মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি
আবদুল আযীয কাসেমি

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন আলোকিত করছে।
মাওলানা রুমি ১২০৭ সালে আফগানিস্তানের বালখে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে মোগলদের আক্রমণের কারণে পরিবারসহ বালখ ত্যাগ করেন এবং একাধিক স্থান ভ্রমণ শেষে তুরস্কের কোনিয়া শহরে স্থায়ী হন। বাবা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন একজন ধর্মতাত্ত্বিক। তাঁর কাছেই রুমি প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। সমকালীন বড় আলেম ও ধর্মবেত্তাদের কাছে পাঠ গ্রহণ শেষে রুমি হয়ে ওঠেন যুগশ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস।
রুমির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে শামস তাবরিজি নামক এক রহস্যময় সুফি সাধকের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন রুমির গুরু। রুমি তখনো আধ্যাত্মিক জগতের বাস্তবতার সন্ধান পাননি। শামসের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব, নিবিড় পরিচয় এবং আধ্যাত্মিক ভাব বিনিময় রুমিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও আধ্যাত্মিক গভীরতার পথ দেখায়।
রুমির সাহিত্যকর্ম মানবাত্মার অন্তর্নিহিত ভালোবাসা এবং পরম সত্তা তথা মহান আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আহ্বান জানায়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা ‘মসনবি-এ-মানবি’ বা আধ্যাত্মিক দন্ত্যকথা, যা প্রায় ২৫ হাজার দ্বিপদী পঙ্ক্তি নিয়ে গঠিত। এই মহাকাব্যকে ‘পারস্য ভাষার কোরআন’ বলা হয়। এর প্রতিটি পঙ্ক্তি আধ্যাত্মিকতার গভীর সত্য, ভালোবাসা ও আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করে। উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানভি উর্দু ভাষায় এর অনুবাদ ও ব্যাখ্যা লেখেন, যা বাংলায় অনুবাদ করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হক। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেও মসনবির একটি বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে। —মাওলানা রুমি
রুমির আরেকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হলো ‘দিওয়ান-এ শামস-এ-তাবরিজি’, যা তাঁর গজলের সংকলন। এ বইয়ের গজলগুলোতে শামস তাবরিজির প্রতি রুমির গভীর ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিক উৎসাহের প্রকাশ ঘটে।
ভালোবাসাই রুমির কবিতার কেন্দ্রবিন্দু। তবে এই ভালোবাসা শুধু মানসিক বা দৈহিক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক উচ্চতায় পৌঁছানোর মাধ্যম। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসা এমন এক শক্তি, যা মানুষকে স্রষ্টার কাছাকাছি নিয়ে যায়। রুমি লেখেন, ‘পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে।’
মাওলানা রুমি তাঁর সময়ের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক ছিলেন। অন্তর্জগতে লুকিয়ে থাকা নানা ব্যাধিকে শুদ্ধ করে একটি পরিশুদ্ধ আত্মা গঠনে তিনি জোর দিয়েছিলেন। বিশেষত হিংসা, অহংকার ও পরশ্রীকাতরতামুক্ত হৃদয়জগৎ নির্মাণে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, পবিত্র কোরআনের ভাষায় যাকে ‘কলবে সালিম’ বা ‘স্থির আত্মা’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর পরও মাওলানার কর্মের প্রভাব অটুট রয়েছে। তাঁর শিক্ষাগুলো সুফি-সাধনা এবং মৌলবি তরিকায় প্রবাহিত হয়েছে। আজও তাঁর কবিতা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে পাঠকের মনে আধ্যাত্মিকতার প্রদীপ প্রজ্বালিত করছে। তিনি আমাদের দিয়েছেন ভালোবাসার বার্তা। বলতে চেয়েছেন, খোদার ভালোবাসাই সবকিছুর মূল। তাঁর লেখাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যেকোনো বিভাজন বা বিদ্বেষ ছাড়িয়ে আমরা সবাই এক বৃহৎ ঐক্যের অংশ। তাই তাঁর শিক্ষা-দর্শন আজও আগের মতো প্রাসঙ্গিক এবং মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে রয়েছে।
লেখক: শিক্ষক

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন আলোকিত করছে।
মাওলানা রুমি ১২০৭ সালে আফগানিস্তানের বালখে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে মোগলদের আক্রমণের কারণে পরিবারসহ বালখ ত্যাগ করেন এবং একাধিক স্থান ভ্রমণ শেষে তুরস্কের কোনিয়া শহরে স্থায়ী হন। বাবা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন একজন ধর্মতাত্ত্বিক। তাঁর কাছেই রুমি প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। সমকালীন বড় আলেম ও ধর্মবেত্তাদের কাছে পাঠ গ্রহণ শেষে রুমি হয়ে ওঠেন যুগশ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস।
রুমির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে শামস তাবরিজি নামক এক রহস্যময় সুফি সাধকের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন রুমির গুরু। রুমি তখনো আধ্যাত্মিক জগতের বাস্তবতার সন্ধান পাননি। শামসের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব, নিবিড় পরিচয় এবং আধ্যাত্মিক ভাব বিনিময় রুমিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও আধ্যাত্মিক গভীরতার পথ দেখায়।
রুমির সাহিত্যকর্ম মানবাত্মার অন্তর্নিহিত ভালোবাসা এবং পরম সত্তা তথা মহান আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আহ্বান জানায়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা ‘মসনবি-এ-মানবি’ বা আধ্যাত্মিক দন্ত্যকথা, যা প্রায় ২৫ হাজার দ্বিপদী পঙ্ক্তি নিয়ে গঠিত। এই মহাকাব্যকে ‘পারস্য ভাষার কোরআন’ বলা হয়। এর প্রতিটি পঙ্ক্তি আধ্যাত্মিকতার গভীর সত্য, ভালোবাসা ও আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করে। উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানভি উর্দু ভাষায় এর অনুবাদ ও ব্যাখ্যা লেখেন, যা বাংলায় অনুবাদ করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হক। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেও মসনবির একটি বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে। —মাওলানা রুমি
রুমির আরেকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হলো ‘দিওয়ান-এ শামস-এ-তাবরিজি’, যা তাঁর গজলের সংকলন। এ বইয়ের গজলগুলোতে শামস তাবরিজির প্রতি রুমির গভীর ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিক উৎসাহের প্রকাশ ঘটে।
ভালোবাসাই রুমির কবিতার কেন্দ্রবিন্দু। তবে এই ভালোবাসা শুধু মানসিক বা দৈহিক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক উচ্চতায় পৌঁছানোর মাধ্যম। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসা এমন এক শক্তি, যা মানুষকে স্রষ্টার কাছাকাছি নিয়ে যায়। রুমি লেখেন, ‘পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে।’
মাওলানা রুমি তাঁর সময়ের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক ছিলেন। অন্তর্জগতে লুকিয়ে থাকা নানা ব্যাধিকে শুদ্ধ করে একটি পরিশুদ্ধ আত্মা গঠনে তিনি জোর দিয়েছিলেন। বিশেষত হিংসা, অহংকার ও পরশ্রীকাতরতামুক্ত হৃদয়জগৎ নির্মাণে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, পবিত্র কোরআনের ভাষায় যাকে ‘কলবে সালিম’ বা ‘স্থির আত্মা’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর পরও মাওলানার কর্মের প্রভাব অটুট রয়েছে। তাঁর শিক্ষাগুলো সুফি-সাধনা এবং মৌলবি তরিকায় প্রবাহিত হয়েছে। আজও তাঁর কবিতা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে পাঠকের মনে আধ্যাত্মিকতার প্রদীপ প্রজ্বালিত করছে। তিনি আমাদের দিয়েছেন ভালোবাসার বার্তা। বলতে চেয়েছেন, খোদার ভালোবাসাই সবকিছুর মূল। তাঁর লেখাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যেকোনো বিভাজন বা বিদ্বেষ ছাড়িয়ে আমরা সবাই এক বৃহৎ ঐক্যের অংশ। তাই তাঁর শিক্ষা-দর্শন আজও আগের মতো প্রাসঙ্গিক এবং মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে রয়েছে।
লেখক: শিক্ষক
মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি
আবদুল আযীয কাসেমি

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন আলোকিত করছে।
মাওলানা রুমি ১২০৭ সালে আফগানিস্তানের বালখে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে মোগলদের আক্রমণের কারণে পরিবারসহ বালখ ত্যাগ করেন এবং একাধিক স্থান ভ্রমণ শেষে তুরস্কের কোনিয়া শহরে স্থায়ী হন। বাবা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন একজন ধর্মতাত্ত্বিক। তাঁর কাছেই রুমি প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। সমকালীন বড় আলেম ও ধর্মবেত্তাদের কাছে পাঠ গ্রহণ শেষে রুমি হয়ে ওঠেন যুগশ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস।
রুমির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে শামস তাবরিজি নামক এক রহস্যময় সুফি সাধকের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন রুমির গুরু। রুমি তখনো আধ্যাত্মিক জগতের বাস্তবতার সন্ধান পাননি। শামসের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব, নিবিড় পরিচয় এবং আধ্যাত্মিক ভাব বিনিময় রুমিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও আধ্যাত্মিক গভীরতার পথ দেখায়।
রুমির সাহিত্যকর্ম মানবাত্মার অন্তর্নিহিত ভালোবাসা এবং পরম সত্তা তথা মহান আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আহ্বান জানায়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা ‘মসনবি-এ-মানবি’ বা আধ্যাত্মিক দন্ত্যকথা, যা প্রায় ২৫ হাজার দ্বিপদী পঙ্ক্তি নিয়ে গঠিত। এই মহাকাব্যকে ‘পারস্য ভাষার কোরআন’ বলা হয়। এর প্রতিটি পঙ্ক্তি আধ্যাত্মিকতার গভীর সত্য, ভালোবাসা ও আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করে। উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানভি উর্দু ভাষায় এর অনুবাদ ও ব্যাখ্যা লেখেন, যা বাংলায় অনুবাদ করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হক। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেও মসনবির একটি বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে। —মাওলানা রুমি
রুমির আরেকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হলো ‘দিওয়ান-এ শামস-এ-তাবরিজি’, যা তাঁর গজলের সংকলন। এ বইয়ের গজলগুলোতে শামস তাবরিজির প্রতি রুমির গভীর ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিক উৎসাহের প্রকাশ ঘটে।
ভালোবাসাই রুমির কবিতার কেন্দ্রবিন্দু। তবে এই ভালোবাসা শুধু মানসিক বা দৈহিক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক উচ্চতায় পৌঁছানোর মাধ্যম। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসা এমন এক শক্তি, যা মানুষকে স্রষ্টার কাছাকাছি নিয়ে যায়। রুমি লেখেন, ‘পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে।’
মাওলানা রুমি তাঁর সময়ের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক ছিলেন। অন্তর্জগতে লুকিয়ে থাকা নানা ব্যাধিকে শুদ্ধ করে একটি পরিশুদ্ধ আত্মা গঠনে তিনি জোর দিয়েছিলেন। বিশেষত হিংসা, অহংকার ও পরশ্রীকাতরতামুক্ত হৃদয়জগৎ নির্মাণে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, পবিত্র কোরআনের ভাষায় যাকে ‘কলবে সালিম’ বা ‘স্থির আত্মা’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর পরও মাওলানার কর্মের প্রভাব অটুট রয়েছে। তাঁর শিক্ষাগুলো সুফি-সাধনা এবং মৌলবি তরিকায় প্রবাহিত হয়েছে। আজও তাঁর কবিতা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে পাঠকের মনে আধ্যাত্মিকতার প্রদীপ প্রজ্বালিত করছে। তিনি আমাদের দিয়েছেন ভালোবাসার বার্তা। বলতে চেয়েছেন, খোদার ভালোবাসাই সবকিছুর মূল। তাঁর লেখাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যেকোনো বিভাজন বা বিদ্বেষ ছাড়িয়ে আমরা সবাই এক বৃহৎ ঐক্যের অংশ। তাই তাঁর শিক্ষা-দর্শন আজও আগের মতো প্রাসঙ্গিক এবং মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে রয়েছে।
লেখক: শিক্ষক

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন আলোকিত করছে।
মাওলানা রুমি ১২০৭ সালে আফগানিস্তানের বালখে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে মোগলদের আক্রমণের কারণে পরিবারসহ বালখ ত্যাগ করেন এবং একাধিক স্থান ভ্রমণ শেষে তুরস্কের কোনিয়া শহরে স্থায়ী হন। বাবা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন একজন ধর্মতাত্ত্বিক। তাঁর কাছেই রুমি প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। সমকালীন বড় আলেম ও ধর্মবেত্তাদের কাছে পাঠ গ্রহণ শেষে রুমি হয়ে ওঠেন যুগশ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস।
রুমির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে শামস তাবরিজি নামক এক রহস্যময় সুফি সাধকের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন রুমির গুরু। রুমি তখনো আধ্যাত্মিক জগতের বাস্তবতার সন্ধান পাননি। শামসের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব, নিবিড় পরিচয় এবং আধ্যাত্মিক ভাব বিনিময় রুমিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও আধ্যাত্মিক গভীরতার পথ দেখায়।
রুমির সাহিত্যকর্ম মানবাত্মার অন্তর্নিহিত ভালোবাসা এবং পরম সত্তা তথা মহান আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আহ্বান জানায়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা ‘মসনবি-এ-মানবি’ বা আধ্যাত্মিক দন্ত্যকথা, যা প্রায় ২৫ হাজার দ্বিপদী পঙ্ক্তি নিয়ে গঠিত। এই মহাকাব্যকে ‘পারস্য ভাষার কোরআন’ বলা হয়। এর প্রতিটি পঙ্ক্তি আধ্যাত্মিকতার গভীর সত্য, ভালোবাসা ও আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করে। উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানভি উর্দু ভাষায় এর অনুবাদ ও ব্যাখ্যা লেখেন, যা বাংলায় অনুবাদ করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হক। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেও মসনবির একটি বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে। —মাওলানা রুমি
রুমির আরেকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হলো ‘দিওয়ান-এ শামস-এ-তাবরিজি’, যা তাঁর গজলের সংকলন। এ বইয়ের গজলগুলোতে শামস তাবরিজির প্রতি রুমির গভীর ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিক উৎসাহের প্রকাশ ঘটে।
ভালোবাসাই রুমির কবিতার কেন্দ্রবিন্দু। তবে এই ভালোবাসা শুধু মানসিক বা দৈহিক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক উচ্চতায় পৌঁছানোর মাধ্যম। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসা এমন এক শক্তি, যা মানুষকে স্রষ্টার কাছাকাছি নিয়ে যায়। রুমি লেখেন, ‘পৃথিবীতে এমন প্রেম নেই, যা আত্মাকে জাগ্রত করে না/ প্রেম হৃদয়কে ভেঙে খাঁটি সোনায় পরিণত করে।’
মাওলানা রুমি তাঁর সময়ের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক ছিলেন। অন্তর্জগতে লুকিয়ে থাকা নানা ব্যাধিকে শুদ্ধ করে একটি পরিশুদ্ধ আত্মা গঠনে তিনি জোর দিয়েছিলেন। বিশেষত হিংসা, অহংকার ও পরশ্রীকাতরতামুক্ত হৃদয়জগৎ নির্মাণে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, পবিত্র কোরআনের ভাষায় যাকে ‘কলবে সালিম’ বা ‘স্থির আত্মা’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর পরও মাওলানার কর্মের প্রভাব অটুট রয়েছে। তাঁর শিক্ষাগুলো সুফি-সাধনা এবং মৌলবি তরিকায় প্রবাহিত হয়েছে। আজও তাঁর কবিতা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে পাঠকের মনে আধ্যাত্মিকতার প্রদীপ প্রজ্বালিত করছে। তিনি আমাদের দিয়েছেন ভালোবাসার বার্তা। বলতে চেয়েছেন, খোদার ভালোবাসাই সবকিছুর মূল। তাঁর লেখাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যেকোনো বিভাজন বা বিদ্বেষ ছাড়িয়ে আমরা সবাই এক বৃহৎ ঐক্যের অংশ। তাই তাঁর শিক্ষা-দর্শন আজও আগের মতো প্রাসঙ্গিক এবং মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে রয়েছে।
লেখক: শিক্ষক

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নামটি গভীর মানবতাবোধ, আধ্যাত্মিকতা ও খোদাপ্রেমের প্রতীক। ১৩ শতকের এই মহান কবি ও সুফি দার্শনিক কাব্য ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে তাঁর সময়েই নয়, আজও বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছেন। তাঁর জীবন, শিক্ষা ও সাহিত্য গভীরতর আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছে; যা আজও মানুষের জীবন
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে