Ajker Patrika

সিজদার সঠিক পদ্ধতি

আবদুল আযীয কাসেমি
সিজদার সঠিক পদ্ধতি

নামাজ ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামাজের সর্বশ্রেষ্ঠ রোকন হলো সিজদা। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে নিকটবর্তী হওয়া যায়। হাদিস শরিফে নবী (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় সেজদা অবস্থায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের অনেকের সিজদা সঠিকভাবে আদায় হয় না। যেকোনো ইবাদত সুন্নাহসম্মত হওয়া কাম্য। অন্যথায়, সেটা আল্লাহর কাছে যথাযথভাবে গৃহীত হয় না।’

সিজদার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমাকে সাতটি অঙ্গের ওপর সিজদা করার নির্দেশ করা হয়েছে। কপাল, উভয় হাত, উভয় হাঁটু এবং উভয় পায়ের প্রান্ত।’ (বুখারি ও ‍মুসলিম) হজরত আনাস (রা) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা সিজদায় স্বাভাবিক থাকো। বাহুদ্বয়কে কুকুরের মতো ছড়িয়ে দিও না।’ (বুখারি ও মুসলিম) বারা বিন আজিব (রা.) বলেন, নবীজি (সা) বলেন, ‘যখন তুমি সেজদা করবে, হাতের তালু মাটিতে রাখবে এবং কনুই উঠিয়ে রাখবে।’ (অর্থাৎ মাটিতে রাখবে না।)

(মুসলিম) মাইমুনা (রা.) বলেন, নবী (সা.) যখন সিজদা করতেন, তখন দুই হাতের মাঝখানে এই পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখতেন যেন ছোট্ট কোনো ছাগলছানা দুই হাতের নিচ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।’ (আবু দাউদ) মুসলিম শরিফের বর্ণনায় নবীজির বগল মোবারকের শুভ্রতা দেখা যাওয়ার কথাও রয়েছে।

আমরা প্রায়ই সিজদার সময় একটি ভুল করে থাকি। কনুইসহ উভয় হাতকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে রাখি। অথবা খুব সামান্য ফাঁকা রাখি।অথচ হাদিসের ভাষ্য থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, মাটি থেকে হাত এ পরিমাণ দূরত্বে থাকতে হবে যেন সেখানে কোনো ছাগলছানা অতিক্রম করতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, যখন মুসল্লিদের ভিড় বেশি হবে, তখন এভাবে হাত রাখলে মানুষের কষ্ট হতে পারে, তাই সে ক্ষেত্রে খানিকটা মিলিয়ে রাখার অবকাশ আছে।

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত