মুফতি আইয়ুব নাদীম
সবার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। তবে হাদিসের ভাষায় চার শ্রেণির মানুষের দোয়া অতি দ্রুত কবুল হয়।
এক. কোরআন নিয়ে ব্যস্ত মানুষের দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, যাকে আমার জিকির ও আমার কাছে কিছু চাওয়া থেকে কোরআন বিরত রেখেছে, আমি তাকে প্রার্থনাকারীদের চেয়ে বেশি দান করব।’ রাসুল বলেন, ‘কেননা আল্লাহর কালাম অন্য সব কালামের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যেমন আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টির চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরমিজি: ২৯২৬)
দুই. অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে তা কবুল করা হয় এবং তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে, তখন নিযুক্ত ফেরেশতা বলে, আমিন। অর্থাৎ হে আল্লাহ, কবুল করুন এবং তোমার জন্য অনুরূপ (তোমার ভাইয়ের জন্য যা চাইলে, আল্লাহ তোমাকেও তা দান করুন)।’ (মুসলিম: ৮৮)
তিন. সম্মিলিত দোয়া: হাবিব ইবনে আলফিহরি (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মুসলমানদের একটি দল যখন একত্র হয়ে এভাবে দোয়া করে যে তাদের মধ্যে কেউ দোয়া করে আর অন্যরা আমিন আমিন বলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া কবুল করে থাকেন।’ (মুজাম আল কাবির: ১০ / ১৭০)
চার. তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ সবচেয়ে নিচের আসমানে নেমে আসেন। বলেন, কে আমাকে ডাকছ, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি: ৬৯৪)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
সবার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। তবে হাদিসের ভাষায় চার শ্রেণির মানুষের দোয়া অতি দ্রুত কবুল হয়।
এক. কোরআন নিয়ে ব্যস্ত মানুষের দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, যাকে আমার জিকির ও আমার কাছে কিছু চাওয়া থেকে কোরআন বিরত রেখেছে, আমি তাকে প্রার্থনাকারীদের চেয়ে বেশি দান করব।’ রাসুল বলেন, ‘কেননা আল্লাহর কালাম অন্য সব কালামের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যেমন আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টির চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরমিজি: ২৯২৬)
দুই. অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে তা কবুল করা হয় এবং তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে, তখন নিযুক্ত ফেরেশতা বলে, আমিন। অর্থাৎ হে আল্লাহ, কবুল করুন এবং তোমার জন্য অনুরূপ (তোমার ভাইয়ের জন্য যা চাইলে, আল্লাহ তোমাকেও তা দান করুন)।’ (মুসলিম: ৮৮)
তিন. সম্মিলিত দোয়া: হাবিব ইবনে আলফিহরি (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মুসলমানদের একটি দল যখন একত্র হয়ে এভাবে দোয়া করে যে তাদের মধ্যে কেউ দোয়া করে আর অন্যরা আমিন আমিন বলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া কবুল করে থাকেন।’ (মুজাম আল কাবির: ১০ / ১৭০)
চার. তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ সবচেয়ে নিচের আসমানে নেমে আসেন। বলেন, কে আমাকে ডাকছ, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি: ৬৯৪)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
নবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
১০ ঘণ্টা আগেহাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
১৩ ঘণ্টা আগেঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
১৫ ঘণ্টা আগেখুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় ঈদ। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। তবে বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়ার ফলে অনেকেরই এর নিয়মকানুন মনে থাকে না। ঈদের নামাজ সংক্রান্ত যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলো—
১ দিন আগে