আবদুল আযীয কাসেমি
ইফতার হলো রোজাদারের জন্য বিশেষ আনন্দের একটি উপলক্ষ। দিনভর পানাহার থেকে বিরত থেকে যখন মানুষ এক চিলতে খাবার মুখে দেয়, তখন এর বিশেষ আনন্দানুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো থাকে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি আনন্দ। এক. ইফতারের সময়। দুই. তার রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব শিষ্টাচার অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও শিষ্টাচার। এখানে ইফতারের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা। সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত। হাদিসে এ বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘লোকেরা তত দিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যত দিন তারা ইফতার দ্রুত সম্পন্ন করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দুই. যৌথভাবে ইফতার করা। একা একা ইফতার করা অনুচিত। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদার ভাইকে ইফতার করাবে, সে ওই ব্যক্তির রোজার সওয়াব লাভ করবে। এবং তার রোজার সওয়াবের মধ্য থেকে কমানো হবে না’ (তিরমিজি)
তিন. ইফতারের সময় দোয়া করা। হাদিসে এসেছে, ‘ইফতারের সময় সাধারণত রোজাদারের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না।’ (ইবনে মাজাহ)
চার. ইফতারের দোয়া পড়া। দোয়াটি হলো, আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু। অর্থ: হে আল্লাহ, ‘আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।’ (আবু দাউদ)
পাঁচ. মিষ্টিজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার শুরু করা। বিশেষত খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত। মিষ্টিজাতীয় কিছু পাওয়া না গেলে পানি দিয়ে ইফতার করা যেতে পারে।
আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ইফতার হলো রোজাদারের জন্য বিশেষ আনন্দের একটি উপলক্ষ। দিনভর পানাহার থেকে বিরত থেকে যখন মানুষ এক চিলতে খাবার মুখে দেয়, তখন এর বিশেষ আনন্দানুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো থাকে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি আনন্দ। এক. ইফতারের সময়। দুই. তার রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব শিষ্টাচার অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও শিষ্টাচার। এখানে ইফতারের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা। সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত। হাদিসে এ বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘লোকেরা তত দিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যত দিন তারা ইফতার দ্রুত সম্পন্ন করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দুই. যৌথভাবে ইফতার করা। একা একা ইফতার করা অনুচিত। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদার ভাইকে ইফতার করাবে, সে ওই ব্যক্তির রোজার সওয়াব লাভ করবে। এবং তার রোজার সওয়াবের মধ্য থেকে কমানো হবে না’ (তিরমিজি)
তিন. ইফতারের সময় দোয়া করা। হাদিসে এসেছে, ‘ইফতারের সময় সাধারণত রোজাদারের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না।’ (ইবনে মাজাহ)
চার. ইফতারের দোয়া পড়া। দোয়াটি হলো, আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু। অর্থ: হে আল্লাহ, ‘আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।’ (আবু দাউদ)
পাঁচ. মিষ্টিজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার শুরু করা। বিশেষত খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত। মিষ্টিজাতীয় কিছু পাওয়া না গেলে পানি দিয়ে ইফতার করা যেতে পারে।
আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
১ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
১ দিন আগেআমাদের অফিসের টপ ফ্লোরে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সেখানে নির্ধারিত আলেম ইমামের মাধ্যমে জামাতের সঙ্গে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করা হয়। কিন্তু আমরা জুমার নামাজ আদায় করি পাশের একটি বড় মসজিদে। অফিসের নামাজ আদায়ের স্থানটি ওয়াক্ফ করা নয়। এ অবস্থায় আমরা কি ইচ্ছে করলে সেখানে জুমার নামাজের আয়োজন...
১ দিন আগে