Ajker Patrika

সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দেব: আম্বারীন রেজা

অর্চি হক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, ২৩: ১২
Thumbnail image

নির্বাচনে কেন অংশ নিচ্ছেন? 
আম্বারীন রেজা: একটা ট্রেড বডি বা অ্যাসোসিয়েশনের কাজ হচ্ছে সরকার বা অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নেগোশিয়েট করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। সেই জায়গা থেকে আমি ই-ক্যাবের কাজটা করোনাকালে দেখেছি। ২০২০ সালে যখন সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলো তখন রেস্টুরেন্ট ও ই-কমার্স এই দুটি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে ই-ক্যাব খুবই চমৎকারভাবে কাজ করেছে। তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। রেস্টুরেন্টগুলো তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পেরেছে। সেখান থেকেই আমি ই-ক্যাব নিয়ে আগ্রহী হয়েছি। আর আমার কাছে মনে হয়েছে ই-ক্যাবের সঙ্গে কাজ করলে ভালো কিছু করতে পারব। 

অগ্রগামী প্যানেল থেকে অংশ নেওয়ার কারণ কি? 
আম্বারীন রেজা: অগ্রগামী প্যানেলে অভিজ্ঞ অনেকেই আছেন। ই-ক্যাবকে সংগঠন হিসেবে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে আসতে শমী কায়সার, আব্দুল ওয়াহেদ তমালসহ এ প্যানেলের অন্যরা অনেক কাজ করেছেন। অনেকেই আছেন যারা ই–ক্যাবের একেবারে শুরু থেকেই আছেন। তাঁরা সবাই কোভিড মহামারীতে উদ্যোক্তাদের জন্য খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। আবার আমার মতো ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন উদ্যোক্তাও আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে এ খাতে কাজ করছেন। সবমিলিয়ে অগ্রগামী সংগঠন চালানোয় অভিজ্ঞ ও ই-কমার্স খাতে অভিজ্ঞদের মিশেলে তৈরী একটা প্যানেল। 

নির্বাচিত হলে কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন? 
আম্বারীন রেজা: নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার দেব—স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নতি, সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তাবান্ধব পলিসি এবং ই-কমার্সে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মত বিষয়গুলোকে। 

দেশের ই-কমার্স খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কোন কোন দিকে গুরুত্ব দেবেন? 
আম্বারীন রেজা: প্রথমত, গ্রাহকেরা অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসাগুলোর ই-কমার্সে যুক্ত হওয়ার হার খুবই কম, মাত্র ১ শতাংশ। ছোট আকারের ব্যবসাগুলোকে অনলাইনে যুক্ত করা গেলে ই-কমার্স বিশাল একটা ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হবে। এই চ্যালেঞ্জকে আমরা সম্ভাবনায় রুপান্তর করতে পারি। দ্বিতীয়ত, এ খাতের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা, ই-কমার্সবান্ধব ট্যাক্স পলিসি প্রণয়ন, ভোক্তা অধিকার আইনের চর্চা এবং ডিজিটাল কমার্স সেলের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তৃতীয়ত, ই-কমার্সে গ্রাহকদের আস্থা বাড়াতে গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, সাইবার সিকিউরিটি জোরদার, ডিজিটাল হয়রানি প্রতিকারে উদ্যোগী হওয়া এবং ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসারের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালারও প্রয়োজন। 

দেশের ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকের অনেক অভিযোগ বা আস্থাহীনতার কথা শোনা যায়। এসব অভিযোগ নিরসনে বা সর্বোপরি ই-কমার্স খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? 
আম্বারীন রেজা: ভোক্তা এবং উদ্যোক্তা উভয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা নানা উদ্যোগ নেব। এগুলো আমাদের ইশতেহারে পরিষ্কারভাবে বলা আছে। এর ফলে ই-কমার্সে সবার আস্থা আরও জোরদার হবে বলে আমার বিশ্বাস। যেমন, আমরা খুবই স্ট্রং এবং স্মার্ট একটা সেক্রেটারিয়েট করার কথা বলেছি। পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আমরা কাজ করব। ডিজিটাল পেমেন্ট জনপ্রিয় হলে রিফান্ডের মতো ইস্যু নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল এবং ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি নিয়ে আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং প্রফেশনাল কোর্সের উদ্যোগ নেবো। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে ই-কমার্সে প্রবেশগম্যতা ১ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে উন্নীত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত