মুফতি ইশমাম আহমেদ
আজকাল দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। অনেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে। এসবের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী? পরকালে তাদের কী শাস্তি হবে?
আবদুল্লাহ আলমগীর, ঢাকা
ইসলামের দৃষ্টিতে সব ধরনের দুর্নীতিই অন্যায়, অবৈধ ও নাজায়েজ। তাই দুর্নীতিবাজদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি মুসলিমের দায়িত্ব গ্রহণের পর খিয়ানত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৭১৫১) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার প্রতি আল্লাহ কোনো দায়িত্ব অর্পণ করেন, এরপর সে সুষ্ঠুভাবে তা পালন করে না, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি: ৭১৫০)
পরকালে দুর্নীতিবাজদের কী শাস্তি হবে—এ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে। দুর্নীতি করে যে যা অর্জন করবে, কিয়ামতের দিন তা নিয়েই তাদের ওঠানো হবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে তিনি খিয়ানত করবেন। আর যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে, সে কিয়ামতের দিন সেই খিয়ানত করা বস্তু নিয়ে উপস্থিত হবে। এরপর প্রত্যেকেই যা অর্জন করেছে তা পরিপূর্ণভাবে পাবে। আর তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না।’ (সুরা আল ইমরান: ১৬১)
অন্য হাদিসে আবু হুমায়দ সাঈদ (রা.) বলেন, নবী (সা.) আজদ গোত্রের ইবনে উতবিয়া নামের এক ব্যক্তিকে জাকাত সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ফিরে এসে বললেন, এগুলো আপনাদের, আর এগুলো আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সে তার বাবার ঘরে কিংবা তার মায়ের ঘরে কেন বসে থাকল না। তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না। যাঁর হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম, সদকার মাল থেকে স্বল্প পরিমাণও যে আত্মসাৎ করবে, সে তা কাঁধে করে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে। সেটা উট হলে তার আওয়াজ করবে, আর গাভি হলে হাম্বা হাম্বা করবে আর বকরি হলে ভ্যা ভ্যা করতে থাকবে।’ (বুখারি: ২৫৯৭)
দুর্নীতির মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সম্পদ উপার্জন করা এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করা জাতির বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। সম্পদ আত্মসাৎ, বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা ইসলামে ভয়ংকর অপরাধ। যারা দুনিয়ায় এগুলোর সঙ্গে জড়িত হবে, তাদের হাশরের ময়দানে সবার সামনে এসব অভিধায় পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একেকটি পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বলা হবে, এটা অমুকের পুত্র অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক।’ (বুখারি: ৬১৭৮)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আজকাল দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। অনেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে। এসবের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী? পরকালে তাদের কী শাস্তি হবে?
আবদুল্লাহ আলমগীর, ঢাকা
ইসলামের দৃষ্টিতে সব ধরনের দুর্নীতিই অন্যায়, অবৈধ ও নাজায়েজ। তাই দুর্নীতিবাজদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি মুসলিমের দায়িত্ব গ্রহণের পর খিয়ানত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৭১৫১) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার প্রতি আল্লাহ কোনো দায়িত্ব অর্পণ করেন, এরপর সে সুষ্ঠুভাবে তা পালন করে না, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি: ৭১৫০)
পরকালে দুর্নীতিবাজদের কী শাস্তি হবে—এ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে। দুর্নীতি করে যে যা অর্জন করবে, কিয়ামতের দিন তা নিয়েই তাদের ওঠানো হবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে তিনি খিয়ানত করবেন। আর যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে, সে কিয়ামতের দিন সেই খিয়ানত করা বস্তু নিয়ে উপস্থিত হবে। এরপর প্রত্যেকেই যা অর্জন করেছে তা পরিপূর্ণভাবে পাবে। আর তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না।’ (সুরা আল ইমরান: ১৬১)
অন্য হাদিসে আবু হুমায়দ সাঈদ (রা.) বলেন, নবী (সা.) আজদ গোত্রের ইবনে উতবিয়া নামের এক ব্যক্তিকে জাকাত সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ফিরে এসে বললেন, এগুলো আপনাদের, আর এগুলো আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সে তার বাবার ঘরে কিংবা তার মায়ের ঘরে কেন বসে থাকল না। তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না। যাঁর হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম, সদকার মাল থেকে স্বল্প পরিমাণও যে আত্মসাৎ করবে, সে তা কাঁধে করে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে। সেটা উট হলে তার আওয়াজ করবে, আর গাভি হলে হাম্বা হাম্বা করবে আর বকরি হলে ভ্যা ভ্যা করতে থাকবে।’ (বুখারি: ২৫৯৭)
দুর্নীতির মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সম্পদ উপার্জন করা এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করা জাতির বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। সম্পদ আত্মসাৎ, বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা ইসলামে ভয়ংকর অপরাধ। যারা দুনিয়ায় এগুলোর সঙ্গে জড়িত হবে, তাদের হাশরের ময়দানে সবার সামনে এসব অভিধায় পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একেকটি পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বলা হবে, এটা অমুকের পুত্র অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক।’ (বুখারি: ৬১৭৮)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
‘সেহরি’ শব্দটি আরবি ‘সাহর’ বা ‘সুহুর’ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ বা ভোররাত। সেহরি অর্থ শেষ রাতের বা ভোররাতের খাবার। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে আহার করা হয়, একে শরিয়তের পরিভাষায় সেহরি বলা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেরোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
১ দিন আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
১ দিন আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
১ দিন আগে