবে
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা বাড়ার প্রথম কারণ মুখ না ধোয়া। গোসল বাদেও প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তবে মুখ ধোয়ার জন্য খুব হালকা ফেসওয়াশ বা গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে হবে।
মধুর প্রলেপ দিন
মধুতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। ফলে এটি তৈলাক্ত ও ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য উপকারী। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর মুখে এক পরত মধু মেখে রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানির ঝাপটায় ধুয়ে নিন।
ওটমিলের প্যাক
ওটমিল ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এটি ত্বকের ব্রণ ও মরা কোষ দূর করতেও খুব ভালো কাজ করে। ওটমিল গুঁড়া করে টক দই, মধু, কলা বা পেঁপে বাটা মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্যাক মুখে প্রায় ৩ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের সাদা অংশ ও লেবু
ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করে। লেবু ও অন্যান্য সাইট্রাস ফলের অ্যাসিড ত্বকের তেল শুষে নেয়। লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা থাকায় তা ব্রণ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে সরাসরি মুখে লেবুর রস লাগাবেন না। একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক চা-চামচ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার প্রলেপ
ব্রণসহ তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরার বহুল ব্যবহার রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে অ্যালোভেরার একটি পাতলা প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে নিন। সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালোভেরা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি আগে অ্যালোভেরা ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে আপনার হাতের অল্প জায়গায় লাগিয়ে পরীক্ষা করুন। যদি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না যায়, তাহলে এটি ব্যবহার করা নিরাপদ।
টমেটো ও চিনির প্যাক
টমেটোতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড থাকে, যা ব্রণের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার। টমেটোতে থাকা অ্যাসিড ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপ খুলে দিতে সাহায্য করে। টমেটো ফেসপ্যাক তৈরি করতে ১টি টমেটো বাটার সঙ্গে ১ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। বৃত্তাকার গতিতে ত্বকে লাগিয়ে প্যাকটি ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে চিনি বাদ দিয়ে শুধু টমেটো বাটা দিয়েও তৈরি প্যাক তৈরি করা যায়।
অলিভ অয়েল ও মধুর প্যাক
একটি পাত্রে এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মাইক্রোওয়েভে সেই মিশ্রণ ১০ সেকেন্ডের জন্য গরম করুন। এতে মধু খুব ভালোভাবে তেলের সঙ্গে মিশে যাবে। এই মিশ্রণ সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
ছবি: পেক্সেলস

তৈলাক্ত ত্বকে সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদিত হয়। সিবাম মূলত চর্বি দিয়ে তৈরি তৈলাক্ত পদার্থ। তবে এটি খারাপ জিনিস নয়। এটি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজ রাখতে সহায়তা করে, ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বক সুস্থ রাখে। তবে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হলে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে ব্রণ হয়। বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি মানসিক চাপও সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ যত সহজে হয়, তত সহজে সারে না। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব এবং ব্রণ দূর করা সম্ভব।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের ইনফেকশন হয়ে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। এর বাইরে সুষম খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। টাটকা ফল, শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে। অতিরিক্ত তেল ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে বরফ থেরাপি নিতে হবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ ও স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। যা করবেন,
প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ ধুতে হবে
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা বাড়ার প্রথম কারণ মুখ না ধোয়া। গোসল বাদেও প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তবে মুখ ধোয়ার জন্য খুব হালকা ফেসওয়াশ বা গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে হবে।
মধুর প্রলেপ দিন
মধুতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। ফলে এটি তৈলাক্ত ও ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য উপকারী। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর মুখে এক পরত মধু মেখে রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানির ঝাপটায় ধুয়ে নিন।
ওটমিলের প্যাক
ওটমিল ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এটি ত্বকের ব্রণ ও মরা কোষ দূর করতেও খুব ভালো কাজ করে। ওটমিল গুঁড়া করে টক দই, মধু, কলা বা পেঁপে বাটা মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্যাক মুখে প্রায় ৩ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের সাদা অংশ ও লেবু
ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করে। লেবু ও অন্যান্য সাইট্রাস ফলের অ্যাসিড ত্বকের তেল শুষে নেয়। লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা থাকায় তা ব্রণ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে সরাসরি মুখে লেবুর রস লাগাবেন না। একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক চা-চামচ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার প্রলেপ
ব্রণসহ তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরার বহুল ব্যবহার রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে অ্যালোভেরার একটি পাতলা প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে নিন। সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালোভেরা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি আগে অ্যালোভেরা ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে আপনার হাতের অল্প জায়গায় লাগিয়ে পরীক্ষা করুন। যদি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না যায়, তাহলে এটি ব্যবহার করা নিরাপদ।
টমেটো ও চিনির প্যাক
টমেটোতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড থাকে, যা ব্রণের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার। টমেটোতে থাকা অ্যাসিড ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপ খুলে দিতে সাহায্য করে। টমেটো ফেসপ্যাক তৈরি করতে ১টি টমেটো বাটার সঙ্গে ১ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। বৃত্তাকার গতিতে ত্বকে লাগিয়ে প্যাকটি ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে চিনি বাদ দিয়ে শুধু টমেটো বাটা দিয়েও তৈরি প্যাক তৈরি করা যায়।
অলিভ অয়েল ও মধুর প্যাক
একটি পাত্রে এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মাইক্রোওয়েভে সেই মিশ্রণ ১০ সেকেন্ডের জন্য গরম করুন। এতে মধু খুব ভালোভাবে তেলের সঙ্গে মিশে যাবে। এই মিশ্রণ সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
ছবি: পেক্সেলস

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রকৃতিতে এমন কিছু পাতা আছে যা অনেক গুণে গুণান্বিত। তেমনই একটি পাতা হলো তুলসী। এই পাতার গুণ ও উপকারিতা অনেক। মূলত ভারত, এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের স্থানীয় এই বেসিল বা তুলসীকে একটি পবিত্র এবং মহৎ ভেষজ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকেই তাদের রান্নাঘর বা বাগানে এটি চাষ করেন। ৬০ টিরও বেশি ধরনের তুলসী রয়েছে,
৩ ঘণ্টা আগে
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থ প্রাপ্তি আর খরচ দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থ প্রাপ্তি আর খরচ দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে। হার্টের রোগীরা কফি এড়িয়ে চলুন। কারণ, রক্তচাপ আজ এমনিতেই যথেষ্ট হাই থাকবে। সকালেই পারিবারিক কাজে হঠাৎ ভ্রমণ হতে পারে। মনে রাখবেন, গন্তব্য যেখানেই হোক, বাড়ির লোক সঙ্গে থাকবেই। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হলে সেটা চ্যাটবট দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। সোজাসাপটা কথা বলুন, তবে ঝগড়া নয়, হাসিঠাট্টার মাধ্যমে।
বৃষ
আপনার ভেতরের অলস ব্যক্তিটি আজ ছুটি নিয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে খেলাধুলায় মনোযোগ দিন। হ্যাঁ, কসরত করুন, তবে জিমে গিয়ে যেন ভুল করেও ডাম্বেল তুলতে গিয়ে কাত না হয়ে যান। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য আজ হিমালয়ের চেয়েও উঁচু। এটাই স্থিতিশীলতা আনবে। আজ নতুন কোনো বিনিয়োগ বা উদ্যোগ নিতে পারেন। সাহস করুন, কিন্তু সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প শুনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আজ দারুণ তুখোড়, কিন্তু অফিস পলিটিকস থেকে দূরে থাকুন। আপনার মতো শান্ত মানুষ সহজে টার্গেট হয় না।
মিথুন
আজ আপনার মন আর মস্তিষ্ক—দুটোই নিজেদের মধ্যে কফি ব্রেক নিয়েছে। ফলে আবেগ ও চিন্তার মধ্যে দারুণ ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে কর্মক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা আজ সক্রিয়। কে আপনার টেবিলের নিচে চুইংগাম লাগানোর চেষ্টা করছে, তা খুঁজে বের করতে তৃতীয় চোখটি কাজে লাগান। দিনের শেষে হয়তো সামান্য আঘাত পেতে পারেন। ভয়ের কিছু নেই, হয়তো দরজার ফ্রেমে মাথা ঠুকে যাবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ছোটখাটো ঝগড়া হতে পারে। মনে রাখবেন, ঝগড়া মানেই ডিশ ওয়াশার বাথরুমের মধ্যে ছুড়ে মারা নয়। ঋণ দেওয়া বা নেওয়া থেকে আজ বিরত থাকুন—টাকা ধার দিয়ে বন্ধুর কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না।
কর্কট
আজ মন ‘ভালো জিনিস’-এর প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হবে। হয়তো মেডিটেশন করবেন বা বিশ্বশান্তি নিয়ে ভাববেন। সংবেদনশীলতা আজ আপনার সেরা অস্ত্র। এই সুযোগে পার্টনারের পুরোনো জমে থাকা অভিমানগুলো গলাতে চেষ্টা করুন। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি লাভজনক, কিন্তু কোনো ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে আজ ঋণ দেবেন না। কারণ, সেই টাকা ফিরে আসার সম্ভাবনা সেই সিনেমার সিকুয়েলের মতো, যা কেউ দেখতে চায় না। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কিছু খরচ বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি বা তেল-ঝাল থেকে দূরে থাকুন।
সিংহ
যারা অসুস্থ ছিলেন, তারা আজ সুস্থতার দিকে এক ধাপ এগোবেন। আপনার লক্ষ্য আজ প্রায় হাতের মুঠোয়, কিন্তু মাঝপথে কোনো এক ঝলমলে জিনিস দেখে যেন পথ না হারান! সেটি হবে হয়তো কোনো বন্ধুর নতুন জুতা বা একটি নতুন স্মার্টফোন! সন্তানের জন্য চিন্তা বাড়তে পারে, হতে পারে তারা ভিডিও গেমসে কম সময় দিচ্ছে। গাড়িচালকেরা সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে যদি গাড়ির সিটে আজ আপনার রাজকীয় মেজাজ থাকে। সম্পর্কে ধৈর্য ধরুন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক মানেই শুধু সিংহাসনে বসা নয়, মাঝেমধ্যে ঝাড়ুদার হওয়াও জরুরি।
কন্যা
চাপের কারণে ছোটখাটো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। চাপ কমানোর জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আজ নিজেই নিজের ব্যবসার কর্মচারী হয়ে উঠবেন। কর্মচারীর সাহায্য পেলেও দিনভর খাটনি থাকবে। নিজের উপার্জিত অর্থে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আজ আপনার দিকে দাঁত কেলিয়ে হাসবে। বিরোধীদের সঙ্গে মৌখিক বোঝাপড়ায় লাভবান হবেন। কারণ, আজ আপনার যুক্তি তলোয়ারের মতো ধারালো। তবে গুরুজনের সঙ্গে তর্ক এড়িয়ে চলুন, তাঁরা আপনার যুক্তি শুনবেন না, শুধু বলবেন, ‘আমরা তোমার চেয়ে বেশি দেখেছি।’
তুলা
আজ সবকিছুই ‘ভারসাম্যে’ থাকবে। আপনার প্রেম এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো নতুন গভীরতা পাবে। পুরোনো সব মতপার্থক্য আজ এমনভাবে দূর হবে, যেন সেগুলো কোনো দিন ছিলই না। জটিল পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। ডায়েট মেনু আজ স্বাস্থ্যকর সবজি, ফল, বাদাম ও প্রোটিন শেক দিয়ে পূর্ণ হওয়া উচিত। যদি আজ ডায়েটে পিৎজা ঢোকে, তবে সেটাকে ‘প্রোটিন শেক’ হিসেবে চালিয়ে দিন! পেশাদারেরা আজ অন্যদের থেকে ভালো পারফর্ম করবেন। অফিসে প্রভাব বাড়বে।
বৃশ্চিক
উত্তেজনা আর টেনশন থেকে আজ মুক্তি পাবেন—যেন দীর্ঘদিনের একটা জটিল রহস্য সমাধান হলো। আজ করা বিনিয়োগ আপনাকে সমৃদ্ধি এনে দেবে। তাই বুঝেশুনে বিনিয়োগ করুন। তবে কাজের ক্ষেত্রে আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। আজ বিছানা আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে, কিন্তু সেই টান অগ্রাহ্য করে কাজে নামতে হবে। বাড়িতে খরচের বিষয়ে আলোচনা হলে একদম চুপ করে থাকুন। মতামত দিতে গেলেই বিপদ। কারণ, আলোচনার শেষে সব দোষ আপনার ঘাড়ে চাপতে পারে।
ধনু
সব সমস্যার সেরা প্রতিষেধক হলো হাসি। আজ হাসুন। দেখবেন, গ্রহের অশুভ দৃষ্টিও পালিয়ে গেছে। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু বুঝে খরচ করুন। যদি কোনো বন্ধুর পাল্লায় পড়ে আজ অনলাইন শপিংয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফেলেন, তাহলে জ্যোতিষীকে দোষ দিতে পারবেন না। যারা শুধু হতাশা ছড়ায়, সেই ধরনের বন্ধুদের আজ এড়িয়ে চলুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকবে। আজ কাউকে দেখে হয়তো বিনিয়োগের কথা মনে আসবে, তবে সেটা প্রেমের বিনিয়োগ, শেয়ার মার্কেটের নয়।
মকর
ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারলে সম্পর্কের উন্নতি হবে চোখে পড়ার মতো। তাই মনকে বলুন, ‘আজ আমি হাসিখুশি, আজ আমার মন খারাপ নেই।’ প্রতিযোগিতামূলক কাজে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা আজ আপনাকে পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে সাহায্য করবে। স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা ভাগ করে নিন। দেখবেন, বোঝা অর্ধেক হয়ে গেছে, আর তার ওপর আরও দ্বিগুণ চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া গেছে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অতিভোজন আপনার জন্য শুভ নয়।
কুম্ভ
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আপনার আস্থা বাড়বে। পেশাদারদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন, যেন আপনার সব প্রজেক্টে আজ সবাই ‘হ্যাঁ’ বলছে। হতাশা আজ আপনার স্বাস্থ্যের সর্বনাশ করতে পারে। তাই অতীতের ভুলগুলো নিয়ে আফসোস করা বন্ধ করুন—ওগুলো এখন ইতিহাসের অংশ। গোপন তথ্যগুলো আজ কারও কাছে ফাঁস করবেন না। আর মিষ্টি কথায় আজ কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজ হাসিল করে নিন। মিষ্টি কথা আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আজ বসকে এমন মিষ্টি করে কথা বলুন, যেন তিনি বেতন বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন।
মীন
আজ বিশ্রাম আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সম্প্রতি নিজেকে একটু বেশিই খাটিয়েছেন। সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। তাই রাস্তায় কোনো দুঃখী মানুষ দেখলে তার কষ্ট আপনার গায়েও লাগতে পারে। কর্মজীবনের সব সমস্যা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে সমাধান করুন। যদি মনে হয় আপনি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ, তবে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন, ঘুমের মধ্যেই সমাধান এসে যেতে পারে। মীন রাশির নারীরা পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বৈবাহিক জীবনেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে বাঁচতে মেডিটেশন করুন অথবা শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মজা করে সময় কাটান।

মেষ
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থ প্রাপ্তি আর খরচ দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে। হার্টের রোগীরা কফি এড়িয়ে চলুন। কারণ, রক্তচাপ আজ এমনিতেই যথেষ্ট হাই থাকবে। সকালেই পারিবারিক কাজে হঠাৎ ভ্রমণ হতে পারে। মনে রাখবেন, গন্তব্য যেখানেই হোক, বাড়ির লোক সঙ্গে থাকবেই। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হলে সেটা চ্যাটবট দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। সোজাসাপটা কথা বলুন, তবে ঝগড়া নয়, হাসিঠাট্টার মাধ্যমে।
বৃষ
আপনার ভেতরের অলস ব্যক্তিটি আজ ছুটি নিয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে খেলাধুলায় মনোযোগ দিন। হ্যাঁ, কসরত করুন, তবে জিমে গিয়ে যেন ভুল করেও ডাম্বেল তুলতে গিয়ে কাত না হয়ে যান। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য আজ হিমালয়ের চেয়েও উঁচু। এটাই স্থিতিশীলতা আনবে। আজ নতুন কোনো বিনিয়োগ বা উদ্যোগ নিতে পারেন। সাহস করুন, কিন্তু সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প শুনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আজ দারুণ তুখোড়, কিন্তু অফিস পলিটিকস থেকে দূরে থাকুন। আপনার মতো শান্ত মানুষ সহজে টার্গেট হয় না।
মিথুন
আজ আপনার মন আর মস্তিষ্ক—দুটোই নিজেদের মধ্যে কফি ব্রেক নিয়েছে। ফলে আবেগ ও চিন্তার মধ্যে দারুণ ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে কর্মক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা আজ সক্রিয়। কে আপনার টেবিলের নিচে চুইংগাম লাগানোর চেষ্টা করছে, তা খুঁজে বের করতে তৃতীয় চোখটি কাজে লাগান। দিনের শেষে হয়তো সামান্য আঘাত পেতে পারেন। ভয়ের কিছু নেই, হয়তো দরজার ফ্রেমে মাথা ঠুকে যাবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ছোটখাটো ঝগড়া হতে পারে। মনে রাখবেন, ঝগড়া মানেই ডিশ ওয়াশার বাথরুমের মধ্যে ছুড়ে মারা নয়। ঋণ দেওয়া বা নেওয়া থেকে আজ বিরত থাকুন—টাকা ধার দিয়ে বন্ধুর কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না।
কর্কট
আজ মন ‘ভালো জিনিস’-এর প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হবে। হয়তো মেডিটেশন করবেন বা বিশ্বশান্তি নিয়ে ভাববেন। সংবেদনশীলতা আজ আপনার সেরা অস্ত্র। এই সুযোগে পার্টনারের পুরোনো জমে থাকা অভিমানগুলো গলাতে চেষ্টা করুন। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি লাভজনক, কিন্তু কোনো ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে আজ ঋণ দেবেন না। কারণ, সেই টাকা ফিরে আসার সম্ভাবনা সেই সিনেমার সিকুয়েলের মতো, যা কেউ দেখতে চায় না। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কিছু খরচ বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি বা তেল-ঝাল থেকে দূরে থাকুন।
সিংহ
যারা অসুস্থ ছিলেন, তারা আজ সুস্থতার দিকে এক ধাপ এগোবেন। আপনার লক্ষ্য আজ প্রায় হাতের মুঠোয়, কিন্তু মাঝপথে কোনো এক ঝলমলে জিনিস দেখে যেন পথ না হারান! সেটি হবে হয়তো কোনো বন্ধুর নতুন জুতা বা একটি নতুন স্মার্টফোন! সন্তানের জন্য চিন্তা বাড়তে পারে, হতে পারে তারা ভিডিও গেমসে কম সময় দিচ্ছে। গাড়িচালকেরা সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে যদি গাড়ির সিটে আজ আপনার রাজকীয় মেজাজ থাকে। সম্পর্কে ধৈর্য ধরুন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক মানেই শুধু সিংহাসনে বসা নয়, মাঝেমধ্যে ঝাড়ুদার হওয়াও জরুরি।
কন্যা
চাপের কারণে ছোটখাটো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। চাপ কমানোর জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আজ নিজেই নিজের ব্যবসার কর্মচারী হয়ে উঠবেন। কর্মচারীর সাহায্য পেলেও দিনভর খাটনি থাকবে। নিজের উপার্জিত অর্থে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আজ আপনার দিকে দাঁত কেলিয়ে হাসবে। বিরোধীদের সঙ্গে মৌখিক বোঝাপড়ায় লাভবান হবেন। কারণ, আজ আপনার যুক্তি তলোয়ারের মতো ধারালো। তবে গুরুজনের সঙ্গে তর্ক এড়িয়ে চলুন, তাঁরা আপনার যুক্তি শুনবেন না, শুধু বলবেন, ‘আমরা তোমার চেয়ে বেশি দেখেছি।’
তুলা
আজ সবকিছুই ‘ভারসাম্যে’ থাকবে। আপনার প্রেম এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো নতুন গভীরতা পাবে। পুরোনো সব মতপার্থক্য আজ এমনভাবে দূর হবে, যেন সেগুলো কোনো দিন ছিলই না। জটিল পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। ডায়েট মেনু আজ স্বাস্থ্যকর সবজি, ফল, বাদাম ও প্রোটিন শেক দিয়ে পূর্ণ হওয়া উচিত। যদি আজ ডায়েটে পিৎজা ঢোকে, তবে সেটাকে ‘প্রোটিন শেক’ হিসেবে চালিয়ে দিন! পেশাদারেরা আজ অন্যদের থেকে ভালো পারফর্ম করবেন। অফিসে প্রভাব বাড়বে।
বৃশ্চিক
উত্তেজনা আর টেনশন থেকে আজ মুক্তি পাবেন—যেন দীর্ঘদিনের একটা জটিল রহস্য সমাধান হলো। আজ করা বিনিয়োগ আপনাকে সমৃদ্ধি এনে দেবে। তাই বুঝেশুনে বিনিয়োগ করুন। তবে কাজের ক্ষেত্রে আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। আজ বিছানা আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে, কিন্তু সেই টান অগ্রাহ্য করে কাজে নামতে হবে। বাড়িতে খরচের বিষয়ে আলোচনা হলে একদম চুপ করে থাকুন। মতামত দিতে গেলেই বিপদ। কারণ, আলোচনার শেষে সব দোষ আপনার ঘাড়ে চাপতে পারে।
ধনু
সব সমস্যার সেরা প্রতিষেধক হলো হাসি। আজ হাসুন। দেখবেন, গ্রহের অশুভ দৃষ্টিও পালিয়ে গেছে। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু বুঝে খরচ করুন। যদি কোনো বন্ধুর পাল্লায় পড়ে আজ অনলাইন শপিংয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফেলেন, তাহলে জ্যোতিষীকে দোষ দিতে পারবেন না। যারা শুধু হতাশা ছড়ায়, সেই ধরনের বন্ধুদের আজ এড়িয়ে চলুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকবে। আজ কাউকে দেখে হয়তো বিনিয়োগের কথা মনে আসবে, তবে সেটা প্রেমের বিনিয়োগ, শেয়ার মার্কেটের নয়।
মকর
ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারলে সম্পর্কের উন্নতি হবে চোখে পড়ার মতো। তাই মনকে বলুন, ‘আজ আমি হাসিখুশি, আজ আমার মন খারাপ নেই।’ প্রতিযোগিতামূলক কাজে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা আজ আপনাকে পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে সাহায্য করবে। স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা ভাগ করে নিন। দেখবেন, বোঝা অর্ধেক হয়ে গেছে, আর তার ওপর আরও দ্বিগুণ চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া গেছে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অতিভোজন আপনার জন্য শুভ নয়।
কুম্ভ
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আপনার আস্থা বাড়বে। পেশাদারদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন, যেন আপনার সব প্রজেক্টে আজ সবাই ‘হ্যাঁ’ বলছে। হতাশা আজ আপনার স্বাস্থ্যের সর্বনাশ করতে পারে। তাই অতীতের ভুলগুলো নিয়ে আফসোস করা বন্ধ করুন—ওগুলো এখন ইতিহাসের অংশ। গোপন তথ্যগুলো আজ কারও কাছে ফাঁস করবেন না। আর মিষ্টি কথায় আজ কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজ হাসিল করে নিন। মিষ্টি কথা আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আজ বসকে এমন মিষ্টি করে কথা বলুন, যেন তিনি বেতন বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন।
মীন
আজ বিশ্রাম আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সম্প্রতি নিজেকে একটু বেশিই খাটিয়েছেন। সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। তাই রাস্তায় কোনো দুঃখী মানুষ দেখলে তার কষ্ট আপনার গায়েও লাগতে পারে। কর্মজীবনের সব সমস্যা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে সমাধান করুন। যদি মনে হয় আপনি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ, তবে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন, ঘুমের মধ্যেই সমাধান এসে যেতে পারে। মীন রাশির নারীরা পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বৈবাহিক জীবনেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে বাঁচতে মেডিটেশন করুন অথবা শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মজা করে সময় কাটান।

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রকৃতিতে এমন কিছু পাতা আছে যা অনেক গুণে গুণান্বিত। তেমনই একটি পাতা হলো তুলসী। এই পাতার গুণ ও উপকারিতা অনেক। মূলত ভারত, এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের স্থানীয় এই বেসিল বা তুলসীকে একটি পবিত্র এবং মহৎ ভেষজ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকেই তাদের রান্নাঘর বা বাগানে এটি চাষ করেন। ৬০ টিরও বেশি ধরনের তুলসী রয়েছে,
৩ ঘণ্টা আগে
অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হলে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে ব্রণ হয়। বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি মানসিক চাপও সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ যত সহজে হয়, তত সহজে সারে না। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব এবং ব্রণ দূর করা সম্ভব।...
৬ ঘণ্টা আগে
প্রাচীনকাল থেকে আমলকী ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

ক্যানসার প্রতিরোধ
আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।
পুষ্টিতথ্য
১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে
ক্যালরি: ৪৫
চর্বি: ০.৫ গ্রাম
শর্করা: ১০ গ্রাম
আঁশ: ৪ গ্রাম
প্রোটিন: ১ গ্রাম
সতর্কতা
আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।
খাওয়ার পরামর্শ
সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—
আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।
আমলকী সাপ্লিমেন্ট
আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।
খুশকির সমস্যা কমায়
খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।
শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
সূত্র: হেলথ

আমলকী মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত একটি ফল। ছোট, গোলাকার, হলুদে সবুজ এ ফলের স্বাদ তেতো। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও হজম প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া আমলকীতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ ত্বক এবং চুলের যত্নেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলস ও ভিটামিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের হজম ধীর করে। ফল প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে ট্যানিন, এলকালয়েড ও পলিফেনলস রয়েছে। এটি কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থতা নিশ্চিত করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীর সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দুবার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকী এক্সট্র্যাক্ট নিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের কোলেস্টেরল ও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমে গেছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

ক্যানসার প্রতিরোধ
আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’, কোয়ারসেটিন ও এলেজিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্যানসারের ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করলে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমলকীর আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি না করে হজম ঠিক রাখে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং অন্যান্য পেটের সমস্যায় উপকারী।
পুষ্টিতথ্য
১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে
ক্যালরি: ৪৫
চর্বি: ০.৫ গ্রাম
শর্করা: ১০ গ্রাম
আঁশ: ৪ গ্রাম
প্রোটিন: ১ গ্রাম
সতর্কতা
আমলকী রক্ত পাতলা করে। তাই রক্তপাতজনিত ওষুধ সেবনের সময় সাবধানতা জরুরি। যাঁদের আমলকীতে অ্যালার্জি রয়েছে, এটি খেলে তাঁদের পেটের হালকা সমস্যা হতে পারে।
খাওয়ার পরামর্শ
সাধারণত আমলকী পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে, কিছু অঞ্চলে এটি আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমলকীকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার কিছু সহজ উপায়—
আমলকী শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। অনেক অ্যান্টিএজিং পণ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী এক্সট্র্যাক্টযুক্ত জেল ব্যবহারে ত্বকের ভাঁজ, স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় কার্যকর।
আমলকী সাপ্লিমেন্ট
আমলকী ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর সঠিক ডোজ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বক ও হজমে বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে আমলকী।
খুশকির সমস্যা কমায়
খুশকির সমস্যা কমাতে চুলে ব্যবহার করা যায় আমলকীর রস। আমলকী বেটে বা সেদ্ধ করেও ব্যবহার করা যায় চুল ও মাথার ত্বকে।
শুধু খুশকির সমস্যা কমাতে নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে আমলকীর রস। নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যা কমে, নতুন চুলও গজায়। আমলকীর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এ ফলের রস চুলে মাখলে চুল থাকবে চকচকে ও নরম। শ্যাম্পু করার আগে আমলকীর রস ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধ ও ত্বকের যত্নেও সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আমলকী যোগ করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
সূত্র: হেলথ

চার্জারবিহীন ফোন যেন বইঠা ছাড়া নৌকা। পানিতে দুলবে ঠিকই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাবে না। আবার ফোনবিহীন চার্জারও অকেজো। ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই এর গুরুত্ব জানেন। ডিভাইস চার্জ করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রকৃতিতে এমন কিছু পাতা আছে যা অনেক গুণে গুণান্বিত। তেমনই একটি পাতা হলো তুলসী। এই পাতার গুণ ও উপকারিতা অনেক। মূলত ভারত, এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের স্থানীয় এই বেসিল বা তুলসীকে একটি পবিত্র এবং মহৎ ভেষজ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকেই তাদের রান্নাঘর বা বাগানে এটি চাষ করেন। ৬০ টিরও বেশি ধরনের তুলসী রয়েছে,
৩ ঘণ্টা আগে
অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হলে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে ব্রণ হয়। বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি মানসিক চাপও সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ যত সহজে হয়, তত সহজে সারে না। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব এবং ব্রণ দূর করা সম্ভব।...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনার পকেট আজ হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠবে, যেন লটারি জিতেছেন। কিন্তু পকেট সেই সুখ উপভোগ করার আগেই খরচের দল একযোগে হামলা চালাবে। তাই অর্থ প্রাপ্তি আর খরচ দুটোই একে অপরের পিছু নিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে