Ajker Patrika

রমজানের রোজা রাখা ফরজ

মুনীরুল ইসলাম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৪: ৩২
Thumbnail image

রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচ মৌলিক বিষয়ের একটি। ইসলামি বিধান অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, মানসিকভাবে সুস্থ, শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির নয় এবং শারীরিক-মানসিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলিমের জন্য রোজা রাখা ফরজ। আরবিতে রোজাকে সাওম বলা হয়, আর রোজা পালন করাকে সিয়াম বলা হয়। সিয়াম শব্দের অর্থ কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার, যৌনতা, পাপাচার এবং সেই সঙ্গে যাবতীয় ভোগ-বিলাস ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম রোজা।

দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে রোজা ফরজ করা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা রোজা রাখার নির্দেশ দিয়ে এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)

রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাকওয়া বৃদ্ধি করা। রোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজেই দান করবেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি হলো ইফতারের সময়, অপরটি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’  (বুখারি ও মুসলিম)

ইসলামের বিধান হলো, শারীরিক-মানসিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলিমকেই রমজানের রোজা রাখতে হবে। বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে কাজা-কাফফারা দুটিই আদায় করতে হবে। যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে।

কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট। কাফফারা আদায় করার তিনটি বিকল্প বিধান রয়েছে—

এক. একটির রোজার কাফফারা হিসেবে একটি দাস মুক্ত করতে হবে।

দুই. একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। তিন. তা সম্ভব না হলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে।

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত