মুফতি আবু দারদা
পরকালে বিশ্বাস ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ। মৃত্যুর পরের জীবনে আল্লাহর কাছে সবাইকে নিজের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। তাই আল্লাহর ভয় হৃদয়ে জাগরুক রাখা এবং সব কাজে তাঁর সন্তুষ্টি বিবেচনা করা মুমিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় করো। প্রত্যেকে আগামীর (পরকাল) জন্য কী (পুণ্য কাজ) অগ্রিম পাঠিয়েছে, তা যেন চিন্তা করে। আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।’ (সুরা হাশর: ১৮)
পরকালে জবাবদিহির চিন্তা দূরদর্শিতার পরিচায়ক। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি বুদ্ধিমান, যে ব্যক্তি নিজের হিসাব নেয় এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করে। ওই ব্যক্তি ব্যর্থ, যে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং আল্লাহর কাছে (ক্ষমার) আশা করে বসে থাকে।’ (তিরমিজি: ২৪৫৯)
কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাঠগড়ায় সবাইকে দাঁড়াতে হবে। চারটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কাউকে সামনে এগোতে দেওয়া হবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দা (চারটি) প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত দুই পা সরাতে পারবে না। এক. কোন কাজে জীবন ব্যয় করেছে। দুই. ইলম অনুসারে কেমন আমল করেছে। তিন. কোন খাত থেকে সম্পদ উপার্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে। চার. নিজ দেহ কোথায় ব্যস্ত রেখেছে।’ (তিরমিজি: ২৪১৭)
যারা এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারবে, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি মহান রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, জান্নাতই তার আবাস হবে।’ (সুরা নাজিআত: ৪০-৪১)
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
পরকালে বিশ্বাস ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ। মৃত্যুর পরের জীবনে আল্লাহর কাছে সবাইকে নিজের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। তাই আল্লাহর ভয় হৃদয়ে জাগরুক রাখা এবং সব কাজে তাঁর সন্তুষ্টি বিবেচনা করা মুমিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় করো। প্রত্যেকে আগামীর (পরকাল) জন্য কী (পুণ্য কাজ) অগ্রিম পাঠিয়েছে, তা যেন চিন্তা করে। আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।’ (সুরা হাশর: ১৮)
পরকালে জবাবদিহির চিন্তা দূরদর্শিতার পরিচায়ক। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি বুদ্ধিমান, যে ব্যক্তি নিজের হিসাব নেয় এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করে। ওই ব্যক্তি ব্যর্থ, যে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং আল্লাহর কাছে (ক্ষমার) আশা করে বসে থাকে।’ (তিরমিজি: ২৪৫৯)
কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাঠগড়ায় সবাইকে দাঁড়াতে হবে। চারটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কাউকে সামনে এগোতে দেওয়া হবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দা (চারটি) প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত দুই পা সরাতে পারবে না। এক. কোন কাজে জীবন ব্যয় করেছে। দুই. ইলম অনুসারে কেমন আমল করেছে। তিন. কোন খাত থেকে সম্পদ উপার্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে। চার. নিজ দেহ কোথায় ব্যস্ত রেখেছে।’ (তিরমিজি: ২৪১৭)
যারা এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারবে, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি মহান রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, জান্নাতই তার আবাস হবে।’ (সুরা নাজিআত: ৪০-৪১)
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
রোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
৫ মিনিট আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
২২ মিনিট আগেজীবিকার তাগিদে মানুষ নিজ বাসস্থান থেকে দূরে থাকে। যে যেখানেই থাকুক নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে জোর নির্দেশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘...আর আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ করেছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে...
৪ ঘণ্টা আগেইসলাম শুধু বিশ্বাসের নয়, বরং ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও মানবিক সম্পর্কের ধর্ম। এ ধর্ম মানুষের অন্তরের বন্ধনকে দৃঢ় করার জন্য কিছু অনন্য আচার বা সুন্নাহ শিক্ষা দিয়েছে; যার মধ্যে একটি হলো মুআনাকা—অর্থাৎ কোলাকুলি করা।
১০ ঘণ্টা আগে