তানবিরুল হক আবিদ
আরবি কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিশুদ্ধ নিয়তে স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানির ক্ষেত্রে নিয়তের বিশুদ্ধতা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(কোরবানির) এসব পশুর রক্ত, মাংস আল্লাহর কাছে কিছুই পৌঁছে না। বরং তোমাদের পক্ষ থেকে তাকওয়াই তাঁর কাছে পৌঁছে।’ (সুরা হজ: ৩৭)
মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত আবশ্যকীয় একটি ইবাদত এই কোরবানি। বছরের নির্ধারিত সময়ে সামর্থ্যবান ব্যক্তির কোরবানি দিতে হয়। উট, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া, গরু, ছাগল দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। কোরবানির ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে এক বছর, গরু-মহিষ দুই বছর এবং উটের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু, যেমন ঘোড়া, হরিণ, বন্য গরু ইত্যাদি দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তদ্রূপ হাঁস-মুরগি বা কোনো পাখি দিয়েও কোরবানি আদায় হয় না। (কাজিখান: ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৫)
দেশে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমিষের চাহিদা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পশুর চাহিদা। খাদ্য উপযোগী পশু আগে বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও, এখন এর প্রবণতা অনেকটাই কম। মাংসের বাজার বড় হওয়ায়, দেশে বেড়েছে খামারের সংখ্যা। খামারিরা কোরবানিসহ সারা বছরের মাংসের চাহিদা পূরণ করতে অনেক সময় বেছে নেয় কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি। কোরবানির হাটেও ওঠানো হচ্ছে সেসব পশু। এগুলো বিক্রি হচ্ছে, কোরবানিও দিচ্ছেন মানুষজন। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, আল্লাহর দেওয়া প্রাকৃতিক পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া এসব পশু দিয়ে কোরবানি দিলে তা শুদ্ধ হবে কি?
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, পশুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি বিজ্ঞানের একটি আবিষ্কার। এই আবিষ্কার ইসলাম পরিপন্থী নয়। তাই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া পশু কোরবানির করার উপযুক্ত বয়সে উপনীত হলে, তা দিয়ে কোরবানি করা বৈধ বা জায়েজ আছে। (ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু: ৩/৫৫৯, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১/৩২২)
আরবি কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিশুদ্ধ নিয়তে স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানির ক্ষেত্রে নিয়তের বিশুদ্ধতা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(কোরবানির) এসব পশুর রক্ত, মাংস আল্লাহর কাছে কিছুই পৌঁছে না। বরং তোমাদের পক্ষ থেকে তাকওয়াই তাঁর কাছে পৌঁছে।’ (সুরা হজ: ৩৭)
মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত আবশ্যকীয় একটি ইবাদত এই কোরবানি। বছরের নির্ধারিত সময়ে সামর্থ্যবান ব্যক্তির কোরবানি দিতে হয়। উট, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া, গরু, ছাগল দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। কোরবানির ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে এক বছর, গরু-মহিষ দুই বছর এবং উটের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু, যেমন ঘোড়া, হরিণ, বন্য গরু ইত্যাদি দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তদ্রূপ হাঁস-মুরগি বা কোনো পাখি দিয়েও কোরবানি আদায় হয় না। (কাজিখান: ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৫)
দেশে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমিষের চাহিদা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পশুর চাহিদা। খাদ্য উপযোগী পশু আগে বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও, এখন এর প্রবণতা অনেকটাই কম। মাংসের বাজার বড় হওয়ায়, দেশে বেড়েছে খামারের সংখ্যা। খামারিরা কোরবানিসহ সারা বছরের মাংসের চাহিদা পূরণ করতে অনেক সময় বেছে নেয় কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি। কোরবানির হাটেও ওঠানো হচ্ছে সেসব পশু। এগুলো বিক্রি হচ্ছে, কোরবানিও দিচ্ছেন মানুষজন। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, আল্লাহর দেওয়া প্রাকৃতিক পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া এসব পশু দিয়ে কোরবানি দিলে তা শুদ্ধ হবে কি?
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, পশুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি বিজ্ঞানের একটি আবিষ্কার। এই আবিষ্কার ইসলাম পরিপন্থী নয়। তাই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া পশু কোরবানির করার উপযুক্ত বয়সে উপনীত হলে, তা দিয়ে কোরবানি করা বৈধ বা জায়েজ আছে। (ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু: ৩/৫৫৯, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১/৩২২)
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
১১ ঘণ্টা আগেরাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেদুটি জিনিসের কারণে মানুষ আল্লাহবিমুখ হয়। ভুলে যায় তার স্রষ্টাকে এবং তাঁর দেওয়া দৈনন্দিন পালনীয় আদেশ-নিষেধ। এক. ধনসম্পদের আধিক্য ও প্রাচুর্য। দুই. নিজ সন্তান। মূলত এ দুটি জিনিসই মানুষের জন্য পরীক্ষার বস্তু। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি তো পরীক্ষার বস্তু।
১ দিন আগে