মাওলানা ইসমাইল নাজিম
সুরা লাহাব পবিত্র কোরআনের ১১১তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। মহানবী (সা.)-এর চাচা আবু লাহাব ও তার পরিবার ইসলামের বিরুদ্ধে যে ঘৃণ্য কাজকর্ম করেছিল এবং তাদের প্রতি আল্লাহ যে ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন—তার বিবরণ এই সুরায় এসেছে। সুরাটির প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নিকটাত্মীয়দের ডেকে ইসলামের বার্তা প্রচারের নির্দেশ এলে মহানবী (সা.) সাফা পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে সবার সামনে ঘোষণা করলেন, ‘যদি আমি বলি, শত্রুরা দ্রুতই এগিয়ে আসছে এবং যেকোনো সময় তোমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, তবে আমার কথা কি বিশ্বাস করবে?’ সবাই বলল, ‘হ্যাঁ অবশ্যই করব।’ তখন তিনি বললেন, ‘(তোমাদের কুফরির কারণে) এক ভয়াবহ আজাব সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করছি।’ তখন আবু লাহাব বলে উঠল, ‘তুমি ধ্বংস হও! এ কথা বলতেই কি আমাদের এখানে ডেকেছ?’ এরপর সে নবীজিকে পাথর মারতে উদ্যত হলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সুরা লাহাব নাজিল হয়। (বুখারি ও মুসলিম)
নবুওয়তের প্রথম দিকে মহানবী (সা.) যখন সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামের বার্তা তুলে ধরতেন এবং ইমানের দাওয়াত দিতেন, তখন আবু লাহাব মানুষকে নবীজির বিরুদ্ধে কথা বলে উসকাত। অথচ তিনি ছিলেন মহানবী (সা.)-এর চাচা। তার এসব অপকর্মের সহযোগী ছিল তার স্ত্রী, এই সুরায় তাকে ‘শুকনো কাঠ বহনকারী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এ সুরায় আবু লাহাবের ধ্বংস কামনা করা হয়েছে। তার ধনসম্পদ যে পরকালে তাকে আল্লাহর কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারবে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী তার অপকর্মের অংশীদার হওয়ায় তার শাস্তিও ঘোষণা করা হয়েছে। বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে কাফিরদের শোচনীয় পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে এক সপ্তাহের মধ্যে আবু লাহাব মারা যায়।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
সুরা লাহাব পবিত্র কোরআনের ১১১তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। মহানবী (সা.)-এর চাচা আবু লাহাব ও তার পরিবার ইসলামের বিরুদ্ধে যে ঘৃণ্য কাজকর্ম করেছিল এবং তাদের প্রতি আল্লাহ যে ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন—তার বিবরণ এই সুরায় এসেছে। সুরাটির প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নিকটাত্মীয়দের ডেকে ইসলামের বার্তা প্রচারের নির্দেশ এলে মহানবী (সা.) সাফা পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে সবার সামনে ঘোষণা করলেন, ‘যদি আমি বলি, শত্রুরা দ্রুতই এগিয়ে আসছে এবং যেকোনো সময় তোমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, তবে আমার কথা কি বিশ্বাস করবে?’ সবাই বলল, ‘হ্যাঁ অবশ্যই করব।’ তখন তিনি বললেন, ‘(তোমাদের কুফরির কারণে) এক ভয়াবহ আজাব সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করছি।’ তখন আবু লাহাব বলে উঠল, ‘তুমি ধ্বংস হও! এ কথা বলতেই কি আমাদের এখানে ডেকেছ?’ এরপর সে নবীজিকে পাথর মারতে উদ্যত হলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সুরা লাহাব নাজিল হয়। (বুখারি ও মুসলিম)
নবুওয়তের প্রথম দিকে মহানবী (সা.) যখন সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামের বার্তা তুলে ধরতেন এবং ইমানের দাওয়াত দিতেন, তখন আবু লাহাব মানুষকে নবীজির বিরুদ্ধে কথা বলে উসকাত। অথচ তিনি ছিলেন মহানবী (সা.)-এর চাচা। তার এসব অপকর্মের সহযোগী ছিল তার স্ত্রী, এই সুরায় তাকে ‘শুকনো কাঠ বহনকারী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এ সুরায় আবু লাহাবের ধ্বংস কামনা করা হয়েছে। তার ধনসম্পদ যে পরকালে তাকে আল্লাহর কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারবে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী তার অপকর্মের অংশীদার হওয়ায় তার শাস্তিও ঘোষণা করা হয়েছে। বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে কাফিরদের শোচনীয় পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে এক সপ্তাহের মধ্যে আবু লাহাব মারা যায়।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
২ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
২ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
২ দিন আগে