ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা:
করোনায় শিল্পটি কীভাবে সচল রাখলেন?
শাহজাদা আহমেদ রনি: করোনায় সবার মতো আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ নানান কারণে খরচ বেড়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ। তবে সরকার কিছু প্রণোদনা দিয়েছে, আমরাও আমাদের যা কিছু আছে, সবকিছুর সমন্বয় করে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমরা উদ্যোক্তা। নিজের পাশাপাশি দেশের জন্যও কাজ করি। ভাবি, একটা শিল্প হলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
আজকের পত্রিকা:
আপনি মূলত কী কী পণ্য উৎপাদন করেন? রপ্তানি গন্তব্য কোথায়?
শাহজাদা আহমেদ রনি: স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে আমি ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত গ্রামে কারখানা করেছি। সেখানে ১৭ জন বিদেশি কর্মকর্তার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে প্রায় দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা মূলত পরিবেশবান্ধব পাট, কাপড় এবং চামড়া ও চামজাত জুতা রপ্তানি করি। আমাদের পাটের জুতা আমেরিকা, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সেনেগালে যাচ্ছে। আর চামড়া ও চামড়াজাত জুতা আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যায়। বিশ্বখ্যাত অন্তত ২৫টি ব্র্যান্ডের বায়ার আমার সঙ্গে কাজ করে।
আজকের পত্রিকা:
কেমন অর্ডার পাচ্ছেন? খরচ ও পণ্যের দামে সুবিধা পাচ্ছেন কি না?
শাহজাদা আহমেদ রনি: পোশাকের মতো এ খাতের অবস্থাও আশাজাগানিয়া। এখন ৩০-৩৫ শতাংশ বেশি অর্ডার পাচ্ছি। করোনার কারণে ভিয়েতনামে অর্ডার যাচ্ছে না। ক্রেতারা বাংলাদেশে আসছে। কমপ্লায়েন্স মেনে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিই আমাদের চ্যালেঞ্জ। অর্ডার বাড়লেও পণ্যের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। বেশি দামে কাঁচামাল আনতে হয়। পাটের জুতার ক্ষেত্রে পাট আমাদের দেশে হলেও এর টনপ্রতি দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সে তুলনায় পণ্যের দাম বাড়েনি। প্রতিযোগিতার কারণে দাম নিয়ে খুব দর-কষাকষিও করা যায় না।
আজকের পত্রিকা:
রপ্তানিতে আর কী সমস্যা মোকাবিলা করছেন?
শাহজাদা আহমেদ রনি: গেল কয়েক মাসে বিশ্বব্যাপী পণ্যের বিপুল চাহিদা। ফলে পণ্য পরিবহনের কনটেইনার ও জাহাজ সংকট তীব্র হয়েছে। ফ্রেইট বেড়েছে অন্তত ৩ থেকে ৪ গুণ। এতে সময়মতো পণ্য জাহাজীকরণ থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এটা একদিকে যেমন কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা তৈরি করছে, তেমনি লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে যথাসময়ে রপ্তানি করা যাচ্ছে না। অথচ ক্রেতারা পণ্য পৌঁছানোর চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা:
এ খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কেমন?
শাহজাদা আহমেদ রনি: লেদার খাত পোশাকের মতো বড় নয়। তবে সম্ভাবনা আছে। সরকার যদি এ খাতে নজর দিয়ে দক্ষ জনবল গড়ে তোলে, তাহলে এটিও পোশাকের মতো নেতৃত্ব দেবে। এখন অনেকেই এ খাতে বিনিয়োগে আসছে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যবসাবান্ধব হলেও কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। বিনিয়োগের সঙ্গে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার জড়িত। সবাই যদি সমান আন্তরিকভাবে কাজ করে তাহলে বিনিয়োগে সমস্যা হবে না।
আজকের পত্রিকা:
করোনায় শিল্পটি কীভাবে সচল রাখলেন?
শাহজাদা আহমেদ রনি: করোনায় সবার মতো আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ নানান কারণে খরচ বেড়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ। তবে সরকার কিছু প্রণোদনা দিয়েছে, আমরাও আমাদের যা কিছু আছে, সবকিছুর সমন্বয় করে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমরা উদ্যোক্তা। নিজের পাশাপাশি দেশের জন্যও কাজ করি। ভাবি, একটা শিল্প হলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
আজকের পত্রিকা:
আপনি মূলত কী কী পণ্য উৎপাদন করেন? রপ্তানি গন্তব্য কোথায়?
শাহজাদা আহমেদ রনি: স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে আমি ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত গ্রামে কারখানা করেছি। সেখানে ১৭ জন বিদেশি কর্মকর্তার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে প্রায় দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা মূলত পরিবেশবান্ধব পাট, কাপড় এবং চামড়া ও চামজাত জুতা রপ্তানি করি। আমাদের পাটের জুতা আমেরিকা, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সেনেগালে যাচ্ছে। আর চামড়া ও চামড়াজাত জুতা আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যায়। বিশ্বখ্যাত অন্তত ২৫টি ব্র্যান্ডের বায়ার আমার সঙ্গে কাজ করে।
আজকের পত্রিকা:
কেমন অর্ডার পাচ্ছেন? খরচ ও পণ্যের দামে সুবিধা পাচ্ছেন কি না?
শাহজাদা আহমেদ রনি: পোশাকের মতো এ খাতের অবস্থাও আশাজাগানিয়া। এখন ৩০-৩৫ শতাংশ বেশি অর্ডার পাচ্ছি। করোনার কারণে ভিয়েতনামে অর্ডার যাচ্ছে না। ক্রেতারা বাংলাদেশে আসছে। কমপ্লায়েন্স মেনে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিই আমাদের চ্যালেঞ্জ। অর্ডার বাড়লেও পণ্যের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। বেশি দামে কাঁচামাল আনতে হয়। পাটের জুতার ক্ষেত্রে পাট আমাদের দেশে হলেও এর টনপ্রতি দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সে তুলনায় পণ্যের দাম বাড়েনি। প্রতিযোগিতার কারণে দাম নিয়ে খুব দর-কষাকষিও করা যায় না।
আজকের পত্রিকা:
রপ্তানিতে আর কী সমস্যা মোকাবিলা করছেন?
শাহজাদা আহমেদ রনি: গেল কয়েক মাসে বিশ্বব্যাপী পণ্যের বিপুল চাহিদা। ফলে পণ্য পরিবহনের কনটেইনার ও জাহাজ সংকট তীব্র হয়েছে। ফ্রেইট বেড়েছে অন্তত ৩ থেকে ৪ গুণ। এতে সময়মতো পণ্য জাহাজীকরণ থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এটা একদিকে যেমন কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা তৈরি করছে, তেমনি লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে যথাসময়ে রপ্তানি করা যাচ্ছে না। অথচ ক্রেতারা পণ্য পৌঁছানোর চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা:
এ খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কেমন?
শাহজাদা আহমেদ রনি: লেদার খাত পোশাকের মতো বড় নয়। তবে সম্ভাবনা আছে। সরকার যদি এ খাতে নজর দিয়ে দক্ষ জনবল গড়ে তোলে, তাহলে এটিও পোশাকের মতো নেতৃত্ব দেবে। এখন অনেকেই এ খাতে বিনিয়োগে আসছে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যবসাবান্ধব হলেও কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। বিনিয়োগের সঙ্গে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার জড়িত। সবাই যদি সমান আন্তরিকভাবে কাজ করে তাহলে বিনিয়োগে সমস্যা হবে না।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
২২ জুন ২০২৫‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
১৫ জুন ২০২৫গত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১১ জুন ২০২৫ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
০১ জুন ২০২৫