ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
দৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দৃষ্টি সংযত রাখতে আদেশ করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে নবী) মুমিনদের বলুন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয় তারা যা করে, আল্লাহ তা অবহিত আছেন। আর ইমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে।’ (সুরা নুর: ৩০-৩১)
হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী (সা.) দৃষ্টির হেফাজতসহ কয়েকটি কাজ যে করতে পারবে, তার ব্যাপারে জান্নাতের জিম্মাদার হয়েছেন। হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা নিজেদের ছয়টি বিষয়ের জিম্মাদার হও, তাহলে আমি তোমাদের জান্নাতের জিম্মাদার হব। যখন তোমরা কথা বলবে, সত্য বলবে; কোনো অঙ্গীকার করলে তা পূরণ করবে; আমানত গ্রহণ করলে তা আদায় করবে; যৌনাঙ্গের হেফাজত করবে; দৃষ্টি সংযত রাখবে এবং তোমাদের হাত কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত রাখবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৮২)
বর্তমানে মুসলমানদের অন্তরে ইবাদতের স্বাদ অনুভূত না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, দৃষ্টির হেফাজত না করা। দৃষ্টির হেফাজত যে করবে, আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে ইবাদতের স্বাদ সৃষ্টি করে দেবেন। হজরত আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো সুন্দরী-রূপসী নারীর দিকে দৃষ্টি পড়ার পর যে নিজের দৃষ্টি নিচু করে ফেলবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে এমন ইবাদতের স্বাদ দান করবেন, যা সে কিয়ামত পর্যন্ত অনুভব করবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২২৭৮)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
দৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দৃষ্টি সংযত রাখতে আদেশ করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে নবী) মুমিনদের বলুন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয় তারা যা করে, আল্লাহ তা অবহিত আছেন। আর ইমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে।’ (সুরা নুর: ৩০-৩১)
হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী (সা.) দৃষ্টির হেফাজতসহ কয়েকটি কাজ যে করতে পারবে, তার ব্যাপারে জান্নাতের জিম্মাদার হয়েছেন। হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা নিজেদের ছয়টি বিষয়ের জিম্মাদার হও, তাহলে আমি তোমাদের জান্নাতের জিম্মাদার হব। যখন তোমরা কথা বলবে, সত্য বলবে; কোনো অঙ্গীকার করলে তা পূরণ করবে; আমানত গ্রহণ করলে তা আদায় করবে; যৌনাঙ্গের হেফাজত করবে; দৃষ্টি সংযত রাখবে এবং তোমাদের হাত কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত রাখবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৮২)
বর্তমানে মুসলমানদের অন্তরে ইবাদতের স্বাদ অনুভূত না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, দৃষ্টির হেফাজত না করা। দৃষ্টির হেফাজত যে করবে, আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে ইবাদতের স্বাদ সৃষ্টি করে দেবেন। হজরত আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো সুন্দরী-রূপসী নারীর দিকে দৃষ্টি পড়ার পর যে নিজের দৃষ্টি নিচু করে ফেলবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে এমন ইবাদতের স্বাদ দান করবেন, যা সে কিয়ামত পর্যন্ত অনুভব করবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২২৭৮)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
বিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে আসে এবং খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে—তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে উট সদকার সওয়াবও! হাদিস ও কোরআনের আলোকে আমরা জেনে নিতে পারি—এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কীভাবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।
১ দিন আগেজুমার নামাজ, যা ‘শুক্রবারের নামাজ’ নামে পরিচিত, ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এটি আদায় করেন, তাই একে জুমার নামাজ বলা হয়।
১ দিন আগেআল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
১ দিন আগেমানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন।
১ দিন আগে