Ajker Patrika

আরামের ভ্রমণে

আরামের ভ্রমণে

মুখ আর পা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে নাকি শরীরে কম রোগই বাসা বাঁধতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, পা নিয়ন্ত্রণে রাখতে থাকা চাই মনের মতো এক জোড়া জুতা। আর যদি বিষয়টা হয় ভ্রমণ, তাহলে ভালো আরামদায়ক জুতার কোনো বিকল্প নেই। এমনিতে বাঙালির পায়ের তলায় এখন সরষে। তার ওপর ঘরবন্দী হয়ে কেটে গেছে প্রায় দুটো বছর। সবকিছু গুছিয়ে একটু বের হওয়ার সুযোগ যখন হলোই, তখন ঘুরে আসাটা ছাড়া কেন? আলমারি খুলে ট্র্যাভেল ব্যাগ বের করুন। সঙ্গে ভ্রমণবান্ধব অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিন জুতা। ভ্রমণবান্ধব বলা হচ্ছে এ কারণে যে কেমন জুতা সঙ্গে নেবেন, তা নির্ভর করছে আপনি কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন। স্থান অনুযায়ী বেছে নিতে হবে জুতসই জুতা। পাহাড়ে তো আর চপ্পল পরা যায় না, আবার স্নিকার্স পরে সাগরপারে হেঁটে বেড়ানো একেবারেই অসম্ভব। তাই ভ্রমণ গন্তব্য নির্বাচিত হলেই জুতার আলমারিতে খোঁজ করুন সেই জুতাগুলো আছে কি না। 

যেখানে আছে সাগর 
ঝরনা আর জল
এ ধরনের জায়গায় লোকে যায় পানিতে গা ভেজাতে। ফলে সেসব জায়গায় এমন জুতা পরে যাওয়া উচিত, যাতে পায়ের অংশটা খোলা থাকে। অন্যদিকে পানির কারণে যেন জুতাজোড়া নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুইমিং পুল, ঝিরি, নদী, সমুদ্র এসব জায়গার জন্য আদর্শ হচ্ছে প্লাস্টিক বা রাবারের স্যান্ডেল। তবে কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে স্যান্ডেলের তলা যেন একেবারেই সমান না থাকে। কারণ ঝরনা বা পাথুরে নদীর পাথরগুলো বেশ পিচ্ছিল থাকে। ফলে এমন স্যান্ডেল বা স্যান্ডেল সু পরা উচিত, যাতে করে পিছলে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা না থাকে। হালকা ওজনের গ্রিপওয়ালা স্যান্ডেল পরে গেলে সবচেয়ে ভালো হয়।  

পাহাড়ে যাওয়ার সময়
অ্যাংকল বুট, হাইকিং বুট পরলে ভালো। এগুলো শীত বা বর্ষা যেকোনো সময়ই পরার উপযোগী। বিশেষত হাউকিংয়ের জন্য এ ধরনের জুতা খুব ভালো। তবে ব্যাকপ্যাকে এক জোড়া রাবারের স্পঞ্জ রাখতে ভুলবেন না। 

ছবি: রনি বাউলঅ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য ওয়াটারপ্রুফ স্নিকারের বিকল্প নেই। গহিন বন হোক বা কর্দমাক্ত পাহাড়ি পথ, যেখানেই পা রাখুন না কেন, পা শুকনো থাকবে। তা ছাড়া এ জুতাগুলো ওজনে হালকা। এগুলোয় পা সহজে ঘামে না বলে আরামদায়ক।

পিকনিকে
বনভোজন বা পিকনিকে গেলে ফুরফুরে থাকাটাই মুখ্য। তাই এ সময় যে ধরনের জুতা স্বস্তি দেয়, তা-ই পরা উচিত। তবে এড়িয়ে যেতে হবে সব ধরনের হিল জুতা। যাঁদের পা বেশি ঘামে, তাঁরা পা খোলা থাকে—এমন জুতা পরুন। অনেক বেশি আঁটসাঁট জুতা পরা থেকে বিরত থাকুন। 

মনে রাখতে হবে

  • গন্তব্য যেখানেই হোক না কেন, ভ্রমণের জুতা সব সময়ই আরামদায়ক হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি যে জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানকার জন্য যেন জুতা উপযোগী হয়।
  • আরামের কথা মাথায় রেখে ট্রেন্ড বা স্টাইলের কথা ভুলে যাবেন, তা কিন্তু নয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ভ্রমণবান্ধব জুতা সঙ্গে নিন।
  • একের বেশি নিতে হলে হালকা জুতা ব্যাগে নিন। ভ্রমণের জন্য সব সময়ই হালকা ওজনের জুতাই আদর্শ।
  • বুট, ট্রেনার, স্নিকারের সঙ্গে সুতির মোজা পরুন। এতে পা ঘামবে না; জুতায় দুর্গন্ধ হবে না।
  • কাপড়ের বা একবার ভিজলে সহজে শুকায় না, এমন জুতা সঙ্গে নিলে ব্যাকপ্যাকে এক জোড়া ব্যাকআপ জুতা রাখুন।
  • জুতার তলা যেন কোনোভাবেই মসৃণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

সূত্র: লোকাল অ্যাডভেঞ্চার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত