ড. আলি আস-সাল্লাবি

পাখিদের উড়ালশৈলীর গভীর পর্যবেক্ষণ একজন মানুষকে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হতে এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দিতে সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা সর্বোৎকৃষ্ট সৃজনশীলতার অধিকারী এবং পাখি তাঁর আশ্চর্য সৃষ্টি। বর্তমানে পাখি বিশেষজ্ঞরা এমন এক সত্যে উপনীত হয়েছেন, যা জানলে অবিশ্বাসী মানুষও আল্লাহর বড়ত্ব ও শক্তিমত্তায় বিশ্বাস স্থাপন করতে বাধ্য হবেন। পবিত্র কোরআনের দুটি আয়াতে পাখিদের দুই ধরনের উড়ালকৌশলের কথা বিবৃত হয়েছে। এখানে আয়াত দুটির ব্যাখ্যা ও শিক্ষা তুলে ধরা হলো—
মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন পাখি
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আকাশের শূন্যগর্ভে নিয়ন্ত্রণাধীন পাখিদের দিকে তারা কি লক্ষ করে না? আল্লাহই ওদের স্থির রাখেন। অবশ্যই এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে শিক্ষা।’ (সুরা নাহল: ৭৯)
এ আয়াতে পাখির দেহে এবং বায়ুস্রোতে আল্লাহ তাআলার সেট করে দেওয়া ফাংশনের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পাখিরা উড়তে পারে। পাখির আকাশে ওড়া এবং শূন্যে ভেসে বেড়ানোর জন্য দুটি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক. হালকা ওজনের হওয়া এবং দুই. অতিমাত্রায় শক্তি ও বলপ্রয়োগ করা। এ ছাড়া দুটি ডানাও থাকা চাই, যা পাখিকে সহজভাবে আকাশে উড়তে এবং শূন্যে ভেসে বেড়াতে সহায়তা করে।
হালকা ওজন পাখির ওড়ার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি পাখিদের দেহাবয়বে বিভিন্নভাবে বিদ্যমান। যেমন:
পালকের গঠন: জীবনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য পাখি তাঁর পালকগুলো আবশ্যকভাবে পরিষ্কার রাখে এবং সব সময় উড়াল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। পালকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাখি তার লেজের নিচের তৈলাক্ত গ্রন্থির ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। ওই তেলের মাধ্যমেই পাখিরা তাদের পালক পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে রাখে। তেমনিভাবে সাঁতার কাটা, ডুব দেওয়া এবং বৃষ্টিমুখর আবহাওয়ায় চলাফেরা করার সময় সেই তেল তাদের পালকগুলোকে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
কঙ্কাল: ফাঁপা ও হালকা হাড্ডি দিয়েই আল্লাহ পাখি সৃষ্টি করেছেন। তবে দেখতে কোমল মনে হলেও ভেতরের ভিত্তি মজবুত হওয়ার কারণে তা খুবই শক্ত। পাখির শ্বাসনালির সঙ্গে সংযুক্ত কিছু বায়বীয় শূন্যস্থান রয়েছে, যা তাদের শ্বাস নিতে, প্রাণবন্ত থাকতে এবং হালকা হতে সহায়তা করে। তেমনিভাবে তা তাকে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন নেওয়ারও সুযোগ করে দেয়।
এ ছাড়া পাখিদেহের অ্যারোডাইনামিক আকৃতি তাকে তুলনামূলক কম প্রতিরোধের মাধ্যমে বাতাসের স্রোত কাটতে সহায়তা করে। শূন্যে উড়াল দিতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে তার পাখাগুলোর অবদান মোটেও কম নয়।
ডানা মেলে ধরা পাখি
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারা কি তাদের ওপরের দিকে পাখিগুলোর প্রতি লক্ষ করে না, যারা ডানা মেলে ধরে আবার গুটিয়ে নেয় তথা ডানা ঝাপটিয়ে ওড়ে? দয়াময় ছাড়া অন্য কেউই তাদের স্থির রাখেন না। নিশ্চয়ই তিনি সবকিছুর সম্যক দ্রষ্টা।’ (সুরা মুলক: ১৯)
পাখির উড়ালকৌশলে এমন সব অবাক করা শিক্ষা রয়েছে, যা কেবল অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং তথা উড্ডয়ন প্রকৌশল এবং ডাইনামিকস তথা গতিবিদ্যার সমৃদ্ধি ও উৎকর্ষের কারণেই মানুষের সামনে এসেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, দুটি শান্ত ডানার সাহায্যেই, নাড়াচাড়া না করেই পাখিরা শূন্যে উড়তে পারে, এমনকি তারা উড়তে উড়তে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যেতে পারে।
পাখির উড়ালকৌশল ও বিজ্ঞান
বিজ্ঞান বলে, ডানা মেলে ধরা পাখিগুলো এমন সহায়ক বায়ুস্রোতে ভেসে বেড়ায়, যেটি কোনো প্রতিবন্ধকের সঙ্গে বাতাসের সংঘর্ষের কারণে অথবা উষ্ণ বায়ুর কলামগুলো ওপরে ওঠার ফলে সৃষ্টি হয়। বায়ু শান্ত থাকলে কলামগুলো দাঁড়িয়ে থাকে এবং পাখিরা ডানা মেলে ধরে সর্পিল গতিতে ওড়ে। বায়ুপ্রবাহ প্রবল হলে কলামগুলো আনুভূমিক হয়ে উল্টে যায়; তখন পাখিরা লম্বা সরলরেখায় ডানা মেলে ধরে উড়ে চলে।
বিজ্ঞান আরও জানায়, প্রতিটি পাখি যখন ডানা ঝাপটায় তখন তা তার পেছনের পাখিটি থেকে এক স্তর ওপরে উঠে যায় এবং এর ওপর ভিত্তি করেই পরিযায়ী পাখিরা সম্মিলিতভাবে ইংরেজি ভি আকৃতি ধারণ করে। এ পদ্ধতিতে একা পথ চলার তুলনায় কমপক্ষে ৭১ শতাংশ বেশি দ্রুতবেগে তারা পথ চলতে পারে। সেই গতিপথ থেকে কোনো পাখি বের হলে হঠাৎ মাধ্যাকর্ষণ ও বায়ুর শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ে, তাই পাখিরা দ্রুতই আগের সিকুয়েন্সে ফিরে আসে, যাতে সংঘবদ্ধতা থেকে প্রাপ্ত শক্তি ও সহায়তা থেকে উপকৃত হওয়া যায়। দলনেতা যখন শক্ত প্রতিরোধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন সেটি পেছনে চলে যায় এবং অন্য নেতার জন্য নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়। এভাবেই পর্যায়ক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। পেছনের সদস্যরা সামনের সদস্যদের উৎসাহ জোগাতে চিৎকার করতে থাকে।
পাখিদের উড়ালশৈলীর বর্ণনা—ডানা মেলে ধরা ও গোটানোই আধুনিক অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মূল থিউরি। ১০০ বছর আগেও এ সত্য মানুষের অজানা ছিল। ডানা মেলে ধরার অর্থ পাখির দুই ডানা নাড়াচাড়া না করে সোজাসুজি মেলে ধরা। দূরের পথ পাড়ি দিতে পাখি শূন্যে ভেসে বেড়ায়—চলা বা ওপরে ওঠার সময় তারা বায়ুস্রোতের সাহায্য নেয় এবং ধীরে অবতরণের সময় মাধ্যাকর্ষণের সাহায্য নেয়। তখন তার ডানা ঝাপটানো বা অনবরত ওপর-নিচ করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রথমবারের ঝাপটানো তাকে সামনের দিকে নিয়ে যায় এবং দ্বিতীয়বার ঝাপটানো তাকে ওপরের দিকে তুলে দেয়।
বিজ্ঞান বলে, পাখির ডানাই উড়োজাহাজ তৈরির রোলমডেল। ধারাবাহিক অনুশীলনের জন্য কিছু পাখা ছোট ও শক্ত হয়। দ্রুতগতিতে ওড়ার জন্য কিছু পাখা চিকন ও ধারালো হয়। ওপরে ওঠার জন্য কিছু পাখির পাখা লম্বা ও প্রশস্ত হয়। বায়ুমণ্ডলে সহজে ভেসে বেড়ানোর জন্য কিছু পাখা চিকন ও লম্বা হয়। আল্লাহ তাআলা প্রতিটি পাখির দেহকেই ওড়ার জন্য পূর্ণ উপযোগী করে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রয়োজনমতো উপাদান দিয়েছেন। কিছু পাখি কয়েক মাস ধরে আকাশে উড়তে থাকে; শূন্যেই তারা খাওয়াদাওয়া করে এবং ঘুমোয়। এসব ঐশ্বরিক প্রযুক্তি দেখেই বিজ্ঞানীরা উড়োজাহাজ তৈরির প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করছে।
লেখক: লিবিয়ান লেখক ও ইতিহাসবিদ, আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক

পাখিদের উড়ালশৈলীর গভীর পর্যবেক্ষণ একজন মানুষকে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হতে এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দিতে সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা সর্বোৎকৃষ্ট সৃজনশীলতার অধিকারী এবং পাখি তাঁর আশ্চর্য সৃষ্টি। বর্তমানে পাখি বিশেষজ্ঞরা এমন এক সত্যে উপনীত হয়েছেন, যা জানলে অবিশ্বাসী মানুষও আল্লাহর বড়ত্ব ও শক্তিমত্তায় বিশ্বাস স্থাপন করতে বাধ্য হবেন। পবিত্র কোরআনের দুটি আয়াতে পাখিদের দুই ধরনের উড়ালকৌশলের কথা বিবৃত হয়েছে। এখানে আয়াত দুটির ব্যাখ্যা ও শিক্ষা তুলে ধরা হলো—
মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন পাখি
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আকাশের শূন্যগর্ভে নিয়ন্ত্রণাধীন পাখিদের দিকে তারা কি লক্ষ করে না? আল্লাহই ওদের স্থির রাখেন। অবশ্যই এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে শিক্ষা।’ (সুরা নাহল: ৭৯)
এ আয়াতে পাখির দেহে এবং বায়ুস্রোতে আল্লাহ তাআলার সেট করে দেওয়া ফাংশনের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পাখিরা উড়তে পারে। পাখির আকাশে ওড়া এবং শূন্যে ভেসে বেড়ানোর জন্য দুটি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক. হালকা ওজনের হওয়া এবং দুই. অতিমাত্রায় শক্তি ও বলপ্রয়োগ করা। এ ছাড়া দুটি ডানাও থাকা চাই, যা পাখিকে সহজভাবে আকাশে উড়তে এবং শূন্যে ভেসে বেড়াতে সহায়তা করে।
হালকা ওজন পাখির ওড়ার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি পাখিদের দেহাবয়বে বিভিন্নভাবে বিদ্যমান। যেমন:
পালকের গঠন: জীবনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য পাখি তাঁর পালকগুলো আবশ্যকভাবে পরিষ্কার রাখে এবং সব সময় উড়াল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। পালকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাখি তার লেজের নিচের তৈলাক্ত গ্রন্থির ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। ওই তেলের মাধ্যমেই পাখিরা তাদের পালক পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে রাখে। তেমনিভাবে সাঁতার কাটা, ডুব দেওয়া এবং বৃষ্টিমুখর আবহাওয়ায় চলাফেরা করার সময় সেই তেল তাদের পালকগুলোকে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
কঙ্কাল: ফাঁপা ও হালকা হাড্ডি দিয়েই আল্লাহ পাখি সৃষ্টি করেছেন। তবে দেখতে কোমল মনে হলেও ভেতরের ভিত্তি মজবুত হওয়ার কারণে তা খুবই শক্ত। পাখির শ্বাসনালির সঙ্গে সংযুক্ত কিছু বায়বীয় শূন্যস্থান রয়েছে, যা তাদের শ্বাস নিতে, প্রাণবন্ত থাকতে এবং হালকা হতে সহায়তা করে। তেমনিভাবে তা তাকে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন নেওয়ারও সুযোগ করে দেয়।
এ ছাড়া পাখিদেহের অ্যারোডাইনামিক আকৃতি তাকে তুলনামূলক কম প্রতিরোধের মাধ্যমে বাতাসের স্রোত কাটতে সহায়তা করে। শূন্যে উড়াল দিতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে তার পাখাগুলোর অবদান মোটেও কম নয়।
ডানা মেলে ধরা পাখি
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারা কি তাদের ওপরের দিকে পাখিগুলোর প্রতি লক্ষ করে না, যারা ডানা মেলে ধরে আবার গুটিয়ে নেয় তথা ডানা ঝাপটিয়ে ওড়ে? দয়াময় ছাড়া অন্য কেউই তাদের স্থির রাখেন না। নিশ্চয়ই তিনি সবকিছুর সম্যক দ্রষ্টা।’ (সুরা মুলক: ১৯)
পাখির উড়ালকৌশলে এমন সব অবাক করা শিক্ষা রয়েছে, যা কেবল অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং তথা উড্ডয়ন প্রকৌশল এবং ডাইনামিকস তথা গতিবিদ্যার সমৃদ্ধি ও উৎকর্ষের কারণেই মানুষের সামনে এসেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, দুটি শান্ত ডানার সাহায্যেই, নাড়াচাড়া না করেই পাখিরা শূন্যে উড়তে পারে, এমনকি তারা উড়তে উড়তে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যেতে পারে।
পাখির উড়ালকৌশল ও বিজ্ঞান
বিজ্ঞান বলে, ডানা মেলে ধরা পাখিগুলো এমন সহায়ক বায়ুস্রোতে ভেসে বেড়ায়, যেটি কোনো প্রতিবন্ধকের সঙ্গে বাতাসের সংঘর্ষের কারণে অথবা উষ্ণ বায়ুর কলামগুলো ওপরে ওঠার ফলে সৃষ্টি হয়। বায়ু শান্ত থাকলে কলামগুলো দাঁড়িয়ে থাকে এবং পাখিরা ডানা মেলে ধরে সর্পিল গতিতে ওড়ে। বায়ুপ্রবাহ প্রবল হলে কলামগুলো আনুভূমিক হয়ে উল্টে যায়; তখন পাখিরা লম্বা সরলরেখায় ডানা মেলে ধরে উড়ে চলে।
বিজ্ঞান আরও জানায়, প্রতিটি পাখি যখন ডানা ঝাপটায় তখন তা তার পেছনের পাখিটি থেকে এক স্তর ওপরে উঠে যায় এবং এর ওপর ভিত্তি করেই পরিযায়ী পাখিরা সম্মিলিতভাবে ইংরেজি ভি আকৃতি ধারণ করে। এ পদ্ধতিতে একা পথ চলার তুলনায় কমপক্ষে ৭১ শতাংশ বেশি দ্রুতবেগে তারা পথ চলতে পারে। সেই গতিপথ থেকে কোনো পাখি বের হলে হঠাৎ মাধ্যাকর্ষণ ও বায়ুর শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ে, তাই পাখিরা দ্রুতই আগের সিকুয়েন্সে ফিরে আসে, যাতে সংঘবদ্ধতা থেকে প্রাপ্ত শক্তি ও সহায়তা থেকে উপকৃত হওয়া যায়। দলনেতা যখন শক্ত প্রতিরোধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন সেটি পেছনে চলে যায় এবং অন্য নেতার জন্য নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়। এভাবেই পর্যায়ক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। পেছনের সদস্যরা সামনের সদস্যদের উৎসাহ জোগাতে চিৎকার করতে থাকে।
পাখিদের উড়ালশৈলীর বর্ণনা—ডানা মেলে ধরা ও গোটানোই আধুনিক অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মূল থিউরি। ১০০ বছর আগেও এ সত্য মানুষের অজানা ছিল। ডানা মেলে ধরার অর্থ পাখির দুই ডানা নাড়াচাড়া না করে সোজাসুজি মেলে ধরা। দূরের পথ পাড়ি দিতে পাখি শূন্যে ভেসে বেড়ায়—চলা বা ওপরে ওঠার সময় তারা বায়ুস্রোতের সাহায্য নেয় এবং ধীরে অবতরণের সময় মাধ্যাকর্ষণের সাহায্য নেয়। তখন তার ডানা ঝাপটানো বা অনবরত ওপর-নিচ করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রথমবারের ঝাপটানো তাকে সামনের দিকে নিয়ে যায় এবং দ্বিতীয়বার ঝাপটানো তাকে ওপরের দিকে তুলে দেয়।
বিজ্ঞান বলে, পাখির ডানাই উড়োজাহাজ তৈরির রোলমডেল। ধারাবাহিক অনুশীলনের জন্য কিছু পাখা ছোট ও শক্ত হয়। দ্রুতগতিতে ওড়ার জন্য কিছু পাখা চিকন ও ধারালো হয়। ওপরে ওঠার জন্য কিছু পাখির পাখা লম্বা ও প্রশস্ত হয়। বায়ুমণ্ডলে সহজে ভেসে বেড়ানোর জন্য কিছু পাখা চিকন ও লম্বা হয়। আল্লাহ তাআলা প্রতিটি পাখির দেহকেই ওড়ার জন্য পূর্ণ উপযোগী করে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রয়োজনমতো উপাদান দিয়েছেন। কিছু পাখি কয়েক মাস ধরে আকাশে উড়তে থাকে; শূন্যেই তারা খাওয়াদাওয়া করে এবং ঘুমোয়। এসব ঐশ্বরিক প্রযুক্তি দেখেই বিজ্ঞানীরা উড়োজাহাজ তৈরির প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করছে।
লেখক: লিবিয়ান লেখক ও ইতিহাসবিদ, আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

পাখিদের উড়ালশৈলীর গভীর পর্যবেক্ষণ একজন মানুষকে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হতে এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দিতে সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা সর্বোৎকৃষ্ট সৃজনশীলতার অধিকারী এবং পাখি তাঁর আশ্চর্য সৃষ্টি। বর্তমানে পাখি বিশেষজ্ঞরা এমন এক সত্যে উপনীত হয়েছেন, যা জানলে অবিশ্বাসী মানুষও আল্লাহর বড়ত্ব ও শক্তিমত্তায়
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পাখিদের উড়ালশৈলীর গভীর পর্যবেক্ষণ একজন মানুষকে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হতে এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দিতে সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা সর্বোৎকৃষ্ট সৃজনশীলতার অধিকারী এবং পাখি তাঁর আশ্চর্য সৃষ্টি। বর্তমানে পাখি বিশেষজ্ঞরা এমন এক সত্যে উপনীত হয়েছেন, যা জানলে অবিশ্বাসী মানুষও আল্লাহর বড়ত্ব ও শক্তিমত্তায়
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

পাখিদের উড়ালশৈলীর গভীর পর্যবেক্ষণ একজন মানুষকে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হতে এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দিতে সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা সর্বোৎকৃষ্ট সৃজনশীলতার অধিকারী এবং পাখি তাঁর আশ্চর্য সৃষ্টি। বর্তমানে পাখি বিশেষজ্ঞরা এমন এক সত্যে উপনীত হয়েছেন, যা জানলে অবিশ্বাসী মানুষও আল্লাহর বড়ত্ব ও শক্তিমত্তায়
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেশরিফ আহমাদ

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

পাখিদের উড়ালশৈলীর গভীর পর্যবেক্ষণ একজন মানুষকে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হতে এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দিতে সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা সর্বোৎকৃষ্ট সৃজনশীলতার অধিকারী এবং পাখি তাঁর আশ্চর্য সৃষ্টি। বর্তমানে পাখি বিশেষজ্ঞরা এমন এক সত্যে উপনীত হয়েছেন, যা জানলে অবিশ্বাসী মানুষও আল্লাহর বড়ত্ব ও শক্তিমত্তায়
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে