মুফতি ইশমাম আহমেদ
সহিহ বুখারির সর্বশেষ হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘দুটি বাক্য দয়াময়ের কাছে খুবই প্রিয়। তা জিহ্বায় (উচ্চারণ করা) হালকা হলেও (পরকালের) মিজান পাল্লায় তা অনেক ভারী হবে। দুটি বাক্য হলো—
বহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ অর্থ: আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। মহান আল্লাহ পবিত্র। (বুখারি: ৬৪০৬)
অর্থাৎ, এই দুটি বাক্য পাঠের তিনটি ফজিলত। এক. আল্লাহর প্রিয় বাক্য। দুই. উচ্চারণে খুবই সহজ। তিন. পরকালে এর সওয়াব অনেক বেশি। হাদিসে উল্লিখিত বাক্য দুটিতে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতার কথা বর্ণিত হয়েছে, যা আল্লাহ তাআলার জিকির তথা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
কিয়ামতের দিন মানুষের কাজ পরিমাপের জন্য ‘মিজান’ তথা পরিমাপক স্থাপন করা হবে। কারও ভালো কাজ ভারী হবে এবং কারও মন্দ কাজ। তবে মুমিনের এমন কিছু আমল আছে, যা বাহ্যত হালকা মনে হলেও এর ওজন অনেক বেশি হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি কিয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। কোনো কাজ যদি তিল পরিমাণ ওজনের হয়, তবু আমি তা উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া: ৪৭)
অন্যান্য হাদিসেও আল্লাহর প্রশংসাসূচক বাক্য উচ্চারণের অসামান্য ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু মালিক আল-আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী সবকিছুকে পূর্ণ করবে।’ (মুসলিম: ২২৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সহিহ বুখারির সর্বশেষ হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘দুটি বাক্য দয়াময়ের কাছে খুবই প্রিয়। তা জিহ্বায় (উচ্চারণ করা) হালকা হলেও (পরকালের) মিজান পাল্লায় তা অনেক ভারী হবে। দুটি বাক্য হলো—
বহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ অর্থ: আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। মহান আল্লাহ পবিত্র। (বুখারি: ৬৪০৬)
অর্থাৎ, এই দুটি বাক্য পাঠের তিনটি ফজিলত। এক. আল্লাহর প্রিয় বাক্য। দুই. উচ্চারণে খুবই সহজ। তিন. পরকালে এর সওয়াব অনেক বেশি। হাদিসে উল্লিখিত বাক্য দুটিতে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতার কথা বর্ণিত হয়েছে, যা আল্লাহ তাআলার জিকির তথা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
কিয়ামতের দিন মানুষের কাজ পরিমাপের জন্য ‘মিজান’ তথা পরিমাপক স্থাপন করা হবে। কারও ভালো কাজ ভারী হবে এবং কারও মন্দ কাজ। তবে মুমিনের এমন কিছু আমল আছে, যা বাহ্যত হালকা মনে হলেও এর ওজন অনেক বেশি হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি কিয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। কোনো কাজ যদি তিল পরিমাণ ওজনের হয়, তবু আমি তা উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া: ৪৭)
অন্যান্য হাদিসেও আল্লাহর প্রশংসাসূচক বাক্য উচ্চারণের অসামান্য ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু মালিক আল-আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী সবকিছুকে পূর্ণ করবে।’ (মুসলিম: ২২৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য একটি আদর্শ পরিবার গঠন। যে পরিবারের সদস্যরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশগুলো পালন করবে, নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১ দিন আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
২ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগে