মুফতি খালিদ কাসেমি
আল্লাহর ভয়ে কান্না করা অতি উঁচু পর্যায়ের একটি আমল। মহান আল্লাহ বান্দার এ আমল খুব পছন্দ করেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দুটি ফোঁটা এবং দুটি চিহ্ন থেকে বেশি প্রিয় আর কিছুই নেই। দুটি ফোঁটা হলো, আল্লাহর ভয়ে কান্নার অশ্রুফোঁটা এবং আল্লাহর পথে প্রবাহিত রক্তের ফোঁটা। আর দুটি চিহ্ন হলো, আল্লাহর পথে (আঘাতের) চিহ্ন এবং আল্লাহ নির্ধারিত কোনো ফরজ ইবাদত আদায়ের চিহ্ন।’ (তিরমিজি)
মহান আল্লাহর ভয়ে কাঁদার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয়ে যে ব্যক্তি কেঁদেছে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না (দোহনকৃত) দুধ বাঁটে ফিরে যাবে। (অর্থাৎ দুটোই অসম্ভব)। আর আল্লাহর রাস্তার ধুলো ও জাহান্নামের ধোঁয়া একত্র হবে না।’ (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জাহান্নামের আগুন দুটি চোখকে স্পর্শ করবে না। আল্লাহ তাআলার ভয়ে যে চোখ কাঁদে এবং আল্লাহ তাআলার পথে যে চোখ (নিরাপত্তার জন্য) পাহারা দিয়ে বিনিদ্র রাত পার করে।’ (তিরমিজি)
আরেক হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যেদিন আল্লাহর (আরশের) ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তাআলা সাত প্রকারের মানুষকে তাঁর ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। (তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে,) ...যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে, ফলে তার চোখ থেকে অশ্রু ঝরে।’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) আল্লাহর ভয়ে অধিক পরিমাণে কাঁদতেন। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখির (রা.) বলেন, ‘আমি একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলাম, তিনি নামাজ আদায় করছেন। তাঁর বক্ষদেশ থেকে কান্নার এমন শব্দ বের হচ্ছে, যেমন চুলার ওপর রাখা পাত্র থেকে টগবগ শব্দ পাওয়া যায়।’ (শামায়েলে তিরমিজি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর ভয়ে কান্না করা অতি উঁচু পর্যায়ের একটি আমল। মহান আল্লাহ বান্দার এ আমল খুব পছন্দ করেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দুটি ফোঁটা এবং দুটি চিহ্ন থেকে বেশি প্রিয় আর কিছুই নেই। দুটি ফোঁটা হলো, আল্লাহর ভয়ে কান্নার অশ্রুফোঁটা এবং আল্লাহর পথে প্রবাহিত রক্তের ফোঁটা। আর দুটি চিহ্ন হলো, আল্লাহর পথে (আঘাতের) চিহ্ন এবং আল্লাহ নির্ধারিত কোনো ফরজ ইবাদত আদায়ের চিহ্ন।’ (তিরমিজি)
মহান আল্লাহর ভয়ে কাঁদার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয়ে যে ব্যক্তি কেঁদেছে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না (দোহনকৃত) দুধ বাঁটে ফিরে যাবে। (অর্থাৎ দুটোই অসম্ভব)। আর আল্লাহর রাস্তার ধুলো ও জাহান্নামের ধোঁয়া একত্র হবে না।’ (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জাহান্নামের আগুন দুটি চোখকে স্পর্শ করবে না। আল্লাহ তাআলার ভয়ে যে চোখ কাঁদে এবং আল্লাহ তাআলার পথে যে চোখ (নিরাপত্তার জন্য) পাহারা দিয়ে বিনিদ্র রাত পার করে।’ (তিরমিজি)
আরেক হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যেদিন আল্লাহর (আরশের) ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তাআলা সাত প্রকারের মানুষকে তাঁর ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। (তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে,) ...যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে, ফলে তার চোখ থেকে অশ্রু ঝরে।’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) আল্লাহর ভয়ে অধিক পরিমাণে কাঁদতেন। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখির (রা.) বলেন, ‘আমি একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলাম, তিনি নামাজ আদায় করছেন। তাঁর বক্ষদেশ থেকে কান্নার এমন শব্দ বের হচ্ছে, যেমন চুলার ওপর রাখা পাত্র থেকে টগবগ শব্দ পাওয়া যায়।’ (শামায়েলে তিরমিজি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১৪ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২১ ঘণ্টা আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
২ দিন আগেএকজন মুসলমানের জীবনে ইমান এক অমূল্য সম্পদ। তবে সৎকার ছাড়া ইমানও মূল্যহীন। আসুন, ইমান ও সৎকাজের পুরস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।
২ দিন আগে