আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি হাসান আরিফ
প্রশ্ন: গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেলে কি নামাজ কসর করতে হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
জাকির হোসেন, লালমনিরহাট
উত্তর: কেউ তাঁর অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ এলাকা, গ্রাম বা শহর অতিক্রমের পর থেকেই শরিয়তের দৃষ্টিতে তিনি মুসাফির হয়ে যান। এভাবে সফর থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও নিজ এলাকার সীমানায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সফরের বিধান শেষ হয়ে যায়। সফরের সময় নামাজ কসর তথা সংক্ষিপ্ত করতে হয়।
সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার বিষয়ে আল্লাহ বলেন, যখন তোমরা দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করো, তখন নামাজ সংক্ষেপ করাতে দোষ নেই। (সুরা নিসা: ১০১)
মুসাফির যেখানে ভ্রমণে যাচ্ছে, সেখানে ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করলে ওই এলাকায় অবস্থানকালে নামাজ কসর করবে। আর ১৫ দিন বা ততোধিক সময় অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম (স্থায়ী বসবাসকারীর মতো) হয়ে যাবে। যত দিন সেখানে থাকবে, পূর্ণ নামাজ আদায় করবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৪)
সফরে নামাজের বিধান
মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী বা কোনো মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, নামাজ কসর করা আবশ্যক তথা ওয়াজিব। অর্থাৎ চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়বে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর জবানে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত এবং সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৮৭)
তবে মুসাফির যদি স্থানীয় ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন, তাহলে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ চার রাকাত নামাজই আদায় করবেন। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, মুসাফির যদি মুকিমদের সঙ্গে নামাজে শরিক হয়, তবে সে যেন তাদের মতো (চার রাকাত) নামাজ পড়ে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩৮৪৯)
সফর অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ মুকিম অবস্থায় (আবাসস্থলে এসে) কাজা করলে ‘কসর’ই আদায় করবেন। আর মুকিম অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ সফরে কাজা করলে তা পূর্ণ আদায় করবেন।
নামাজ কসর তথা সংক্ষিপ্ত করার বিধান শুধু চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মাগরিব, বেতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। মুসাফিরের জন্য সুন্নত নামাজ না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বেন। কেননা সুন্নত নামাজ সংক্ষিপ্ত করা যায় না। তবে সফরের মধ্যে কোথাও অবস্থানকালে তাড়াহুড়া না থাকলে সুন্নত পড়া উত্তম।
গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেলে নামাজের বিধান
নিজের গ্রামের বাড়ি তথা নিজের বাড়িতে কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে গেলে নামাজ কসর করা যাবে না। কেননা, কোনো ব্যক্তি নিজ স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয় না।
নারীর ক্ষেত্রে সাধারণত শ্বশুরবাড়িই মূল বাড়ি। কেননা সেখানেই তিনি মূলত পরিবার নিয়ে থাকেন। বাবার বাড়ি ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়তে বেড়াতে গেলে তিনি মুসাফির হবেন। তিনি উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে নামাজ সংক্ষিপ্ত করবেন। একইভাবে কোনো পুরুষ নিজের বাড়ি থেকে ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে এবং শ্বশুরবাড়ি ৪৮ মাইলের দূরত্বে হলে তাঁকে কসর করতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেলে কি নামাজ কসর করতে হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
জাকির হোসেন, লালমনিরহাট
উত্তর: কেউ তাঁর অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ এলাকা, গ্রাম বা শহর অতিক্রমের পর থেকেই শরিয়তের দৃষ্টিতে তিনি মুসাফির হয়ে যান। এভাবে সফর থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও নিজ এলাকার সীমানায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সফরের বিধান শেষ হয়ে যায়। সফরের সময় নামাজ কসর তথা সংক্ষিপ্ত করতে হয়।
সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার বিষয়ে আল্লাহ বলেন, যখন তোমরা দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করো, তখন নামাজ সংক্ষেপ করাতে দোষ নেই। (সুরা নিসা: ১০১)
মুসাফির যেখানে ভ্রমণে যাচ্ছে, সেখানে ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করলে ওই এলাকায় অবস্থানকালে নামাজ কসর করবে। আর ১৫ দিন বা ততোধিক সময় অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম (স্থায়ী বসবাসকারীর মতো) হয়ে যাবে। যত দিন সেখানে থাকবে, পূর্ণ নামাজ আদায় করবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৪)
সফরে নামাজের বিধান
মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী বা কোনো মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, নামাজ কসর করা আবশ্যক তথা ওয়াজিব। অর্থাৎ চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়বে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর জবানে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত এবং সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৮৭)
তবে মুসাফির যদি স্থানীয় ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন, তাহলে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ চার রাকাত নামাজই আদায় করবেন। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, মুসাফির যদি মুকিমদের সঙ্গে নামাজে শরিক হয়, তবে সে যেন তাদের মতো (চার রাকাত) নামাজ পড়ে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩৮৪৯)
সফর অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ মুকিম অবস্থায় (আবাসস্থলে এসে) কাজা করলে ‘কসর’ই আদায় করবেন। আর মুকিম অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ সফরে কাজা করলে তা পূর্ণ আদায় করবেন।
নামাজ কসর তথা সংক্ষিপ্ত করার বিধান শুধু চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মাগরিব, বেতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। মুসাফিরের জন্য সুন্নত নামাজ না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বেন। কেননা সুন্নত নামাজ সংক্ষিপ্ত করা যায় না। তবে সফরের মধ্যে কোথাও অবস্থানকালে তাড়াহুড়া না থাকলে সুন্নত পড়া উত্তম।
গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেলে নামাজের বিধান
নিজের গ্রামের বাড়ি তথা নিজের বাড়িতে কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে গেলে নামাজ কসর করা যাবে না। কেননা, কোনো ব্যক্তি নিজ স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয় না।
নারীর ক্ষেত্রে সাধারণত শ্বশুরবাড়িই মূল বাড়ি। কেননা সেখানেই তিনি মূলত পরিবার নিয়ে থাকেন। বাবার বাড়ি ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়তে বেড়াতে গেলে তিনি মুসাফির হবেন। তিনি উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে নামাজ সংক্ষিপ্ত করবেন। একইভাবে কোনো পুরুষ নিজের বাড়ি থেকে ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে এবং শ্বশুরবাড়ি ৪৮ মাইলের দূরত্বে হলে তাঁকে কসর করতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
একটি সাধারণ দৃশ্য আমরা প্রায়শই দেখি—আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে আঙুল প্রবেশ করিয়ে উচ্চ আওয়াজে আজান দিচ্ছেন। অনেকেই এটি আবশ্যক মনে করেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ঐচ্ছিক বা বর্জনযোগ্য বলে থাকেন। এই লেখায় আমরা কানে আঙুল দেওয়ার এ পদ্ধতির শরয়ি ভিত্তি, হাদিস, ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা এবং সমকালীন...
৭ ঘণ্টা আগেইতিহাস কখনো নিছক কাহিনি নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীক। মদিনার অদূরে অবস্থিত এক নিঃশব্দ পাহাড় তেমনই এক ইতিহাসের সাক্ষী। এটি শুধু মাটি-পাথরের সমষ্টি নয়; বরং এই পাহাড় ইসলামের প্রথম যুগের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, কষ্ট ও ভালোবাসার জীবন্ত স্মারক। রাসুলুল্লাহ (সা.) যাকে বলেছিলেন, ‘উহুদ...
৯ ঘণ্টা আগেজীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৪ ঘণ্টা আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
১ দিন আগে