ইসলাম ডেস্ক
কৃতজ্ঞ বান্দা আল্লাহর কাছে প্রিয়। নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলে তিনি খুশি হন। জীবন আরও সুন্দর করে সাজিয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং ইমান আনো, তাহলে তোমাদের শাস্তি দিয়ে আল্লাহ কী করবেন? আল্লাহ (সৎ কাজের বড়ই) পুরস্কারদাতা, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।’ (সুরা নিসা: ১৪৭)। অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার কৃতজ্ঞতা আদায় করো, অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ১৫২)
বিভিন্নভাবে আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো সালাতুশ শোকর, অর্থাৎ শুকরিয়ার নামাজ। শুকরিয়ার নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। কোনো খুশির সংবাদ পাওয়া, দুঃখ থেকে মুক্তি, অসুস্থতা থেকে আরোগ্য, মনের আশা পূরণ কিংবা কোনো বিপদ কেটে গেলে এই নামাজ আদায় করা উত্তম। এই নামাজের মাধ্যমে হৃদয়ে প্রশান্তি আসে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথ সহজ হয়।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা কোনো নিদর্শন দেখবে, তখন সিজদা করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১১৯৯)। হজরত আবু বাকরা (রা.) বলেন, ‘যখন নবী করিম (সা.)-এর নিকট কোনো খুশির সংবাদ বা এমন কিছু পৌঁছাত, যাতে তিনি সন্তুষ্ট হতেন, তখন তিনি আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সিজদায় লুটিয়ে পড়তেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৭৬)
এভাবে বিভিন্ন হাদিসে মহানবী (সা.) ‘সিজদায়ে শোকর’ আদায় করার কথা বলেছেন। তবে এ সিজদা থেকে উদ্দেশ্য হলো, দুই রাকাত সালাতুশ শোকর আদায় করা। ইমামে আজম আবু হানিফা (রহ.)-এর বর্ণনামতে, সিজদায়ে শোকর বাক্যটির মধ্যে ‘সিজদা’ বলে রূপক অর্থে নামাজ বোঝানো হয়েছে। তবে গ্রহণযোগ্য ফতোয়া অনুযায়ী, অজু সহকারে কেবলামুখী হয়ে একটা সিজদা দেওয়ার মাধ্যমেও শুকরিয়া আদায় করা যায়। তাই নামাজ এবং সিজদা উভয় পদ্ধতিতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা যায়। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৭/১২৫)
কৃতজ্ঞ বান্দা আল্লাহর কাছে প্রিয়। নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলে তিনি খুশি হন। জীবন আরও সুন্দর করে সাজিয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং ইমান আনো, তাহলে তোমাদের শাস্তি দিয়ে আল্লাহ কী করবেন? আল্লাহ (সৎ কাজের বড়ই) পুরস্কারদাতা, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।’ (সুরা নিসা: ১৪৭)। অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার কৃতজ্ঞতা আদায় করো, অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ১৫২)
বিভিন্নভাবে আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো সালাতুশ শোকর, অর্থাৎ শুকরিয়ার নামাজ। শুকরিয়ার নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। কোনো খুশির সংবাদ পাওয়া, দুঃখ থেকে মুক্তি, অসুস্থতা থেকে আরোগ্য, মনের আশা পূরণ কিংবা কোনো বিপদ কেটে গেলে এই নামাজ আদায় করা উত্তম। এই নামাজের মাধ্যমে হৃদয়ে প্রশান্তি আসে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথ সহজ হয়।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা কোনো নিদর্শন দেখবে, তখন সিজদা করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১১৯৯)। হজরত আবু বাকরা (রা.) বলেন, ‘যখন নবী করিম (সা.)-এর নিকট কোনো খুশির সংবাদ বা এমন কিছু পৌঁছাত, যাতে তিনি সন্তুষ্ট হতেন, তখন তিনি আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সিজদায় লুটিয়ে পড়তেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৭৬)
এভাবে বিভিন্ন হাদিসে মহানবী (সা.) ‘সিজদায়ে শোকর’ আদায় করার কথা বলেছেন। তবে এ সিজদা থেকে উদ্দেশ্য হলো, দুই রাকাত সালাতুশ শোকর আদায় করা। ইমামে আজম আবু হানিফা (রহ.)-এর বর্ণনামতে, সিজদায়ে শোকর বাক্যটির মধ্যে ‘সিজদা’ বলে রূপক অর্থে নামাজ বোঝানো হয়েছে। তবে গ্রহণযোগ্য ফতোয়া অনুযায়ী, অজু সহকারে কেবলামুখী হয়ে একটা সিজদা দেওয়ার মাধ্যমেও শুকরিয়া আদায় করা যায়। তাই নামাজ এবং সিজদা উভয় পদ্ধতিতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা যায়। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৭/১২৫)
একটি সাধারণ দৃশ্য আমরা প্রায়শই দেখি—আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে আঙুল প্রবেশ করিয়ে উচ্চ আওয়াজে আজান দিচ্ছেন। অনেকেই এটি আবশ্যক মনে করেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ঐচ্ছিক বা বর্জনযোগ্য বলে থাকেন। এই লেখায় আমরা কানে আঙুল দেওয়ার এ পদ্ধতির শরয়ি ভিত্তি, হাদিস, ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা এবং সমকালীন...
৫ ঘণ্টা আগেইতিহাস কখনো নিছক কাহিনি নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীক। মদিনার অদূরে অবস্থিত এক নিঃশব্দ পাহাড় তেমনই এক ইতিহাসের সাক্ষী। এটি শুধু মাটি-পাথরের সমষ্টি নয়; বরং এই পাহাড় ইসলামের প্রথম যুগের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, কষ্ট ও ভালোবাসার জীবন্ত স্মারক। রাসুলুল্লাহ (সা.) যাকে বলেছিলেন, ‘উহুদ...
৭ ঘণ্টা আগেজীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
১ দিন আগে