মাহমুদ হাসান ফাহিম
কিছু পাপ এমন আছে, যা কখনো মাফ হয় না। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ও মারাত্মক হলো, শিরক তথা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। স্বাভাবিকভাবে শিরকের এই অর্থই আমরা জানি। কিন্তু শিরকের প্রকৃত মর্ম ও ব্যাখ্যা আমাদের অনেকেরই অজানা। মূল বিষয় হলো, শিরক মানে আল্লাহর গুণাবলি দিয়ে কোনো নবী, অলি, বুজুর্গ ব্যক্তিকে গুণান্বিত করা অথবা আল্লাহর সমপর্যায়ে কাউকে সমাসীন করা।
হ্যাঁ, সেটা বিশ্বাসগত হোক কিংবা বলা-কওয়ার মাধ্যমে হোক। আল্লাহর সমগুণে তাঁর যেকোনো সৃষ্টিকে গুণান্বিত করাই শিরক। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বান্দার সব গুনাহ ক্ষমা করবেন, কিন্তু শিরক ক্ষমা করবেন না। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে শিরক থেকে বেঁচে থাকার কথা বলা হয়েছে।
কেননা শিরক করলে ইবাদত পরকালে কোনো ফল বয়ে আনবে না। শিরক বান্দার সব ইবাদত-বন্দেগি নষ্ট করে দেয় এবং আল্লাহ তাআলার ক্রোধকে অবারিত করে। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করে। এ ছাড়া যেকোনো অপরাধ, যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে, সে এক গুরুতর পাপে লিপ্ত।’ (সুরা নিসা: ৪৮)
হজরত লোকমান তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে কখনো শরিক করবে না। নিশ্চয়ই শিরক এক গুরুতর অন্যায়।’ (সুরা লোকমান: ১৩) হজরত আবু বাকরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না?’ কথাটি তিনবার বলার পর তিনটি গুনাহের কথা উল্লেখ করেন। এক. আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা, দুই. মা-বাবার অবাধ্য হওয়া এবং তিন. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা মিথ্যা কথা বলা।’ (মুসলিম: ১৬১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কিছু পাপ এমন আছে, যা কখনো মাফ হয় না। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ও মারাত্মক হলো, শিরক তথা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। স্বাভাবিকভাবে শিরকের এই অর্থই আমরা জানি। কিন্তু শিরকের প্রকৃত মর্ম ও ব্যাখ্যা আমাদের অনেকেরই অজানা। মূল বিষয় হলো, শিরক মানে আল্লাহর গুণাবলি দিয়ে কোনো নবী, অলি, বুজুর্গ ব্যক্তিকে গুণান্বিত করা অথবা আল্লাহর সমপর্যায়ে কাউকে সমাসীন করা।
হ্যাঁ, সেটা বিশ্বাসগত হোক কিংবা বলা-কওয়ার মাধ্যমে হোক। আল্লাহর সমগুণে তাঁর যেকোনো সৃষ্টিকে গুণান্বিত করাই শিরক। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বান্দার সব গুনাহ ক্ষমা করবেন, কিন্তু শিরক ক্ষমা করবেন না। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে শিরক থেকে বেঁচে থাকার কথা বলা হয়েছে।
কেননা শিরক করলে ইবাদত পরকালে কোনো ফল বয়ে আনবে না। শিরক বান্দার সব ইবাদত-বন্দেগি নষ্ট করে দেয় এবং আল্লাহ তাআলার ক্রোধকে অবারিত করে। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করে। এ ছাড়া যেকোনো অপরাধ, যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে, সে এক গুরুতর পাপে লিপ্ত।’ (সুরা নিসা: ৪৮)
হজরত লোকমান তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে কখনো শরিক করবে না। নিশ্চয়ই শিরক এক গুরুতর অন্যায়।’ (সুরা লোকমান: ১৩) হজরত আবু বাকরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না?’ কথাটি তিনবার বলার পর তিনটি গুনাহের কথা উল্লেখ করেন। এক. আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা, দুই. মা-বাবার অবাধ্য হওয়া এবং তিন. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা মিথ্যা কথা বলা।’ (মুসলিম: ১৬১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
শয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লা
৬ ঘণ্টা আগেদৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
১ দিন আগেবিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে আসে এবং খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে—তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে উট সদকার সওয়াবও! হাদিস ও কোরআনের আলোকে আমরা জেনে নিতে পারি—এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কীভাবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।
২ দিন আগেজুমার নামাজ, যা ‘শুক্রবারের নামাজ’ নামে পরিচিত, ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এটি আদায় করেন, তাই একে জুমার নামাজ বলা হয়।
২ দিন আগে