মুফতি আবু দারদা
নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামাজে দাঁড়ানোর অর্থ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়া। তাই তা আদায়ে তাড়াহুড়ো করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বরং নামাজের সব আবশ্যক বিষয়াবলি ধীরস্থিরভাবে আদায় করা ওয়াজিব। (বুখারি: ৭৯৩ ও মুসলিম: ৩৯৭)
নামাজে যারা পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা আদায় করে না, তাদের সবচেয়ে বড় চোর সাব্যস্ত করেছেন মহানবী (সা.)। হজরত নোমান ইবনে মুররা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদ্যপ, চোর ও ব্যভিচারী সম্পর্কে তোমাদের কী মত?’ যখন এই প্রশ্ন করা হয়, তখনো এগুলো সম্পর্কে কোনো বিধান অবতীর্ণ হয়নি।
তাঁরা উত্তর দিলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘এগুলো ঘৃণ্য ও জঘন্য পাপ, এসবের সাজা রয়েছে। আর যে ব্যক্তি নিজের নামাজ চুরি করে, সে চুরিই সবচেয়ে বড় চুরি।’ তাঁরা (সাহাবিরা) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপন নামাজ চুরি করে কীভাবে?’ তিনি বলেন, ‘যে নামাজের রুকু ও সেজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না।’ (মুয়াত্তায়ে মালেক: ৩৮৯)
যাঁরা যত্নসহকারে একাগ্রতার সঙ্গে সময়মতো শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করেন, তাঁদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, যা আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন, যে ব্যক্তি এই নামাজগুলোর জন্য ভালোভাবে অজু করবে, সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং আল্লাহর ভয়ে এর রুকুকে পরিপূর্ণরূপে করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে তা না করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন।’ (মিশকাত: ৫৭০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামাজে দাঁড়ানোর অর্থ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়া। তাই তা আদায়ে তাড়াহুড়ো করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বরং নামাজের সব আবশ্যক বিষয়াবলি ধীরস্থিরভাবে আদায় করা ওয়াজিব। (বুখারি: ৭৯৩ ও মুসলিম: ৩৯৭)
নামাজে যারা পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা আদায় করে না, তাদের সবচেয়ে বড় চোর সাব্যস্ত করেছেন মহানবী (সা.)। হজরত নোমান ইবনে মুররা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদ্যপ, চোর ও ব্যভিচারী সম্পর্কে তোমাদের কী মত?’ যখন এই প্রশ্ন করা হয়, তখনো এগুলো সম্পর্কে কোনো বিধান অবতীর্ণ হয়নি।
তাঁরা উত্তর দিলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘এগুলো ঘৃণ্য ও জঘন্য পাপ, এসবের সাজা রয়েছে। আর যে ব্যক্তি নিজের নামাজ চুরি করে, সে চুরিই সবচেয়ে বড় চুরি।’ তাঁরা (সাহাবিরা) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপন নামাজ চুরি করে কীভাবে?’ তিনি বলেন, ‘যে নামাজের রুকু ও সেজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না।’ (মুয়াত্তায়ে মালেক: ৩৮৯)
যাঁরা যত্নসহকারে একাগ্রতার সঙ্গে সময়মতো শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করেন, তাঁদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, যা আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন, যে ব্যক্তি এই নামাজগুলোর জন্য ভালোভাবে অজু করবে, সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং আল্লাহর ভয়ে এর রুকুকে পরিপূর্ণরূপে করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে তা না করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন।’ (মিশকাত: ৫৭০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
রমজান মাস এবং ফরজ রোজা শেষ হলেও বছরজুড়ে বিভিন্ন রোজা রয়েছে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সেসব রোজার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এই সম্পর্ক আমাদের মাঝে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১১ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে বিপদ-আপদ অন্যতম এক মাধ্যম। দুঃখ-কষ্ট, রোগ-বালাই, অভাব-অনটন, বিরহ-টেনশন বা প্রিয়জনের বিয়োগ—এসবই হতে পারে একেকটি পরীক্ষা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন, ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি...
১৯ ঘণ্টা আগেতওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
২ দিন আগে