ইজাজুল হক
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পর দেশের আপামর জনতার একটাই স্বপ্ন—ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। ক্যালিগ্রাফার মোল্লা মুহাম্মদ হানিফের স্বপ্নও তা–ই। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে বহুধাবিভক্ত মুসলমান জাতির ঐক্যও তাঁর আরাধ্য বিষয়। বিশেষ করে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মুক্তির আওয়াজ তোলা তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে, একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে তাঁদের প্রতি সংহতি জানানো বাঙালি মুসলমানের চেতনারই অংশ মনে করেন হানিফ। তাই মহাসড়কের পাশে বিশাল জায়গাজুড়ে আরবি হরফের শৈল্পিক বুননে বিশাল ক্যালিগ্রাফি তৈরির মাধ্যমে এসব বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন হানিফ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢালের দেয়ালে উৎকীর্ণ এই দীর্ঘ শিল্পকর্ম যেকোনো পথচারীর দৃষ্টি কাড়ার মতো। ডান দিক থেকে আরবি ‘আল-কুওয়াতু ফিল-ওয়াহদাহ’ তথা ‘একতাই বল’ বাক্যটি দিয়ে ক্যালিগ্রাফির সূচনা। মূল অংশে রয়েছে একটি হাত আরেকটি হাতকে ওপরে টেনে তুলছে, যা একই সঙ্গে ঐক্য ও সংহতির বার্তা প্রকাশ করে। হাত দুটির চারপাশে পুনরাবৃত্তিসহ আরবিতে লেখা আছে ‘ইনকিলাব, ইত্তিহাদ, ইন্তিফাদা’ তথা ‘বিপ্লব, ঐক্য, প্রতিরোধ’। এরপর আরব থেকে চীন বা হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐক্যের ডাকসংবলিত বার্তা। মাঝখানে রয়েছে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের দুটি পতাকা, যা ফিলিস্তিনের প্রতি বিশেষ সংহতির বার্তা প্রকাশ করছে।
ক্যালিগ্রাফিটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ প্রশংসা কুড়ায়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এটি নিয়ে ভিডিও প্রতিবেদনও তৈরি করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোল্লা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে, মানুষ আমাদের কাজ পছন্দ করছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা, তা এই কাজের মাধ্যমে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে!’
হানিফের সঙ্গে এই দেয়াললিখনে আরও যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা হলেন আনাস খান, উসাইদ মুহাম্মদ, সিয়াম খান, রাসিফ হক, মুহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, মুনতাসির মুজাহিদ, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ভুঁইয়া, যুবায়ের আহমদ, রাকিবুল ইসলাম হাম্মাদ, সাকিব আল হাসান ও আবদুল্লাহ তামিম। ক্যালিগ্রাফার হানিফ ২০২২ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা সমাপ্ত করেন। শখের বশে শুরু করলেও এখন তিনি ক্যালিগ্রাফি করে আয়-রোজগার করেন।
হানিফের পছন্দের ক্যালিগ্রাফিশৈলী প্রথাভাঙা মুক্তহস্ত ধারাটি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় এটি। বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত ফরাসি ক্যালিগ্রাফার এল সাইদ এ ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকায় রয়েছেন। বিশাল জায়গাজুড়ে ক্যালিগ্রাফি করার ক্ষেত্রেও এল সাইদকেই অনুপ্রেরণা মনে করেন হানিফ। হানিফ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ক্যালিগ্রাফার তোয়াসিন আরাফাত তোয়াহার সৌজন্যে প্রথম এল সাইদ সম্পর্কে জানতে পারি। এ ছাড়া আমার ক্যালিগ্রাফি শিক্ষক মাহবুব মুর্শিদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
ক্যালিগ্রাফির শিক্ষক মাহবুব মুর্শিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুক্তহস্তের ক্যালিগ্রাফি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আমি অনেক শিক্ষার্থীকেই ক্যালিগ্রাফির প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের মধ্যে মোল্লা মুহাম্মদ হানিফ নিজ প্রতিভায় উজ্জ্বল। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্যালিগ্রাফিতি হয়েছে জেনে ভীষণ ভালো লাগছে। আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’
এই ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, ‘এতে কী লেখা হয়েছে জানি না, তবে মধ্যখানের ওই দুটি হাত যে সংহতির বার্তা দিচ্ছে তা স্পষ্ট। আরবি হরফ, ফিলিস্তিনের পতাকা—বোঝাই তো যাচ্ছে, ঐক্য ও সংহতির কথাই বলছে।’
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পর দেশের আপামর জনতার একটাই স্বপ্ন—ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। ক্যালিগ্রাফার মোল্লা মুহাম্মদ হানিফের স্বপ্নও তা–ই। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে বহুধাবিভক্ত মুসলমান জাতির ঐক্যও তাঁর আরাধ্য বিষয়। বিশেষ করে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মুক্তির আওয়াজ তোলা তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে, একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে তাঁদের প্রতি সংহতি জানানো বাঙালি মুসলমানের চেতনারই অংশ মনে করেন হানিফ। তাই মহাসড়কের পাশে বিশাল জায়গাজুড়ে আরবি হরফের শৈল্পিক বুননে বিশাল ক্যালিগ্রাফি তৈরির মাধ্যমে এসব বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন হানিফ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢালের দেয়ালে উৎকীর্ণ এই দীর্ঘ শিল্পকর্ম যেকোনো পথচারীর দৃষ্টি কাড়ার মতো। ডান দিক থেকে আরবি ‘আল-কুওয়াতু ফিল-ওয়াহদাহ’ তথা ‘একতাই বল’ বাক্যটি দিয়ে ক্যালিগ্রাফির সূচনা। মূল অংশে রয়েছে একটি হাত আরেকটি হাতকে ওপরে টেনে তুলছে, যা একই সঙ্গে ঐক্য ও সংহতির বার্তা প্রকাশ করে। হাত দুটির চারপাশে পুনরাবৃত্তিসহ আরবিতে লেখা আছে ‘ইনকিলাব, ইত্তিহাদ, ইন্তিফাদা’ তথা ‘বিপ্লব, ঐক্য, প্রতিরোধ’। এরপর আরব থেকে চীন বা হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐক্যের ডাকসংবলিত বার্তা। মাঝখানে রয়েছে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের দুটি পতাকা, যা ফিলিস্তিনের প্রতি বিশেষ সংহতির বার্তা প্রকাশ করছে।
ক্যালিগ্রাফিটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ প্রশংসা কুড়ায়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এটি নিয়ে ভিডিও প্রতিবেদনও তৈরি করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোল্লা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে, মানুষ আমাদের কাজ পছন্দ করছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা, তা এই কাজের মাধ্যমে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে!’
হানিফের সঙ্গে এই দেয়াললিখনে আরও যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা হলেন আনাস খান, উসাইদ মুহাম্মদ, সিয়াম খান, রাসিফ হক, মুহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, মুনতাসির মুজাহিদ, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ভুঁইয়া, যুবায়ের আহমদ, রাকিবুল ইসলাম হাম্মাদ, সাকিব আল হাসান ও আবদুল্লাহ তামিম। ক্যালিগ্রাফার হানিফ ২০২২ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা সমাপ্ত করেন। শখের বশে শুরু করলেও এখন তিনি ক্যালিগ্রাফি করে আয়-রোজগার করেন।
হানিফের পছন্দের ক্যালিগ্রাফিশৈলী প্রথাভাঙা মুক্তহস্ত ধারাটি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় এটি। বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত ফরাসি ক্যালিগ্রাফার এল সাইদ এ ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকায় রয়েছেন। বিশাল জায়গাজুড়ে ক্যালিগ্রাফি করার ক্ষেত্রেও এল সাইদকেই অনুপ্রেরণা মনে করেন হানিফ। হানিফ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ক্যালিগ্রাফার তোয়াসিন আরাফাত তোয়াহার সৌজন্যে প্রথম এল সাইদ সম্পর্কে জানতে পারি। এ ছাড়া আমার ক্যালিগ্রাফি শিক্ষক মাহবুব মুর্শিদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
ক্যালিগ্রাফির শিক্ষক মাহবুব মুর্শিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুক্তহস্তের ক্যালিগ্রাফি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আমি অনেক শিক্ষার্থীকেই ক্যালিগ্রাফির প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের মধ্যে মোল্লা মুহাম্মদ হানিফ নিজ প্রতিভায় উজ্জ্বল। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্যালিগ্রাফিতি হয়েছে জেনে ভীষণ ভালো লাগছে। আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’
এই ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, ‘এতে কী লেখা হয়েছে জানি না, তবে মধ্যখানের ওই দুটি হাত যে সংহতির বার্তা দিচ্ছে তা স্পষ্ট। আরবি হরফ, ফিলিস্তিনের পতাকা—বোঝাই তো যাচ্ছে, ঐক্য ও সংহতির কথাই বলছে।’
দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আমল। এই আমল মানুষকে আত্মিক পরিশুদ্ধি ও সামাজিক ভারসাম্যের দিকে নিয়ে যায়। দান গরিব-দুঃখীর কষ্ট লাঘব করে, সমাজে সহমর্মিতা গড়ে তোলে, ধনীর সম্পদে বরকত আনে এবং বিপদ-আপদ দূর করে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অতিসত্বর দানের দিকে ধাবিত...
২ ঘণ্টা আগেএই পাহাড় দেখে মনে হয় যেন মহান কোনো শিল্পীর রংতুলি দিয়ে সযত্নে আঁকা। তবে এই রঙিন শিলার ঢেউ শুধু সৌন্দর্য নয়—ইমানদারদের কাছে এটি এক পরম সত্যের নিদর্শন, যাকে আমরা কোরআনের আলোকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি।
১৭ ঘণ্টা আগেকৃতজ্ঞ বান্দা আল্লাহর কাছে প্রিয়। নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলে তিনি খুশি হন। জীবন আরও সুন্দর করে সাজিয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং ইমান আনো, তাহলে তোমাদের শাস্তি দিয়ে আল্লাহ কী করবেন? আল্লাহ (সৎ কাজের বড়ই) পুরস্কারদাতা, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।’ (সুরা নিসা: ১৪৭)। অন্য এক আয়াত
১ দিন আগেলজ্জা মোমিনের ভূষণ বা অলংকার। বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লজ্জাশীলতা কল্যাণ বয়ে আনে। হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লজ্জা মঙ্গল বয়ে আনে। (সহিহ্ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, লজ্জার সবটুকু মঙ্গলই মঙ্গল। (রিয়াজুস সালেহিন: ৬৮৭)
২ দিন আগে