মাহমুদ হাসান ফাহিম
হিদায়াত অর্থ কল্যাণ ও মঙ্গলের পথে পরিচালিত করা। নিজের ইচ্ছা বা ক্ষমতার বলে কেউ হিদায়াত পায় না। এটি আল্লাহ তাআলার মহান অনুগ্রহ ও দয়া। তিনি যাকে চান হিদায়াত করেন। (সুরা: আনআম: ৩৯)
যারা একনিষ্ঠচিত্তে হিদায়াতলাভের চেষ্টা করে, আল্লাহর পথে চলতে চায়, তাদেরকে আল্লাহ তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেন না। বরং তাদের হিদায়াত দান করেন এবং সুপথ দেখান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে হিদায়াত করব।’ (সুরা আনকাবুত: ৬৯)
যাঁরা সুপথ প্রাপ্ত হন, তাঁদের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা—এক. আখিরাতমুখী হওয়া: যারা মুমিন ও মুত্তাকি, তারা দুনিয়ার জীবনে যতটুকু হলে চলে, এর চেয়ে বেশি আশা করে না। আখিরাতই তাদের প্রকৃত জীবন। আখিরাতের প্রতিদানই তাদের আসল চাওয়া-পাওয়া। (সুরা বাকারা: ২০১; সুরা ইউসুফ: ৫৭)
দুই. দুনিয়াবিমুখ হওয়া: যারা হিদায়াত পায়, দুনিয়ার কামনা, দুনিয়ার ভোগ-সম্ভোগ তাদের চেষ্টা-প্রচেষ্টার কাম্য বস্তু নয়; কেননা, দুনিয়াই যাদের সবকিছু, আখিরাতে তাদের কোনো অংশ নেই। (সুরা বাকারা: ২০০) দুনিয়ার সম্পদ কামনাকারীদের প্রতি আফসোস করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা দুনিয়ার কল্যাণ চাও, আর আল্লাহ তোমাদের আখিরাতের কল্যাণ চান।...’ (সুরা আনফাল: ৬৭)
তিন. মৃত্যুর আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা: মৃত্যুর সময় ও ক্ষণ নির্ধারিত। কার কখন কীভাবে মৃত্যু হবে, কারও জানা নেই। তাই যারা সব সময় মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে থাকে, তারাই প্রকৃত বুদ্ধিমান। হাদিসে এসেছে, ‘বুদ্ধিমান সে-ই, যে নিজের হিসাব নেয় এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য উপার্জন করে।’ (তিরমিজি: ২৪৫৯; ইবনে মাজাহ: ৪২৬০)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হিদায়াত অর্থ কল্যাণ ও মঙ্গলের পথে পরিচালিত করা। নিজের ইচ্ছা বা ক্ষমতার বলে কেউ হিদায়াত পায় না। এটি আল্লাহ তাআলার মহান অনুগ্রহ ও দয়া। তিনি যাকে চান হিদায়াত করেন। (সুরা: আনআম: ৩৯)
যারা একনিষ্ঠচিত্তে হিদায়াতলাভের চেষ্টা করে, আল্লাহর পথে চলতে চায়, তাদেরকে আল্লাহ তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেন না। বরং তাদের হিদায়াত দান করেন এবং সুপথ দেখান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে হিদায়াত করব।’ (সুরা আনকাবুত: ৬৯)
যাঁরা সুপথ প্রাপ্ত হন, তাঁদের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা—এক. আখিরাতমুখী হওয়া: যারা মুমিন ও মুত্তাকি, তারা দুনিয়ার জীবনে যতটুকু হলে চলে, এর চেয়ে বেশি আশা করে না। আখিরাতই তাদের প্রকৃত জীবন। আখিরাতের প্রতিদানই তাদের আসল চাওয়া-পাওয়া। (সুরা বাকারা: ২০১; সুরা ইউসুফ: ৫৭)
দুই. দুনিয়াবিমুখ হওয়া: যারা হিদায়াত পায়, দুনিয়ার কামনা, দুনিয়ার ভোগ-সম্ভোগ তাদের চেষ্টা-প্রচেষ্টার কাম্য বস্তু নয়; কেননা, দুনিয়াই যাদের সবকিছু, আখিরাতে তাদের কোনো অংশ নেই। (সুরা বাকারা: ২০০) দুনিয়ার সম্পদ কামনাকারীদের প্রতি আফসোস করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা দুনিয়ার কল্যাণ চাও, আর আল্লাহ তোমাদের আখিরাতের কল্যাণ চান।...’ (সুরা আনফাল: ৬৭)
তিন. মৃত্যুর আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা: মৃত্যুর সময় ও ক্ষণ নির্ধারিত। কার কখন কীভাবে মৃত্যু হবে, কারও জানা নেই। তাই যারা সব সময় মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে থাকে, তারাই প্রকৃত বুদ্ধিমান। হাদিসে এসেছে, ‘বুদ্ধিমান সে-ই, যে নিজের হিসাব নেয় এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য উপার্জন করে।’ (তিরমিজি: ২৪৫৯; ইবনে মাজাহ: ৪২৬০)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
‘সেহরি’ শব্দটি আরবি ‘সাহর’ বা ‘সুহুর’ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ বা ভোররাত। সেহরি অর্থ শেষ রাতের বা ভোররাতের খাবার। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে আহার করা হয়, একে শরিয়তের পরিভাষায় সেহরি বলা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেরোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
১ দিন আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
১ দিন আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
১ দিন আগে