আব্দুল্লাহ আল গালিব
ইসলাম সব সময় শান্তি, সম্প্রতি আর শৃঙ্খলার কথা বলে। সমাজে কাউকে অন্যায় করতে দেখলে বা কাউকে জুলুমের শিকার হতে দেখলে জুলুমের প্রতিবাদ করা ইমানি দায়িত্ব। এটিই একজন মুসলমানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি; মানুষের কল্যাণেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) হাদিসে এসেছে, আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখে, সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে। যদি তা না পারে, তবে কথা দিয়ে; তাও না পারলে অন্তর দিয়ে (ঘৃণা করবে)। এটি ইমানের দুর্বলতম স্তর।’ (মুসলিম: ৭৪)
জুলুমের প্রতিবাদ করা বড় সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নিজেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন; নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কী হলো, তোমরা কেন আল্লাহর পথে লড়াই করো না? অথচ দুর্বল পুরুষ, অসহায় নারী ও নিরাশ্রয় শিশুরা আল্লাহর কাছে আর্তনাদ করছে—হে আমাদের রব, আমাদের এই জালিমের জনপদ থেকে মুক্তি দিন এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠান।’ (সুরা
নিসা: ৭৫)
অন্যায় দেখে কোনোভাবেই প্রতিবাদ না করা ইসলামের শিক্ষার বিপরীত। কমপক্ষে অন্তরে ঘৃণা হলেও পোষণ করতে হবে। হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ করে বলছি—তোমরা অবশ্যই ভালো কাজে মানুষকে আদেশ দেবে এবং অবশ্যই অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। যদি তা না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের শাস্তি দেবেন। এরপর তোমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা করলেও তিনি কবুল করবেন না।’ (তিরমিজি: ৪০৬)
আব্দুল্লাহ আল গালিব, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম সব সময় শান্তি, সম্প্রতি আর শৃঙ্খলার কথা বলে। সমাজে কাউকে অন্যায় করতে দেখলে বা কাউকে জুলুমের শিকার হতে দেখলে জুলুমের প্রতিবাদ করা ইমানি দায়িত্ব। এটিই একজন মুসলমানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি; মানুষের কল্যাণেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) হাদিসে এসেছে, আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখে, সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে। যদি তা না পারে, তবে কথা দিয়ে; তাও না পারলে অন্তর দিয়ে (ঘৃণা করবে)। এটি ইমানের দুর্বলতম স্তর।’ (মুসলিম: ৭৪)
জুলুমের প্রতিবাদ করা বড় সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নিজেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন; নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কী হলো, তোমরা কেন আল্লাহর পথে লড়াই করো না? অথচ দুর্বল পুরুষ, অসহায় নারী ও নিরাশ্রয় শিশুরা আল্লাহর কাছে আর্তনাদ করছে—হে আমাদের রব, আমাদের এই জালিমের জনপদ থেকে মুক্তি দিন এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠান।’ (সুরা
নিসা: ৭৫)
অন্যায় দেখে কোনোভাবেই প্রতিবাদ না করা ইসলামের শিক্ষার বিপরীত। কমপক্ষে অন্তরে ঘৃণা হলেও পোষণ করতে হবে। হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ করে বলছি—তোমরা অবশ্যই ভালো কাজে মানুষকে আদেশ দেবে এবং অবশ্যই অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। যদি তা না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের শাস্তি দেবেন। এরপর তোমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা করলেও তিনি কবুল করবেন না।’ (তিরমিজি: ৪০৬)
আব্দুল্লাহ আল গালিব, ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১২ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২ দিন আগে