ইসলাম ডেস্ক
প্রতিবছর খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাসব্যাপী সংযমের অনুশীলনের পর আল্লাহ তাআলার পুরস্কার হিসেবে ঈদ উদ্যাপিত হয়। নৈতিক, আত্মিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির সীমানা পেরিয়ে সামষ্টিক কল্যাণ নিয়ে আসে ঈদ। তবে ঈদ কেবল আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং তা মহান আল্লাহর আনুগত্যে শুদ্ধতা-শূচিতা চর্চার অনন্য উদ্যাপন। ঈদের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো ঈদের নামাজ। ঈদের নামাজের গুরুত্ব ও বিধিবিধান এখানে তুলে ধরা হলো
ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। আজান-ইকামত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। যাঁদের জন্য জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাঁদের জন্য ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম। তবে মক্কাবাসীর জন্য মসজিদে হারামে উত্তম। শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ জায়েজ আছে। (বুখারি: ১ / ১৩১; ফাতাওয়া শামি: ১ / ৫৫৫,১ / ৫৫৭; আল মুহাজ্জাব: ১ / ৩৮৮)
সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত ঈদের নামাজ আদায় করা যায়। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত; যেন নামাজের আগেই বেশি বেশি সাদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়। (ফাতহুল কাদির: ২ / ৭৩)
মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করার কোনো প্রয়োজন নেই। মনে মনে নির্দিষ্ট করতে হবে যে, আমি এ ঈদের নামাজ কিবলামুখী হয়ে এই ইমাম সাহেবের পেছনে অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি। ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির ওয়াজিব। প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা ও ‘সানা’র পর তিন তাকবির। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবির। এই তাকবিরগুলো বলার সময় ইমাম-মুকতাদি সবাইকে হাত ওঠাতে হবে। তৃতীয় তাকবির ছাড়া প্রতি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে।
কেউ যদি এই তাকবিরগুলো না পান, তাহলে তিনি রুকুতে থাকা অবস্থায় আদায় করে নেবেন। কারও পূর্ণ এক রাকাত ছুটে গেলে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর তাকবিরগুলো আদায় করে নেবেন। কেরাতের আগে আদায় করারও সুযোগ রয়েছে। নামাজ শেষে খুতবা প্রদান ইমামের জন্য সুন্নত; তা শোনা নামাজির জন্য ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ১ / ৫৫৯, ৫৬০)
প্রতিবছর খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাসব্যাপী সংযমের অনুশীলনের পর আল্লাহ তাআলার পুরস্কার হিসেবে ঈদ উদ্যাপিত হয়। নৈতিক, আত্মিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির সীমানা পেরিয়ে সামষ্টিক কল্যাণ নিয়ে আসে ঈদ। তবে ঈদ কেবল আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং তা মহান আল্লাহর আনুগত্যে শুদ্ধতা-শূচিতা চর্চার অনন্য উদ্যাপন। ঈদের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো ঈদের নামাজ। ঈদের নামাজের গুরুত্ব ও বিধিবিধান এখানে তুলে ধরা হলো
ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। আজান-ইকামত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। যাঁদের জন্য জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাঁদের জন্য ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম। তবে মক্কাবাসীর জন্য মসজিদে হারামে উত্তম। শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ জায়েজ আছে। (বুখারি: ১ / ১৩১; ফাতাওয়া শামি: ১ / ৫৫৫,১ / ৫৫৭; আল মুহাজ্জাব: ১ / ৩৮৮)
সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত ঈদের নামাজ আদায় করা যায়। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত; যেন নামাজের আগেই বেশি বেশি সাদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়। (ফাতহুল কাদির: ২ / ৭৩)
মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করার কোনো প্রয়োজন নেই। মনে মনে নির্দিষ্ট করতে হবে যে, আমি এ ঈদের নামাজ কিবলামুখী হয়ে এই ইমাম সাহেবের পেছনে অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি। ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির ওয়াজিব। প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা ও ‘সানা’র পর তিন তাকবির। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবির। এই তাকবিরগুলো বলার সময় ইমাম-মুকতাদি সবাইকে হাত ওঠাতে হবে। তৃতীয় তাকবির ছাড়া প্রতি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে।
কেউ যদি এই তাকবিরগুলো না পান, তাহলে তিনি রুকুতে থাকা অবস্থায় আদায় করে নেবেন। কারও পূর্ণ এক রাকাত ছুটে গেলে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর তাকবিরগুলো আদায় করে নেবেন। কেরাতের আগে আদায় করারও সুযোগ রয়েছে। নামাজ শেষে খুতবা প্রদান ইমামের জন্য সুন্নত; তা শোনা নামাজির জন্য ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ১ / ৫৫৯, ৫৬০)
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
৬ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
১ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
১ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
১ দিন আগে