মুফতি আইয়ুব নাদীম
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কয়েকটি ক্ষেত্র আছে, যাতে অন্যের সমালোচনা করার সুযোগ আছে। এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—
অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য
মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বেরিয়ে আল-আসওয়াফ নামক স্থানে এক আনসারি নারীর কাছে উপস্থিত হই। তখন ওই নারী তার দুটি মেয়েকে নিয়ে রাসুলুল্লাহর (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তারা সাবিত ইবনে কায়িস (রা.)-এর কন্যা। তিনি আপনার সঙ্গে উহুদ যুদ্ধে যোগদান করে শহীদ হন। চাচা তাদের সব সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন এবং তাদের জন্য কিছুই রাখেননি। হে আল্লাহর রাসুল (সা.), এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন? আল্লাহর শপথ, তাদের সম্পত্তি না থাকলে তাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমরা ওই নারী ও তার প্রতিপক্ষকে আমার কাছে ডেকে আনো।’ তিনি মেয়ে দুটির চাচাকে বললেন, ‘সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ তাদের দিয়ে দাও, তাদের মাকে দাও আট ভাগের এক ভাগ এবং অবশিষ্ট সম্পদ তোমার।’ (আবু দাউদ: ২৮৯১)
সংশোধনের জন্য
কাউকে অসৎ কাজ থেকে ফেরানোর জন্য কারও কাছে সাহায্য চাওয়া। যখন তার উদ্দেশ্য হবে সেই অন্যায়কারী ব্যক্তিকে ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনা। তখন তার জন্য ওই ব্যক্তির দোষ বর্ণনা জায়েজ।
ফতোয়া জানার জন্য
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মুআবিয়া (রা.)-এর মা হিন্দা আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলেন, ‘আবু সুফিয়ান (রা.) একজন কৃপণ ব্যক্তি। এ অবস্থায় আমি যদি তার সম্পদ থেকে গোপনে কিছু গ্রহণ করি, তাতে কি গুনাহ হবে?’ তিনি বললেন, ‘তুমি তোমার ও সন্তানদের প্রয়োজন অনুযায়ী ন্যায়ভাবে গ্রহণ করতে পারো।’ (বুখারি: ২২১১)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কয়েকটি ক্ষেত্র আছে, যাতে অন্যের সমালোচনা করার সুযোগ আছে। এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—
অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য
মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বেরিয়ে আল-আসওয়াফ নামক স্থানে এক আনসারি নারীর কাছে উপস্থিত হই। তখন ওই নারী তার দুটি মেয়েকে নিয়ে রাসুলুল্লাহর (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তারা সাবিত ইবনে কায়িস (রা.)-এর কন্যা। তিনি আপনার সঙ্গে উহুদ যুদ্ধে যোগদান করে শহীদ হন। চাচা তাদের সব সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন এবং তাদের জন্য কিছুই রাখেননি। হে আল্লাহর রাসুল (সা.), এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন? আল্লাহর শপথ, তাদের সম্পত্তি না থাকলে তাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমরা ওই নারী ও তার প্রতিপক্ষকে আমার কাছে ডেকে আনো।’ তিনি মেয়ে দুটির চাচাকে বললেন, ‘সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ তাদের দিয়ে দাও, তাদের মাকে দাও আট ভাগের এক ভাগ এবং অবশিষ্ট সম্পদ তোমার।’ (আবু দাউদ: ২৮৯১)
সংশোধনের জন্য
কাউকে অসৎ কাজ থেকে ফেরানোর জন্য কারও কাছে সাহায্য চাওয়া। যখন তার উদ্দেশ্য হবে সেই অন্যায়কারী ব্যক্তিকে ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনা। তখন তার জন্য ওই ব্যক্তির দোষ বর্ণনা জায়েজ।
ফতোয়া জানার জন্য
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মুআবিয়া (রা.)-এর মা হিন্দা আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলেন, ‘আবু সুফিয়ান (রা.) একজন কৃপণ ব্যক্তি। এ অবস্থায় আমি যদি তার সম্পদ থেকে গোপনে কিছু গ্রহণ করি, তাতে কি গুনাহ হবে?’ তিনি বললেন, ‘তুমি তোমার ও সন্তানদের প্রয়োজন অনুযায়ী ন্যায়ভাবে গ্রহণ করতে পারো।’ (বুখারি: ২২১১)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
বিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১ দিন আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১ দিন আগে