সালমান আদীব
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন। বলেছেন, ‘হে লোক সকল, জেনে রেখো, তোমাদের সকলের পালনকর্তা একজন এবং তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের এবং আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, যেমন কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের ও শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই—তাকওয়ার মানদণ্ড ব্যতীত। সকল মুসলমান একে অপরের ভাই।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এ ঘোষণার প্রতিধ্বনিই যেন শোনা গিয়েছিল ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমরের কণ্ঠে। তাঁর শাসনামলে একবার যখন রাসুলের ঘোষিত সেই সমতা বিধানের ব্যত্যয় ঘটল, তখনই তিনি গর্জে উঠে বললেন, ‘মানুষকে তাদের মায়েরা স্বাধীন হিসেবে জন্ম দিয়েছে, সুতরাং তোমরা কবে থেকে তাদের ক্রীতদাস বানাতে শুরু করলে!’ (তারিখে তাবারি)
ইসলাম মানুষকে এতটা স্বাধীনতা দিয়েছে—পৃথিবীর বুকে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও ইসলামকে কারও ওপর চাপিয়ে দেয়নি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দ্বীনের বিষয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। হিদায়াতের পথ গোমরাহি থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এরপর যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে, সে এক মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরল, যা ভেঙে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও সবকিছু জানেন। (সুরা বাকারা: ২৫৬)
আয়াতে আল্লাহ যেমন তাঁর বান্দাদের ওপর তাঁর মনোনীত দ্বীনকে চাপিয়ে দেননি, সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন—সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং যে সত্যের অনুসরণ করবে, সে সফল হবে। আর যে অনুসরণ করবে মিথ্যার, তার জন্য ধ্বংস অবধারিত। এ থেকে ইসলাম যে মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছে, সে সত্যটিও উপলব্ধ হয়। কেননা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য যেমন মানুষ দ্বিতীয় কেউ বলে দেওয়ার মাধ্যমে জানতে পারে, তেমনি জানতে পারে চিন্তার মাধ্যমে। যদি কারও চিন্তাকে জিম্মি করে ফেলা হয়, হরণ করা হয় তার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার, তাহলে সে সত্যের দিশা কখনোই পাবে না। সে হয়ে থাকবে অপরের চিন্তাদাস।
ইসলাম ব্যক্তির স্বাধীনতার কথা বলে ঠিকই; কিন্তু স্বাধীনতার নামে আমাদের অধুনা পৃথিবীতে প্রচলিত স্বেচ্ছাচারিতাকে চরমভাবে অস্বীকার করে। যেমন, জগতের সবচেয়ে কুখ্যাত অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কথাই ধরা যাক। ফেরাউন ছিল তৎকালীন পৃথিবীর এক মহাক্ষমতাধর রাজা। সে নিজেকে স্বাধীন মনে করত, কিন্তু তার স্বাধীনতার মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে সে আল্লাহকে অস্বীকার করে নিজেকে খোদা দাবি করে বসেছিল। হয়ে উঠেছিল এক ঘৃণিত কুখ্যাত স্বৈরাচারী। তার এই স্বেচ্ছাচার ও তার পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয় ফেরাউন ভূমিতে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং সেই ভূখণ্ডের অধিবাসীদের বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে রেখেছিল। সে তাদের একটি শ্রেণিকে দুর্বল বানিয়ে রেখেছিল। সে তাদের পুত্রসন্তানদের হত্যা করত ও কন্যাসন্তানদের জীবিত থাকতে দিত। বাস্তবিকই সে ছিল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী। আর আমার অভিপ্রায় ছিল, যাদের দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করব এবং তাদের নেতা বানিয়ে দেব এবং তাদেরই পৃথিবীর শাসক বানাব। আর ফেরাউন, হামান ও তাদের বাহিনীকে (লাঞ্ছনা ও পরাজয়ের) সেসব বাস্তবতা দেখাব, যার আশঙ্কা তারা তাদের (অর্থাৎ বনি ইসরাইলের) দিক থেকে করছিল।’ (সুরা কাসাস: ৪-৬)
সুতরাং, আমরা যদি মানবাধিকার ও স্বাধীনতা চর্চার মাধ্যমে আমাদের সমাজ, জাতি ও দেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তবে অবশ্যই ইসলাম যেভাবে স্বাধীনতা চর্চা করতে বলে, সেভাবে করতে হবে। আমরা যদি এর ঊর্ধ্বে গিয়ে স্বাধীনতা চর্চা করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠি, তাহলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন তো দূরের কথা, বরং নেমে আসবে বিপর্যয়ের ঢেউ—যে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে যাবে সব আশা-আকাঙ্ক্ষা। হারিয়ে যাবে সব সুখ-সমৃদ্ধি।
লেখক: কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন। বলেছেন, ‘হে লোক সকল, জেনে রেখো, তোমাদের সকলের পালনকর্তা একজন এবং তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের এবং আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, যেমন কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের ও শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই—তাকওয়ার মানদণ্ড ব্যতীত। সকল মুসলমান একে অপরের ভাই।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এ ঘোষণার প্রতিধ্বনিই যেন শোনা গিয়েছিল ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমরের কণ্ঠে। তাঁর শাসনামলে একবার যখন রাসুলের ঘোষিত সেই সমতা বিধানের ব্যত্যয় ঘটল, তখনই তিনি গর্জে উঠে বললেন, ‘মানুষকে তাদের মায়েরা স্বাধীন হিসেবে জন্ম দিয়েছে, সুতরাং তোমরা কবে থেকে তাদের ক্রীতদাস বানাতে শুরু করলে!’ (তারিখে তাবারি)
ইসলাম মানুষকে এতটা স্বাধীনতা দিয়েছে—পৃথিবীর বুকে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও ইসলামকে কারও ওপর চাপিয়ে দেয়নি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দ্বীনের বিষয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। হিদায়াতের পথ গোমরাহি থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এরপর যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে, সে এক মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরল, যা ভেঙে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও সবকিছু জানেন। (সুরা বাকারা: ২৫৬)
আয়াতে আল্লাহ যেমন তাঁর বান্দাদের ওপর তাঁর মনোনীত দ্বীনকে চাপিয়ে দেননি, সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন—সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং যে সত্যের অনুসরণ করবে, সে সফল হবে। আর যে অনুসরণ করবে মিথ্যার, তার জন্য ধ্বংস অবধারিত। এ থেকে ইসলাম যে মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছে, সে সত্যটিও উপলব্ধ হয়। কেননা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য যেমন মানুষ দ্বিতীয় কেউ বলে দেওয়ার মাধ্যমে জানতে পারে, তেমনি জানতে পারে চিন্তার মাধ্যমে। যদি কারও চিন্তাকে জিম্মি করে ফেলা হয়, হরণ করা হয় তার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার, তাহলে সে সত্যের দিশা কখনোই পাবে না। সে হয়ে থাকবে অপরের চিন্তাদাস।
ইসলাম ব্যক্তির স্বাধীনতার কথা বলে ঠিকই; কিন্তু স্বাধীনতার নামে আমাদের অধুনা পৃথিবীতে প্রচলিত স্বেচ্ছাচারিতাকে চরমভাবে অস্বীকার করে। যেমন, জগতের সবচেয়ে কুখ্যাত অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কথাই ধরা যাক। ফেরাউন ছিল তৎকালীন পৃথিবীর এক মহাক্ষমতাধর রাজা। সে নিজেকে স্বাধীন মনে করত, কিন্তু তার স্বাধীনতার মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে সে আল্লাহকে অস্বীকার করে নিজেকে খোদা দাবি করে বসেছিল। হয়ে উঠেছিল এক ঘৃণিত কুখ্যাত স্বৈরাচারী। তার এই স্বেচ্ছাচার ও তার পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয় ফেরাউন ভূমিতে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং সেই ভূখণ্ডের অধিবাসীদের বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে রেখেছিল। সে তাদের একটি শ্রেণিকে দুর্বল বানিয়ে রেখেছিল। সে তাদের পুত্রসন্তানদের হত্যা করত ও কন্যাসন্তানদের জীবিত থাকতে দিত। বাস্তবিকই সে ছিল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী। আর আমার অভিপ্রায় ছিল, যাদের দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করব এবং তাদের নেতা বানিয়ে দেব এবং তাদেরই পৃথিবীর শাসক বানাব। আর ফেরাউন, হামান ও তাদের বাহিনীকে (লাঞ্ছনা ও পরাজয়ের) সেসব বাস্তবতা দেখাব, যার আশঙ্কা তারা তাদের (অর্থাৎ বনি ইসরাইলের) দিক থেকে করছিল।’ (সুরা কাসাস: ৪-৬)
সুতরাং, আমরা যদি মানবাধিকার ও স্বাধীনতা চর্চার মাধ্যমে আমাদের সমাজ, জাতি ও দেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তবে অবশ্যই ইসলাম যেভাবে স্বাধীনতা চর্চা করতে বলে, সেভাবে করতে হবে। আমরা যদি এর ঊর্ধ্বে গিয়ে স্বাধীনতা চর্চা করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠি, তাহলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন তো দূরের কথা, বরং নেমে আসবে বিপর্যয়ের ঢেউ—যে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে যাবে সব আশা-আকাঙ্ক্ষা। হারিয়ে যাবে সব সুখ-সমৃদ্ধি।
লেখক: কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী
সালমান আদীব
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন। বলেছেন, ‘হে লোক সকল, জেনে রেখো, তোমাদের সকলের পালনকর্তা একজন এবং তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের এবং আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, যেমন কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের ও শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই—তাকওয়ার মানদণ্ড ব্যতীত। সকল মুসলমান একে অপরের ভাই।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এ ঘোষণার প্রতিধ্বনিই যেন শোনা গিয়েছিল ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমরের কণ্ঠে। তাঁর শাসনামলে একবার যখন রাসুলের ঘোষিত সেই সমতা বিধানের ব্যত্যয় ঘটল, তখনই তিনি গর্জে উঠে বললেন, ‘মানুষকে তাদের মায়েরা স্বাধীন হিসেবে জন্ম দিয়েছে, সুতরাং তোমরা কবে থেকে তাদের ক্রীতদাস বানাতে শুরু করলে!’ (তারিখে তাবারি)
ইসলাম মানুষকে এতটা স্বাধীনতা দিয়েছে—পৃথিবীর বুকে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও ইসলামকে কারও ওপর চাপিয়ে দেয়নি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দ্বীনের বিষয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। হিদায়াতের পথ গোমরাহি থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এরপর যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে, সে এক মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরল, যা ভেঙে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও সবকিছু জানেন। (সুরা বাকারা: ২৫৬)
আয়াতে আল্লাহ যেমন তাঁর বান্দাদের ওপর তাঁর মনোনীত দ্বীনকে চাপিয়ে দেননি, সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন—সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং যে সত্যের অনুসরণ করবে, সে সফল হবে। আর যে অনুসরণ করবে মিথ্যার, তার জন্য ধ্বংস অবধারিত। এ থেকে ইসলাম যে মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছে, সে সত্যটিও উপলব্ধ হয়। কেননা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য যেমন মানুষ দ্বিতীয় কেউ বলে দেওয়ার মাধ্যমে জানতে পারে, তেমনি জানতে পারে চিন্তার মাধ্যমে। যদি কারও চিন্তাকে জিম্মি করে ফেলা হয়, হরণ করা হয় তার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার, তাহলে সে সত্যের দিশা কখনোই পাবে না। সে হয়ে থাকবে অপরের চিন্তাদাস।
ইসলাম ব্যক্তির স্বাধীনতার কথা বলে ঠিকই; কিন্তু স্বাধীনতার নামে আমাদের অধুনা পৃথিবীতে প্রচলিত স্বেচ্ছাচারিতাকে চরমভাবে অস্বীকার করে। যেমন, জগতের সবচেয়ে কুখ্যাত অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কথাই ধরা যাক। ফেরাউন ছিল তৎকালীন পৃথিবীর এক মহাক্ষমতাধর রাজা। সে নিজেকে স্বাধীন মনে করত, কিন্তু তার স্বাধীনতার মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে সে আল্লাহকে অস্বীকার করে নিজেকে খোদা দাবি করে বসেছিল। হয়ে উঠেছিল এক ঘৃণিত কুখ্যাত স্বৈরাচারী। তার এই স্বেচ্ছাচার ও তার পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয় ফেরাউন ভূমিতে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং সেই ভূখণ্ডের অধিবাসীদের বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে রেখেছিল। সে তাদের একটি শ্রেণিকে দুর্বল বানিয়ে রেখেছিল। সে তাদের পুত্রসন্তানদের হত্যা করত ও কন্যাসন্তানদের জীবিত থাকতে দিত। বাস্তবিকই সে ছিল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী। আর আমার অভিপ্রায় ছিল, যাদের দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করব এবং তাদের নেতা বানিয়ে দেব এবং তাদেরই পৃথিবীর শাসক বানাব। আর ফেরাউন, হামান ও তাদের বাহিনীকে (লাঞ্ছনা ও পরাজয়ের) সেসব বাস্তবতা দেখাব, যার আশঙ্কা তারা তাদের (অর্থাৎ বনি ইসরাইলের) দিক থেকে করছিল।’ (সুরা কাসাস: ৪-৬)
সুতরাং, আমরা যদি মানবাধিকার ও স্বাধীনতা চর্চার মাধ্যমে আমাদের সমাজ, জাতি ও দেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তবে অবশ্যই ইসলাম যেভাবে স্বাধীনতা চর্চা করতে বলে, সেভাবে করতে হবে। আমরা যদি এর ঊর্ধ্বে গিয়ে স্বাধীনতা চর্চা করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠি, তাহলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন তো দূরের কথা, বরং নেমে আসবে বিপর্যয়ের ঢেউ—যে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে যাবে সব আশা-আকাঙ্ক্ষা। হারিয়ে যাবে সব সুখ-সমৃদ্ধি।
লেখক: কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন। বলেছেন, ‘হে লোক সকল, জেনে রেখো, তোমাদের সকলের পালনকর্তা একজন এবং তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের এবং আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, যেমন কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের ও শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই—তাকওয়ার মানদণ্ড ব্যতীত। সকল মুসলমান একে অপরের ভাই।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এ ঘোষণার প্রতিধ্বনিই যেন শোনা গিয়েছিল ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমরের কণ্ঠে। তাঁর শাসনামলে একবার যখন রাসুলের ঘোষিত সেই সমতা বিধানের ব্যত্যয় ঘটল, তখনই তিনি গর্জে উঠে বললেন, ‘মানুষকে তাদের মায়েরা স্বাধীন হিসেবে জন্ম দিয়েছে, সুতরাং তোমরা কবে থেকে তাদের ক্রীতদাস বানাতে শুরু করলে!’ (তারিখে তাবারি)
ইসলাম মানুষকে এতটা স্বাধীনতা দিয়েছে—পৃথিবীর বুকে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও ইসলামকে কারও ওপর চাপিয়ে দেয়নি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দ্বীনের বিষয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। হিদায়াতের পথ গোমরাহি থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এরপর যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে, সে এক মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরল, যা ভেঙে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও সবকিছু জানেন। (সুরা বাকারা: ২৫৬)
আয়াতে আল্লাহ যেমন তাঁর বান্দাদের ওপর তাঁর মনোনীত দ্বীনকে চাপিয়ে দেননি, সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন—সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং যে সত্যের অনুসরণ করবে, সে সফল হবে। আর যে অনুসরণ করবে মিথ্যার, তার জন্য ধ্বংস অবধারিত। এ থেকে ইসলাম যে মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছে, সে সত্যটিও উপলব্ধ হয়। কেননা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য যেমন মানুষ দ্বিতীয় কেউ বলে দেওয়ার মাধ্যমে জানতে পারে, তেমনি জানতে পারে চিন্তার মাধ্যমে। যদি কারও চিন্তাকে জিম্মি করে ফেলা হয়, হরণ করা হয় তার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার, তাহলে সে সত্যের দিশা কখনোই পাবে না। সে হয়ে থাকবে অপরের চিন্তাদাস।
ইসলাম ব্যক্তির স্বাধীনতার কথা বলে ঠিকই; কিন্তু স্বাধীনতার নামে আমাদের অধুনা পৃথিবীতে প্রচলিত স্বেচ্ছাচারিতাকে চরমভাবে অস্বীকার করে। যেমন, জগতের সবচেয়ে কুখ্যাত অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কথাই ধরা যাক। ফেরাউন ছিল তৎকালীন পৃথিবীর এক মহাক্ষমতাধর রাজা। সে নিজেকে স্বাধীন মনে করত, কিন্তু তার স্বাধীনতার মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে সে আল্লাহকে অস্বীকার করে নিজেকে খোদা দাবি করে বসেছিল। হয়ে উঠেছিল এক ঘৃণিত কুখ্যাত স্বৈরাচারী। তার এই স্বেচ্ছাচার ও তার পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয় ফেরাউন ভূমিতে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং সেই ভূখণ্ডের অধিবাসীদের বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে রেখেছিল। সে তাদের একটি শ্রেণিকে দুর্বল বানিয়ে রেখেছিল। সে তাদের পুত্রসন্তানদের হত্যা করত ও কন্যাসন্তানদের জীবিত থাকতে দিত। বাস্তবিকই সে ছিল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী। আর আমার অভিপ্রায় ছিল, যাদের দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করব এবং তাদের নেতা বানিয়ে দেব এবং তাদেরই পৃথিবীর শাসক বানাব। আর ফেরাউন, হামান ও তাদের বাহিনীকে (লাঞ্ছনা ও পরাজয়ের) সেসব বাস্তবতা দেখাব, যার আশঙ্কা তারা তাদের (অর্থাৎ বনি ইসরাইলের) দিক থেকে করছিল।’ (সুরা কাসাস: ৪-৬)
সুতরাং, আমরা যদি মানবাধিকার ও স্বাধীনতা চর্চার মাধ্যমে আমাদের সমাজ, জাতি ও দেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তবে অবশ্যই ইসলাম যেভাবে স্বাধীনতা চর্চা করতে বলে, সেভাবে করতে হবে। আমরা যদি এর ঊর্ধ্বে গিয়ে স্বাধীনতা চর্চা করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠি, তাহলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন তো দূরের কথা, বরং নেমে আসবে বিপর্যয়ের ঢেউ—যে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে যাবে সব আশা-আকাঙ্ক্ষা। হারিয়ে যাবে সব সুখ-সমৃদ্ধি।
লেখক: কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন।
০১ আগস্ট ২০২৫নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন।
০১ আগস্ট ২০২৫মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন।
০১ আগস্ট ২০২৫মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
মানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন।
০১ আগস্ট ২০২৫মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে