মুফতি আবু দারদা
দূরে কোথাও সফরে গেলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। বিভিন্ন সফরে তিনি স্ত্রীদের কেউ একজনকে সঙ্গে নিতেন। হজ-ওমরাহসহ বিভিন্ন যুদ্ধেও স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়।
ষষ্ঠ হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বনি মুস্তালিক মতান্তরে মুরাইসি যুদ্ধে যান, তখন স্ত্রীদের মধ্য থেকে হজরত আয়েশা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে যান। এই যুদ্ধের আগে পর্দার বিধান নাজিল হয়েছিল। হজরত আয়েশাকে উটের পিঠে পালকির ওপর বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই যুদ্ধে হজরত আয়েশাকে বড় অপবাদও দেওয়া হয়েছিল, যার প্রতিবাদে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আয়াতও নাজিল করেছেন। (বুখারি)
এ ছাড়া অন্যান্য সফরে অন্য স্ত্রীদের সঙ্গে নেওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। হুদাইবিয়ার সন্ধির সফরে নবীপত্নী উম্মে সালামা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কোরাইশদের কাছে এই সন্ধি করতে রাজি ছিলেন না অনেক সাহাবি। এই চুক্তির কারণে তাই সাহাবিরা বিমর্ষ ছিলেন।হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর পরামর্শেই তাঁদের শান্ত করেছিলেন মহানবী (সা.)। (বুখারি)
ভ্রমণে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে স্ত্রীদের কে যাবেন—তা নিজের ইচ্ছেমতো ঠিক করতেন না। বরং তিনি তাঁদের মধ্যে লটারির আয়োজন করতেন। লটারিতে যাঁর নাম আসত, তিনিই হতেন মহানবী (সা.)-এর সফরসঙ্গী। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সফরের ইচ্ছে করলে স্ত্রীদের মধ্যে লটারির ব্যবস্থা করতেন। যাঁর নাম আসত, তাঁকে নিয়েই সফরে বের হতেন তিনি। এ ছাড়া (রাতযাপনের ক্ষেত্রেও) প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য এক দিন এক রাত নির্দিষ্ট করে দিতেন। …’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
দূরে কোথাও সফরে গেলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। বিভিন্ন সফরে তিনি স্ত্রীদের কেউ একজনকে সঙ্গে নিতেন। হজ-ওমরাহসহ বিভিন্ন যুদ্ধেও স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়।
ষষ্ঠ হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বনি মুস্তালিক মতান্তরে মুরাইসি যুদ্ধে যান, তখন স্ত্রীদের মধ্য থেকে হজরত আয়েশা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে যান। এই যুদ্ধের আগে পর্দার বিধান নাজিল হয়েছিল। হজরত আয়েশাকে উটের পিঠে পালকির ওপর বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই যুদ্ধে হজরত আয়েশাকে বড় অপবাদও দেওয়া হয়েছিল, যার প্রতিবাদে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আয়াতও নাজিল করেছেন। (বুখারি)
এ ছাড়া অন্যান্য সফরে অন্য স্ত্রীদের সঙ্গে নেওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। হুদাইবিয়ার সন্ধির সফরে নবীপত্নী উম্মে সালামা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কোরাইশদের কাছে এই সন্ধি করতে রাজি ছিলেন না অনেক সাহাবি। এই চুক্তির কারণে তাই সাহাবিরা বিমর্ষ ছিলেন।হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর পরামর্শেই তাঁদের শান্ত করেছিলেন মহানবী (সা.)। (বুখারি)
ভ্রমণে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে স্ত্রীদের কে যাবেন—তা নিজের ইচ্ছেমতো ঠিক করতেন না। বরং তিনি তাঁদের মধ্যে লটারির আয়োজন করতেন। লটারিতে যাঁর নাম আসত, তিনিই হতেন মহানবী (সা.)-এর সফরসঙ্গী। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সফরের ইচ্ছে করলে স্ত্রীদের মধ্যে লটারির ব্যবস্থা করতেন। যাঁর নাম আসত, তাঁকে নিয়েই সফরে বের হতেন তিনি। এ ছাড়া (রাতযাপনের ক্ষেত্রেও) প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য এক দিন এক রাত নির্দিষ্ট করে দিতেন। …’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
রোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
১০ মিনিট আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
২৭ মিনিট আগেজীবিকার তাগিদে মানুষ নিজ বাসস্থান থেকে দূরে থাকে। যে যেখানেই থাকুক নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে জোর নির্দেশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘...আর আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ করেছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে...
৪ ঘণ্টা আগেইসলাম শুধু বিশ্বাসের নয়, বরং ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও মানবিক সম্পর্কের ধর্ম। এ ধর্ম মানুষের অন্তরের বন্ধনকে দৃঢ় করার জন্য কিছু অনন্য আচার বা সুন্নাহ শিক্ষা দিয়েছে; যার মধ্যে একটি হলো মুআনাকা—অর্থাৎ কোলাকুলি করা।
১০ ঘণ্টা আগে