আবদুল আযীয কাসেমি
রুকু নামাজের অন্যতম রোকন। এ ব্যাপারে সব ইমাম একমত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো।’ (সুরা হজ: ৭৭) রাসুল (সা.) এক সাহাবিকে নামাজ শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘...এরপর রুকু করবে ভারসাম্যপূর্ণভাবে।’
নামাজের অন্য রোকনগুলোর মতো এটি আদায়ের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। অনেকে সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি বাদ দিয়ে ইচ্ছেমতো রুকু করেন। আমাদের এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুকুর সুন্নাহসম্মত পন্থা হলো বিশেষ কোনো অপারগতা না থাকলে পিঠকে নিচের দিকে না ঝুঁকিয়ে সোজা রাখা। অর্থাৎ নিতম্ব ও পিঠ সমান সমান হওয়া। কারও একান্ত অপারগতা থাকলে তার জন্য খানিকটা ঝুঁকে থাকার অবকাশ রয়েছে।
আবু মাসউদ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কারও নামাজ ঠিকঠাক মতো হবে না, যতক্ষণ না সে রুকু ও সিজদায় নিজের পিঠকে সোজা না রাখবে।’ (তিরমিজি, নাসায়ি ও আবু দাউদ) রুকুর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এতে ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরি। অর্থাৎ রুকুতে যাওয়ার পর তাড়াহুড়ো করে উঠে না যাওয়া। শরীরের প্রতিটি জোড়া আপন জায়গায় স্থির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এক সাহাবি রুকু-সিজদায় তাড়াহুড়ো করার কারণে তিনবার ফের নামাজ পড়তে বলেছিলেন মহানবী (সা.)। পরে যখন ওই সাহাবি নবীজিকে অনুরোধ করলেন, তখন নবীজি তাকে বললেন, ‘রুকুতে যাওয়ার পর সেখানে শান্ত অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকো। তারপর রুকু থেকে শান্ত হয়ে ওঠো।’ (বুখারি ও মুসলিম) রুকুতে যাওয়ার পর কমপক্ষে তিনবার ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম’ বলতে হবে। এটা সুন্নত। (আবু দাউদ) আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হলো, দাঁড়ানো ও বৈঠক ছাড়া বাকি রোকনগুলো তথা রুকু, সিজদা ও দুই সিজদার মাঝখানের সময়গুলো সমান হওয়া চাই। (বুখারি ও মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
রুকু নামাজের অন্যতম রোকন। এ ব্যাপারে সব ইমাম একমত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো।’ (সুরা হজ: ৭৭) রাসুল (সা.) এক সাহাবিকে নামাজ শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘...এরপর রুকু করবে ভারসাম্যপূর্ণভাবে।’
নামাজের অন্য রোকনগুলোর মতো এটি আদায়ের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। অনেকে সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি বাদ দিয়ে ইচ্ছেমতো রুকু করেন। আমাদের এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুকুর সুন্নাহসম্মত পন্থা হলো বিশেষ কোনো অপারগতা না থাকলে পিঠকে নিচের দিকে না ঝুঁকিয়ে সোজা রাখা। অর্থাৎ নিতম্ব ও পিঠ সমান সমান হওয়া। কারও একান্ত অপারগতা থাকলে তার জন্য খানিকটা ঝুঁকে থাকার অবকাশ রয়েছে।
আবু মাসউদ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কারও নামাজ ঠিকঠাক মতো হবে না, যতক্ষণ না সে রুকু ও সিজদায় নিজের পিঠকে সোজা না রাখবে।’ (তিরমিজি, নাসায়ি ও আবু দাউদ) রুকুর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এতে ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরি। অর্থাৎ রুকুতে যাওয়ার পর তাড়াহুড়ো করে উঠে না যাওয়া। শরীরের প্রতিটি জোড়া আপন জায়গায় স্থির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এক সাহাবি রুকু-সিজদায় তাড়াহুড়ো করার কারণে তিনবার ফের নামাজ পড়তে বলেছিলেন মহানবী (সা.)। পরে যখন ওই সাহাবি নবীজিকে অনুরোধ করলেন, তখন নবীজি তাকে বললেন, ‘রুকুতে যাওয়ার পর সেখানে শান্ত অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকো। তারপর রুকু থেকে শান্ত হয়ে ওঠো।’ (বুখারি ও মুসলিম) রুকুতে যাওয়ার পর কমপক্ষে তিনবার ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম’ বলতে হবে। এটা সুন্নত। (আবু দাউদ) আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হলো, দাঁড়ানো ও বৈঠক ছাড়া বাকি রোকনগুলো তথা রুকু, সিজদা ও দুই সিজদার মাঝখানের সময়গুলো সমান হওয়া চাই। (বুখারি ও মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
মহান আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে বিপদ-আপদ অন্যতম এক মাধ্যম। দুঃখ-কষ্ট, রোগ-বালাই, অভাব-অনটন, বিরহ-টেনশন বা প্রিয়জনের বিয়োগ—এসবই হতে পারে একেকটি পরীক্ষা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন, ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি...
৭ ঘণ্টা আগেতওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
১ দিন আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
২ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
৩ দিন আগে