ইসলাম ডেস্ক
বৃষ্টি মানেই এক অপার রোমাঞ্চের অনুভব। আকাশ যখন কালো মেঘে ঢেকে যায়, তখন হৃদয়ে জন্ম নেয় এক অজানা শিহরণ। ধীরে ধীরে ঝরে পড়ে প্রথম ফোঁটা—সেই শব্দ, সেই গন্ধ, যেন মাটির গভীর ভালোবাসা। শহরের কোলাহলে একটুখানি শান্তি এনে দেয় এই বৃষ্টি।
কারও কাছে বৃষ্টি স্মৃতির জানালা, কারও কাছে কবিতার উপকরণ। বৃষ্টি শুধু জল নয়, এক অদ্ভুত আবেগ, এক অনির্বচনীয় ভালো লাগা। বৃষ্টি আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। বৃষ্টিতে ভেজা, বৃষ্টি একটু ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা যাবে না।
মেঘ ভেঙে নেমে আসা এই রহমতের বারিধারা ছুঁয়ে দেখা আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্নত।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আনাস (রা.) বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম—ওই সময় আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন তাঁর শরীরের উপর ভাগ থেকে কাপড় সরিয়ে দিলেন। ফলে তাঁর শরীর বৃষ্টিতে ভিজে গেল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি কেন এমনটি করলেন? উত্তরে তিনি বললেন, এই বৃষ্টি মহান প্রভুর কাছ থেকে সদ্য আগত (তাই আমি শরীরে লাগিয়ে নিলাম বরকতের জন্য)। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৯৮)
বৃষ্টির সময় যে আমল করতেন নবীজি (সা.)
বৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে থাকে আল্লাহ তাআলার অজস্র নিয়ামত। আর এ বিশেষ নিয়ামত বর্ষণের সময় রয়েছে কিছু সুন্নত আমল—
এক. বৃষ্টির সময় আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণকর বৃষ্টির দোয়া করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টির সময়ে এই দোয়া পাঠ করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আপনি কল্যাণকর বৃষ্টি দান করুন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯১)
দুই. বৃষ্টির সময় অন্তরে খোদাভীতি জাগ্রত করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে ও ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হলে, রাসুল (সা.)-এর চেহারায় বিষণ্নতা অনুভূত হতো, এদিক-সেদিক পায়চারি করতেন এবং (এই ভেবে) ঘাবড়ে যেতেন যে এটি আল্লাহর আজাব কি না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৭)
তিন. বৃষ্টিকে অশুভ মনে না করে আল্লাহর রহমত বলে মনে করা উচিত। আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, ‘এ তো আল্লাহর রহমত।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৭)
চার. বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানো নবীজির মোস্তাহাব। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা একবার বৃষ্টি বর্ষণকালে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তাঁর শরীরের একাংশ উদোম করে বৃষ্টির পানি লাগালেন। আমরা কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত ও বরকত।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৬)
পাঁচ. বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। এক. আজানের সময়, দুই. বৃষ্টির সময়।’ (কিতাবুল উম্ম: ১৪৬৯)
বজ্রপাত হলে যে দোয়া পড়তে হয়
আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) বজ্রপাতের সময় কথা বন্ধ রাখতেন। আর বলতেন, ‘ওয়া য়ুসাব্বিহুর রাদু বিহামদিহি, ওয়াল মালায়িকাতু মিন খিয়ফাতিহি।’ অর্থ: বজ্র ও সব ফেরেশতা সন্ত্রস্ত হয়ে তার প্রশংসা পাঠ করে। (মুয়াত্তা মালেক: ৩৬৪১)
বৃষ্টি মানেই এক অপার রোমাঞ্চের অনুভব। আকাশ যখন কালো মেঘে ঢেকে যায়, তখন হৃদয়ে জন্ম নেয় এক অজানা শিহরণ। ধীরে ধীরে ঝরে পড়ে প্রথম ফোঁটা—সেই শব্দ, সেই গন্ধ, যেন মাটির গভীর ভালোবাসা। শহরের কোলাহলে একটুখানি শান্তি এনে দেয় এই বৃষ্টি।
কারও কাছে বৃষ্টি স্মৃতির জানালা, কারও কাছে কবিতার উপকরণ। বৃষ্টি শুধু জল নয়, এক অদ্ভুত আবেগ, এক অনির্বচনীয় ভালো লাগা। বৃষ্টি আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। বৃষ্টিতে ভেজা, বৃষ্টি একটু ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা যাবে না।
মেঘ ভেঙে নেমে আসা এই রহমতের বারিধারা ছুঁয়ে দেখা আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্নত।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আনাস (রা.) বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম—ওই সময় আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন তাঁর শরীরের উপর ভাগ থেকে কাপড় সরিয়ে দিলেন। ফলে তাঁর শরীর বৃষ্টিতে ভিজে গেল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি কেন এমনটি করলেন? উত্তরে তিনি বললেন, এই বৃষ্টি মহান প্রভুর কাছ থেকে সদ্য আগত (তাই আমি শরীরে লাগিয়ে নিলাম বরকতের জন্য)। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৯৮)
বৃষ্টির সময় যে আমল করতেন নবীজি (সা.)
বৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে থাকে আল্লাহ তাআলার অজস্র নিয়ামত। আর এ বিশেষ নিয়ামত বর্ষণের সময় রয়েছে কিছু সুন্নত আমল—
এক. বৃষ্টির সময় আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণকর বৃষ্টির দোয়া করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টির সময়ে এই দোয়া পাঠ করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আপনি কল্যাণকর বৃষ্টি দান করুন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯১)
দুই. বৃষ্টির সময় অন্তরে খোদাভীতি জাগ্রত করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে ও ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হলে, রাসুল (সা.)-এর চেহারায় বিষণ্নতা অনুভূত হতো, এদিক-সেদিক পায়চারি করতেন এবং (এই ভেবে) ঘাবড়ে যেতেন যে এটি আল্লাহর আজাব কি না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৭)
তিন. বৃষ্টিকে অশুভ মনে না করে আল্লাহর রহমত বলে মনে করা উচিত। আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, ‘এ তো আল্লাহর রহমত।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৭)
চার. বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানো নবীজির মোস্তাহাব। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা একবার বৃষ্টি বর্ষণকালে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তাঁর শরীরের একাংশ উদোম করে বৃষ্টির পানি লাগালেন। আমরা কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত ও বরকত।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৬)
পাঁচ. বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। এক. আজানের সময়, দুই. বৃষ্টির সময়।’ (কিতাবুল উম্ম: ১৪৬৯)
বজ্রপাত হলে যে দোয়া পড়তে হয়
আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) বজ্রপাতের সময় কথা বন্ধ রাখতেন। আর বলতেন, ‘ওয়া য়ুসাব্বিহুর রাদু বিহামদিহি, ওয়াল মালায়িকাতু মিন খিয়ফাতিহি।’ অর্থ: বজ্র ও সব ফেরেশতা সন্ত্রস্ত হয়ে তার প্রশংসা পাঠ করে। (মুয়াত্তা মালেক: ৩৬৪১)
মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
৩৩ মিনিট আগেমহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা বলেও দিয়েছেন। সুরা জারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ আর মানুষের মাধ্যমে ইবাদত তখনই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব, যখন মানুষ থাকবে জীবন্ত।
৩৭ মিনিট আগেইতিহাস কেবল কাগজ-কলমে লেখা থাকে না, অনেক সময় তা দাঁড়িয়ে থাকে পাথর আর কাঠের অবিনাশী কীর্তিতে। তেমনই এক নিদর্শন কাঠ-পাথরের এক বিস্ময়কর মসজিদ। নিখাদ হস্তশিল্পে নির্মিত এই মসজিদটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকলার জীবন্ত সাক্ষী।
৪৩ মিনিট আগেআমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার মেয়েসন্তান হলে আয়েশা আর ছেলেসন্তান হলে নাম রাখব মুহাম্মদ। বিষয়টি আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে বলার পর সে বলল, ‘নবী (সা.)-এর নামে সন্তানের নাম রাখলে এতে নবীজিকে অসম্মান করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে