
ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। রয়েছে একই নামে ইউটিউব চ্যানেলও।
নাজিয়া সুলতানা পেশায় জনস্বাস্থ্য গবেষক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে কাজ করছেন। এ কাজ করলেও মূলত ঘর সাজানোই তাঁর প্যাশন। ছোটবেলা থেকে নাটক, সিনেমা দেখার সময় সবার আগে সেটের দিকে নজর পড়ত তাঁর। কোথাও বেড়াতে গেলেও দেখতেন, সেই ঘর কেমন করে সাজানো হয়েছে। করোনা লকডাউনের সময় তিনি এক রুমের একটি বাসা নেন। হাতে ছিল অনেক সময়। সে সময় মাথায় আসে এক রুমের বাসাকে কীভাবে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঘর সাজানোর কিছু কিছু উপকরণ নিজেই তৈরি করতে থাকেন। এরপর গল্পটা এগিয়ে গেছে সময়ের হাত ধরে।
হোম ডেকরের গল্প
অনেকে ভাবেন, হোম ডেকোরেশন একটা বিলাসবহুল ভাবনা। পরিপাটি ও সুন্দর করে ঘর সাজাতে বোধ হয় অনেক খরচ করতে হয়। সেই ভাবনা যে অমূলক, তা নয়। কিন্তু নাজিয়ার প্রচেষ্টা ছিল, কম খরচে কী করে ঘর সাজানোর উপায় বের করা যায়, সে বিষয়ে। তিনি ভেবেছিলেন, বিলাসবহুল পণ্য়ের একটা স্বল্পমূল্য়ের বিকল্প যদি খুঁজে বের করতে পারেন, আর তা মানুষকে জানানো গেলে তা অনেকের কাজে লাগবে। সেই চিন্তা থেকেই ফেসবুকে পেজ খোলেন। ২০২১ সালের কথা। তখন ফেসবুক বা ইউটিউবে বাংলাদেশি হোম ডেকর আইটেমের কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া যেত না। নাজিয়া যাঁদের ফলো করতেন, তাঁরা অন্য দেশের। তখন তাঁর মনে হয়, হোম ডেকর বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা ভেবেই ফেসবুকে পেজ খুলে ফেলেন নাজিয়া।
কম বাজেটে ঘর সাজানো কম বাজেটে ঘর সাজাতে হলে সবার আগে ব্র্যান্ডের ঝাঁ-চকচকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, একটি পণ্য যখন ধাপে ধাপে তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে বাজারে আসে, তখন স্বভাবতই এর দামটা বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে
কোনো একটি ডিজাইন বাছাই করে সেই আসবাব বা ডেকর আইটেম বানিয়ে নেওয়া গেলে খরচ কম হয়। আবার একটা ব্র্যান্ডের আসবাব যদি ডিজাইন দিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে সাধারণ কাঁচামালে বানিয়ে নিজেই রং করে নেওয়া যায়, তাহলে জিনিস নিজের পছন্দমতোও হয়, আবার খরচটাও কম পড়ে।
নিজের তৈরি উপকরণ
বিষয়টি যেহেতু নাজিয়ার পছন্দের, তাই আলাপ দীর্ঘ হলো এই পর্বে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি। জানালেন, ঘরের জন্য নিজের পছন্দমতো আসবাব ও ডেকর আইটেম বানিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
যেমন ধরুন, আপনি ঘরের জন্য বেতের ল্যাম্প খুঁজছেন। কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। এরপর মাছ ধরার পলোতে ট্যাসেল বসিয়ে প্রায় সে রকমই দেখতে পেনডেন্ড ল্যাম্প বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ভাড়া বাসায় দেয়ালে রং করা হয় না। সে ক্ষেত্রে কাগজ কেটে রং করে মাসকিন টেপ দিয়ে দেয়ালে বসিয়ে দিতে পারেন। এতে টেপ তুলে ফেলা যায়, দেয়ালটাও নষ্ট হয় না। এ ছাড়া পারটেক্স বা কম দামি কাঠ
দিয়ে আসবাব বানিয়ে সেটা নিজের পছন্দমতো রং করে নেওয়া যায়। নাজিয়া জানালেন, একটু ছেঁড়া জামদানি শাড়ি দিয়ে পর্দা বানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পেজে সেই কনটেন্ট খুব প্রশংসিত হয়েছে। জামদানি বেশি কাউন্টে সুতায় বোনা হয় বলে পাতলা হয়। আলো-আঁধারির খেলাটাও জমে ভালো। দেখতেও বেশ ভালো লাগে। এর বাইরে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় ক্যানভাসে জড়িয়ে সেটাকেই ওয়ালম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর পুরোনো কাপড় কেটে বানানো যায় কুশন কভার।
গৃহসজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ঘরের রংটা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ঘরে অফ হোয়াইট রং করা থাকলে দেখতে খুব ভালো লাগে। এরপর চাইলে একটা দেয়ালে অন্য রং করা যায়। সেখানে স্টেটমেন্ট ফার্নিচার রাখা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হলো পর্দা। পর্দা যদি সাদার মধ্য়ে রঙিন ছাপার হয়, তাহলে সেটার ভেতর দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করে। ফলে ওই ঘর দেখতে ভালো লাগে। যাদের ঘরে একেবারেই আলো প্রবেশ করে না, তাদের ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নাজিয়া। তাতে ঘর অনেক আরামদায়ক ও প্রশান্তিময় লাগবে।
গরমকালে ঘর সাজানোর জন্য
হালকা রঙের চাদর ও পর্দা নির্বাচন করতে হবে। নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পর্দার রং হালকা হলেও কাপড় ভারী হলে ভালো। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালায় মাঝখানে নেটের পর্দা দিয়ে দুই পাশে ভারী পর্দা লাগিয়ে পারেন অথবা দুই স্তরের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। সুন্দর পাত্রে ঠান্ডা পানি ভরে পাথর দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। খুব কম আসবাব ঘরে রাখতে হবে। এ ছাড়া ফ্লোরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। রয়েছে একই নামে ইউটিউব চ্যানেলও।
নাজিয়া সুলতানা পেশায় জনস্বাস্থ্য গবেষক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে কাজ করছেন। এ কাজ করলেও মূলত ঘর সাজানোই তাঁর প্যাশন। ছোটবেলা থেকে নাটক, সিনেমা দেখার সময় সবার আগে সেটের দিকে নজর পড়ত তাঁর। কোথাও বেড়াতে গেলেও দেখতেন, সেই ঘর কেমন করে সাজানো হয়েছে। করোনা লকডাউনের সময় তিনি এক রুমের একটি বাসা নেন। হাতে ছিল অনেক সময়। সে সময় মাথায় আসে এক রুমের বাসাকে কীভাবে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঘর সাজানোর কিছু কিছু উপকরণ নিজেই তৈরি করতে থাকেন। এরপর গল্পটা এগিয়ে গেছে সময়ের হাত ধরে।
হোম ডেকরের গল্প
অনেকে ভাবেন, হোম ডেকোরেশন একটা বিলাসবহুল ভাবনা। পরিপাটি ও সুন্দর করে ঘর সাজাতে বোধ হয় অনেক খরচ করতে হয়। সেই ভাবনা যে অমূলক, তা নয়। কিন্তু নাজিয়ার প্রচেষ্টা ছিল, কম খরচে কী করে ঘর সাজানোর উপায় বের করা যায়, সে বিষয়ে। তিনি ভেবেছিলেন, বিলাসবহুল পণ্য়ের একটা স্বল্পমূল্য়ের বিকল্প যদি খুঁজে বের করতে পারেন, আর তা মানুষকে জানানো গেলে তা অনেকের কাজে লাগবে। সেই চিন্তা থেকেই ফেসবুকে পেজ খোলেন। ২০২১ সালের কথা। তখন ফেসবুক বা ইউটিউবে বাংলাদেশি হোম ডেকর আইটেমের কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া যেত না। নাজিয়া যাঁদের ফলো করতেন, তাঁরা অন্য দেশের। তখন তাঁর মনে হয়, হোম ডেকর বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা ভেবেই ফেসবুকে পেজ খুলে ফেলেন নাজিয়া।
কম বাজেটে ঘর সাজানো কম বাজেটে ঘর সাজাতে হলে সবার আগে ব্র্যান্ডের ঝাঁ-চকচকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, একটি পণ্য যখন ধাপে ধাপে তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে বাজারে আসে, তখন স্বভাবতই এর দামটা বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে
কোনো একটি ডিজাইন বাছাই করে সেই আসবাব বা ডেকর আইটেম বানিয়ে নেওয়া গেলে খরচ কম হয়। আবার একটা ব্র্যান্ডের আসবাব যদি ডিজাইন দিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে সাধারণ কাঁচামালে বানিয়ে নিজেই রং করে নেওয়া যায়, তাহলে জিনিস নিজের পছন্দমতোও হয়, আবার খরচটাও কম পড়ে।
নিজের তৈরি উপকরণ
বিষয়টি যেহেতু নাজিয়ার পছন্দের, তাই আলাপ দীর্ঘ হলো এই পর্বে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি। জানালেন, ঘরের জন্য নিজের পছন্দমতো আসবাব ও ডেকর আইটেম বানিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
যেমন ধরুন, আপনি ঘরের জন্য বেতের ল্যাম্প খুঁজছেন। কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। এরপর মাছ ধরার পলোতে ট্যাসেল বসিয়ে প্রায় সে রকমই দেখতে পেনডেন্ড ল্যাম্প বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ভাড়া বাসায় দেয়ালে রং করা হয় না। সে ক্ষেত্রে কাগজ কেটে রং করে মাসকিন টেপ দিয়ে দেয়ালে বসিয়ে দিতে পারেন। এতে টেপ তুলে ফেলা যায়, দেয়ালটাও নষ্ট হয় না। এ ছাড়া পারটেক্স বা কম দামি কাঠ
দিয়ে আসবাব বানিয়ে সেটা নিজের পছন্দমতো রং করে নেওয়া যায়। নাজিয়া জানালেন, একটু ছেঁড়া জামদানি শাড়ি দিয়ে পর্দা বানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পেজে সেই কনটেন্ট খুব প্রশংসিত হয়েছে। জামদানি বেশি কাউন্টে সুতায় বোনা হয় বলে পাতলা হয়। আলো-আঁধারির খেলাটাও জমে ভালো। দেখতেও বেশ ভালো লাগে। এর বাইরে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় ক্যানভাসে জড়িয়ে সেটাকেই ওয়ালম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর পুরোনো কাপড় কেটে বানানো যায় কুশন কভার।
গৃহসজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ঘরের রংটা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ঘরে অফ হোয়াইট রং করা থাকলে দেখতে খুব ভালো লাগে। এরপর চাইলে একটা দেয়ালে অন্য রং করা যায়। সেখানে স্টেটমেন্ট ফার্নিচার রাখা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হলো পর্দা। পর্দা যদি সাদার মধ্য়ে রঙিন ছাপার হয়, তাহলে সেটার ভেতর দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করে। ফলে ওই ঘর দেখতে ভালো লাগে। যাদের ঘরে একেবারেই আলো প্রবেশ করে না, তাদের ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নাজিয়া। তাতে ঘর অনেক আরামদায়ক ও প্রশান্তিময় লাগবে।
গরমকালে ঘর সাজানোর জন্য
হালকা রঙের চাদর ও পর্দা নির্বাচন করতে হবে। নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পর্দার রং হালকা হলেও কাপড় ভারী হলে ভালো। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালায় মাঝখানে নেটের পর্দা দিয়ে দুই পাশে ভারী পর্দা লাগিয়ে পারেন অথবা দুই স্তরের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। সুন্দর পাত্রে ঠান্ডা পানি ভরে পাথর দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। খুব কম আসবাব ঘরে রাখতে হবে। এ ছাড়া ফ্লোরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। রয়েছে একই নামে ইউটিউব চ্যানেলও।
নাজিয়া সুলতানা পেশায় জনস্বাস্থ্য গবেষক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে কাজ করছেন। এ কাজ করলেও মূলত ঘর সাজানোই তাঁর প্যাশন। ছোটবেলা থেকে নাটক, সিনেমা দেখার সময় সবার আগে সেটের দিকে নজর পড়ত তাঁর। কোথাও বেড়াতে গেলেও দেখতেন, সেই ঘর কেমন করে সাজানো হয়েছে। করোনা লকডাউনের সময় তিনি এক রুমের একটি বাসা নেন। হাতে ছিল অনেক সময়। সে সময় মাথায় আসে এক রুমের বাসাকে কীভাবে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঘর সাজানোর কিছু কিছু উপকরণ নিজেই তৈরি করতে থাকেন। এরপর গল্পটা এগিয়ে গেছে সময়ের হাত ধরে।
হোম ডেকরের গল্প
অনেকে ভাবেন, হোম ডেকোরেশন একটা বিলাসবহুল ভাবনা। পরিপাটি ও সুন্দর করে ঘর সাজাতে বোধ হয় অনেক খরচ করতে হয়। সেই ভাবনা যে অমূলক, তা নয়। কিন্তু নাজিয়ার প্রচেষ্টা ছিল, কম খরচে কী করে ঘর সাজানোর উপায় বের করা যায়, সে বিষয়ে। তিনি ভেবেছিলেন, বিলাসবহুল পণ্য়ের একটা স্বল্পমূল্য়ের বিকল্প যদি খুঁজে বের করতে পারেন, আর তা মানুষকে জানানো গেলে তা অনেকের কাজে লাগবে। সেই চিন্তা থেকেই ফেসবুকে পেজ খোলেন। ২০২১ সালের কথা। তখন ফেসবুক বা ইউটিউবে বাংলাদেশি হোম ডেকর আইটেমের কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া যেত না। নাজিয়া যাঁদের ফলো করতেন, তাঁরা অন্য দেশের। তখন তাঁর মনে হয়, হোম ডেকর বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা ভেবেই ফেসবুকে পেজ খুলে ফেলেন নাজিয়া।
কম বাজেটে ঘর সাজানো কম বাজেটে ঘর সাজাতে হলে সবার আগে ব্র্যান্ডের ঝাঁ-চকচকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, একটি পণ্য যখন ধাপে ধাপে তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে বাজারে আসে, তখন স্বভাবতই এর দামটা বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে
কোনো একটি ডিজাইন বাছাই করে সেই আসবাব বা ডেকর আইটেম বানিয়ে নেওয়া গেলে খরচ কম হয়। আবার একটা ব্র্যান্ডের আসবাব যদি ডিজাইন দিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে সাধারণ কাঁচামালে বানিয়ে নিজেই রং করে নেওয়া যায়, তাহলে জিনিস নিজের পছন্দমতোও হয়, আবার খরচটাও কম পড়ে।
নিজের তৈরি উপকরণ
বিষয়টি যেহেতু নাজিয়ার পছন্দের, তাই আলাপ দীর্ঘ হলো এই পর্বে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি। জানালেন, ঘরের জন্য নিজের পছন্দমতো আসবাব ও ডেকর আইটেম বানিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
যেমন ধরুন, আপনি ঘরের জন্য বেতের ল্যাম্প খুঁজছেন। কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। এরপর মাছ ধরার পলোতে ট্যাসেল বসিয়ে প্রায় সে রকমই দেখতে পেনডেন্ড ল্যাম্প বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ভাড়া বাসায় দেয়ালে রং করা হয় না। সে ক্ষেত্রে কাগজ কেটে রং করে মাসকিন টেপ দিয়ে দেয়ালে বসিয়ে দিতে পারেন। এতে টেপ তুলে ফেলা যায়, দেয়ালটাও নষ্ট হয় না। এ ছাড়া পারটেক্স বা কম দামি কাঠ
দিয়ে আসবাব বানিয়ে সেটা নিজের পছন্দমতো রং করে নেওয়া যায়। নাজিয়া জানালেন, একটু ছেঁড়া জামদানি শাড়ি দিয়ে পর্দা বানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পেজে সেই কনটেন্ট খুব প্রশংসিত হয়েছে। জামদানি বেশি কাউন্টে সুতায় বোনা হয় বলে পাতলা হয়। আলো-আঁধারির খেলাটাও জমে ভালো। দেখতেও বেশ ভালো লাগে। এর বাইরে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় ক্যানভাসে জড়িয়ে সেটাকেই ওয়ালম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর পুরোনো কাপড় কেটে বানানো যায় কুশন কভার।
গৃহসজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ঘরের রংটা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ঘরে অফ হোয়াইট রং করা থাকলে দেখতে খুব ভালো লাগে। এরপর চাইলে একটা দেয়ালে অন্য রং করা যায়। সেখানে স্টেটমেন্ট ফার্নিচার রাখা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হলো পর্দা। পর্দা যদি সাদার মধ্য়ে রঙিন ছাপার হয়, তাহলে সেটার ভেতর দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করে। ফলে ওই ঘর দেখতে ভালো লাগে। যাদের ঘরে একেবারেই আলো প্রবেশ করে না, তাদের ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নাজিয়া। তাতে ঘর অনেক আরামদায়ক ও প্রশান্তিময় লাগবে।
গরমকালে ঘর সাজানোর জন্য
হালকা রঙের চাদর ও পর্দা নির্বাচন করতে হবে। নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পর্দার রং হালকা হলেও কাপড় ভারী হলে ভালো। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালায় মাঝখানে নেটের পর্দা দিয়ে দুই পাশে ভারী পর্দা লাগিয়ে পারেন অথবা দুই স্তরের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। সুন্দর পাত্রে ঠান্ডা পানি ভরে পাথর দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। খুব কম আসবাব ঘরে রাখতে হবে। এ ছাড়া ফ্লোরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। রয়েছে একই নামে ইউটিউব চ্যানেলও।
নাজিয়া সুলতানা পেশায় জনস্বাস্থ্য গবেষক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে কাজ করছেন। এ কাজ করলেও মূলত ঘর সাজানোই তাঁর প্যাশন। ছোটবেলা থেকে নাটক, সিনেমা দেখার সময় সবার আগে সেটের দিকে নজর পড়ত তাঁর। কোথাও বেড়াতে গেলেও দেখতেন, সেই ঘর কেমন করে সাজানো হয়েছে। করোনা লকডাউনের সময় তিনি এক রুমের একটি বাসা নেন। হাতে ছিল অনেক সময়। সে সময় মাথায় আসে এক রুমের বাসাকে কীভাবে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঘর সাজানোর কিছু কিছু উপকরণ নিজেই তৈরি করতে থাকেন। এরপর গল্পটা এগিয়ে গেছে সময়ের হাত ধরে।
হোম ডেকরের গল্প
অনেকে ভাবেন, হোম ডেকোরেশন একটা বিলাসবহুল ভাবনা। পরিপাটি ও সুন্দর করে ঘর সাজাতে বোধ হয় অনেক খরচ করতে হয়। সেই ভাবনা যে অমূলক, তা নয়। কিন্তু নাজিয়ার প্রচেষ্টা ছিল, কম খরচে কী করে ঘর সাজানোর উপায় বের করা যায়, সে বিষয়ে। তিনি ভেবেছিলেন, বিলাসবহুল পণ্য়ের একটা স্বল্পমূল্য়ের বিকল্প যদি খুঁজে বের করতে পারেন, আর তা মানুষকে জানানো গেলে তা অনেকের কাজে লাগবে। সেই চিন্তা থেকেই ফেসবুকে পেজ খোলেন। ২০২১ সালের কথা। তখন ফেসবুক বা ইউটিউবে বাংলাদেশি হোম ডেকর আইটেমের কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া যেত না। নাজিয়া যাঁদের ফলো করতেন, তাঁরা অন্য দেশের। তখন তাঁর মনে হয়, হোম ডেকর বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা ভেবেই ফেসবুকে পেজ খুলে ফেলেন নাজিয়া।
কম বাজেটে ঘর সাজানো কম বাজেটে ঘর সাজাতে হলে সবার আগে ব্র্যান্ডের ঝাঁ-চকচকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, একটি পণ্য যখন ধাপে ধাপে তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে বাজারে আসে, তখন স্বভাবতই এর দামটা বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে
কোনো একটি ডিজাইন বাছাই করে সেই আসবাব বা ডেকর আইটেম বানিয়ে নেওয়া গেলে খরচ কম হয়। আবার একটা ব্র্যান্ডের আসবাব যদি ডিজাইন দিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে সাধারণ কাঁচামালে বানিয়ে নিজেই রং করে নেওয়া যায়, তাহলে জিনিস নিজের পছন্দমতোও হয়, আবার খরচটাও কম পড়ে।
নিজের তৈরি উপকরণ
বিষয়টি যেহেতু নাজিয়ার পছন্দের, তাই আলাপ দীর্ঘ হলো এই পর্বে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি। জানালেন, ঘরের জন্য নিজের পছন্দমতো আসবাব ও ডেকর আইটেম বানিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
যেমন ধরুন, আপনি ঘরের জন্য বেতের ল্যাম্প খুঁজছেন। কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। এরপর মাছ ধরার পলোতে ট্যাসেল বসিয়ে প্রায় সে রকমই দেখতে পেনডেন্ড ল্যাম্প বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ভাড়া বাসায় দেয়ালে রং করা হয় না। সে ক্ষেত্রে কাগজ কেটে রং করে মাসকিন টেপ দিয়ে দেয়ালে বসিয়ে দিতে পারেন। এতে টেপ তুলে ফেলা যায়, দেয়ালটাও নষ্ট হয় না। এ ছাড়া পারটেক্স বা কম দামি কাঠ
দিয়ে আসবাব বানিয়ে সেটা নিজের পছন্দমতো রং করে নেওয়া যায়। নাজিয়া জানালেন, একটু ছেঁড়া জামদানি শাড়ি দিয়ে পর্দা বানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পেজে সেই কনটেন্ট খুব প্রশংসিত হয়েছে। জামদানি বেশি কাউন্টে সুতায় বোনা হয় বলে পাতলা হয়। আলো-আঁধারির খেলাটাও জমে ভালো। দেখতেও বেশ ভালো লাগে। এর বাইরে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় ক্যানভাসে জড়িয়ে সেটাকেই ওয়ালম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর পুরোনো কাপড় কেটে বানানো যায় কুশন কভার।
গৃহসজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ঘরের রংটা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ঘরে অফ হোয়াইট রং করা থাকলে দেখতে খুব ভালো লাগে। এরপর চাইলে একটা দেয়ালে অন্য রং করা যায়। সেখানে স্টেটমেন্ট ফার্নিচার রাখা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হলো পর্দা। পর্দা যদি সাদার মধ্য়ে রঙিন ছাপার হয়, তাহলে সেটার ভেতর দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করে। ফলে ওই ঘর দেখতে ভালো লাগে। যাদের ঘরে একেবারেই আলো প্রবেশ করে না, তাদের ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নাজিয়া। তাতে ঘর অনেক আরামদায়ক ও প্রশান্তিময় লাগবে।
গরমকালে ঘর সাজানোর জন্য
হালকা রঙের চাদর ও পর্দা নির্বাচন করতে হবে। নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পর্দার রং হালকা হলেও কাপড় ভারী হলে ভালো। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালায় মাঝখানে নেটের পর্দা দিয়ে দুই পাশে ভারী পর্দা লাগিয়ে পারেন অথবা দুই স্তরের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। সুন্দর পাত্রে ঠান্ডা পানি ভরে পাথর দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। খুব কম আসবাব ঘরে রাখতে হবে। এ ছাড়া ফ্লোরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

বাজারটির নাম মাহেন্দ্রা। এখাতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান কমছে দিন দিন। সেগুলোতে চালু হচ্ছে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম। ছোট্ট বাজারটিতে এখন এমন শোরুমের সংখ্যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে অন্তত ৫০টি। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের এই বাজার পড়েছে পুঠিয়া উপজেলায়। সব ধরনের পুরোনো মোটরসাইকেলের এই মোকাম এখন...
৩ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
১১ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
১৪ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

বাজারটির নাম মাহেন্দ্রা। এখাতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান কমছে দিন দিন। সেগুলোতে চালু হচ্ছে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম। ছোট্ট বাজারটিতে এখন এমন শোরুমের সংখ্যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে অন্তত ৫০টি। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের এই বাজার পড়েছে পুঠিয়া উপজেলায়। সব ধরনের পুরোনো মোটরসাইকেলের এই মোকাম এখন জমজমাট।
শুধু রাজশাহী শহরই নয়, আশপাশের সব উপজেলা থেকে মানুষ এখানে পুরোনো মোটরসাইকেল কিনতে কিংবা বিক্রি করতে আসে। আশপাশের জেলা থেকেও ক্রেতারা আসেন পছন্দের মোটরসাইকেলটি খুঁজে নিতে। এখানে শোরুম বেশি, তাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও বেশি। তাই এখানে তুলনামূলক কম দামে মোটরসাইকেল পাওয়া যায়।
গত সোমবার সকালে মাহেন্দ্রা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কোনো শোরুমে ক্রেতাদের সঙ্গে চলছে দরদাম, কোনো কোনোটিতে কর্মচারীরা মোটরসাইকেল পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত। পুরোনো মোটরসাইকেলও তাই দেখাচ্ছে নতুনের মতো। শোরুমগুলোতে আশির দশকের হোন্ডা সিজি-১২৫, হোন্ডা সি-৯০, সুজুকি এ-৮০, ইয়ামাহা এএক্স-১০০-এর মতো পুরোনো মডেলের পাশাপাশি হালের জনপ্রিয় মোটরসাইকেলগুলোও আছে।
মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে এখানে প্রথম পুরোনো মোটরসাইকেল কেনাবেচা শুরু হয়েছিল ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি শোরুমে। ফয়সাল আহমেদের পরে পলান, আরিফ ও জাহাঙ্গীর শোরুম দেন এখানে। বেচাকেনার অবস্থা ভালো দেখে গত চার বছরে আরও অন্তত ৪৫টি শোরুম গড়ে উঠেছে এখানে। সবার ব্যবসা চলছে। এখান থেকে কেউ একটি মডেলের মোটরসাইকেল কেনার পর চাইলে সেটি আবার ফেরত দিয়ে অন্য মডেলের মোটরসাইকেলও নিতে পারেন।

কথা হয় অরণ্য-অপূর্ব এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুরোনো মোটরসাইকেলের জন্য এই জায়গা এখন বিখ্যাত হয়ে গেছে। ৫০-৫২টা শোরুম। কাস্টমার এলে ঘুরে যায় না। শোরুম ঘুরে ঘুরে একটা না একটা মোটরসাইকেল দামে-দরে মিলে যায়। এখানে দাম কম নয়, আবার বেশিও নয়। সবার মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা আছে। তাই যেটা সঠিক দাম, সেভাবেই বিক্রি হয়। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা দুপক্ষই খুশি থাকে।’
রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর শোরুমটি আগে মাছের খাবারের দোকান ছিল। সেই দোকান তুলে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম করেছেন। এভাবেই আগের বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকানগুলো শোরুম হয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি মোটরসাইকেল কেনাবেচা হয়।
মেসার্স আবতার এন্টার প্রাইজের কর্মচারী শাহাদ আলী জানান, এ জায়গার নাম সবখানে ছড়িয়ে গেছে। রাজশাহী শহর ও আশপাশের সব উপজেলা থেকে এখানে মানুষ মোটরসাইকেল বিক্রি করতে আসে। একইভাবে অনেক মানুষ গাড়ি কিনতেও আসে। রাজশাহীর পাশাপাশি নওগাঁ, নাটোর ও বগুড়া থেকে ক্রেতারা এখানে মোটরসাইকেল কিনতে আসে।
শাহেদ বলেন, ‘এখানে কেউ গাড়ি (মোটরসাইকেল) বিক্রি করতে এসে ফিরে যায় না। এতগুলো শোরুম, কোথাও না কোথাও দামে-দরে মিলে যায়। তারা গাড়ি বিক্রি করে। এমনও হয় যে নতুন গাড়ি কেনার ১৫ দিনও হয়নি। কেনার পর পছন্দ হচ্ছে না বলে মালিক বিক্রি করতে এসেছেন। গাড়ির যেমন অবস্থা থাকে, সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। কেউই যাতে না ঠকে।’
রাজশাহীর বাগমারা থেকে মোটরসাইকেল কিনতে এসেছিলেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখানে খুব ভালো ভালো গাড়ি পাওয়া যায়। এমন কোনো গাড়ি নেই যে সেটা পাওয়া যায় না। তাই দেখেশুনে শোরুমে ঘুরে ঘুরে দাম করে গাড়ি কেনা যায়। বিষয়টা জেনেই এসেছি।’
রাজশাহীর নওহাটা থেকে মোটরসাইকেল বিক্রি করতে গিয়েছিলেন শাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ টাকার দরকার। তাই গাড়িটা বেচতে এসেছি। কয়েকটা শোরুমে দেখিয়ে দাম জানলাম। আরও কয়েকটা দেখব। যেখানে দাম বেশি পাব, সেখানে দিয়ে চলে যাব।’
কথা হয় মোহাম্মদ মোটরস নামের একটি শোরুমের মালিক মো. শাহীনের সঙ্গে। শাহীন জানান, আগে তিনি ট্রাক চালাতেন। সড়কে দুর্ঘটনা বেশি। তাই বিকল্প কিছু করার কথা ভাবছিলেন। খেয়াল করেন, বাজারে পুরোনো মোটরসাইকেলের ব্যবসা জমজমাট। তাই ৩ মাস আগে তিনিও শোরুম দিয়েছেন। বেচাকেনা বেশ ভালো হচ্ছে বলেও জানান শাহীন।
তিনি জানান, তাঁরা চুরি করে আনা কোনো মোটরসাইকেল কেনেন না। তাই এ বাজার থেকে মোটরসাইকেল কিনলে কোনো ঝুঁকি নেই। শাহীন বলেন, ‘আমরা কেনার সময় প্রথমেই গাড়ির কাগজপত্র দেখি। বিআরটিএর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। গাড়ির নম্বর দিয়ে বিআরটিএর কাছে জানতে চাই, কোনো সমস্যা আছে কি না। তারা অনলাইনে সার্চ করে দেখে মালিকের নাম নিশ্চিত করে। কোনো সমস্যা আছে কি না জানিয়ে দেয়। সব ঠিক থাকলে কিনি। কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি কোনো শোরুমেই কেনা হয় না। এমন গাড়ি ফেরত যায়।’
যাঁরা পুরোনো মোটরসাইকেল কিনবেন, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শও আছে শাহীনের। জানালেন, এখন প্রায় সব মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকে মরিচা পড়ার সমস্যা আছে। তাই আগেই সেটা দেখতে হবে। মোটরসাইকেল কত কিলোমিটার চলেছে, তা মিটার দেখে কেনা যাবে না। মিটারের কিলোমিটারের হিসাব পরিবর্তন করা যায়। মোটরসাইকেল কিনতে হবে সাল, মডেল ও ইঞ্জিনের অবস্থা দেখে।

বাজারটির নাম মাহেন্দ্রা। এখাতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান কমছে দিন দিন। সেগুলোতে চালু হচ্ছে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম। ছোট্ট বাজারটিতে এখন এমন শোরুমের সংখ্যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে অন্তত ৫০টি। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের এই বাজার পড়েছে পুঠিয়া উপজেলায়। সব ধরনের পুরোনো মোটরসাইকেলের এই মোকাম এখন জমজমাট।
শুধু রাজশাহী শহরই নয়, আশপাশের সব উপজেলা থেকে মানুষ এখানে পুরোনো মোটরসাইকেল কিনতে কিংবা বিক্রি করতে আসে। আশপাশের জেলা থেকেও ক্রেতারা আসেন পছন্দের মোটরসাইকেলটি খুঁজে নিতে। এখানে শোরুম বেশি, তাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও বেশি। তাই এখানে তুলনামূলক কম দামে মোটরসাইকেল পাওয়া যায়।
গত সোমবার সকালে মাহেন্দ্রা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কোনো শোরুমে ক্রেতাদের সঙ্গে চলছে দরদাম, কোনো কোনোটিতে কর্মচারীরা মোটরসাইকেল পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত। পুরোনো মোটরসাইকেলও তাই দেখাচ্ছে নতুনের মতো। শোরুমগুলোতে আশির দশকের হোন্ডা সিজি-১২৫, হোন্ডা সি-৯০, সুজুকি এ-৮০, ইয়ামাহা এএক্স-১০০-এর মতো পুরোনো মডেলের পাশাপাশি হালের জনপ্রিয় মোটরসাইকেলগুলোও আছে।
মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে এখানে প্রথম পুরোনো মোটরসাইকেল কেনাবেচা শুরু হয়েছিল ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি শোরুমে। ফয়সাল আহমেদের পরে পলান, আরিফ ও জাহাঙ্গীর শোরুম দেন এখানে। বেচাকেনার অবস্থা ভালো দেখে গত চার বছরে আরও অন্তত ৪৫টি শোরুম গড়ে উঠেছে এখানে। সবার ব্যবসা চলছে। এখান থেকে কেউ একটি মডেলের মোটরসাইকেল কেনার পর চাইলে সেটি আবার ফেরত দিয়ে অন্য মডেলের মোটরসাইকেলও নিতে পারেন।

কথা হয় অরণ্য-অপূর্ব এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুরোনো মোটরসাইকেলের জন্য এই জায়গা এখন বিখ্যাত হয়ে গেছে। ৫০-৫২টা শোরুম। কাস্টমার এলে ঘুরে যায় না। শোরুম ঘুরে ঘুরে একটা না একটা মোটরসাইকেল দামে-দরে মিলে যায়। এখানে দাম কম নয়, আবার বেশিও নয়। সবার মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা আছে। তাই যেটা সঠিক দাম, সেভাবেই বিক্রি হয়। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা দুপক্ষই খুশি থাকে।’
রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর শোরুমটি আগে মাছের খাবারের দোকান ছিল। সেই দোকান তুলে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম করেছেন। এভাবেই আগের বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকানগুলো শোরুম হয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি মোটরসাইকেল কেনাবেচা হয়।
মেসার্স আবতার এন্টার প্রাইজের কর্মচারী শাহাদ আলী জানান, এ জায়গার নাম সবখানে ছড়িয়ে গেছে। রাজশাহী শহর ও আশপাশের সব উপজেলা থেকে এখানে মানুষ মোটরসাইকেল বিক্রি করতে আসে। একইভাবে অনেক মানুষ গাড়ি কিনতেও আসে। রাজশাহীর পাশাপাশি নওগাঁ, নাটোর ও বগুড়া থেকে ক্রেতারা এখানে মোটরসাইকেল কিনতে আসে।
শাহেদ বলেন, ‘এখানে কেউ গাড়ি (মোটরসাইকেল) বিক্রি করতে এসে ফিরে যায় না। এতগুলো শোরুম, কোথাও না কোথাও দামে-দরে মিলে যায়। তারা গাড়ি বিক্রি করে। এমনও হয় যে নতুন গাড়ি কেনার ১৫ দিনও হয়নি। কেনার পর পছন্দ হচ্ছে না বলে মালিক বিক্রি করতে এসেছেন। গাড়ির যেমন অবস্থা থাকে, সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। কেউই যাতে না ঠকে।’
রাজশাহীর বাগমারা থেকে মোটরসাইকেল কিনতে এসেছিলেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখানে খুব ভালো ভালো গাড়ি পাওয়া যায়। এমন কোনো গাড়ি নেই যে সেটা পাওয়া যায় না। তাই দেখেশুনে শোরুমে ঘুরে ঘুরে দাম করে গাড়ি কেনা যায়। বিষয়টা জেনেই এসেছি।’
রাজশাহীর নওহাটা থেকে মোটরসাইকেল বিক্রি করতে গিয়েছিলেন শাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ টাকার দরকার। তাই গাড়িটা বেচতে এসেছি। কয়েকটা শোরুমে দেখিয়ে দাম জানলাম। আরও কয়েকটা দেখব। যেখানে দাম বেশি পাব, সেখানে দিয়ে চলে যাব।’
কথা হয় মোহাম্মদ মোটরস নামের একটি শোরুমের মালিক মো. শাহীনের সঙ্গে। শাহীন জানান, আগে তিনি ট্রাক চালাতেন। সড়কে দুর্ঘটনা বেশি। তাই বিকল্প কিছু করার কথা ভাবছিলেন। খেয়াল করেন, বাজারে পুরোনো মোটরসাইকেলের ব্যবসা জমজমাট। তাই ৩ মাস আগে তিনিও শোরুম দিয়েছেন। বেচাকেনা বেশ ভালো হচ্ছে বলেও জানান শাহীন।
তিনি জানান, তাঁরা চুরি করে আনা কোনো মোটরসাইকেল কেনেন না। তাই এ বাজার থেকে মোটরসাইকেল কিনলে কোনো ঝুঁকি নেই। শাহীন বলেন, ‘আমরা কেনার সময় প্রথমেই গাড়ির কাগজপত্র দেখি। বিআরটিএর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। গাড়ির নম্বর দিয়ে বিআরটিএর কাছে জানতে চাই, কোনো সমস্যা আছে কি না। তারা অনলাইনে সার্চ করে দেখে মালিকের নাম নিশ্চিত করে। কোনো সমস্যা আছে কি না জানিয়ে দেয়। সব ঠিক থাকলে কিনি। কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি কোনো শোরুমেই কেনা হয় না। এমন গাড়ি ফেরত যায়।’
যাঁরা পুরোনো মোটরসাইকেল কিনবেন, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শও আছে শাহীনের। জানালেন, এখন প্রায় সব মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকে মরিচা পড়ার সমস্যা আছে। তাই আগেই সেটা দেখতে হবে। মোটরসাইকেল কত কিলোমিটার চলেছে, তা মিটার দেখে কেনা যাবে না। মিটারের কিলোমিটারের হিসাব পরিবর্তন করা যায়। মোটরসাইকেল কিনতে হবে সাল, মডেল ও ইঞ্জিনের অবস্থা দেখে।

ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ
২৯ মে ২০২৩
ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
১১ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘর যতই ঝকঝকে দেখাক না কেন, সে ঘরেও বেড বাগ থাকতে পারে। কারণ এই পোকাগুলো ময়লার দিকে আকৃষ্ট হয় না; বরং তারা আকৃষ্ট হয় কার্বনডাই-অক্সাইড, রক্ত ও উষ্ণতার দিকে। আর এ জিনিসগুলো যেকোনো ঘুমন্ত মানুষের কাছে পাওয়া তাদের জন্য খুবই সহজ। রুমে ঢোকার পর বিছানা, তোশক, সোফার কোনা এবং ড্রয়ারগুলো সাবধানে পরীক্ষা করে নিন।
ছারপোকা ব্যাগে করে বাড়ি নিয়ে না আসতে চাইলে
ভ্রমণ শেষে আপনার লাগেজ বা কাপড়ে করে বেড বাগ বা ছারপোকা কেউই বাড়িতে নিয়ে আসতে চায় না। কিন্তু তার উপায় জানে না বেশির ভাগ মানুষ। এটি মোকাবিলার একটি সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন ‘ডায়মন্ড এক্সটারমিনেটর্স’-এর মালিক জেরি ইয়েসন। তিনি জানান, ভ্রমণ ব্যাগের ফার্স্ট এইড কিটে থাকা রাবিং অ্যালকোহল দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লাগেজের ভেতর লুকিয়ে থাকা বেড বাগ মেরে ফেলতে হবে। ইয়েসনের মতে, রাবিং অ্যালকোহল পোকার বাইরের খোলস দ্রবীভূত করে দেয়, যা ভেতরের দিক থেকে সেটিকে পানিশূন্য করে ফেলে। সে কারণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এরা মারা যায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এটি ডিম বা গভীরভাবে লুকিয়ে থাকা পোকা দূর করে না।’ অর্থাৎ আপনাকে এরপরও কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
পেস্ট কন্ট্রোল বিশেষজ্ঞ জর্জিয়োস লিয়াকোপুলোস বলেন, ‘৭০ শতাংশ ঘনত্বের অ্যালকোহল সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে থাকা পানির উপাদান পোকার খোলের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।’

বিজ্ঞানের চোখে সতর্কতা ও বিপদ
বিশেষজ্ঞদের দাবিগুলো বিজ্ঞান গবেষণায় আংশিকভাবে সমর্থনযোগ্য। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক পোকার ওপর অ্যালকোহল প্রয়োগে ফলাফলের হার বেশ কম। তবে লার্ভা মারতে উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল সরাসরি স্প্রে করা কার্যকর। গবেষক অলিম্পিয়া ফার্গুসন উল্লেখ করেছেন, এ গবেষণায় ব্যবহৃত স্যাম্পলের পরিমাণ বেশি ছিল এবং তা ব্যবহারিক বা নিরাপদ নাও হতে পারে। রাবিং অ্যালকোহল সাবধানে এবং অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। কারণ এটি অত্যন্ত দাহ্য। অ্যালকোহলের ভুল ব্যবহার অনিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
সেরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
পোকার উপদ্রব এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রতিরোধ। এ ব্যবস্থা ভ্রমণের একেবারে শুরু থেকে করা উচিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক হলিডে হোম প্ল্যাটফর্ম পার্ক লিংকের পরিচালক ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল ক্লার্ক। তিনি জানিয়েছেন, লাগেজ রাখার জন্য আদর্শ জায়গা হলো বাথটাব। কারণ এটি সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং এটি ঘরের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। বাথটাব ঘন ঘন পরিষ্কার করা হয়। যদি বাথটাব না থাকে, তবে ঝরনার জায়গার আশপাশে লাগেজ রাখতে পারেন। ঝরনা ব্যবহারের আগে সেগুলো সরিয়ে রাখবেন অবশ্যই।

বাড়িতে পোকা চলে এলে কী করবেন
যদি আপনি ভুল করেও বেড বাগ বাড়িতে নিয়ে আসেন, তবে সেগুলো দূর করতে রাটগার্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।
তাপ বা বাষ্প পদ্ধতি: উচ্চ তাপমাত্রার বাষ্প বা তাপ পোকা ও ডিম মারতে অত্যন্ত কার্যকর।
ফ্রিজিং পদ্ধতি: জিনিসপত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুব ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখলে পোকা মারা যায়।
ভ্যাকুয়াম পদ্ধতি: যতটা সম্ভব সবকিছু ভালো করে ভ্যাকুয়াম করুন।
লাগেজ ছারপোকামুক্ত রাখতে যা করবেন
ছারপোকামুক্ত থাকতে ভ্রমণের আগে ও পরে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যেহেতু বিছানার পোকা সাধারণত ভ্রমণের সময় হোটেল বা অন্যান্য জায়গা থেকে লাগেজে বাসা বাঁধতে পারে, তাই নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
ভ্রমণে যাওয়ার আগে: শক্ত বা হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহার করুন। কাপড়ের ব্যাগের তুলনায় শক্ত খোলসযুক্ত লাগেজ পোকাদের লুকিয়ে থাকার সুযোগ কমিয়ে দেয়। সেগুলো পরিষ্কার করা সহজ।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়িয়ে চলুন: লাগেজ যতটা সম্ভব হালকা রেখে প্রয়োজনীয় জিনিস নিন। কম জিনিস মানে পোকা লুকিয়ে থাকার জায়গা কম।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘর যতই ঝকঝকে দেখাক না কেন, সে ঘরেও বেড বাগ থাকতে পারে। কারণ এই পোকাগুলো ময়লার দিকে আকৃষ্ট হয় না; বরং তারা আকৃষ্ট হয় কার্বনডাই-অক্সাইড, রক্ত ও উষ্ণতার দিকে। আর এ জিনিসগুলো যেকোনো ঘুমন্ত মানুষের কাছে পাওয়া তাদের জন্য খুবই সহজ। রুমে ঢোকার পর বিছানা, তোশক, সোফার কোনা এবং ড্রয়ারগুলো সাবধানে পরীক্ষা করে নিন।
ছারপোকা ব্যাগে করে বাড়ি নিয়ে না আসতে চাইলে
ভ্রমণ শেষে আপনার লাগেজ বা কাপড়ে করে বেড বাগ বা ছারপোকা কেউই বাড়িতে নিয়ে আসতে চায় না। কিন্তু তার উপায় জানে না বেশির ভাগ মানুষ। এটি মোকাবিলার একটি সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন ‘ডায়মন্ড এক্সটারমিনেটর্স’-এর মালিক জেরি ইয়েসন। তিনি জানান, ভ্রমণ ব্যাগের ফার্স্ট এইড কিটে থাকা রাবিং অ্যালকোহল দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লাগেজের ভেতর লুকিয়ে থাকা বেড বাগ মেরে ফেলতে হবে। ইয়েসনের মতে, রাবিং অ্যালকোহল পোকার বাইরের খোলস দ্রবীভূত করে দেয়, যা ভেতরের দিক থেকে সেটিকে পানিশূন্য করে ফেলে। সে কারণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এরা মারা যায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এটি ডিম বা গভীরভাবে লুকিয়ে থাকা পোকা দূর করে না।’ অর্থাৎ আপনাকে এরপরও কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
পেস্ট কন্ট্রোল বিশেষজ্ঞ জর্জিয়োস লিয়াকোপুলোস বলেন, ‘৭০ শতাংশ ঘনত্বের অ্যালকোহল সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে থাকা পানির উপাদান পোকার খোলের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।’

বিজ্ঞানের চোখে সতর্কতা ও বিপদ
বিশেষজ্ঞদের দাবিগুলো বিজ্ঞান গবেষণায় আংশিকভাবে সমর্থনযোগ্য। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক পোকার ওপর অ্যালকোহল প্রয়োগে ফলাফলের হার বেশ কম। তবে লার্ভা মারতে উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল সরাসরি স্প্রে করা কার্যকর। গবেষক অলিম্পিয়া ফার্গুসন উল্লেখ করেছেন, এ গবেষণায় ব্যবহৃত স্যাম্পলের পরিমাণ বেশি ছিল এবং তা ব্যবহারিক বা নিরাপদ নাও হতে পারে। রাবিং অ্যালকোহল সাবধানে এবং অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। কারণ এটি অত্যন্ত দাহ্য। অ্যালকোহলের ভুল ব্যবহার অনিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
সেরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
পোকার উপদ্রব এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রতিরোধ। এ ব্যবস্থা ভ্রমণের একেবারে শুরু থেকে করা উচিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক হলিডে হোম প্ল্যাটফর্ম পার্ক লিংকের পরিচালক ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল ক্লার্ক। তিনি জানিয়েছেন, লাগেজ রাখার জন্য আদর্শ জায়গা হলো বাথটাব। কারণ এটি সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং এটি ঘরের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। বাথটাব ঘন ঘন পরিষ্কার করা হয়। যদি বাথটাব না থাকে, তবে ঝরনার জায়গার আশপাশে লাগেজ রাখতে পারেন। ঝরনা ব্যবহারের আগে সেগুলো সরিয়ে রাখবেন অবশ্যই।

বাড়িতে পোকা চলে এলে কী করবেন
যদি আপনি ভুল করেও বেড বাগ বাড়িতে নিয়ে আসেন, তবে সেগুলো দূর করতে রাটগার্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।
তাপ বা বাষ্প পদ্ধতি: উচ্চ তাপমাত্রার বাষ্প বা তাপ পোকা ও ডিম মারতে অত্যন্ত কার্যকর।
ফ্রিজিং পদ্ধতি: জিনিসপত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুব ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখলে পোকা মারা যায়।
ভ্যাকুয়াম পদ্ধতি: যতটা সম্ভব সবকিছু ভালো করে ভ্যাকুয়াম করুন।
লাগেজ ছারপোকামুক্ত রাখতে যা করবেন
ছারপোকামুক্ত থাকতে ভ্রমণের আগে ও পরে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যেহেতু বিছানার পোকা সাধারণত ভ্রমণের সময় হোটেল বা অন্যান্য জায়গা থেকে লাগেজে বাসা বাঁধতে পারে, তাই নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
ভ্রমণে যাওয়ার আগে: শক্ত বা হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহার করুন। কাপড়ের ব্যাগের তুলনায় শক্ত খোলসযুক্ত লাগেজ পোকাদের লুকিয়ে থাকার সুযোগ কমিয়ে দেয়। সেগুলো পরিষ্কার করা সহজ।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়িয়ে চলুন: লাগেজ যতটা সম্ভব হালকা রেখে প্রয়োজনীয় জিনিস নিন। কম জিনিস মানে পোকা লুকিয়ে থাকার জায়গা কম।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ
২৯ মে ২০২৩
বাজারটির নাম মাহেন্দ্রা। এখাতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান কমছে দিন দিন। সেগুলোতে চালু হচ্ছে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম। ছোট্ট বাজারটিতে এখন এমন শোরুমের সংখ্যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে অন্তত ৫০টি। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের এই বাজার পড়েছে পুঠিয়া উপজেলায়। সব ধরনের পুরোনো মোটরসাইকেলের এই মোকাম এখন...
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
১১ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বচালিত গাড়ি আর পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। এই অগ্রগতি প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাড়তি শক্তি যোগ করেছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন উদ্ভাবন ও পেটেন্ট যোগ হচ্ছে তালিকায়। এই প্রতিযোগিতা বিশ্বের অনেক শহর শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিদিনের জীবনের সেখানে ব্যবহার উন্নত সব প্রযুক্তি।
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের একাধিক শহর।
এই তালিকা দেখলে বোঝা যায়, প্রযুক্তি দুনিয়ায় এশিয়া মহাদেশের দাপট শুরু হয়েছে। প্রথম পাঁচে আছে চীনের চারটি শহর, জাপানের দুটি, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শহর।
শেনজেন, হংকং ও গুয়াংজু, চীন
চীন এ বছর প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনে বিশ্বের সেরা ১০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের ১০০ ইনোভেশন ক্লাস্টারের মধ্যে ২৪টিই এখন চীনে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি একটি ইনোভেশন ক্লাস্টার। হংকংয়ের বাসিন্দা জেমি রিভার বলেন, ‘এখানে আপনি রাস্তার বাজারেও দেখবেন কিউআর কোডে পেমেন্ট নিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিনের জীবনকে এখন প্রযুক্তি অনেক সহজ করে দিয়েছে।’ হংকংয়ের এখন বেশ জনপ্রিয় অক্টোপাস কার্ড। এটি শুধু পরিবহনে নয়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে পার্কিং মিটার সবখানেই চলে।

শেনজেনের বাসিন্দা লিওন হুয়াং জানান, এখানে নতুন কিছু তৈরি করা শুধু বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। শহরে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোকে বলা হয় ‘মেকার স্পেস’। সেখানে যেকোনো শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা শখের উদ্ভাবক নিজের আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই মেকার স্পেসগুলোয় আধুনিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, থ্রিডি প্রিন্টারসহ নানান প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থাকে। মানুষ সেখানে নিজের তৈরি রোবট, অ্যাপ বা ডিজাইন বানিয়ে ফেলতে পারে। লিওনের কথায়, শেনজেন এমন এক শহর, যেখানে উদ্ভাবনের সুযোগ সবার জন্য খোলা। কেউ চাইলে এখানেই নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
টোকিও ও ইয়োকোহামা, জাপান
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের টোকিও ও ইয়োকোহামা শহর। এই দুটি শহর আন্তর্জাতিক পেটেন্টের ১০ শতাংশের বেশির মালিক। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নতুন আবিষ্কার এখান থেকেই আসে। তবে এখানকার প্রযুক্তির অর্থ শুধু আধুনিকতা প্রদর্শন নয়। তারা মূলত মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করতে প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেয়।
টোকিওতে বসবাসরত দানা ইয়াও বলেন, জাপানের প্রযুক্তি মানে উড়ন্ত গাড়ি বা নতুন সব চমক নয়, এখানে এমন কিছু তৈরি হয়, যা মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলে। এখানে একটি ট্রেন কার্ড দিয়েই বাস, ট্রেন এমনকি ভেন্ডিং মেশিনেও পেমেন্ট করা যায়। টোকিওর কিছু দোকানে এআই সেন্সর আছে। ক্রেতাদের প্রবেশ করা, পণ্য নেওয়া এবং বের হওয়া, সবকিছু ট্র্যাক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ক্রেতারা শুধু পণ্য তুলে নিয়ে যায়। সেন্সর ও ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল তৈরি করে নেয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে পেমেন্ট চলে যায়। তাই টাকা দেওয়ার জন্য আলাদা সময় অপচয় হয় না।
সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
৩ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো শহর দুটি। মূলত টেক দুনিয়ায় পরিচিত নাম সিলিকন ভ্যালির কারণে এই শহর দুটি তৃতীয় স্থান দখল করেছে। সিলিকন ভ্যালি দুটি শহর মিলে গঠিত। এই ক্লাস্টার বিশ্বের ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রায় ৭ শতাংশ ধরে রেখেছে। স্টার্টআপ উদ্যোক্তা রিতেশ প্যাটেল বলেন, এই শহরে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাওয়া ও অর্থ বিনিয়োগ করতে চাওয়া মানুষ এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, সবাই একসঙ্গে মিশে কাজ করছেন। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে আইডিয়া শেয়ার করছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন এবং প্রয়োজন হলে একে অপরকে সাহায্যও করছেন।
শহরটিতে এই পরিবেশই নতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসা দ্রুত বড় হওয়ার জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করছে। একসময় যেভাবে উবার বা লিফট এখান থেকে শুরু হয়েছিল, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের অনেক স্টার্টআপের শুরুটাও এখান থেকে হবে।
বেইজিং, চীন
৪ নম্বরে থাকা বেইজিং এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে। তবে এই শহরের বিশেষত্ব শুধু প্রযুক্তিতে নয়, এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বেশ জনপ্রিয়। শহরে প্রতিদিনের জীবন চলে আলিপে ও উইচ্যাট অ্যাপ দিয়ে। অ্যাপগুলো দিয়ে মানুষ পেমেন্ট করা, ভাষা অনুবাদ এবং খাবার অর্ডার করতে পারে। বেইজিংয়ে পর্যটকদের বড় আকর্ষণ বাইডু অ্যাপোলো রোবোট্যাক্সি। এটি নিরাপদ চালকবিহীন গাড়ি।
সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
পঞ্চম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। এ শহরে আছে বিশ্বের মোট পেটেন্টের ৫ শতাংশ। সিউলে প্রতিদিনের জীবনে প্রযুক্তি হাতের নাগালে। বাড়ির দরজা ডিজিটাল কোড দিয়ে খোলা যায়, পেমেন্টের জন্য মানিব্যাগ বা নগদ টাকার কোনো দরকার নেই। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ স্বচালিত ইলেকট্রিক বাস। শহরজুড়ে রয়েছে ক্যাশিয়ারলেস স্টোর, যেখানে এআই নিজে থেকেই পণ্যগুলো দেখাশোনা করে এবং স্মার্ট মেশিনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে।
সূত্র: বিবিসি

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বচালিত গাড়ি আর পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। এই অগ্রগতি প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাড়তি শক্তি যোগ করেছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন উদ্ভাবন ও পেটেন্ট যোগ হচ্ছে তালিকায়। এই প্রতিযোগিতা বিশ্বের অনেক শহর শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিদিনের জীবনের সেখানে ব্যবহার উন্নত সব প্রযুক্তি।
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের একাধিক শহর।
এই তালিকা দেখলে বোঝা যায়, প্রযুক্তি দুনিয়ায় এশিয়া মহাদেশের দাপট শুরু হয়েছে। প্রথম পাঁচে আছে চীনের চারটি শহর, জাপানের দুটি, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শহর।
শেনজেন, হংকং ও গুয়াংজু, চীন
চীন এ বছর প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনে বিশ্বের সেরা ১০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের ১০০ ইনোভেশন ক্লাস্টারের মধ্যে ২৪টিই এখন চীনে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি একটি ইনোভেশন ক্লাস্টার। হংকংয়ের বাসিন্দা জেমি রিভার বলেন, ‘এখানে আপনি রাস্তার বাজারেও দেখবেন কিউআর কোডে পেমেন্ট নিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিনের জীবনকে এখন প্রযুক্তি অনেক সহজ করে দিয়েছে।’ হংকংয়ের এখন বেশ জনপ্রিয় অক্টোপাস কার্ড। এটি শুধু পরিবহনে নয়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে পার্কিং মিটার সবখানেই চলে।

শেনজেনের বাসিন্দা লিওন হুয়াং জানান, এখানে নতুন কিছু তৈরি করা শুধু বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। শহরে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোকে বলা হয় ‘মেকার স্পেস’। সেখানে যেকোনো শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা শখের উদ্ভাবক নিজের আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই মেকার স্পেসগুলোয় আধুনিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, থ্রিডি প্রিন্টারসহ নানান প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থাকে। মানুষ সেখানে নিজের তৈরি রোবট, অ্যাপ বা ডিজাইন বানিয়ে ফেলতে পারে। লিওনের কথায়, শেনজেন এমন এক শহর, যেখানে উদ্ভাবনের সুযোগ সবার জন্য খোলা। কেউ চাইলে এখানেই নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
টোকিও ও ইয়োকোহামা, জাপান
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের টোকিও ও ইয়োকোহামা শহর। এই দুটি শহর আন্তর্জাতিক পেটেন্টের ১০ শতাংশের বেশির মালিক। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নতুন আবিষ্কার এখান থেকেই আসে। তবে এখানকার প্রযুক্তির অর্থ শুধু আধুনিকতা প্রদর্শন নয়। তারা মূলত মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করতে প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেয়।
টোকিওতে বসবাসরত দানা ইয়াও বলেন, জাপানের প্রযুক্তি মানে উড়ন্ত গাড়ি বা নতুন সব চমক নয়, এখানে এমন কিছু তৈরি হয়, যা মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলে। এখানে একটি ট্রেন কার্ড দিয়েই বাস, ট্রেন এমনকি ভেন্ডিং মেশিনেও পেমেন্ট করা যায়। টোকিওর কিছু দোকানে এআই সেন্সর আছে। ক্রেতাদের প্রবেশ করা, পণ্য নেওয়া এবং বের হওয়া, সবকিছু ট্র্যাক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ক্রেতারা শুধু পণ্য তুলে নিয়ে যায়। সেন্সর ও ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল তৈরি করে নেয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে পেমেন্ট চলে যায়। তাই টাকা দেওয়ার জন্য আলাদা সময় অপচয় হয় না।
সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
৩ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো শহর দুটি। মূলত টেক দুনিয়ায় পরিচিত নাম সিলিকন ভ্যালির কারণে এই শহর দুটি তৃতীয় স্থান দখল করেছে। সিলিকন ভ্যালি দুটি শহর মিলে গঠিত। এই ক্লাস্টার বিশ্বের ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রায় ৭ শতাংশ ধরে রেখেছে। স্টার্টআপ উদ্যোক্তা রিতেশ প্যাটেল বলেন, এই শহরে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাওয়া ও অর্থ বিনিয়োগ করতে চাওয়া মানুষ এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, সবাই একসঙ্গে মিশে কাজ করছেন। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে আইডিয়া শেয়ার করছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন এবং প্রয়োজন হলে একে অপরকে সাহায্যও করছেন।
শহরটিতে এই পরিবেশই নতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসা দ্রুত বড় হওয়ার জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করছে। একসময় যেভাবে উবার বা লিফট এখান থেকে শুরু হয়েছিল, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের অনেক স্টার্টআপের শুরুটাও এখান থেকে হবে।
বেইজিং, চীন
৪ নম্বরে থাকা বেইজিং এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে। তবে এই শহরের বিশেষত্ব শুধু প্রযুক্তিতে নয়, এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বেশ জনপ্রিয়। শহরে প্রতিদিনের জীবন চলে আলিপে ও উইচ্যাট অ্যাপ দিয়ে। অ্যাপগুলো দিয়ে মানুষ পেমেন্ট করা, ভাষা অনুবাদ এবং খাবার অর্ডার করতে পারে। বেইজিংয়ে পর্যটকদের বড় আকর্ষণ বাইডু অ্যাপোলো রোবোট্যাক্সি। এটি নিরাপদ চালকবিহীন গাড়ি।
সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
পঞ্চম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। এ শহরে আছে বিশ্বের মোট পেটেন্টের ৫ শতাংশ। সিউলে প্রতিদিনের জীবনে প্রযুক্তি হাতের নাগালে। বাড়ির দরজা ডিজিটাল কোড দিয়ে খোলা যায়, পেমেন্টের জন্য মানিব্যাগ বা নগদ টাকার কোনো দরকার নেই। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ স্বচালিত ইলেকট্রিক বাস। শহরজুড়ে রয়েছে ক্যাশিয়ারলেস স্টোর, যেখানে এআই নিজে থেকেই পণ্যগুলো দেখাশোনা করে এবং স্মার্ট মেশিনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে।
সূত্র: বিবিসি

ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ
২৯ মে ২০২৩
বাজারটির নাম মাহেন্দ্রা। এখাতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান কমছে দিন দিন। সেগুলোতে চালু হচ্ছে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম। ছোট্ট বাজারটিতে এখন এমন শোরুমের সংখ্যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে অন্তত ৫০টি। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের এই বাজার পড়েছে পুঠিয়া উপজেলায়। সব ধরনের পুরোনো মোটরসাইকেলের এই মোকাম এখন...
৩ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম। আপনাদের জন্য টমেটোর জ্যামের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
টমেটো ৪টি, চিনি ২ কাপ, লেবুর রস সামান্য, পাইনাপেল অয়েল ৪ ফোঁটা, চায়না গ্রাস আধা কাপ এবং পানি ২ কাপ।
প্রণালি
প্রথমে টমেটো চার টুকরো করে কেটে দুই কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে নিন। এবার হাঁড়িতে টমেটোর জুস, চিনি, লেবুর রস দিয়ে চুলায় নেড়ে নেড়ে রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে পাইনাপেল অয়েল দিন। অন্য একটি হাঁড়িতে আধা কাপ পানি আর চায়না গ্রাস গরম করে নিন।
এবার টমেটোর মিশ্রণের সঙ্গে এটি মিশিয়ে আবারও রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের জারে ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন।

এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম। আপনাদের জন্য টমেটোর জ্যামের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
টমেটো ৪টি, চিনি ২ কাপ, লেবুর রস সামান্য, পাইনাপেল অয়েল ৪ ফোঁটা, চায়না গ্রাস আধা কাপ এবং পানি ২ কাপ।
প্রণালি
প্রথমে টমেটো চার টুকরো করে কেটে দুই কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে নিন। এবার হাঁড়িতে টমেটোর জুস, চিনি, লেবুর রস দিয়ে চুলায় নেড়ে নেড়ে রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে পাইনাপেল অয়েল দিন। অন্য একটি হাঁড়িতে আধা কাপ পানি আর চায়না গ্রাস গরম করে নিন।
এবার টমেটোর মিশ্রণের সঙ্গে এটি মিশিয়ে আবারও রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের জারে ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন।

ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ
২৯ মে ২০২৩
বাজারটির নাম মাহেন্দ্রা। এখাতে বিভিন্ন পণ্যের দোকান কমছে দিন দিন। সেগুলোতে চালু হচ্ছে পুরোনো মোটরসাইকেলের শোরুম। ছোট্ট বাজারটিতে এখন এমন শোরুমের সংখ্যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে অন্তত ৫০টি। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের এই বাজার পড়েছে পুঠিয়া উপজেলায়। সব ধরনের পুরোনো মোটরসাইকেলের এই মোকাম এখন...
৩ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
১১ ঘণ্টা আগে